![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জীবদ্দশায় দেখা শ্রেষ্ঠ ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধারা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের ঋন কোনকালেও শোধ হবার নয়। এখন আসুন দেখি তাদের ঋন কিভাবে শোধ করা হচ্ছে। অনেক ঘটনাই আছে, সর্বশেষ একটা হলো বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছেলের জীবন কাটে চায়ের দোকানের পানি টেনে।
"বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছোট ছেলে শওকত আলী পাটোয়ারী। বাবা বীরশ্রেষ্ঠ হলেও নিজে যেন হেরে যাচ্ছেন জীবনযুদ্ধে। দারিদ্র্র্যের সঙ্গে লড়াই করে স্ত্রী ও একমাত্র শিশুকন্যাকে নিয়ে কোনো রকমে বেঁচে আছেন শওকত। কখনো করাত কলে গাছ টেনে কখনো বা চায়ের দোকানের পানি টেনে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বাগপাচড়া গ্রামে ১৯৩৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন। তাঁর দুই ছেলে তিন মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে মো. বাহার প্রায় ১৪ বছর আগে মারা যান। তিন মেয়ে বিয়ের পর থেকে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করছেন। ছোট ছেলে শওকত। স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন যখন শহীদ হন, তখন শওকতের বয়স দুই বছর। বর্তমানে ৪০ বছর বয়সী শওকত তাঁর বাবার ভিটেতেই আছেন। স্ত্রী রাবেয়া আক্তার (৩০) ও মেয়ে বৃষ্টিকে (৭) নিয়ে শওকতের সংসার। শওকত জানান, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম কাজ করে কোনো রকমে সংসার চালান। তিনি বলেন, ‘বাবা বীরদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন—সেই গর্বে সব দুঃখ, কষ্ট ভুলে থাকি।’ অর্থকষ্টের কারণে মংলা বন্দরে গিয়ে বাবার সমাধিটিও দেখার সৌভাগ্য হয়নি বলেই কেঁদে ফেলেন শওকত।
শওকতের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার বলেন, ‘এ ঈদেও নিজেরা কোরবানি দিতে পারিনি। পাড়ার লোকজন যখন দুই-তিন টুকরা গোসত হাতে করে দিয়ে যান তখন কষ্টে বুক ফেটে যায়।’ তিনি অভিযোগ করেন, সরকারি সাহায্যও সেভাবে তাঁদের কাছে পৌঁছে না।
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন জাদুঘর ও গ্রন্থাগারের সভাপতি আতাউর রহমান (৭৬) প্রথম আলোকে বলেন, এলাকাবাসীর সহায়তায় শওকত কোনো রকমে বেঁচে আছে। সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী আবদুর রহমান বলেন, শওকতকে সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।"--দৈনিক প্রথম আলো
কানাডাতে আছেন কিছু আদি বাসি যাদেরকে বলা হয় এ্যাব-অরিজিনাল। মূলত এদের দেশটাই পরবর্তিকালে ব্রিটিশ ও ফ্রেন্চরা জবর দখল করে ভাগাভাগি করে নেয় এবং আজ পর্যন্ত তারাই দেশটার হর্তা কর্তা বিধাতা। এরা আন্তরিকভাবে কখনোই চায় না ঐ আদিবাসিরা মানুষের মত মানুষ হয়ে, শিক্ষা দিক্ষায় বড় হয়ে উঠুক। তাহলে হয়তো একদিন ওদের দেশ ওরা বুঝে নিতে চাইবে, কে জানে! আপাত দৃষ্টিতে আমরা যেটা দেখছি, সারাদিন নেশা করে, ড্রাগ নিয়ে বুদ হয়ে থাকে, স্কুলে যায় কিনা সন্দেহ উচ্চ শিক্ষাতো দুরের কথা। ঠিক তেমনী আমেরিকাতেও ওদের সাথে সাথে আরো দুটো অনগ্রসরমান শ্রেনী আছে যাদের মধ্যে কালোদের একটা গ্রুপ আছে যারা ঠিক একইভাবে ড্রাগ নিয়ে পরে থাকে, অল্প বয়সেই স্কুল ড্রপ আউট হয়ে অপরাধমুলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত হয়ে যায়। সরকার মূখে যাই বলুক ওদেরকে এগিয়ে আনার জন্য যতটুকু করা দরকার ছিল তা করছে না। কিন্তু ওদেরকে সরকারী বেসিক কিছু সুযোগ সুবিধা দিয়ে আরো পংগু করে রাখা হচ্ছে, অল্প দিয়ে অনেক কিছু বন্চিত করা হচ্ছে। অর্থাৎ গোড়া কেটে পানি ঢালা হচ্ছে।
