নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
বাংলাদেশের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বন্যপ্রানীর অভয়ারণ্য, জাতীয় উদ্যান, এবং গেম রিজার্ভ । দেশের মোট বন এলাকার ১০.৭% সংরক্ষিত বনাঞ্চল । তম্মদ্ধে বর্তমানে বাংলাদেশে ১৭টি জাতীয় উদ্যান রয়েছে। আজকে আমার ভ্রমণ বিষয়ক বিভাগে যে বিষয়টি নিয়ে লেখার চেষ্টা তা হল বাংলাদেশের সংরক্ষিত বনাঞ্চলসমূহের উপর একবার চোখ বুলানো। আসুন দেখে নেই আমাদের সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলো একনজরে। লেখাটি একটু বড় হওয়ায় আপনার ধৈর্যচ্যুতি ঘটতে পারে
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় উদ্যান। এই উদ্যানটি রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তরে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে গাজীপুর জেলার গাজীপুর সদর ও শ্রীপুর উপজেলায় অবস্থিত। বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন (১৯৭৪) অনুযায়ী ৫,০২২ হেক্টর জায়গা জুড়ে পৃথিবীর অন্যান্য উন্নত দেশের আদলে অভয়ারণ্যের ছাঁচে ভাওয়াল শালবনে এই উদ্যান গড়ে তোলে। ১৯৮২ সালের আগে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষিত হয়নি। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান মূলত ক্রান্তীয় পতনশীল পত্রযুক্ত বৃক্ষের বনভূমি। এ বনে ২২১ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে যার মধ্যে ২৪ প্রজাতির লতা, ২৭ প্রজাতির তৃণ, ৩ প্রজাতির পামজাতীয় বৃক্ষ, ১০৫ প্রজাতির ঔষধি, ১৯ প্রজাতির গুল্ম, ৪৩ প্রজাতির বৃক্ষ। শাল, (Shorea robusta) এ উদ্যানের প্রধান বৃক্ষ। অন্যান্য বৃক্ষের মধ্যেকাঁঠাল, আজুলি, কুম্ভী, গান্ধী গজারি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়া এ বনে কৃত্রিমভাবে ইউক্যালিপটাস আর রাবারের বনায়ন করা হয়েছে।
মধুপুর জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের অন্যতম একটি জীববৈচিত্র্যপূর্ণ উন্মুক্ত উদ্যান, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় অবস্থিত। ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে এই বনকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা দেয়া হয়। রাজধানী শহর ঢাকা থেকে ১২৫ কিলোমিটার দূরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় অবস্থিত। টাঙ্গাইল জেলা শহর থেকে ময়মনসিংহ যাবার পথে রসুলপুর মাজার নামক স্থানে গিয়ে মধুপুর জাতীয় উদ্যানের প্রধান ফটক বামদিকে দেখতে পাওয়া যায়। ফটকের পাশেই মধুপুর জাতীয় উদ্যান রেঞ্জ অফিস ও সহকারী বন সংরক্ষকের অফিস অবস্থিত। সেখান থেকে অনুমতি নিয়ে বনের ভিতর ঢুকতে হয়। এই উদ্যান ৮,৪৩৬ হেক্টর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। এই উদ্যান মূলত বিস্তৃত শালবনের খানিকটা অংশ নিয়ে গঠিত। শাল, বহেড়া, আমলকি, হলুদ, আমড়া, জিগা, ভাদি, অশ্বথ, বট সর্পগন্ধা, শতমূলী, জয়না, বিধা, আজুকি/ হারগাজা, বেহুলা প্রভৃতি নানা জাতের বৃক্ষরাজিতে শোভিত এই উদ্যান। এছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির পাহাড়ি আলু, শটি আর নাম না জানা বিভিন্ন ধরণের লতাগুল্ম। এই বনে বন্য শুকর, মুখপোড়া হনুমান, মায়া হরিণসহ ১১ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, বনমোরগসহ ৩৮ প্রজাতির পাখি, ৪ প্রজাতির উভচর ও কয়েক প্রজাতির সরিসৃপ রয়েছে। বনের ঠিক মাঝখানে লহরিয়া বিট অফিসের কাছে রয়েছে একটি হরিণ প্রজনন কেন্দ্র।
রামসাগর জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামে অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান। এটি দিনাজপুর সদর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরেরামসাগর দিঘিকে ঘিরে অবস্থিত। ১৯৬০ সালে রামসাগর বাংলাদেশের বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে আনা হয়। ১৯৯৫-৯৬ সালে রামসাগরকে আধুনিক পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয় এবং ২০০১ খ্রিস্টাব্দের ৩০ এপ্রিলএকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। রামসাগর উদ্যানের প্রধান আকর্ষণ হলো বিশাল রামসাগর দিঘি। তটভূমিসহ রামসাগরের আয়তন ৪,৩৭,৪৯২ মিটার, দৈর্ঘ্য ১,০৩১ মিটার ও প্রস্থ ৩৬৪ মিটার। গভীরতা গড়ে প্রায় ১০ মিটার। পাড়ের উচ্চতা ১৩.