নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দেখা বাংলাদেশের "রাজনীতি"র বহুমাত্রিক রূপ আর আমরা আমজনতা

০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫



একটা লেখা অনলাইনে ঘুরতে দেখছি, যার শুরুটা এরকম, "এক অস্থির জেনারেশন তৈরি করছি আমরা..."
রিয়েলি? নিজেদের যোগ্য হিসেবে তৈরী করতে ব্যর্থ মানুষগুলোকে এটা বেশী শেয়ার করতে দেখছি। যোগ্য তো জীবনে হইতে পারলেন না, মানুষ হইয়া না হয় মানব জীবনটা সার্থক করেন। একটা গানের প্যারোডি মাথায় আসলো,

"আয়নাতে ঐ মুখ দেখবে যখন
মুখে জমা থুথুখানি কইরো গোপন..."


মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে একটা গল্প বলি। তখন আমরা স্কুলের গণ্ডি পেড়িয়ে মাত্র কলেজে ভর্তি হয়েছি। আমাদের এলাকার একছোট ভাই, আমাদের সাথেই খেলাধুলা, উঠাবসা করে অতি ভদ্র একটা ছেলে। তাকে পাশের পাড়ার আমাদের বয়সী কিছু ছেলের একটা গ্রুপ বিনা কারণে মারধোর করেছে। এটাশুনে তো আমরা সবাই মহাক্ষুব্ধ, দলবেঁধে সবাই পাশের পাড়ায় গিয়ে তাদের বড় ভাইদের কাছে বিচার দেয়ার জন্য একত্রিত হলাম। আমাদের পাড়ায় থাকতো আমাদের বয়সী পিচ্চি টাইপের বখাটে ছেলে, নেশা পানি করতো, রিকশা চালাতো, মারামারি-গুণ্ডামি করে বেড়াতো। আমরা তাকে এড়িয়ে চলতাম। তো সবাই মিলে পাশের পাড়ায় গিয়ে যে ছেলে মূলত মেরেছে আমাদের ছোটভাইকে তাকে এবং তার বড় ভাইকে ডাকতে লাগলাম তাদের বাসার নীচ থেকে। তো সেই ছেলেটি বেড়িয়ে আসামাত্র কোথা থেকে আমাদের চোখে চরম খারাপ বখাটে সেই পিচ্চি ছেলেটি এগিয়ে এলো সামনে, হাতে দেখি হকি স্টিক!!!! কেউ কিছু বুঝে উঠার আগে সে এগিয়ে এসে ঐ ছেলেটির দুই হাঁটুতে কষে দুটা বাড়ি দিলো হকি স্টিক দিয়ে; এরপর সোজা উলটো দিকে হাঁটা শুরু করলো। যেতে যেতে চিৎকার করে উঠলো, "মাইরের বদলি মাইর, বিচারের মায়'রে বাপ..."। আমরা সবাই হতবাক, ভয়ও পেয়ে গেলাম, কোন মহা গ্যাঞ্জাম না শুরু হয়ে যায় দুই পাড়ায়। ততক্ষণে বড় ভাইয়েরাও চলে এসেছে। কে মারলো? কেন মারলো? কার এতো সাহস? হাজারো হাউকাউ এরপর ঘোষণা, "ঝগড়া ভুলে দুইজনে গলা মিলাও"। লাভের লাভ হল, ঐ বখাটে পিচ্চি চরম কইশ্যা দুইটা বাড়ি দিয়া নিরীহ ছোট ভাইয়ের মাইরের আসল বদলা নিয়া নিলো। মনে মনে আমরা তাকে ধন্যবাদ দিতে ভুললাম না। আর ঐ বখাটে ছেলের গ্রুপের সাথে আশেপাশের কোন পাড়ার ছেলেপেলেই ঝামেলায় জড়াবে না, এটা জানা ছিলো।

তো যে কথার প্রসঙ্গে এতো কথা, এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা প্রমাণ করে দিয়েছে, ওরা পাবজি'তে মেতে থাকবে, টিকটকে ভিডিও বানাবে, সারাদিন অনলাইনে গফসফ করবে। কিন্তু দেশের প্রয়োজনে হাঁটু বরাবর দু'চার ঘা দিয়ে বুঝিয়ে দিবে, দেশটা কারো একার না? দেশে সবার সমঅধিকার।

এখন আসুন মূল আলোচনায়। আমার জন্ম আশির দশকের শুরুতে, বেড়ে ওঠা নব্বই দশকে। স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতন আন্দোলনের সময় স্কুলেই পড়ি। বড়দের উৎসাহ, কলেজ ভার্সিটি পড়ুয়া ভাইবোনদের আক্রোশ দেখেছি; তারপর এরশাদের পতনের এক দশকের মধ্যে তাকে নিয়ে প্রধান দুইদলের কাড়াকাড়িও দেখেছি। দেখেছি ইসলামী দলগুলোর "ধরি মাছ না ছুঁই পানি" টাইপের রাজনীতির কৌশল, দেখেছি তাদের নারী নেতৃত্ব হারাম বইলা দুই নেত্রীর পেছনেই লাইন দিতে। তাদের নিয়েও প্রধান দুইদলের জোট-ভোট দেখেছি যখন নিজে ভোটার হলাম। ভোট দিয়েছি দুই দলকেই ভিন্ন ভিন্ন সময়ে। কিন্তু "যেই লাউ সেই কদু, তিতা ছাড়া পাই নি মধু"।

