নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

রন্তু\'র কালো আকাশ - ২৪ (ধারাবাহিক)

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯



অনেকটা সময় আনমনে হাঁটার পর রন্তুর খেয়াল হল পথ ভুল করে সে অচেনা কোন জায়গায় চলে এসেছে। আগে কখনো এখানে এসেছে বলে মনে পরে না। কিন্তু, কীভাবে সে এখানে চলে এসেছে কিছুই বুঝতে পারছে না। মনে মনে ভয় হচ্ছে, সে যদি আর বাসায় ফিরতে না পারে? ভাবতেই কেন জানি খুব কান্না পেল। আপ্রাণ চেষ্টা করল এভাবে রাস্তায় কান্না না করার। কিন্তু সেই চেষ্টা করার কারনেই কি না, তার গাল বেয়ে অশ্রুধারা গড়িয়ে পড়ল। কেন যেন মনে হচ্ছে সে আর কখনই বাসায় ফিরতে পারবে না।

কিছু সময় পর আতঙ্ক কেটে গেলে রন্তু একটা বুদ্ধি বের করল, উল্টো দিকে হাঁটা শুরু করল। কিন্তু কিছু দূর এসে যখন একটা চৌরাস্তায় এসে পড়ল, তখন দ্বিধায় পড়ে গেল। এখন কোন দিকে যাবে? চৌরাস্তার মুখে একটা দোকান দেখে দোকানীকে জিজ্ঞাসা করল তার নানুর বাড়ীর এলাকায় যাওয়ার পথ কোনটা? লোকটা খুব অবাক হল। রন্তুকে বলল, অনেক দূর, হেঁটে গেলে দুই-তিন ঘণ্টা লাগবে। রন্তু ঘাড় কাত করে বুঝিয়ে দিল কোন ব্যাপার না। রন্তুর ভয় হচ্ছিল লোকটা যদি বুঝে যায় সে হারিয়ে গেছে, তাহলে হয়ত তার কোন বিপদ হতে পারে। কে জানে, হয়ত তাকে ছেলেধরা দলের কাছে বিক্রি করে দিল! রন্তু লোকটির দেখানো পথ এবং নির্দেশনা মতে হাঁটতে লাগল। কিছুক্ষণ আগের অজানা ভয়ের অনুভূতি অনেকটাই কেটে গেছে, এখন চারিদিকের রাস্তাঘাট, দোকানপাট, মানুষজন দেখতে দেখতে সে হাঁটতে লাগল।

(পূর্ব ঘটনা প্রবাহঃ রন্তু, শায়লা আর জাভেদের একমাত্র সন্তান। জাভেদের সাথে শায়লার প্রনয় থেকে পরিণয়, পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে। কিন্তু বিয়ের পর শায়লা ধীরে ধীরে বুঝতে পারে জাভেদ ভয়ঙ্কর রকমের মানসিকভাবে অসুস্থ। এক সময় মানিয়ে নিতে না পেরে ছোট্ট শিশু রন্তুকে নিয়ে মায়ের বাসায় চলে আসে। তাদের মিউচুয়ালি ডিভোর্স হয়ে গেছে। মা-বাবার এই টানাপোড়নে শিশু রন্তুর মানসিক জগতের গল্প, সাথে তার নিত্যদিনকার প্যাচালি, এই হল এই গল্পের উপজীব্য। কয়েক মাস আগ পর্যন্ত জাভেদ রন্তুকে স্কুলের গেটে মাসে এক-দুইবার দেখা করতে আসতো, গত মাস ছয়েক আগে শেষবারের মত ছেলেকে দেখতে এসেছে। মানসিক সমস্যাগ্রস্থ জাভেদ পরিবার, আত্মীয় পরিজন হতে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে একাকী জীবন পথে হেঁটে চলেছে। অপর দিকে রন্তুর মা শায়লা এক প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরী করছে, যেখানে তার এক সিনিয়র পোস্টের সহকর্মী ইরফানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে গড়িয়েছে প্রণয়ের। ইদানীং রন্তুর মাঝে একটি মানসিক সমস্যা দেখা যাচ্ছে, সে বাবা-মা সহ নিজেদের একটি পরিবার খুব মিস করে। আর সেই অপ্রাপ্তি থেকে সে নিজের মনে একা একা এক কাল্পনিক জগতে বিচরন করে। এরমাঝে শায়লার প্রবাসী বড়ভাই দেশে এসেছে ছুটিতে। কিছুদিন আগে রন্তু মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়েছিল, ডাক্তাররা প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু কোন বিপদ ছাড়াই সুস্থ হয়ে উঠেছিল সে। কিন্তু বিপদ যখন আসে, চারিদিক দিয়েই আসে। রন্তুর বাবা জাভেদ বহুদিন পর দেখা দিয়েছিল উপন্যাসে। শায়লাকে ইরফানের সাথে বাইরে ঘোরাফেরা করতে দেখে উত্তেজিত হয়ে বাসায় এসে বাজে আচরণ করেছে এবং ফলস্বরূপ শায়লার বড় ভাই শিপলু তাকে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। গত কয়েক পর্বে দেখা গেছে শায়লা'র সাথে ইরফানের প্রনয়, পরিণয়ের দিকে গড়াচ্ছে। ইরফান শায়লাকে বিয়ে করে বিদেশ নিয়ে যেতে চায়। বছরখানেকের মধ্যে রন্তুকেও তাদের কাছে নিয়ে যাবে। কিন্তু শায়লার মা আর বড় ভাই এই সম্পর্ক মেনে নিতে রাজী নয়। এই নিয়ে প্রায়ই বাক-বিতন্ডতা চলে শায়লা আর তার মা'র মাঝে। এইসব ঘটনা পরিক্রমা রন্তুর মনোজগতে ভীষণভাবে নাড়া দিয়ে গেছে। তার আচরণে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। বাবা-মায়ের সম্পর্কের এই টানাপোড়নের সাথে তার শিশু মনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া এবং পরিবারের মানুষগুলোর মিথস্ক্রিয়া’য় কেমন চলছে আমাদের রন্তুর জগত তা জানার জন্য আসুন এবার আবার শুরু করা যাক)