৫ মিটার। এই দিঘি নিয়ে প্রচলিত আছে বিভিন্ন লোককথা। কথিত আছে, ১৭৫০ খ্রিস্টাব্দে প্রচণ্ড এক খরা দেখা দিলে পানির অভাবে মৃতপ্রায় হয়ে পড়ে হাজার হাজার প্রজা। এসময় দয়ালু রাজা প্রাণনাথ স্বপ্নাদেশ পেয়ে একটি পুকুর খনন করেন। কিন্তু সেই পুকুর থেকে পানি না ওঠায় একসময় রাজা স্বপ্নে দৈববাণী পেলেন যে, তাঁর একমাত্র ছেলে রামকে দীঘিতে বলি দিলে পানি উঠবে। স্বপ্নাদিষ্ট রাজা, দীঘির মাঝখানে একটি ছোট মন্দির নির্মাণ করেন। তারপর এক ভোরে যুবরাজ রামনাথ সাদা পোষাকাচ্ছাদিত হয়ে হাতির পিঠে চড়ে যাত্রা শুরু করলেন সেই দীঘির দিকে। দীঘির পাড়ে পৌঁছে যুবরাজ রাম সিঁড়ি ধরে নেমে গেলেন মন্দিরে। সঙ্গে সঙ্গে দীঘির তলা থেকে অঝোর ধারায় পানি উঠতে লাগল। চোখের পলকে যুবরাজ রামনাথসহ পানিতে ভরে গেল বিশাল দীঘি। তবে ঐতিহাসিকদের মতে, দিনাজপুরের বিখ্যাত রাজা রামনাথ (রাজত্বকাল: ১৭২২-১৭৬০ খ্রিস্টাব্দ) পলাশীর যুদ্ধের আগে (১৭৫০-১৭৫৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে) এই রামসাগর দিঘি খনন করেছিলেন।[২] তাঁরই নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় রামসাগর। দিঘিটি খনন করতে তৎকালীন প্রায় ৩০,০০০ টাকা এবং ১৫,০০,০০০ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়েছিল।
হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার হিমছড়িতে অবস্থিত। উদ্যানটি ১৯৮০ সালে কক্সবাজার শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে ১৭২৯ হেক্টর (১৭.২৯ বর্গ কিলোমিটার) জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে গবেষণা ও শিক্ষণ, পর্যটন ও বিনোদন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ। হিমছড়ির একপাশে রয়েছে সুবিস্তৃত সমুদ্র সৈকত আর অন্যপাশে রয়েছে সবুজ পাহাড়ের সারি। উদ্যানে অনেকগুলো জলপ্রপাত রয়েছে, যার মধ্যে হিমছড়ি জলপ্রপাতটি সবচেয়ে বিখ্যাত। হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান একটি চিরসবুজ ও প্রায়-চিরসবুজ ক্রান্তীয় (Semi- evergreen tropical) বৃক্ষের বনাঞ্চল। বনের ১১৭ প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে ৫৮ প্রজাতির বৃক্ষ,১৫ প্রজাতির গুল্ম , ৪ প্রজাতির তৃণ, ১৯ প্রজাতির লতা এবং ২১ প্রজাতির ভেষজ। হিমছড়ি বনাঞ্চল হাতির আবাসস্থল বলে ধারনা করা হয়। এছাড়া এ বনে মায়া হরিণ, বন্য শুকর ও বানর দেখা যায়। এ বনে ৫৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ২৮৬ প্রজাতির পাখি, ৫৬ প্রজাতির সরীসৃপ ও ১৬ প্রজাতির উভচর প্রাণী পাওয়া যায়। হিমছড়ি বনাঞ্চল উল্লুকের আবাসস্থল। পাখিপ্রেমীদের জন্য হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান একটি আদর্শ স্থান। এর ২৮৬ প্রজাতির পাখির মধ্যে ময়না, ফিঙ্গে ওতাল বাতাসি উল্লেখযোগ্য।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশে অবশিষ্ট চিরহরিৎ বনের একটি উল্লেখযোগ্য নমুনা। এটি একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। বাংলাদেশের ৭টি বন্যপ্রাণীঅভয়ারণ্য ও ১০টি জাতীয় উদ্যানের মধ্যে এটি অন্যতম। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত ১২৫০ হেক্টর আয়তনের বন জীববৈচিত্র্যে ভরপুর। বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে এই বনকে 'জাতীয় উদ্যান' হিসেবে ঘোষণা করে। বিলুপ্তপ্রায় উল্লুকের জন্য এ বন বিখ্যাত। উল্লূক ছাড়াও এখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির দুর্লভ জীবজন্তু, কীটপতঙ্গ এবং উদ্ভিদ। নিরক্ষীয় অঞ্চলের চিরহরিৎ বর্ষাবন বা রেইন ফরেষ্টের মতো এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। সূর্যের আলোর জন্য প্রতিযোগিতা করে এ বনের গাছপালা খুব উঁচু হয়ে থাকে, এবং অনেক ওপরে ডালপালা ছড়িয়ে চাঁদোয়ার মত সৃষ্টি করে। এই বন এতই ঘন যে মাটিতে সূর্যের আলো পড়েনা বললেই চলে। বাংলাদেশের বিখ্যাত বনগুলোর মধ্যে লাউয়াছড়ার বন অন্যতম।