বাংলাদেশেও ব্যাপারটা অনেকটা সেরকম। কোটা কাদেরকে দেয়া হয়? ভৌগলিক বা অন্য কোন কারনে সমাজের অনগ্রসরমান শ্রেনীকে যাতে তারা দেশের বা সমাজের অন্যদের সম পর্যায়ে আসতে পারে। কারন সংবিধান অনুযায়ী সকল নাগরিকের সমান অধিকার। এই সমান অধিকার সকলের জন্য নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হয় আর সেজন্যই এ কোটা পদ্ধতির প্রচলন। এখন আসুন দেখি কারা এবং কি কারনে তারা অনগ্রসরমান? প্রথমত উপজাতি কিংবা বিশেষ কোন জেলার বাসিন্দা যারা ভৌগলিক কারনে, রিমোট অন্চলে বসবাস করার কারনে, হানাহানি, গৃহযুদ্ধের কারনে, ভাষাগত কারনে সমাজের অন্য অন্চলের মানুষদের মত সমান সরকারী সুযোগ সুবিধা পায় নি, শিক্ষা দিক্ষার বিস্তার লাভ করতে পারে নি। দ্বিতীয়তঃ শারীরিক প্রতিবন্ধি বা ফিজিক্যালি ডিজএ্যবল যারা, তৃতীয়ত দেশের নারী সমাজ যারা এখনও উচ্চ শিক্ষার জন্য অনেক প্রতিবন্ধকতার শিকার হন, চতুর্থতঃ মুক্তিযোদ্ধারা যারা সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেবার কারনে বছর নষ্ট হয়েছে কিংবা আহত হয়েছেন, কিংবা বিশেষ অবদান রেখেছেন ইত্যাদি। আগেই বলেছি কোটা দেয়া মানে বিশেষ সুবিধা দেয়া কারন সংবিধানের সবার সমান মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে দিন যত যাবে ততই কি এই 'কোটা বা বিশেষ সুবিধা' দেবার প্রয়োজনীয়তাটা কমে আসবে নাকি বাড়তে থাকবে? এটাতো দিনে দিনে কমে আসার কথা যদি রাষ্ট্র তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে থাকে। চল্লিশ বছর আগে যে এলাকা রিমোর্ট ছিল, যেখানে কোন স্কুল ছিল না, এখনতো সেরকম অনেক জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে। চল্লিশ বছর আগে নারীরা যতটুকু শিক্ষা দীক্ষায় পিছিয়ে ছিল তার থেকে এখন তারা অনেক অগ্রসরমান। চল্লিশ বছর আগে যে সকল মুক্তিযুদ্ধারা জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করেছেন তাদের মধ্যে যারা বেচে আছেন তারাতো সবাই রিটায়ার জীবন যাপন করছেন। তাহলে দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র ফিজিক্যাল ডিসএ্যাবল ব্যাক্তিগন ছাড়া বাকি সব কোটাই কমে আসার কথা। যদি উপরোক্ত ঘটনাগুলো না ঘটে থাকে অর্থৎ বৈষম্যগুলো না কমে থাকে তাহলেতো রাষ্ট্রই দায়ী।
এবার আসি, মুক্তিযুদ্ধার সন্তান, নাতি নাতনিদের কথায়। আমরা যদি তাদের জন্যও কোটা ব্যবস্হা চালু রাখি তাহলেতো তাদেরকে এক কথায় পংগু করে দেয়া হচ্ছে। তাদেরকে পড়াশুনা না করে গড্ডালিকায় গা ভাসিয়ে দেবার প্রেরণা দেয়া হচ্ছে। কারন তারা জানে যে, পড়াশুনা না করলেও, কিংবা কোন রকমে বিএ, এমএ পাশ করলেই নানা, দাদার কারনে সরকারী চাকুরী পেয়েই যাবে। সবচেয়ে ভয়ংকর যেটা সেটা হলো, এ লেখার গোড়ার দিকে যে উদাহরনটা দেয়া হয়েছে সেটা খেয়াল করে দেখুন একজন বীর শ্রেষ্ঠর সন্তান চায়ের দোকানের কর্মচারি। কারন তিনি লেখাপড়া করার সুযোগই হয়তো পান নি। তাহলে কি সরকারের উচিত নয় যে কোটার কথা চিন্তা না করে প্রথমেই যেটা করা দরকার সেটা হলো মুক্তিযুদ্ধার প্রজন্মকে ছোটবেলা থেকেই যাতে সঠিক শিক্ষা দীক্ষায় গড়ে তোলা যায় সেদিকে নজর দেয়া? তাহলেতো আর তাদের মেধার প্রতিযোগীতায় পিছিয়ে পড়তে হয় না, না খেয়ে কষ্ট করতে হয় না, স্কুল ড্রপ আউট হয়ে জীবনের শুরুতেই সংসারের ঘানি টানতে হয় না।