‘এই রন্তু, তুই এখানে কি করছিস?’ রন্তুর পেছন হতে কে যেন ঘাড়ে হাত দিয়ে ঝাঁকুনি দিয়ে জিজ্ঞাসা করল। ঘটনার আকস্মিকতায় রন্তু প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গিয়েছিল, কিন্তু ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতে পেল ছোট মামাকে। রন্তু এতোটাই অবাক হল যে, কয়েক মুহূর্ত কোন কথাই বলতে পারছিল না। একটু ধাতস্ত হতেই মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বলল, ‘তুমি তো ভয়ই পাইয়ে দিয়েছিলে। উফ...’। রন্তুর ছোট মামা ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞাসা করল, ‘তুই এখানে এলি কার সাথে? বাবা এসেছিল স্কুলে?’। রন্তু ঘাড় নেড়ে জানালো “না”, ঠোঁটটা বড়দের মত বাঁকিয়ে বলল, ‘আমি বুঝি একা একা তোমাদের মত ঘুরে বেড়াতে পারি না, হুহহ...’। শিবলি ভাগ্নের কথা বলার ধরন দেখে হেসে দিল। একা একা সেই পুরাতন ঢাকার স্কুল হতে রন্তু এই শাহজাহানপুর কিভাবে চলে এল এটাই এক বিস্ময়! নিশ্চয়ই হাঁটতে হাঁটতে পথ ভুল করে চলে এসেছে। পুঁচকেটার ইদানীং এই অভ্যাস হয়েছে, স্কুল ছুটির পর এলোমেলো হেঁটে বেড়ায়, খুব মায়া লাগে ছেলেটার জন্য। কিন্তু তাই বলে এতো দূর!

রন্তু মামা’র সাথে রিক্সায় চেপে বাসায় ফিরছে, চুপচাপ চারিপাশ মনোযোগ দিয়ে দেখতে লাগল। বেলা অনেক গড়িয়েছে বুঝতে পারছে রন্তু, চারিদিকে সূর্যের আলোর রুপ দেখে বুঝতে পারছে দুপুর গড়িয়ে সময়টা এখন বিকেল ছুঁয়েছে। বাসায় গেলে না বুঝি কি বকাটাই খেতে হবে নানু আর মা’র কাছ থেকে। পর মুহূর্তেই মনে পড়ে গেল এখন আর কেউ তাকে কিছু বলে না, এমন কি সে কখন কি করছে তাও বুঝি কেউ লক্ষ্য করে না।

‘কি রে, বোবা হয়ে বসে আছিস কেন?’

‘এম্নি, দেখছি...’

‘কি দেখছিস?’

