নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসলে আমি খুবই আপনভোলা। ভাবতে ভালোবাসি। এই বয়সে কার্টুন দেখে নির্মল আনন্দ পাই। ছবি আঁকাই মনের সুখে। গলা ছেড়ে গান গাই যখন কেউ থাকে না পাশে।

দি হাবলু

জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতায় অভিজ্ঞ আমিই দি হাবলু । আর আমার মত যারা তাদের জীবনে একটাই কথা সেটা হল: be the হাবলু to rule the world

দি হাবলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই স্বপ্নের অর্থ কি? পর্ব ১

১৭ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৪৭

একটা ঘরের মধ্যে একটা মানুষকে ঘিরে তার চারপাশে অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। যারা দাঁড়িয়ে আছে, বেশিরভাগ ই আমার পরিচিত। আমার কয়েকজন চাচা আছেন তার মধ্যে, চাচাতো ভাই আছেন, আমার বাবাও আছেন। কিন্তু যাকে ঘিরে এত মানুষ উনি কে? এটা দেখার জন্য একটু উঁকিঝুকি মারার চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। কারন অনেক ভিড়। 

এই ঘরের সাথে দুইপাশে আরো ২ টা ঘর আছে। দুইটা ঘরের সাথে দরজা আছে, পর্দা দেওয়া। ডান পাশের ঘরটাতে মহিলা আছে। একটু কান পাতলে কান্নার আওয়াজ শোনা যায়।

তবে আমি এখন যে ঘরটাতে আছি, সেখানে সবাই পুরুষ। কিন্তু পরনে আমাদের দেশিও কাপড় না। অনেক টা পশমের আলখেল্লা ও মাথায় মখমলের টুপি। বেশিরভাগ মানুষই মুরুব্বি। সবার লম্বা দাড়ি আছে। সবাই ভিড়ের মাঝের ওই মানুষ কে দেখছে এবং কথা বলার চেষ্টা করছে। 

একটা অবাক করার বিষয় হল, আমি এইখানে এই ঘরের মধ্যে কেন এলাম কিভাবে এলাম কিছুই মাথায় নেই। আমি নিজের অজান্তেই ভিড় ঠেলে সামনে এগোতে লাগলাম। হাত দিয়ে মানুষগুলোকে ঠেলে সরাতে লাগলাম। একটু একটু করে সামনে যেয়ে যে মানুষকে দেখলাম, তিনি প্রায় ১৬ বছর আগে মারা গেছেন। আমার দাদা। তার পরনে একটা সাদা পাঞ্জাবি এবং একটা লুঙ্গি। তার শরীর দিয়ে যেন একটা আভা বের হচ্ছে। 

দাদা কোন কথা বলছেন না। তিনি নিজেই হয়ত একটু অবাক হয়ে আছেন। চোখ দিয়ে শুধু এদিক ওদিক করছেন। আরেকটু কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই পাশের রুম থেকে জোরে একটা কান্নার আওয়াজ আসল। কান্নার আওয়াজ শুনে বুঝতে পারলাম বকুল আপা কান্না করছেন এবং কিছু একটা বলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কথা স্পষ্ট না। অনেকটা পানির নিচে কথা বললে যেমন শোনায় তেমন। 

আমি বকুল আপার কান্নার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু একধরনের অদৃশ্য বাধা অনুভব করলাম। কিছু একটা আমাকে যেতে দিচ্ছে না বকুল আপার কাছে। অনেকটা পা টেনে টেনে এগোতে লাগলাম। বকুল আপার কান্না আরেকটু স্পষ্ট হয়, কথা গুলাও। অনেক টা অভিযোগ ও অভিমান ধরা পড়ল তার কান্নাজড়িত কথায়। "আপনারা দাদাকে আনতে পারছেন, আমার বাবাকেও আনতে পারলেন না"

বকুল আপার বাবা, মানে আমার চাচা মারা গেছেন সেই ১৯৮৪ সালে, তখন বকুল আপার বয়স ৫/৬ হবে হয়ত। আমার জন্মের অনেক  আগে। তার এমন বিলাপে আসলেও মনটা খারাপ হয়ে গেল।

হঠাৎ করে পুরুষ মানুষদের রুমে এক ধরনের কালো ধোঁয়া দেখা গেল এবং ধোঁয়া ক্রমশ বাড়তে লাগল। রুমের লোকজন ও কেমন জানি অস্থির হয়ে গেল। একসময় একটা দমকা বাতাসের ধাক্কা পিঠে এসে লাগল এবং আমার কাছে মনে হল আমি যেন একটা শূণ্যের মধ্যে ছিটকে পড়লাম। যেখানে কেউ নাই, কোন তল নাই, কোন আলো নাই। অসীম একটা জায়গা। ভয়, শূণ্যতা আমাকে গ্রাস করে ফেলল। আমি যেন পড়ে যাচ্ছি চেষ্টা করছি কিছু আঁকড়ে ধরার। কিন্তু কিছুই নাই। 

নিজেকে ওই রুমের মেঝেতে আবিষ্কার করলাম। রুমের মধ্যে কোন ধোঁয়া নাই। দাদাও নাই। রুমের লোকজন গোল হয়ে আমাকে দেখছে। বেশিরভাগই আমার পরিচিত। আমার কয়েকজন চাচা আছেন তার মধ্যে, চাচাতো ভাই আছেন, আমার বাবাও আছেন। এমন সময় একজন মধ্যবয়সী মহিলা ভিড় ঠেলে এগিয়ে এসে আমাকে মেঝে থেকে তোলার চেষ্টা করলেন সেই সাথে আশেপাশের লোকজন কে বলতে লাগলেন "যারা মারা গেছেন তাদেরকে তাদের মত থাকতে দেন, তাদেরকে জীবিত করার দরকার নাই, শুধু দোয়া করেন"

আমার ঘুমটা ভাঙল ঠিক এখানেই। মহিলা কে আমি চিনতে পারি নাই। স্বপ্ন টা অনেক অদ্ভুত ছিল। 

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:২০

নতুন বলেছেন: আপনি নিজের মৃত্যু নিয়ে ভাবছেন কিছুদিন ধরে?