ছিয়ানব্বই এর নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ উপহার দিলো জয়নাল হাজারী, হাজী সেলিম, হাজী মকবুল, শামীম ওসমান, গোলন্দাজ সহ নানান রঙ্গের নানান ঢঙ্গের গডফাদার'দের। আর সেসবে তিক্ত বিরক্ত জনগণকে কাছে পেতে ২০০১ এর নির্বাচনের আগে শফিক রেহমান এর "যায় যায় দিন" পত্রিকার মাধ্যমে পেলাম একটা আহবান, "এক কোটি তরুন ভোটারের কাছে একটি আহবান"। জনগণ ভোট দিলো বিএনপি জামাত জোটকে। ফলাফল দেশ পেল দুর্নীতিতে শীর্ষস্থান, হাওয়া ভবন, বেগম পাড়া, খাম্বা কেলেংকারি সহ আরো অনেক কিছু, ব্যস্ত এক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, যার মুখে সর্বদা একটাই কথা "উই আর লুকিং ফর শত্রুজ"। "আল্লাহর মাল, আল্লাহ নিছে" বয়ানটাও ভুলি নাই। তার সাথে সারাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান, সারা দেশে একযোগে সিরিজ বোমা, রমনা বটমূলে বোমা, ২১ আগষ্ট বোমা হামলা... আর এসবের পথ ধরে দেশে আসলো ওয়ান ইলেভেন, সেই পথ ধরে "মাইনাস টু" থিওরি। নানান জল ঘোলা করে, দুই প্রধান নেত্রীকে জেলে ঢুকিয়ে, অনেক বড় বড় নেতাকে তওবা পড়িয়ে এরপর বিদায় নিলো এক সময় মঈন ইউ আহমেদ বিদায় নিলেন, সাধারণ নির্বাচনে ভোটে জয়ী হলো আওয়ামী লীগ। মাত্র দুই বছর আগে দুই দলের বড় বড় নেতাদের দুর্দশা দেখে যে জনতা হাত তালি বাজালো, তারাই দুই বছর পরে ফের সেসব নেতাদেরকে ভোট দিলো। সারা দেশে "না ভোট" পড়েছিলো মাত্র একলাখ!!!

শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দলের শীর্ষ নেতাদের সাইজ করলেন, নতুন নতুন বয়সে তরুন নেতাদের সামনে নিয়ে আসলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের কিছু দিনের মধ্যে দেখলাম "বিডিআর বিদ্রোহ", যেখানে প্রাণ গেল দেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক সামরিক কর্মকর্তাদের। এরপর এলো ২০১৩, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হল, তারুণ্য আরেকবার প্রমাণ করলো, তারা চাইলে সব সম্ভব। কিন্তু এরপর এই বিজয়কে মূলধন করে দেশে কায়েম হলো তথাকথিত গণতন্ত্রের নামে একনায়কতন্ত্র। একনায়কতন্ত্র একারনেই, কারণ সকল ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ না করলে কোন সমাধান হয় না। দেশের গুরুতর বিষয় থেকে সাধারণ ক্রিকেট খেলা, হেফাজত থেকে তামিম-সাকিব ইস্যু। আর এর ফলাফল পেলাম ২০১৪, ২০১৮ আর ২০২২ এর নির্বাচনে নিজের বাসার সামনের কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট নিজে দিতে পারি নাই, আগেই নাকি দেয়া হয়ে গেছে। প্রতিবাদ করতে গেলে চারিদিকে দেখেছি নিজেরই পরিচিত মানুষগুলোর অগ্নিদৃষ্টি, রক্তচক্ষু। আর এসব মেনেই আমাদের কেটেছে গত ১৫টি বছর। শুরুতে দলের ভেতরে গণতন্ত্র চর্চা রুদ্ধ করে একসময় দেশের মানুষের স্বাধীন মতামত প্রকাশকে রুদ্ধ করতে ব্যস্ত হয়ে উঠলো সরকারী সুবিধাভোগী একটা নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী। সরকারী চাকুরীজীবীদের বেতন স্কেল দ্বিগুণ করে, প্রশাসন আর সামরিক-আধাসামরিক সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে দলীয় আনুগত্যের লোকজন নিয়োগ করে পুরো দেশে দ্বিতীয় কোন মত আর থাকতে দেয়া হলো না।

