![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নাবিলা বনাম মালালা
----------------
২৪ শে অক্টোবর ২০১২,
৮ বছরের নাবিলা ঈদের পুর্বমুহুর্তে উত্তর ওয়াজিরিস্থানের একটি ওকরা খেতে ওকরা তুলছিল দাদী মমিনা বিবির সাথে। সামনেই ঈদ, ছোট নাবিলা আসন্ন খুশী মনে নিয়ে বৃদ্ধা দাদীর সাথে নেচে খেলে ওকরা তুলছিল। আচমকা গগনবিদারী শব্দে কেপে উঠলো উত্তর ওয়াজিরিস্থান, সেই সাথে কেপে উঠলো আসন্ন ঈদের আনন্দে আনন্দিত হওয়া ছোট্ট নাবিলাও।
ছোট্ট নাবিলার ঈদের খুশী ছিনিয়ে নেওয়া এই খলনায়ক আর কেউই নয়, খোদ সি আই এর ড্রোন হামলা।
ঈদের খুশী বানাতে যাওয়া ছোট্ট মেয়েটির চোখের সামনে মারা গেল তার নিজের দাদীসহ পরিচিত অনেকেই, আহত হল নিজের আপন ভাই সহ পরিবারের অনেকেই। ছোট্ট মেয়েটির ঈদের খুশীর দিনটিকে সি আই এ বানিয়ে দিল দাফন কাফনের দিন।
কোনরকমে প্রাণে বেচে যাওয়া নাবিলা সুযোগ পেলো যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেস হিয়ারিং এর্। ছোট্ট মেয়েটির বর্ননা অনুবাদ করতে গিয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি অনুবাদক। তাতে কি হবে? তার কথায় পাথর গলেনি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ম্যানদের্। ৪৩০ জনের ভিতরে সারা দিয়েছিল মাত্র পাচ জন। বিষয়টিকে আলজাজিরা সহ অন্যান্য গনমাধ্যম উল্লেখ করেছে 'আন ওয়েলকাম' বলে।
মালালাকে যুক্তরাষ্ট্র যতটুকু 'ওয়েলকাম' করেছে নাবিলাকে ঠিক ততটুকুই 'আন ওয়েলকাম' করেছে।
সাভাবিক ভাবেই প্রস্ন উঠে মালালার করুন ঘটনার পিছনে তালিবান ছিল বলেই কি তাকে নিয়ে এতো টানাটানি?
আর নাবিলার করুন কাহিনীর পিছনে সি আই এ ছিল বলেই কি তাকে অবহেলা করেছে যুক্তরাস্ট্র?
নাবিলার শেষ লাইনটি ছিল, 'এমেরিকার বিরোদ্ধে কেউ কিছু বললে তাকে ধরা হয়, আমার দাদী কিংবা আমি এমেরিকার বিপক্ষে গিয়ে কি এমন কথা বলেছি যার জন্য আমার দাদীকে জীবন দিতে হলো?'
এই লাইনটি কি এমেরিকানদেরকে বিব্রতকর অবস্হায় ফেলেছ?
নাকি অন্য কিছু?
বড় জানতে ইচ্ছে করে।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৩৪
হাসান রাজিবুল বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৪৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: দুক্ষজনক
১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১২
হাসান রাজিবুল বলেছেন: অবশ্যই,
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৩৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দুটি ঘটনার প্রক্ষাপট ভিন্ন।
উত্তর ওয়াজিরিস্থান প্রকৃতই একটি নরককুন্ড। বিভিন্ন পরস্পরবিরোধী কট্টর সসস্ত্র দল-উপদল একে অপরের সাথে প্রানঘাতি সংঘর্ষে লিপ্ত থাকে সবসময়। একপক্ষ অপরপক্ষের মসজিদে, বাজারে আত্নঘাতি বোমাহামলা চালাচ্ছে। পবিত্র ঈদের জামাতও এই বর্বরদের হাত থেকে রক্ষা পায় নি। ওয়াজিরিস্থানে কোন ভদ্র নিরিহ লোক প্রবেশ করে না। করতে দেয়া হয়না। প্রকৃতই একটি বর্বরদের আখড়া।
নাবিলার মত নিরিহ শিশু নিহত হওয়া নিঃসন্দেহে নিন্দনিয়।
তবে মার্কিন বাহিনীর টার্গেট অবস্যই নাবিলা ছিল না। একে যুদ্ধক্ষেত্রে একটি দুর্ঘটনা বলা সংগত হবে।
মালালা হত্যাপ্রচেষ্টা একটি সুপরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা। ঘোষনা দিয়ে হুমকি।
আততায়ীরা বাস থামিয়ে নাম জিজ্ঞেস করে বুকে গলায় একপসলা গুলি করেছিল।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৩৫
হাসান রাজিবুল বলেছেন: ভাই আপনি ভালকরে লক্ষ্য করেননি আমার লিখাটি। নাবিলা মারা যায়নি।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৩২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাই আমরার দশা হইছে ওই গায়ের বউয়ের মতো!!
জামাই ঝাটা পিটা করে নিত্য দিন...
একদিন মাইর সইতে না পাইরা বউ বলে আমারে এমনে মারেন কে? আমার লগে সংসসার করতে চাননা???
জামাই বলে - মাইরের ধরন দেইখাও বুঝস না!!!!
====
আমরা ....আমেরিকার ধরন দেইখাও যদি না বুঝী তাকি আম্রিকার দুষ!!!!!!