পরিচিতির দিক থেকে সুন্দরবনের পরেই লাউয়াছড়ার বনের অবস্থান। সিলেট বিভাগে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় এ বন অবস্থিত। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে তদানিন্তন ব্রিটিশ সরকার এখানে বৃক্ষায়ন করলে তা-ই বেড়ে আজকের এই বনে পরিণত হয়। শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার মৌলভীবাজার ফরেস্ট রেঞ্জের আওতাধীন ২,৭৪০ হেক্টর আয়তনের পশ্চিম ভানুগাছ সংরক্ষিত বন ছিলো এলাকাটি, সেই সুবাদে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের পূর্ববতী নাম পশ্চিম ভানুগাছ সংরক্ষিত বন। বনের অস্তিত্ব ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার পাশাপাশি প্রকৃতি ভ্রমণ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পশ্চিম ভানুগাছ বনের ১,২৫০ হেক্টর এলাকাকে ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) (সংশোধন) আইন অনুযায়ী ১৯৯৬খ্রিস্টাব্দে 'জাতীয় উদ্যান' হিসাবে ঘোষণা করা হয়। চিরহরিৎ এ বনে নিরক্ষীয় অঞ্চলের বর্ষাবন বা রেইনফরেষ্টের বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। একসময় বৃহত্তর সিলেটের সর্বত্রই এ ধরণের বন ছিলো। তবে বাণিজ্যিকভিত্তিতে চা বাগান সৃষ্টি, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ এবং নির্বিচারে গাছ কাটার ফলে ক্রমে সংকুচিত হতে হতে মাত্র কয়েকটি স্থানে চিরহরিৎ এ বর্ষাবনের অস্তিত্ব টিকে রয়েছে।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভূপ্রকৃতি পাহাড়ি মৃত্তিকা গঠিত। উঁচু-নিচু টিলা জুড়ে এ বন বিস্তৃত। বনের মাটিতে বালুর পরিমাণ বেশি এবং প্রচুর পাথর দেখা যায়। বনের মাটিতে পাতা জমে জমে পুরু স্পঞ্জের মতো হয়ে থাকে, জায়গায় জায়গার মাটিই দেখা যায় না। এসব স্থানে জোঁকের উপদ্রপ খুব বেশি। বনের ভেতর দিয়ে অনেকগুলো পাহাড়ী ছড়া বয়ে চলেছে। এসব ছড়ার কয়েকটি ছাড়া বাকিগুলোতে শুধু বর্ষার সময়ই পানি থাকে। ছড়ার পানি পরিষ্কার টলটলে এবং ঠান্ডা। যেসব ছড়াতে শুষ্ক মৌসুমেও পানি থাকে সেসব ছড়ার কাছে বন্যপ্রাণীর আনাগোনা দেখা যায়। জীববৈচিত্র্যের দিক থেকে লাউয়াছড়ার জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের সমৃদ্ধতম বনগুলোর একটি। আয়তনে ছোট হলেও এ বন দুর্লভ উদ্ভিদ এবং প্রানীর এক জীবন্ত সংগ্রহশালা। বনে প্রবেশের সাথে সাথেই নানা ধরনের বন্যপ্রাণী, পাখি এবং কীটপতঙ্গের শব্দ শোনা যায়। বনের মধ্যে প্রায় সারাক্ষণই সাইরেনের মত শব্দ হতে থাকে; প্রকৃতপক্ষে এটি এক ধরণের ঝিঁঝিঁ পোকা বা ক্রিকেটের শব্দ। লাউছড়ার জাতীয় উদ্যানে ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি এবং ২০ প্রজাতিরস্তন্যপায়ী প্রানী দেখা যায়।
বিলুপ্তপ্রায় উল্লুকের জন্য এ বন বিখ্যাত। বনের মধ্যে কিছু সময় কাটালেই উল্লুকের ডাকাডাকি কানে আসবে। উল্লুক ছাড়াও এখানে রয়েছে মুখপোড়া হনুমান, বানর, শিয়াল,মেছোবাঘ, বন্য কুকুর, ভাল্লুক, মায়া হরিণ (বার্কিং ডিয়ার),অজগরসহ নানা প্রজাতির জীবজন্তু। মায়া হরিণ সাধারণত উচ্চতায় ২০-২২ ইঞ্চি। এদের বাদামী রঙের দেহ যা পিঠের দিকে ঘিয়ে গাঢ় রং ধারণ করে। উদ্যানের বন্য পাখির মধ্যে সবুজ ঘুঘু, বনমোরগ, তুর্কি বাজ, সাদা ভ্রু সাতভায়লা, ঈগল, হরিয়াল, কালোমাথা টিয়া, কালো ফর্কটেইল. ধূসর সাত শৈলী, পেঁচা, ফিঙ্গে, লেজকাটা টিয়া, কালোবাজ, হীরামন, কালোমাথা বুলবুল, ধুমকল প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। সাধারণ দর্শনীয় পাখির মধ্যে টিয়া, ছোট হরিয়াল, সবুজ সুইচোরা, তোতা, ছোট ফিঙ্গে, সবুজ কোকিল, পাঙ্গা, কেশরাজ প্রভৃতির দেখা মিলে। এছাড়া ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে সিতেশ রঞ্জন দেব তাঁর চিড়িয়াখানা থেকে দুটি লক্ষ্মীপেঁচা ও একটি বনবিড়ালও অবমুক্ত করেন এ বনে। লাউয়াছড়া বনাঞ্চলে রযেছে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ। আছে গর্জন, সেগুন, গামার, মেনজিয়াম, জামরুল, চাপালিশ, নাগেশ্বর, শিমুল, লোহাকাঠ, জাম, ডুমুর, তুন, কড়ই প্রভৃতি। নানা প্রকারের দেশীয় গাছ দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া প্রাকৃতিক পরিবেশে নানা ধরণের অর্কিড দেখতে হলেও এ বন এক অপূর্ব স্থান।
নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের নোয়াখালি জেলার হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপে অবস্থিত। ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার পুরো দ্বীপটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে। বল্লারচর, চর ওসমান, কামলার চর এবং চর মুরি এই চারটি দ্বীপের মোট ১৬,৩৫২.২৩ হেক্টর এলাকা নিয়ে উদ্যানটি গঠিত। নিঝুম দ্বীপের জীববৈচিত্র্য বেশ সম্বৃদ্ধ। শীতকালে অসংখ্য পরিযায়ী জলচর ও পানিকাটা পাখি নিঝুম দ্বীপে বেড়াতে আসে। এই উদ্যানটি বৈশ্বিক বিপদগ্রস্ত পাখি দেশি গাঙচষার অন্যতম প্রধান বিচরণস্থল।