![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
https://www.facebook.com/HaqueIsOne
শ্রদ্ধেয় জনাব শ্রীকান্ত পাল, আপনার দীর্ঘ ও যুক্তিপূর্ণ আলোচনাসমৃদ্ধ মেইল পেয়ে খুবই আনন্দিত হয়েছি। আমি সবসময়ই মুক্তচিন্তার পক্ষপাতী। সেই শৈশব থেকেই কুসংস্কার ও সংকীর্ণতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আসছি। সে কারণে আপনার খোলা মনে লেখা কথাগুলো আমার ভালো লেগেছে এবং আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আপনার সব ক'টি প্রশ্নেরই উত্তর দেবার চেষ্টা করবো। কিন্তু ঝামেলায় পড়ে কয়েকদিন নেটের বাইরে ছিলাম। তাই দেরি হয়ে গেলো।
যাই হোক, চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতেই পারে। আশা করি আমার সীমিত জ্ঞানের মূল্যায়ন উদারতার সঙ্গে গ্রহণ করবেন! আমার আবার একটা বদভ্যেস হলো অকারণে বাক্যে বেশি জোর দিয়ে ফেলা, রূঢ় শব্দের ব্যবহার।
অনেকগুলো মূল্যবান প্রশ্ন আপনি উত্থাপন করেছেন। প্রথম প্রশ্নটি ছিলো :ধর্মনিরপেক্ষতা মানে কি ধর্মহীনতা, নাকি অন্য কিছু? আমি তাই ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের অর্থ ও প্রকৃতি নিয়ে কথা বলবো। পাশাপাশি জানতে চেষ্টা করবো, ধর্মে বিশ্বাসীরা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী হতে পারে কি না । প্রথমেই জেনে নিই
ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটির অর্থ আসলে কী?
ইংরেজি Secularism শব্দের বাংলা অনুবাদ হলো ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ। বিশ্বের প্রধান প্রধান ডিকশনারীগুলোতে ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ করা হয়েছে ধর্মহীনতা কিংবা নাস্তিকতা।
ক) বিশ্বখ্যাত Random house dictionary of English language এ - Secularism এর তিনটি সংজ্ঞা উল্লেখ করা হয়েছে।
No. 1- no regarded as religious or spiritually sacred. যা ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিকভাবে পবিত্র বলে বিবেচিত নয়।
No. 2- no partaining to or connected with a religion. যা কোনো ধর্মের সাথে সম্পর্কিত নয়।
No. 3- no belonging to a religious order. যা কোনো ধর্ম বিশ্বাসের অন্তর্গত নয়।
খ) Webster অভিধানে 'secular' শব্দটির অর্থ: ধর্ম বা ধর্ম-বিশ্বাস বর্জন বা এই বিষয়ে উদাসীন থাকা।
গ) Short Oxford Dictionary-তে 'secular' শব্দটির সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে : এমন একটি তত্ত্ব যার মূলনীতি হলো, নৈতিকতার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত ইহজগতে মানুষের ভালো থাকা, এতে পরলোক বা ঈশ্বরে বিশ্বাসের কোনো স্থান নেই। এই শব্দটির সাথে ধর্মহীনতা, ইহজগৎবাদ, রাষ্ট্র-ধর্ম-পৃথকীকরণ, দৈবশক্তির পরিবর্তে মানবিক ক্ষমতায় বিশ্বাস, বি-ধর্মীকরণ ও যুক্তিবাদী বিশ্বাস ইত্যাদি ধারণার একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে।
উল্লিখিত তিনটি ডিকশনারীর বক্তব্য অনুযায়ী ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা । এখন ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা প্রমাণ করুন যে, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়।
ধর্মে বিশ্বাসীরা কি ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারেন?
বর্তমান বিশ্বে যারাই ধর্মনিরপেক্ষতাবাদে বিশ্বাসী তারাই কোন না কোন ধর্মের অনুসারী। তাই মুসলমানরা তো দূরের কথা- অন্য কোনো ধর্মের অনুসারীও ধর্মনিপেক্ষ হতে পারবে না। নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবি করার অর্থ নিজের সাথেই নিজে প্রতারণা করার শামিল।
আমার এ দাবির পক্ষে বাস্তব কয়েকটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য করুন :
ক ) একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী যখন পরনে ধুতী, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, গায়ে নামাবলী ও পৈতা জড়িয়ে, মাথায় টিকি, সিঁথিতে সিঁদুর ও হাতে শাঁখা পরেন, বারো মাসে তেরো পূজা এবং তেত্রিশ কোটি দেবতায় বিশ্বাস করে প্রত্যহ মন্দিরে গিয়ে দেবতার পদপ্রান্তে অর্ঘ-নৈবেদ্য নিবেদন করেন, তখন কি তার পক্ষে ধর্মনিরপেক্ষ থাকা সম্ভব? তিনি তো ধর্মের পক্ষেই চলে গেলেন।
খ) একজন মুসলিম পুরুষ যখন মাথায় টুপি, মুখে দাড়ি এবং লম্বা জামা পরেন, নামায-রোযা, হজ্জ ও উমরাহ পালন করেন, মুসলিম নারী যখন শালীন পোশাক তথা হিজাব পরেন, আল্লাহ-রাসূল, কুরআন-হাদীস, পরকাল, জান্নাত-জাহান্নামে বিশ্বাস করেন, তিনিও তো ধর্মের পক্ষেই অবস্থান নিলেন।