‘এই তো রাস্তাঘাট’

‘রাস্তাঘাট! খোকা তুমি কোন লঞ্চে ঢাকা এসেছ? ঢাকা শহরে প্রথম বেড়াতে এসেছো বুঝি?’ শিবলি মজা করে বলল। ছোট মামার কথায় রন্তু’ও খুব মজা পেয়েছে, ঘাড় নেড়ে মামার কথায় সম্মতি জানালো।

হঠাৎ রন্তু “বাবা, বাবা...” বলে শিবলির হাত জোরে চেপে ধরে চিৎকার করে দাঁড়িয়ে গেল। রন্তুর চিৎকারে রিকশাওয়ালা হুট করে ব্রেক কষল। শিবলির হাত চেপে ধরে থাকায় রন্তু রিকশা হতে ছিটকে গেল না। শিবলি ঘটনা কিছুই বুঝে উঠতে পারল না।

‘কিসেরে বাবা? কোথায় বাবা?’ শিবলি রন্তুকে জিজ্ঞাসা করল।

‘ঐ পেছনের গলিতে...’ রিকশার পেছন দিকে বাম পাশের একটা গলির দিকে ইশারা করল রন্তু।

‘এই চলন্ত রিকশা থেকে ঐ গলির ভেতর বাবাকে দেখে ফেললি!’

‘সত্যি মামা, বাবাকে আমি ঐ গলির ভেতরে ঢুকতে দেখেছি।’

ভাগ্নের চেহারা দেখে মনে হল সে এখনি কেঁদে ফেলবে। শিবলি রিকশাওয়ালাকে রিকশা ঘুরিয়ে ঐ গলির দিকে নিতে বলল। রিকশা গলির মুখে যেতেই রন্তু লাল-কালো চেকের একটা শার্ট আর নেভিব্লু ট্রাউজার পরিহিত একটা লোকের দিকে ইশারা করল। পেছন থেকে দেখতে অনেকটা রন্তুর বাবা’র মতই দেখাচ্ছে, কিন্তু লোকটা অন্য কেউ তা শিবলি বুঝতে পারল। রিকশা লোকটার কাছাকাছি যেতেই রন্তু বুঝতে পারল সে ভুল দেখেছে, দূর থেকে দেখতে বাবার মত মনে হলেও লোকটি বাবা নয়।

ছোট মামার সাথে বাসায় এল যখন, ভেবেছিল সবাই জিজ্ঞাসা করবে রন্তু স্কুল থেকে ফিরতে এত দেরী করল কেন? শিবলির সাথেই বা একসাথে ফিরল কিভাবে? কিন্তু, কেউই যেন ব্যাপারটা লক্ষ্যই করল না। রন্তু ঘরে গিয়ে জামা কাপড় পাল্টে রান্না ঘরে উঁকি দিতেই নানু খাবার জন্য ডাক দিল।

‘কিরে? আজ এতো দেরী? রাস্তায় রাস্তায় ঘোরাঘুরি বুঝি বেড়েছে খুব?’
রন্তু কোন উত্তর দিল না, মাথা নিচু করে খেতে লাগল।

‘এই ছেলে কথা বলিস না কেন?’

‘উম...’ মুখে খাবার নিয়ে একটা শব্দ করল রন্তু।

‘তোদের মা ছেলের জ্বালায় আমি শেষ হয়ে গেলাম। হতচ্ছারা বদমাশ, তোর ঐ পাগল বাপ, তোদেরকে আমার এখানে ফেলে রেখে গেছে আমার হাড়-মাংস ভুনা ভুনা করতে।’

অন্য সময় হলে রন্তু হয়ত বলত, ‘আমাকে একটু দাও, ভাতের সাথে খেয়ে দেখি টেস্ট কেমন?’
নানু বলত, ‘কি?’... রন্তু ফিক করে হেসে দিয়ে বলত, ‘হাড় মাংস ভুনা’