এছাড়া এই দ্বীপে রয়েছে প্রচুর চিত্রা হরিণ। এখানকার বনভূমি মূলত প্যারাবন প্রকৃতির। নিঝুম দ্বীপ ১৯৫০ সালের দিকে সমুদ্রবক্ষে জেগে ওঠে। নিঝুম দ্বীপের পূর্ব নাম ছিলো চর-ওসমান। কথিত আছে ওসমান নামের একজন বাথানিয়া তার মহিষের বাথান নিয়ে প্রথম নিঝুম দ্বীপে বসত গড়েন। তখন এই নামেই এর নামকরণ হয়েছিলো। পরবর্তীতে দ্বীপটি 'নিঝুম দ্বীপ' হিসেবে পরিচিতি পেয়ে যায়। ১৯৭০ এর আগে এখানে কোনো জনবসতি ছিল না। পরে হাতিয়া, শাহবাজপুর, রামগতির নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ দ্বীপটিতে আশ্রয় নেওয়া শুরু করে। বাংলাদেশের বনবিভাগ ৭০-এর দশকে বন বিভাগের কার্যক্রম শুরু করে। প্রথমে ১৯৭৮ সালে পরীক্ষামূলকভাবে চার জোড়া হরিণ ছাড়ে। পরবর্তীতে হরিণের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। ২০০১ সালে নিঝুম দ্বীপকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়। চিত্রা হরিণ নিঝুম দ্বীপের প্রধান বন্যপ্রাণী। নিঝুম দ্বীপে একর প্রতি চিত্রল হরিণের ঘনত্ব সুন্দরবনের চেয়ে তিনগুণ বেশি। বাঘের মতো কোনো মাংসাশী প্রাণী না থাকায় দ্রুতগতিতে এদের বংশবৃদ্ধি হচ্ছে। অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে রয়েছে উদয়ী নখরবিহীন উদবিড়াল, মেছো বাঘ ইত্যাদি। বিভিন্ন প্রজাতির পাখির মধ্যে রয়েছে নিশি বক,দেশি কানিবক, গোবক, দেশি পানকৌড়ি, ধূসর বক, কাদাখোঁচা, বালিহাঁস, কালোহাঁস, কোড়া, তিলা লালপা, তিলা সবুজপা ইত্যাদি। এই উদ্যান দেশি গাঙচষার অন্যতম প্রধান বিচরণস্থল।সরীসৃপের মধ্যে রয়েছে দেশি গুঁইসাপ ও নানান জাতের সামুদ্রিক কচ্ছপ। সামুদ্রিক কচ্ছপের গুরুত্বপূর্ণ প্রজননস্থল এই নিঝুম দ্বীপ।
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের একটি প্রাকৃতিক উদ্যান। ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ/সংশোধন আইনের বলে ২৪৩ হেক্টর এলাকা নিয়ে ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে "সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান" প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই উদ্যানে সাতটি পাহাড়ি ছড়া আছে, সেই থেকে এর নামকরণ সাতছড়ি (অর্থ: সাতটি ছড়াবিশিষ্ট)। সাতছড়ির আগের নাম ছিলো "রঘুনন্দন হিল রিজার্ভ ফরেস্ট"। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার রঘুনন্দন পাহাড়ে অবস্থিত। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক পথে এর দূরত্ব ১৩০ কিলোমিটার। উদ্যানের কাছাকাছি ৯টি চা বাগান আছে। উদ্যানের পশ্চিম দিকে সাতছড়ি চা বাগান এবং পূর্ব দিকে চাকলাপুঞ্জি চা বাগান অবস্থিত। উদ্যানের অভ্যন্তরভাগে টিপরা পাড়ায় একটি পাহাড়ী উপজাতির ২৪টি পরিবার বসবাস করে। এই ক্রান্তীয় ও মিশ্র চিরহরিৎ পাহাড়ী বনভূমি ভারতীয় উপমহাদেশ এবং উন্দো-চীন অঞ্চলের সংযোগস্থলে অবস্থিত। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে রয়েছে প্রায় ২০০'রও বেশি গাছপালা। এর মধ্যে শাল, সেগুন, আগর, গর্জন, চাপালিশ, পাম, মেহগনি, কৃষ্ণচূড়া, ডুমুর, জাম, জামরুল,সিধাজারুল, আওয়াল, মালেকাস, ইউক্যালিপটাস, আকাশমনি, বাঁশ, বেত-গাছ ইত্যাদির বিশেষ নাম করা যায়। এ উদ্যানে ১৯৭ প্রজাতির জীবজন্তু রয়েছে আর এর মধ্যে প্রায় ২৪ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ১৮ প্রজাতির সরিসৃপ, ৬ প্রজাতির উভচর। আরো আছে প্রায় ১৫০-২০০ প্রজাতির পাখি। এটি বাংলাদেশের একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং পাখিদের একটি অভয়াশ্রম। বনে লজ্জাবতী বানর, উল্লুক (Gibbon), চশমা পরা হনুমান (Langur), কুলু বানর (Macaque), মেছো বাঘ, মায়া হরিণ (Barking Deer) ইত্যাদি; সরিসৃপের মধ্যে সাপ; পাখির মধ্যে কাও ধনেশ, বনমোরগ, লালমাথা ট্রগন, কাঠঠোকরার, ময়না, ভিমরাজ, শ্যামা, ঝুটিপাঙ্গা, শালিক, হলুদ পাখি, টিয়া প্রভৃতির আবাস রয়েছে। এছাড়া গাছে গাছে আশ্রয় নিয়েছে অগণিত পোকামাকড়, ঝিঁঝিঁ পোকা তাদের অন্যতম।
কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার একর এলাকা নিয়ে কর্ণফুলী নদীর কোল ঘেঁষে কাপ্তাই উপজেলায় গড়ে উঠেছে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান। বিস্তৃত পাহাড়রাশি আর চিত্তাকর্ষক উদার প্রকৃতির অপূর্ব সমন্বয় –এ জাতীয় উদ্যান। কাপ্তাই চট্টগ্রাম সড়কের পাশে এ উদ্যানের সবুজ পাহাড়ের বুক চিরে প্রবহমান কর্ণফুলী নদীর দৃশ্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর। প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম বৃক্ষরাজি আচ্ছাদিত ও বনাঞ্চলে বিচিত্র বন্যপ্রাণী ও পাখ-পাখালির অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র। এ বনে সেগুন, জারুল, গামার আর কড়ই গাছের সারি। কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে রয়েছে বন বিভাগের দু’টি বিশ্রামাগার। এ বিশ্রামাগারের চার পাশে নদী , পাহাড় আর সবুজের সহাবস্থান। যা খুবই মনোমুগ্ধকর। নদী, পাহাড় আর সবুজের সহাবস্থান নিয়ে প্রকৃতির এক অপরুপ সৌন্দর্য হলো কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান। বিস্তৃত পাহাড়রাশি আর চিত্তাকর্ষক উদার প্রকৃতির অপূর্ব সমন্বয় এ জাতীয় উদ্যান। কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের বিশ্রামাগারে দৃশ্যমান দিগন্তজুড়ে সবুজ আর সবুজের সমারোহ মানুষের চোখ ও মনকে জুড়িয়ে দেয়। মূলতঃ জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশের সংরক্ষণ, উন্নয়ন, শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সম্প্রসারণ এবং একা-ট্যুরিজমের জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষে সরকার কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
মেধা কচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান। এই বনটি তার সুবিশাল মাদার গর্জন গাছের জন্য সুপরিচিত। মেধা কচ্ছপিয়া একটি প্রাকৃতিক বন। ২০০৪সালে উদ্যানটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০০৮ সালের আগস্ট মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষিত হয়। এই জাতীয় উদ্যানের আয়তন প্রায় ৩৯৫.৯২ হেক্টর।
সিংড়া জাতীয় উদ্যান উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। স্থানীয়ভাবে এটি সিংড়া শালবন নামে পরিচিত। দিনাজপুর জেলা শহর থেকে সড়ক পথে ৪০ কিঃমিঃ উত্তরে এবং বীরগঞ্জ উপজেলা থেকে ১৫ কিঃমিঃ দূরে ভোগনগর ইউনিয়নে এর অবস্থান। । এই বনভূমির মোট আয়তন ৩৫৫ হেক্টর এবং এর মধ্যে জাতীয় উদ্যানের পরিমাণ (সংরক্ষণ) ৩০৫.৬৯ হেক্টর। ডালাগ্রাম, চাউলিয়া, সিংড়া ও নর্তনদী এ ৪টি মৌজায় সিংড়া জাতীয় উদ্যান বিস্তৃত। প্রাকৃতিক পরিবেশ উন্নয়ন, বন্য প্রাণী সংরক্ষণ এবং পর্যটন সুবিধার উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর বনবিভাগ এটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে। সিংড়া জাতীয় উদ্যানের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে নর্ত নদী। পর্যটকদের সুবিধার্থে এখানে একটি ছোট পরিসরের রেস্ট হাউজ ও দুটি পিকনিক স্পট রয়েছে। শীত মৌসুমে এই বনে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যায়। সিংড়া শালবনের জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণে আরডিআরএস বাংলাদেশ এর সহযোগীতায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি কাজ করছে। সিংড়া বনকে ১৮৮৫ সালে অধিভুক্ত করা হয় এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সালে বনবিভাগের অধীনে নিয়ে গেজেট প্রকাশ হয়। পরবর্তীতে ২০১০ সালের ১০ ই অক্টোবর উত্তরাঞ্চলে অন্য তিনটি বনাঞ্চল এর সাথে এটিকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়। সিংড়া মৌজার নামানুসারে এই সংরক্ষিত বনের নামকরণ করা হয় সিংড়া জাতীয় উদ্যান। এটি সিংড়া শালবন নামেও স্থানীয়ভাবে পরিচিত। সিংড়া জাতীয় উদ্যানে মূলত পত্রঝরা শালবৃক্ষের প্রাধান্য দেখা যায়। তবে শাল ছাড়াও এখানে জারুল, তরুল, শিলকড়ই, শিমুল, মিনজিরি, সেগুন, গামার, আকাশমনি, ঘোড়ানিম, সোনালু, গুটিজাম, হরতকি, বয়রা, আমলকি এবং বিভিন্ন ধরনের নাম না জানা উদ্ভিদ ও লতা-গুল্ম রয়েছে। এক সময়ে এই বনে বাঘ,নীল গাইসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্য জীবজন্তুর আবাস ছিল। তবে বনভূমি ধ্বংস ও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে এ বনভূমি থেকে জীবজন্তু হারিয়ে যেতে থাকে। বর্তমানে এই বনে খরগোশ, শেয়াল, সাপ, বেজি সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও পতঙ্গের দেখা পাওয়া যায়।
আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যান নওগাঁ জেলার ধামুরহাট উপজেলায় অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান। এই উপজেলায় আলতাদীঘি নামের একটি দিঘীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে সুবিশাল বনভূমি। শালবন এবং বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদে পরিপূর্ণ ২৬৪ হেক্টর জমির এই বনভূমির ঠিক মাঝখানেই রয়েছে প্রায় ৪৩ একর আয়তনের সেই বিশাল দিঘী। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ২০১১ সালে এটিকে 'আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান' হিসাবে ঘোষণা করেছে। ২০১১ সালের ২৪ ডিসেম্বর এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান সিলেট শহরের পাশেই বাংলাদেশের নবীনতম জাতীয়উদ্যান খাদিমনগর। শহর সিলেট ছেড়ে জাফলং তামাবিলসড়কের খাদিম নগরে হাতের বাঁ বড় জান আর খাদিমনগরচা বাগানের দিকে চলে যাওয়া সড়কটির ঠাঁই মেলেছেখাদিমনগর জাতীয় উদ্যানে। চা বাগানের ভেতর দিয়েচলতে চলতে জঙ্গলের ঘনত্বই জানান দেবে তার আপনপরিচয়। সিলেট শহর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে খাদিমনগরজাতীয় উদ্যানের দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। বাংলাদেশের যে কয়টি সংরক্ষিত বনাঞ্চল আছে তার মধ্যে খাদিমনগর নবীনতম। ২০০৬সালে এটি জাতীয় উদ্যান বা ন্যাশনাল পার্কের মর্যাদা পায়। এর আয়তন প্রায় ৬৭৮ হেক্টর।তবে সর্বপ্রথম ১৯৫৭ সালে এই বনকে রিজার্ভ ফরেস্ট ঘোষণা করা হয়েছিল। জানা যায়, সেসময়ে বাঁশবন পরিষ্কার করে এখানে বনায়ন করা হয়েছিল। প্রায়-পাতাঝরা উষ্ণ মণ্ডলীয়চিরসবুজ এই বন দুর্লভ প্রজাতির বৃক্ষ, লতাগুল্ম, পাখি আর বন্য প্রাণীদের অভয়াশ্রম। এবনে বসবাসকারী বন্যপ্রাণীদের আছে ২৬ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৯ প্রজাতির উভচর, ২০প্রজাতির সরীসৃপ এবং ২৫ প্রজাতির পাখি। খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানের এসব স্তন্যপায়ী প্রাণীদের উল্লেখযোগ্য হলো মুখপোড়া হনুমান,বানর, বনবিড়াল, ভল্লুক, মায়া হরিণ, লজ্জাবতী বানর, বনরুই, খাটাশ, সজারু, সাদা বুক-কাঠবিড়ালি, খরগোশ, মালায়ান বৃহত্ কাঠবিড়ালি, বাদুর প্রভৃতি। সরীসৃপের মধ্যে আছেবিভিন্ন জাতের সাপ, অজগর, গুইসাপ, উড়ুক্কু লিজার্ড, বেজি ইত্যাদি। এ ছাড়া নানানপাখপাখালির কলকাকলিতে সবসময় মুখরিত থাকে খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান। হলুদ পাহরিয়াল, পাকড়া ধনেশ, বড় র্যাকেট টেইল ফিঙ্গে, লালপিঠ ফুলঝুরি, বেগুনি মৌটুসি, মদনাটিয়া, কালা মথুরা, বাসন্তী লটকন টিয়া, মালয়ি নিশি বক ইত্যাদি। বনের গাছগাছালির মধ্যেরয়েছে চাঁপালিশ, কদম, জলকড়ই, কড়ই, গর্জন, সিভেট, বাঁশ, মুলিবাঁশ, বুনো সুপারি, ট্রি-ফার্ন ইত্যাদি।
খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানের ভেতরে ঘন জঙ্গলের ভেতরে চমত্কার দুটি ট্রেইলে গা ছম ছমকরা পরিবেশের মধ্যে হেঁটে বেড়াতে পারেন। বনের ভেতরে জঙ্গলের ঘনত্ব কোথাও কোথাওএতো বেশি, সূর্যের আলো পর্যন্ত মাটি ছুঁতে পারে না। দুটি ট্রেইলের মধ্যে একটি ৪৫মিনিটের, অন্যটি দুই ঘণ্টার। ৪৫ মিনিটের ট্রেইলটির শুরু সড়কের খাদিমনগর চা বাগানথেকে চলে আসা সড়কটির কালিবাড়িতে আবুলের টিলাকে বাঁয়ে রেখে শুরু হয়েছে। এ পথেশীতল জলের পাহাড়ি ছড়া আছে। এ পথে বিভিন্ন রকম বনফুল, ঘন বাঁশবন আছে। নিরবতাঅবলম্বন করলে নানান দুর্লভ বন্যপ্রাণী আর পাখির দেখা মিলতে পারে এ পথে। ঘুরে ফিরেএসে এ পথটির শেষ হয়েছে বিট অফিসের আগে প্রদান সড়কের সঙ্গেই।
দুই ঘণ্টার ট্রেইলটির শুরু বিট অফিসের পাশ থেকে। শুরুতেই ছড়ার উপর থেকে বাঁশেরসেতু পেরিয়ে হাঁটা শুরু করতে হবে। বিট অফিসকে হাতের ডানে রেখে বাঁয়ের সরু পথ ধরেচলতে হবে। এ পথে জোয়ালনালা, জলকণা, জিয়ানা, সাধুনালা নামের চারটি পাহাড়ি ছড়াপড়বে। এ পথে আছে ঘন বাঁশবন। নির্দেশনা অনুযায়ী চলতে চলতে এ পথের শেষ হয়েছেআবার প্রধান সড়কে এসে। এ পথেও দেখা মিলতে পারে নানান বন্যপ্রাণী আর পাখির।
কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান সমুদ্র সৈকতের একেবারে কোল ঘেঁষে প্রায় ২০০ একর জায়গায় ষাটের দশকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠা নারিকেল কুঞ্জ, ঝাউবন, গঙ্গামতি সংরক্ষিত বন, পশ্চিম দিকের ফাতরার বন ও মহিপুর রেঞ্জের বনাঞ্চল নিয়ে গড়ে উঠেছে ইকোপার্ক ও জাতীয় উদ্যান। সমুদ্রের অব্যাহত ও অপ্রতিরোধ্য ভাঙ্গনে ইতিমধ্যেই নারিকেল কুঞ্জ অনেক খানিই বিলিন হয়ে গেছে। এর পূর্ব দিকে বনবিভাগ কর্তৃক ১৫ হেক্টর বালুভূমিতে তৈরি করা হয়েছে মনোলোভা ঝাউবন। মানব সৃষ্ট হলেও গোধূলী বেলায় সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে ও বিশেষ করে পূর্ণ চন্দ্রালোকিত জ্যোৎস্না রাতে যখন বেলাভূমি থেকে নারিকেল বীথি ও ঝাউবাগানের দিকে দৃষ্টি নিপতিত হয় তখন নিতান্ত বেরসিক দর্শকের কাছেও তা এক অমলিন স্বর্গীয় আবেদন সৃষ্টি করে। আর দিনে ঝাউবনের ভিতর দিয়ে যখন সমুদ্রের নির্মল বাতাস বয়ে যায় তখন বাতাসের শোঁ শোঁ আওয়াজ এক নিরবচ্ছিন্ন ঐক্যতান সৃষ্টি করে শ্রোতার কানে।
নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান (শালবন) নবাবগঞ্জ বন বিট প্রায় ১৩৮৪.৯১ একর সরকারী সংরক্ষিত বনাঞ্চল নিয়ে গঠিত।গত ২৪ অক্টোবর ২০১০ ইং তারিখ নবাবগঞ্জ বন বিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলকে জাতীয় উদ্যান হিসাবে ঘোষনা করা হয়। এর আয়তন ৫১৭.৬১ হেক্টর বা ১২৭৮.৫০ একর। নবাবগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে মাত্র ১ কি:মি: উত্তর-পশ্চিমে জগন্নাথপুর,হরিল্যাখুর,বড় জালালপুর, আলোকধুতি, তর্পনঘাট, রসুলপুর ও খটখটিয়া কৃষ্টপুর মৌজায় এ শালবন অবস্থিত যা পঞ্চবটীর বন নামেও স্থানীয় ভাবে স্বীকৃত। মুরুব্বীদের মুখে শুনতে পাওয়া যায় কুশদহ, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, বিরামপুর ও ঘোড়াঘাট পর্যন্ত এ বনের ৫ টি শাখা বা বাট প্রলম্বিত ছিল বলে এর নাম পঞ্চবটী হয়েছে। জনশ্রুতিতে শুনা যায় শিবের কৈলাশ বাস, সীতার বনবাস এ বনেই হয়েছিল। তা ছাড়াও দস্যু রত্নাকর সিদ্ধি লাভ করে বাল্মীকি মুনিরুপে খ্যাতি লাভ করেন এ শাল বনেই। জাতীয় উদ্যান এ শাল বনের প্রধান উদ্ভিদ শাল ও সেগুন গাছ। জাম, গামার, ইউক্যলিপটাস, আকাশমনি ঔষধীগাছ, বিভিন্ন শ্রেণীর অর্কিড ও ক্যকটাস সহ নানা প্রজাতীর গাছ গাছড়া এ বনে বিদ্যমান।প্রাণীর মধ্যে শেয়াল, বন বিড়াল, উদ বিড়াল, বিভিন্ন প্রজাতীর সাপ, টিয়া, মাছরাঙ্গা, ডাহুক সহ অনেক প্রজাতীর পাখি বিদ্যমান।
বারৈয়াঢালা জাতীয় উদ্যান চট্টগ্রামের মিরেরসরাইয়ে অবস্থিত। ২০১০ সালের ৬ এপ্রিল একে সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই বনের আয়তন ২৯৩৪ হেক্টর।
কাদিগড় জাতীয় উদ্যান ২০১০ সালের ২৪শে অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলার এই বনাঞ্চলটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর মোট আয়তন ৩৪৪ হেক্টর।
আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান ২০১১ সালের ২৪শে ডিসেম্বর নওগাঁ জেলার এই বনাঞ্ছলটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর মোট আয়তন ২৬৪ হেক্টর।
বীরগঞ্জ জাতীয় উদ্যান ২০১১ সালের ২৪শে ডিসেম্বর দিনাজপুর জেলার এই বনাঞ্ছলটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর মোট আয়তন ১৬৯ হেক্টর।
খুব শীঘ্রই আরেকটি লেখা নিয়ে হাজির হব, বাংলাদেশের সংরক্ষিত অভয়ারণ্য নিয়ে। আশা করি তখনো আপনাদের সাথে পাব।
ইনফো কার্টেসীঃ http://bn.wikipedia.org/
পিকচার কার্টেসীঃ http://www.istishon.com/
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: দেখিতে মন চায় বারবার....
ঠিক বলেছেন।
অনেকদিন পর আপনাকে পেলাম আমার ব্লগে।
পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১৫
বেলা শেষে বলেছেন: Very good post, i like it ....
good writing, good picturing, good decoration, good editing....
Thenk you very much....
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। এত্ত এত্ত গুড কমপ্লিমেন্ট দিলে কেমনে হবে???
৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১৮
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনি আসলেই বোকা, নইলে এতো খোঁজ খবর রাখে কেডা
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমি বোকা মানুষ বলেই শুধু খোঁজ করি, আর আপনি চালাক বলেই এই সব জায়গা ঘুরে দেখেন। আপনাকে হিংসা হয়।
৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৪২
নওরীন ইশা বলেছেন: আজ ঈ লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্দান থেকে ঘুরে এলাম।অনেক ভাল লেগেছে।।।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হিংসে হচ্ছে।
৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫৭
উইশ বলেছেন: সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনি আসলেই বোকা, নইলে এতো খোঁজ খবর রাখে কেডা.......হা হা,,, চ্রম হৈছে বস..ধইন্যা লন..