গ) একজন শিখ যখন গুরু নানকের অনুসারী হয়ে দাড়ি না কেটে মাথায় পাগড়ী পরেন এবং হাতে বালা ও কৃপাণ ধারণ করেন, গুরুদুয়ারায় গিয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন তখন তো তিনি ধর্মের পক্ষেই থাকলেন।
ঘ) একজন বৌদ্ধ যখন গৌতম বুদ্ধের ‘অহিংসা পরমধর্ম’ ও ‘জীব হত্যা মহাপাপ’ নীতিতে বিশ্বাসী হয়ে গেরুয়া বসন পরিধান করে আত্মার মহানির্বাণ লাভের জন্যে কৃচ্ছ্র-সাধন করেন, বোধিবৃক্ষকে পবিত্র জ্ঞান করে প্যাগোডায় যান তিনিও তো ধর্মের পক্ষই অবলম্বন করলেন।
ঙ) একজন খৃস্টান যখন যিশুখৃস্টকে তাদের ত্রাণকর্তা প্রভু বলে বিশ্বাস করেন, গলায় ক্রুশ ঝুলান, ত্রিত্ববাদ ও বাইবেলে বিশ্বাস করেন, মুখে যিশুর নাম উচ্চারণ করে প্রতি রোববার গির্জায় প্রার্থনা করেন, আমেরিকার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট যখন বাইবেল স্পর্শ করে প্রেসিডেন্টের শপথ নেন এবং তাদের প্রতিটি ডলারে যখন ছাপার অক্ষরে লেখা থাকে 'IN GOD WE TRUST' তখন তারাও তো আর ধর্মনিরপেক্ষ থাকলেন না, ধর্মের পক্ষেই এলেন।
এটাই যখন প্রকৃত বাস্তবতা, তখন কতিপয় নাস্তিক ছাড়া আর ধর্মনিরপেক্ষ রইলো কারা? প্রকৃত বিষয় হচ্ছে ধর্মে বিশ্বাসী কোনো মানুষই ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারে না।
এ লেখাটিতে idbangla.com থেকে সাহায্য নেওয়া হয়েছে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:৩৯
আবদুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ!
২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:৫৮
ধ্রুব২১১ বলেছেন: আইছে আর এক পণ্ডিত....
২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:০৫
আবদুল হক বলেছেন: রাগ করলেন?
৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:১৮
ব্রুটাস বলেছেন: ধর্মঅনিরপেক্ষতা মানে কী?
৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:৪১
আহমদ আবদুল হালিম বলেছেন: আপনি এত লম্বা করলেন । আশ্চর্য !
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:৪৪
অরণ্যদেব বলেছেন: .......আর তোমাদের প্রতি এইরূপ নির্দেশাবলী আরোপ হইতেছে যে, তোমরা কোন কাজ না থাকিলে এইরূপ রচনা প্রসব করিবে......
৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা
৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৪:০৯
দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: ধর্মনিরপেক্ষ জিনিসটা রাষ্ট্রের সাথেই যায় বেশী। রাষ্ট্র যখন ঠিক করে যে কোন ধর্মের প্রতি তার কোন পক্ষপাত থাকবেনা, তখন তারে সেকুলার বলা যায়।
৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৪:৪০
নিউজকাস্টার বলেছেন: এই সমস্ত বক্তব্য তো তাদের জন্য যারা যুক্তিতর্ক মানে এবং সত্য ও বাস্তবতাকে বিশ্বাস করে। আপনি যদি বাকশিয়ালদের ধর্মনিরপেক্ষতার সবক দিতে আসেন তো মরেছেন!
৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:৪৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
১০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৫৮
নিরব হাসি বলেছেন:
১১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৪০
তারিক মাহমুদ (তারিক) বলেছেন: পুরানা কথা। পারলে নতুন কথা কন। আমি এই মুহূতে কইতে পারতাছি না। বই পত্র নাই লগে। তয় আমার কওনে কি আসে যায়?
ইউরোপ যে ঐতিহাসির বাস্তবতার মধ্যে দিয়া ধর্মকে রাষ্ট্র থিকা আলাদা করছে সেই ঐতিহাসিক বাস্তবাতা আমাদের এই হানে নাই। এবং কখনও হইবোও না। তাই ধর্মনিরপেক্ষতা পাঠ করতে গেলে ঠিক কোন মাটিতে আপনে দাড়াইবেন তা ঠিক-ঠাক কইরা লওনের দরকার আছে। যে ধর্মনিরপেক্ষতা আমাগো এই হানে চাপাইয়া দেওয়া হইছে, বা এহনও যেই স্লোগানে ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি ঝাড়া হয় রাজনৈতিক ময়দানে, তা কোন ভাবেই এইহানকার-এই মাটি, বাতাস, মানুষ এবং মানুষের জীবন-যাপানের সাথে যায়না। এইহানে ধর্মনিরপেক্ষতা আসলে একটা জন বিচ্ছিন্ন র্চচা, এবং এর সাথে ক্ষমাতার সর্ম্পকের চরিত্রগুলি বুঝতে হইবো। রাজনৈতিক ভাবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের চাইতেও ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’য় কেন এত অধিক আগ্রহ জমে ওঠে বাংলাদেশে সেই প্রশ্নটি করা দরকার।
র্ধনিরপেক্ষতারে আমরা কেন জায়গায় দাড়াইয়া পাঠ করমু, আগে হেইঠা ঠিক করতে হইবো। তাইলেই এই তর্ক-বির্তকের কিছু মানে হাইতে পারে।
তো ভাইজান, ফরহাদ মজহারের, "মোকাবেলা" পাইড়া দেখতে পারেন। এছারাও, তালাল আসাদের, "ফরমেশনস অব সেক্যুলার (২০০৩)" দেখতে পারেন। আরো আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:৩৬
ব্রাইট বলেছেন: +