তারপরও যদি কোন মুক্তিযুদ্ধা পরিবার, কিংবা উপজাতি পরিবার যদি কষ্টে থাকেন তাদেরকে সরকার বিশেষ এককালীন কিংবা মাসিক, বাৎসরিক আর্থিক সহযোগীতা করতে পারেন, চিকিৎসার ব্যবস্হা করতে পারেন, মন্ত্রী, দলীয় চাকর বাকরদের বদলে তাদেরকে গুলশান, বনানী, উত্তরা, পুর্বাচলে সরকারী প্লট, ফ্লাট দিতে পারেন, এমনকি যেসব ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মেধার দরকার হয় না, ক্যাডার সার্ভিস বাদে অন্য কোথাও চাকুরীর ব্যবস্হা করতে পারেন।
সেটা না করে সরকারী ক্যাডার সার্ভিসে দলীয় বিবেচনায় কোটার নামে জোর করে নিয়োগ দিলে আপাত দৃষ্টিতে কয়েকটা ঘটনা ঘটে। একঃ দেশের সাথে চরম গাদ্দারী করা হয়। কেননা কম যোগ্যতা সম্পন্ন, কম মেধা সম্পন্ন কাউকে নিয়োগ দিলে যখন কোন দেশের সাথে কুটনৈতিক যুদ্ধ কিংবা পররাষ্ট্র বিষয়ক দরকষাকষি হয় সেখানে আমাদের পরাজিত হয়ে জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দেয়া হয়, যার নজির আমরা ইতিমধ্যেই দেখেছি, দুইঃ আভ্যন্তরিন উন্নয়নের ক্ষেত্রেও সঠিক ও ইনটেলেকচুয়াল ডিশিসন মেকিং এর অভাবেও আমরা ক্রমাগত পিছিয়ে পড়তে বাধ্য। তিনঃ ডিসক্রিমিনেশন যেটা সংবিধানের সকলের সমান অধিকারের পরিপন্হিও বটে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে বাস্তব দৃষ্টিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি ক্রমেই কমে আসার কথা, তা না করে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা আরো বাড়ানো হয়েছে যেটা শুধু অবাস্তবই নয় সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিকও বটে। ত্রিশ পার্সেন্ট, চল্লিশ পার্সেন্ট কোটা দেবার পরিস্কার উদ্দেশ্যই হলো মুক্তিযুদ্ধা পরিবারকে সহায়তাতো নয়ই, সম্পুর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যে দলীয় তপ্লিবাহকদেরকে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপুর্ন পদে বসিয়ে বংশংবদ দলীয় ও পরিবারকেন্দ্রিক শাষন ব্যবস্হা বহাল রাখা।
বংগবন্ধুর মৃত্যুর পর থেকে এমনিতেই রাজনীতিতে গায়ের জোরে, সন্ত্রাসী কায়দায় ভালো মানুষ, মেধাবি মানুষদেরকে ঝেটিয়ে পিটিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে পরিনতিতে অযোগ্য, রাবিশ খবিশরা হচ্ছেন মন্ত্রী, মেয়র, চেয়ারম্যান, তার উপর এই সব রাবিশদেরকে যারা বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে চালাবেন তারাও যদি অযোগ্য হন, অদক্ষ হন, তাহলে আখেরে কে লাভবান হবে, দেশ ও দশের নাকি প্রতিবেশী কোন রাষ্ট্রের? মাঝে মাঝে মনে হয়, দেশটা চলে কার নির্দেশে, আমাদের নিজেদের নাকি পৃথিবীর অন্য কোন গ্রহ কিংবা দেশের পরামর্শে? নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে যারা স্বাধিনতার রক্তিম সু্র্যটা ছিনিয়ে এনেছিল তারা কি এজন্যই আত্নত্যাগ করেছিলেন?
১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫১
আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: ভালো বলেছেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী।
২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭
ম্রিয়মাণ বলেছেন: যাদের জন্য কোটা দেয়া হচ্ছে তারা কি জনসংখ্যার ৩০% ? ৩২তম বিসিএস তো বিশেষ বিসিএস ছিল। ওখানে পদ খালি থাকলো কেন?
বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ দু’দলই একে অপরের বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকা তৈরির অভিযোগ এনেছে। দু’দলই ক্ষমতায় গিয়ে তালিকা কাঁটাছেঁড়া করেছে। রাজনৈতিক পরিচয়ে মুক্তিযোদ্ধা তালিকার প্রণয়নের অভিযোগ কিন্তু দু’দলই করেছে।
মানে আমি ক্ষমতাসীনদের দলের লোক হলে আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হয়ে যেতে পারি।
দেখুন: Click This Link
আরও দেখুন: Click This Link
১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫১
আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: সহমত
৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৫
নবকবি বলেছেন: 'বীরশ্রেষ্ঠের ছেলে চায়ের দোকানের পানি টানে' দেশটাকে যারা বাপের কেনা দেশ ভাবে তারা এটা নিশ্চয়ই জানে।
এ সত্য জানে দাদাবাবুদের দেশের মুন্নী বদনাম হুয়া দেখা প্রগতিশীল ধান্দাবাজ নাপিত (সুশীল) আর বুদ্ধি ব্যবসায়ীরা।
আরো জানেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাম বেচে বিত্ত-বৈভব বাড়িয়ে নেওয়া বাঘব-বোয়াল আর পোশাকি সঙস্কৃতমনারা।
...তবু তারা না দেখার ভান করেন। শাহবাগে ছাত্রদের উপর পুলিশি হামলায় তাদের জাত যায়না। জাত যায়না বীরশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধার ছেলে বাবার কবর জিয়ারত করতে পারেনা টাকার অভাবে একথার শুনলে।
তাদের জাত গেছে চারুকলার আশপাশে রাখা মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে ফেলে রাখা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উপকরণ বিক্ষুব্ধ ঢাবি শিক্ষার্থী পুড়িয়ে দেওয়ার। যে জিনিষের এক পয়সার কোনো মূল্য নাই।
...শুধু কোটামুক্ত বাংলাদেশ নয়। সময় এসেছে এইসব রাম আর বাম মুক্ত বাংলাদেশে বিনির্মাণের।
১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৮
আব্দুল হালিম মিয়া বলেছেন: দুঃখজনক হলেও সত্য, নবকবি
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৬
হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেছেন: সরকার কি শুধু মাত্র এই কোঠা এর মাদ্ধমেই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাবে???
আর বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছেলে কি তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না????
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছেলের জীবন কাটে চায়ের দোকানের পানি টেন
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান আরও নানা ভাবে করা যায়, তাদের সন্তানদেরও আরও নানা ভাবে সিক্ষার জন্য সাহায্য করা যাবে।
প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কে একটি করে ফ্লাট বাসা দেওয়া হোক, তাদের প্রতিমাসে ১০০০০ টাকা করে দেওয়া হোক, তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য আলাদা খরচ দেওয়া হোক, তাদের টিউশন ফীস মউকুফ করা হোক...
আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু তাই বলে বিসিএস এর মতো জায়গায় কেন এতো বিশাল পরিমানে তাদের জন্য কোটা এর বাবস্থা???
এই কোটা প্রথা বাতিলের দাবী এর মানে কিন্তু এই না যে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতে হবে না। এর মানে হচ্ছে তাদের এই অন্যায় সুবিধা প্রথা বন্ধ করতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য এমনিতেই কিন্তু সরকার কম সুযোগ সুবিধা দেয় নাই।
ভালো ভালো স্কুল কলেজে কিন্তু তাদের জন্য আলাদা ভাবে কোটা এর ব্যাবস্থায় তাদের ভর্তি করা হয়, সেখানে তারা আলাদা সুবিধা পেল, মানলাম এটা।
এরপর যখন বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির সময় এলো, তখনও তাদের জন্য কোটা এর বাবস্থা।
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান শুধু এই কোঠা দিয়েই হয় না। আশা করি বুঝতে পারেছেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানের এই কোঠা এমন আকার ধারন করেছে যে কিছু দিন পর হয় জাতীয় বিভিন্ন খেলা-ধুলা প্রতিযোগিতায় এমন হবে যে প্রথম স্থান রাখা হবে তাদের জন্য, আর বাকি ১ম আর ২য় স্থানের আমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে। :p :p
আমেরিকার কোঠা নিয়ে আব্রাহাম লিংকনের একটি ঘটনা বলি...
একবার আব্রাহাম লিংকনের কাছে এক ভদ্রলোক এসে বীরদর্পে বললেন-
-- আমার ছেলেকে রাষ্ট্রীয় উচ্চপদস্থ চাকুরি দিন...
-- আব্রাহাম লিংকন: কেন ?
-- ভদ্রলোক: আমার ছেলে চাকরি পাওয়ার যোগ্য তাই।
... -- আব্রাহাম লিংকন: কিসেরযোগ্যতা আছে আপনার ছেলের?
-- ভদ্রলোক: আমার বাবা (ছেলের দাদা) আমেরিকার জন্যস্বাধীনতা যুদ্ধ করেছেন;
আমরা আমেরিকার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বংশধর-তাই দেশ সেবার সেরা
চাকরি আমাদের দেয়া উচিৎ.....!
-- আব্রাহাম লিংকন: ওকে থাঙ্কস; আপনাদের পরিবার দেশের জন্য অনেক করেছে; এবার সাধারণ মানুষকে দেশের জন্য কাজ করতে দিন।
___________________________________________________
এই লিঙ্ক থেকে বিস্তারিত পড়ে আসতে পারেন।
____________________________________________________
অথবা এই লিঙ্ক এ বিস্তারিত...
___________________________________________________