![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
.... ছেলেবেলার দুরন্ত শৈশব কেটেছে নেত্রকোনায়। আর সবচেয়ে মধুর সময় ছিল সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার দিনগুলি। আর এখন কাজ করছি সুবিধাবন্চিত শিশুদের জন্য একটি স্পানিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায়।
সারা বিশ্বের মতো আজ ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। ১৯৬৫ সালে ইউনেস্কো নিরক্ষর লোকদের মধ্যে অক্ষরজ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ঘোষণা করে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও বিভিন্ন আদমশুমারি অনুযায়ী, ১৯৭১ সালে দেশে সাক্ষরতার হার ছিল ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ। তিন বছর পর ১৯৭৪ সালে এই হার দাঁড়ায় ২৫ দশমিক ৯ শতাংশে। এরপর ১৯৯১ সালে সাক্ষরতার হার হয় ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ। এ সময় দেশব্যাপী শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে ‘সমন্বিত উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বিস্তার কার্যক্রম (ইনফেপ)’ নামে একটি বড় প্রকল্প নেওয়া হয়। এরপর ২০০১ সালে সাক্ষরতার হার বেড়ে হয় ৪৭ দশমিক ৯ শতাংশ।
বাংলাদেশের বর্তমান সাক্ষরতার হার ৬২.৬৬ ভাগ। এ হিসাব বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত। উইকোপিডিয়া এবং ইউনেস্কোর তথ্য মতে, বাংলাদেশের বর্তমান সাক্ষরতার হার ৪৭.৫০ ভাগ। বিশ্বে র্যাং কিং-এ এর অবস্থান ১৬৪ তম। প্রথমে রয়েছে জর্জিয়া। সাক্ষরতার হার ১০০ ভাগ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যৌথভাবে কিউবা, ইস্টোনিয়া এবং পোল্যান্ড। এদের সাক্ষরতার হার ৯৯.৮০ ভাগ। ৯৯.৭০ ভাগ সাক্ষরতা নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বারবাডোস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ১৮তে। সাক্ষরতার হার ৯৯ ভাগ। প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের অবস্থান যথাক্রমে ১৪৭ ও ১৬০-এ। সাক্ষরতার হার ৬১.০০ ও ৪৯.০০ ভাগ। সাক্ষরতায় সর্বনিম্নে অবস্থানকারী দেশ বারকিনো ফ্যাসো। ১৭৭-এ অবস্থানকৃত এ দেশটির সাক্ষরতার হার ২৩.৬০ ভাগ। ১৭৬ স্থানে রয়েছে মালি। সাক্ষরতার হার ২৪.০০ ভাগ। এ বছর সাক্ষরতার বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কার পাচ্ছে ৪টি দেশ। এগুলো হলো ব্রাজিল, ইথিওপিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জাম্বিয়া।
২০০৩ সালে সরকারিভাবে সাক্ষরতার হার বেড়ে হয় ৬৫ শতাংশ, কিন্তু ২০০৮ সালে এসে তা কমে দাঁড়ায় ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশে। আর বর্তমানে দেশের সাক্ষরতার হার ৫৩ শতাংশ। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ম্যাপিং রিপোর্ট-২০০৯ অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ১১ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নিরক্ষর মানুষের সংখ্যা তিন কোটি ৭৩ লাখ।ব্যুরোর অধীনে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে ১১ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নিরক্ষর লোকদের সাক্ষর করার কাজ চলছে। এসব মানুষের নিরক্ষরতা দূরীকরণের লক্ষ্যে দুটি প্রকল্প কাজ করছে। এর মধ্যে ‘মৌলিক সাক্ষরতা ও অব্যাহত শিক্ষা প্রকল্প-১’ দেশের ৬১টি জেলায় পরিচালিত হচ্ছে। আরেকটি প্রকল্প শহরের কর্মজীবী কিশোর-কিশোরীদের জন্য। এর বাইরে আরও দুটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:২৪
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
বাংলাদেশের বর্তমান সাক্ষরতার হার ৬২.৬৬ ভাগ
১৯৭১ এর পর থেকে অগ্রগতি বেশ ভালোই ।
তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট ভালো লাগলো ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৩
আদনান মাননান বলেছেন: Click This Link