কিন্তু সময়টাই ছিল অন্যরকম, রন্তু মুখ গোমড়া করে চুপচাপ খেতে লাগল। নানু স্বভাবসুলভ গজগজ না করে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে উঠে গেল রান্নাঘর হতে। রন্তুর মা শায়লা ঘরের সব বাতি নিভিয়ে দিয়ে এই বিকেল বেলা শুয়ে আছে। কিছুদিন হল সে অফিসের চাকুরী ছেড়ে দিয়েছে, সারাদিন বাসায় থাকে, প্রায় দিনই বিকেল বেলা বের হয় বাসা থেকে, সন্ধ্যার পরপর ফিরে। এটা নিয়ে প্রতিরাতে শায়লা আর তার মা’র মাঝে ঝগড়া হয়ে যায়, উচ্চস্বরে নয়, অতি চাপা স্বরে। ছোট্ট রন্তু এসবের মাঝে থেকেও কোন দূর অজানায় যেন হারিয়ে যায়। ধীরে, অতি ধীরে, আঁধারেরা যেমন করে গ্রাস করে রাতের নিস্তব্ধতাকে; তেমনি করে রন্তুর কালো আকাশে আরও কালো মেঘে ছেয়ে যেতে থাকে প্রতিদিন, একটু একটু করে।

'রন্তু'র কালো আকাশ' এর আগের সব পোস্টগুলোঃ
রন্তু'র কালো আকাশ - ১
রন্তু'র কালো আকাশ - ২
রন্তু'র কালো আকাশ - ৩
রন্তু'র কালো আকাশ - ৪
রন্তুর কালো আকাশ - (১-৫)
রন্তু'র কালো আকাশ - ৬
রন্তু'র কালো আকাশ - ৭
রন্তু'র কালো আকাশ - ৮
রন্তু'র কালো আকাশ - ৯
রন্তু'র কালো আকাশ - ১০
রন্তু'র কালো আকাশ - ১১
রন্তু'র কালো আকাশ - ১২
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৩
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৪
রন্তু'র কালো আকাশ (পর্ব ১-১৪ ফিরে দেখা)
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৫
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৬
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৭
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৮
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৯
রন্তু'র কালো আকাশ - ২০
রন্তু'র কালো আকাশ - ২১
রন্তু'র কালো আকাশ - ২২
রন্তু'র কালো আকাশ - ২৩

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কয়েক পর্ব মিস হয়ে গেছে আগে পড়ে আসি। আশা করি ভাল লাগবেই। চালিয়ে যান।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার, ভালো থাকুন সবসময়।

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ব্লগার শ্রেষ্ঠা, কম্পমান সহ রন্তু সিরিজের সকল নিয়মিত পাঠকের কাছে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। দীর্ঘ বিরতি দিয়ে পর্ব ২৪ পোস্ট করার জন্য। তবে রন্তু সিরিজের প্রথম খণ্ডের শেষ পর্ব ০৭ তারিখের মধেই পোস্ট করে দিব। ব্যাক্তিগত ঝামেলা সব কাটিয়ে উঠে রন্তু সিরিজের দ্বিতীয় খণ্ড "রন্তু'র দিনরাত্রি" শুরু করব।

সবাই ভালো থাকুন, শুভরাত্রি।

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আসলেও রন্তু নিজে বড় হচ্ছে।। সাথে নিজস্ব চিন্তা-ভাবনাগুলিও।।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আর মাত্র এক পর্ব, এর পরের সিরিজেই কিন্তু রন্তু অনেকটা বড় হিসেবে ধরা দিবে পাঠকের কাছে। :)

৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: আগের পর্বটা কি মিস করছি নাকি?

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মনে হয়... :)

৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: সব পর্ব গুল ইচ্ছা থাকলেও পড়া হয়ে ওঠে না ।তবে যখন যেটা সামনে পড়ে তখন তা পড়ি আর ভাবি কি করে একটা কলম
দিয়ে লেখাটাকে দৃশ্যমান এবং হৃদয় ছোঁয়া করে তোলেন । ধন্যবাদ এবং ভাল থাকুন সারাখন ,সারাবেলা ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মন্তব্যে এত্তগুলো ভালোলাগা, এমন মন্তব্য পেলে দিনটাই ভালো হয়ে যায়। :)

আপনিও ভালো থাকুন, প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ; অনেক অনেক ভালো।

৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:০১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: রন্ত্ত'র কালো আকাশে আরও মেঘ জমছে।
//ধীরে, অতি ধীরে, আঁধারেরা যেমন করে গ্রাস করে রাতের নিস্তব্ধতাকে; তেমনি করে রন্তুর কালো আকাশে আরও কালো মেঘে ছেয়ে যেতে থাকে প্রতিদিন, একটু একটু করে।//
এবার মুষলধারে একটা বৃষ্টি চাই।

ভাল লেগেছে।
শুভকামনা রইল।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এই খণ্ডে আর মুষলধারে বৃষ্টি হবে না, পরবর্তী খণ্ড "রন্তু'র দিনরাত্রি" তে হয়ত ঝলমলে আকাশের দেখা পাওয়া যাবে।

ধন্যবাদ শামছুল ইসলাম, ভালো থাকুন সবসময়।

৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জিনিসপত্র কি উদ্ধার করতে পেরেছিলেন??