আপনি নিজেকে ভালো মানুষ বলে বিশ্বাস করেন। তাই আপনার মৃত্যুর সময় অন্যরা আপনাকে দেখতে এসেছেন বলে স্বপ্নে দেখছেন।

২০ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:০৪

দি হাবলু বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য

২| ১৭ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:২২

সোবুজ বলেছেন: খোয়াবনামা পড়ুন,স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানতে পারবেন।আবার ইলিয়াসের খোয়াবনামা পড়লে কিছুই জানতে পারবেন না।ফ্রয়েডের বই পড়তে পারে ।জাদুবাস্তবের লেখক মার্কেজের মতো স্বপ্নবাস্তবের লেখক হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেতে পারেন। আমাদের একজন লেখক ছিলেন সৈয়দ শামসুল হক,তিনিও চেষ্টা করেছেন স্বপ্নবাস্তের কথা লিখতে।
আপনার লেখা পড়ে ভাল লেগেছে তাই এত কথা।সুন্দর হয়েছে।

২০ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:০৬

দি হাবলু বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। অনেক উৎসাহ পেয়েছি।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: ঘুমের মধ্যে মানুষ নানান রকম স্বপ্ন দেখে। এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নাই।

আমি কয়েকদিন আগে স্বপ্নে দেখেছি- আমি গভীর ঘুমে। হিসু পেয়েছে। চোখ বন্ধ রেখেই টলতে টলতে বাথরুমে গেলাম। গিয়ে দেখি কমোড ভাঙ্গা। টুকরো টুকরো করে ভাঙ্গা।

২০ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:০৭

দি হাবলু বলেছেন: হিসুর করুণ চাপের স্বপ্ন আমি প্রায়ই দেখি। বুকে আসেন ভাই।

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫১

মিরোরডডল বলেছেন:




স্বপ্ন এরকম হতেই পারে, অস্বাভাবিক কিছু না ।
আমিও অনেক এলোমেলো স্বপ্ন দেখি, যার কোন মাথামুণ্ডু নেই ।

একটা স্বপ্ন ছিলো এরকম । আমার চারপাশে অনেক ডেড সোল ।
কোনও অবয়ব নেই, কিছুই দেখতে পাচ্ছিনা কিন্তু অনুভব করতে পারছি সব অশরীরী আত্মা ।
আমার নিজেরও কোন এক্সিস্টেন্স নেই ।
পার্থক্য শুধু আমি যেন বুঝতে পারছিলাম আমি জীবিত আর চারপাশে সবাই মৃত ।

এই স্বপ্ন দেখে যখন রাত তিনটা চারটায় ঘুম থেকে জেগে উঠি, বাকি রাত কি আর ঘুম হয় !!!




২০ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:০৭

দি হাবলু বলেছেন: আপনার স্বপ্ন অনেক অদ্ভুত। মন্ত্যব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১০:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গিতে স্বপ্ন তিন ধরণের;

এক. রুইয়ায়ে সালেহাহ (বা ভালো স্বপ্ন। আল্লাহ মহানের পক্ষ থেকে কোনো সুসংবাদ হিসেবে যা বিবেচ্য)। দুই. রুইয়ায়ে শয়তানিয়্যাহ (বা শয়তানকর্তৃক প্ররোচনামূলক প্রদর্শিত স্বপ্ন)। তিন. রুইয়ায়ে নাফসানিয়্যা (বা মানুষের চিন্তা-চেতনার কল্পচিত্র)। এরপর রাসুল (সা.) বলেছেন, যদি কেউ অপছন্দনীয়, ভয় বা খারাপ কোনো স্বপ্ন দেখে তাহলে সে যেন তাড়াতাড়ি অজু করে নামাজে দাঁড়িয়ে যায় এবং সে স্বপ্নের ব্যাপারে অনভিজ্ঞ কাউকে কিছু না বলে। (আবু দাউদ)

আমার ব্যক্তিগত ধারণা ভালো স্বপ্ন হলে স্বপ্ন দেখার পর আপনার ভালো লাগবে। ভয় পেলে এটা শয়তানি স্বপ্ন হতে পারে। এছাড়া কিছু স্বপ্ন মনের বিক্ষিপ্ত চিন্তা ছাড়া আর কিছু না। সাধারণত ভোরের স্বপ্ন ভালো উদ্দেশ্যে আল্লাহ দেখিয়ে থাকেন।

মৃত ব্যক্তিদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করাটাই উত্তম।

২০ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:৪৫

দি হাবলু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। অনেক কিছু জানলাম।

৬| ২১ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:২৮

ওয়াজ বাবা বলেছেন: এত সুন্দর চোট গপ্ল অনেক দিন পরি নি, ভাল লাগল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.