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: পাতাবিহীন ধইন্ন্যা...
৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:০০
মামুন রশিদ বলেছেন: তন্ময় হয়ে পড়লাম । কবে যাব এসব বন দেখতে!!
অসাধারণ পোস্ট । ।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই।
৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪৮
সুমন কর বলেছেন: র্দীঘ পোস্ট। সংরক্ষণ করে রাখবো। সংকলনে থাকবে। যখন দরকার হবে বা সময় করে পড়ে নেব।
আপনাকে আমি খুঁজছি !! কই ছিলেন ??
আপনার জন্য আমার সংকলনে ভ্রমণ বিভাগ যুক্ত করলাম + আরো একটা সারপ্রাইজ আছে, সময় পেলে দেখে আসবেন।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভাই পুরাই পেরেশান অবস্থায় আছি। গতমাসে আমার পোস্ট কত কমেছে খেয়াল করেছেন নিশ্চয়ই। আপনার পোস্ট চোখ বুলিয়ে এলাম। পড়ে পরে মন্তব্য লিখে আসবো, তখন কথা হবে।
ভালো থাকবেন, সাথে থাকবেন।
৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:০৩
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: সুন্দর।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১৩
ম্যাংগো পিপল বলেছেন: অসাধারণ, সত্যি অসাধারণ। অনেক ভালো লেগেছে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনাদের ভালো লেগেছে শুনে আমারও খুব ভালো লাগছে। ধন্যবাদ।
১০| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫২
বেকার সব ০০৭ বলেছেন: এক কথায় অসাধারন হয়েছে আপনার পোস্ট অনেক কিছু জানা হল। কিন্তু মিয়া ভাই ভ্রমন করার এত সময় কই পান
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভাই সারা সপ্তাহ কামলা দিয়ে, ছুটির দিনে ভোঁ দৌড়। গোপন ফর্মুলা, কাউরে বলিয়েন না কিন্তু।
১১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ছবিগুলো দারুণ আর পোস্ট অনেক তথ্যবহুল।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ছবিগুলো কিন্তু ধার করা।
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
১২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১:০৯
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: খুব ভালো !
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মিস করি অভি'কে। ভালো থাকবেন ভাই, অনেক ধন্যবাদ।
১৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ ভোর ৪:০৮
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: ।দারুণ! !!
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৫২
সুফিয়া বলেছেন: গানে-কবিতায়-বৃক্ষলতায়
আমার বাংলার তুলনা নাই।
পথ থেকে পথে
সবুজ বনারণ্যে
পাখির গানে
কিংবা মৌমাছির গুঞ্জরণে
আমার বাংলার রূপ ঝরে সদাই
ভালো লাগার নিঃশ্বাসে।
ধন্যবাদ আপনাকে ছবিগুলো শেয়ার করার জন্য।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
১৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫
রমিত বলেছেন: দারুণ! !!
১৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:২৯
অপার্থিব স্বপ্নচারী বলেছেন: খুব ভালো লিখছেন! অনেক তথ্য ভিত্তিক পোষ্.
০৫ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে সবই অন্যের কাছ থেকে ধার করা।
১৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এই পোস্টটিতে দেয়া তথ্য এবং ছবি বিভিন্ন আর্টিকেল, ব্লগ, নিউজ এবং উইকি থেকে নেয়া। এখানে আমার কোন ক্রেডিবিলিটি নেই। সোর্স খুঁজে না পাওয়ার দরুন আমি বিনা অনুমতিতে এগুলো ব্যাবহার করেছি। কারো কোন আপত্তি থাকলে আমাকে ইনফরম করবেন, আমি মুছে দেব। আজ ফেসবুকের মাধ্যমে যেমন সোর্স জানা গেলঃ
"Last year Conservation Sites of Bangladesh: A visitor's guide ber hoyechilo..... USAID, Nishorgo Network, Bon Odhidoptor, motsho Odhidoptor, Dept. of Environment er joutho projojonay. jetar researcher and Photographer hishebe, Aal Maruf Russell, Samiul Mohsanin, Paul Thompson, Sayam U Chowdhury kaj korechilen
আমি দুঃখিত যে, তাদের কাছ থেকে আগে অনুমতি না নিয়ে ছবিগুলো ব্যাবহার করেছি। আসলে আমার কাছে কয়েকটি'র মাত্র ছবি ছিল আর ব্লগে পোস্ট দেয়ার পর সবাই ছবি দেখতে চায়। তাই দেয়া। এই পোস্টের পর থেকে এই ধরনের পোস্টগুলোতে চেষ্টা করব অন্য কারো ছবি এবং তথ্য ব্যাবহার না করতে।
কপিরাইট লঙ্ঘন হয়ে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
১৮| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১০
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: লিখা দীর্ঘ হলেও বিস্তারিত জানতে পারলাম । এর আগে এতো বিস্তারিতভাবে পড়িনি । এখন এইসব যায়গায় ঢুঁ মারা যায় কিভাবে সেটাতে জানতে হবে ।
শুভেচ্ছা , ভালো থাকবেন
১৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৪৬
এহসান সাবির বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট।
অনেক কিছু জানতে পারলাম।
পোস্ট দেখে মনে হল বন বাঁদাড়ে হারিয়ে যাই।
শেয়ার করবার জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:০১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সবুজে ছাওয়া নিবিড় অরন্য
মন টানে সবার
এত যে শুভা
দেখিতে মন চায় বারবার