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কিছুই উদ্ধার করতে পারি নাই। এসবি অফিসে যোগাযোগ করেছিলাম, আমার মোবাইল সেট দুটো বাইরে থেকে আনা, ফলে তা বিটিআরসি তে ইএমআই নিবন্ধিত ছিল না। ফলে তা ট্র্যাকিং করা সম্ভব হবে না। আর ল্যাপটপের ক্ষেত্রে এখনো ট্র্যাকিং প্রযুক্তি নাকি আমাদের চালু হয় নাই। :( সবচেয়ে বড় কথা হল, আমি ধারনা করতে পেরেছি চুরিটা কে করেছে, কিভাবে করেছে; কিন্তু উপযুক্ত প্রমান না থাকায় এই বিসয় নিয়ে আর উচ্চবাচ্য করি নাই।

ধন্যবাদ সুপ্রিয় কা_ভা, অনেকদিন পর আপনাকে আমার ব্লগে দেখা গেল। আমি আগামী মাস থেকে নিয়মিত হওয়ার আশা রাখি। ভালো থাকুন সবসময়, শুভসকাল।

৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: এত দেরি করে পোস্ট দিলে আগের পর্বে কি পড়েছি সেটা আর মনে থাকে না! তাই এই ধরনের পোস্টগুলো একটু তাড়াতাড়ি দিলে পাঠকের জন্য সেটা বুঝতে সুবিধা হয়! আশা করি পরের পর্ব অনেক তাড়াতাড়ি পাবো!


পোস্টর জন্য ধন্যবাদ! শুভকামনা জানবেন!

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনিচ্ছাকৃত বিলম্বর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আসলে পারিপার্শ্বিক ঘটনা এবং ব্যক্তিগত ব্যস্ততার জন্য এই বিলম্ব ঘটে। ধন্যবাদ ভাই, আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য।

৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লাগছে। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা...।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ রেজওয়ানা আলী তনিম, আজই শেষ পর্ব পোস্ট করব, হয়ত ঘণ্টাখানেক পরে। :)

১০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮

কাবিল বলেছেন: হুম...একটু দেরিতে হলেও ভাল লাগলো। যাই হোক শেষ পর্বের পরে "রন্তু'র দিনরাত্রি" সিরিজটার অপেক্ষায় থাকলাম।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কাবিল। মাস দুই/তিনের মধ্যে "রন্তু'র দিনরাত্রি" সিরিজটা শুরু করতে পারব বলে আশা রাখি।

১১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

কম্পমান বলেছেন: Waiting for the last episode of Rantu's Dark Sky............. Feeling sorry for ur unbearable lost. Hope u will overcome soon. I want something from u that, u mixed up all the episode of Rantu's Dark Sky and again published it after the eoisode 25. Thanks a lot for ur comment. Bye Take care...........

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আশা করি এতোদিনে শেষ পর্ব পড়ে ফেলেছেন। অনিচ্ছাকৃত বিলম্ব প্রতিত্তরের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সিরিজের সাথে থেকে এবং নিয়মিত তাগিদ দিয়ে সিরিজটি শেষ করাতে পারার জন্য । ভালো থাকুন সবসময়। :)

১২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:০৪

শ্রেষ্ঠা বলেছেন: অনেক ব্যস্ততার কারণে ব্লগ খুলে দেখার সময় হয়নি। আজ অনেকদিন পর ফিরে আসতেই আগে আপনার ব্লগ দেখলাম নতুন কোনো পর্ব এসেছে কিনা। দেখলাম শেষ পর্ব সহ পোস্ট হয়ে গেছে। শেষ পর্বটা পড়তে ইচ্ছে করছে না। পড়লেই তো শেষ :( আর কি কোনো পর্ব আসবে না রন্তুর?

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: প্রথমেই অনিচ্ছাকৃত বিলম্ব প্রতিত্তরের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

রন্তু সিরিজের দ্বিতীয় খণ্ড আসছে জানুয়ারি নাগাদ শুরু করার ইচ্ছে আছে, দেখা জাক কি হয়। সিরিজ জুড়ে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.