শুরু থেকেই তথাকথিত বেশীরভাগ বামদল, যারা সমাজতন্ত্রের বুলি আওড়ায়, তারা সরকারী দলগুলোর হালুয়ারুটি খেয়েছে। কারণ, প্রধান দলের বাইরে বড় বড় রাজনৈতিক ফিগার মানুষগুলো নির্বাচনে দাঁড়ালে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। অন্যদিকে প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রধান নেতা মামলা-জেলখাটা আর নিরাপত্তার ভয়ে গত দেড়যুগ হতে চললো প্রবাসে বসে আছে। বিএনপি যখন ২০০১ এর ক্ষমতায় আসলো, তখন তারেক রহমান দলের সিনিয়র নেতাদের সাইজ করলেন, খালেদা জিয়া "ছাত্রদল"কে নিয়ে বললেন, "বিরোধী দলকে মোকাবেলা করতে আমার ছাত্রদলই যথেষ্ট"। সেই ছাত্রদলকে বিএনপির অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিরস্কার করতে বাধ্য হয়েছিলেন। বিএনপি পরবর্তীতে এসবের জেরে ছত্রছন্ন হয়ে গেল। ফলে দেশে গত পনেরো বছরে কোন প্রতিবাদ করার প্ল্যাটফর্ম আর রইলো না। আমাদের আমজনতা যারা সুযোগ পেলো তারা মিশে গেল সরকারী দলে "হালুয়ারুটির ভাগ" পেতে। অন্যেরা বালিতে মুখ গুঁজে দিন পার করতে লাগলাম।

ঠিক তখনই মাঝে মাঝে আওয়াজ তুলতে লাগলো তথাকথিত এই "অস্থির প্রজন্ম" যার প্রথম বিশাল গর্জনটি ছিলো ২০১৮ সালের "নিরাপদ সড়ক আন্দোলন"। আর ২০২৪ তো আমরা স্বচক্ষেই দেখছি। নতুনদের আর আমাদের কিছু দিতে হবে না, ওরা আমাদের চাইতে অনেক সজাগ, অনেক প্রতিবাদী। ভার্চুয়াল দুনিয়ায় বুঁদ হয়ে থাকার মাঝেই তারা আড়চোখে সবকিছুতেই চোখ রাখে, সময়ে প্রতিবাদী হতে জানে। প্রয়োজনে রক্ত দিতে জানে, দিতে জানে প্রাণ। তাই তাদের হেয় করার কোন অধিকার আমাদের নেই। জেনারেশন জেড এর মধ্যে থেকেই তো আগামীর দিনে দেশের হাত ধরার নেতা, আমলা, প্রতিরক্ষা বাহিনী গড়ে উঠবে। তাই তাদের নিরপেক্ষ চিন্তার জগতটাকে নিজেদের পকেটে নেয়ার অপচিন্তা নাই বা করেন আপনারা। অনেক তো হলো, সেই কবে রব উঠেছিলো কাদের যেন, "রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার"। এবার না হয় আপনার সত্যি সত্যি অবসর নেন, এই দেশটাকে নতুন প্রজন্মকে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে দেন।

হয় তুমি ডান
অথবা বাম
লীগ, দল না হয় শিবির করো?
তুমি দলহীন, নিরপেক্ষ
হাসাইও না, মশকরা করো?

কাদের পক্ষে কথা বলো
কাদের সাথে আতাত?
মানুষ তুমি, তাই তো তোমার
থাকতেই হবে জাতপাত।

নিরপেক্ষ, স্বাধীনচেতা
বিহঙ্গের মত মুক্ত,
এদেশে এমন হতে চাওয়া যে
বড্ড বেশি শক্ত।


খুব বেশী করে চাই, এবার না হয় বন্ধ হোক এই গান। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পরে কেন আমরা নিজেদের মত করে নিজের মতামত রাখতে পারবো না। নিজের অধিকার নিজেরা বুঝে নিতে পারবো না। কেন নিজেরদের কষ্টে উপার্জন করা টাকা লুটেরারা নিয়ে যাবে পাচার করে। কেন ছাপোষা আমি বাজারে গিয়ে হিমশিম খাবো পরিবারের জন্য চারটা দানাপানি'র ব্যবস্থা করতে। অনেক হয়েছে, আর নয়। এবার আমাদের মাফ করেন, নিজেরাও শান্তিতে থাকুন, আমাদেরও একটু শান্তিতে থাকতে দিন। আর আমার মত সাধারণ মানুষকে বলছি, আমাদের দোষেই আজ দেশের এই অবস্থা। মানতে কষ্ট হলেও এটাই সত্য। আমাদের স্বভাব নিজের চিন্তা চেতনা স্বাতন্ত্র্যতা বিলীন করে দিয়ে দলের পেছনে অন্ধের মত ছুটে নিজেদের মধ্যে ফ্যাসাদ লড়াই শুরু করা। আবাহনী-মোহামেডান, ভারত-পাকিস্তান, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা হতে শুরু করে বিএনপি-আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে সাকিব-তামিম, বুবলি-অপু, লায়লা-মামুন কোন কিছু বাদ নেই যেখানে বেশীরভাগ মানুষ নিজের কোন ইস্যু না থাকলেও তা নিয়ে অযথা বিবাদে লিপ্ত হবে। অথচ নিজের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব, অধিকার, সম্মান এর বিষয়ে বেশীরভাগ আমরা সাধারণ মানুষ নির্লিপ্ত, মুখে কুলুপ এটে, দরজায় খিল এটে বসে থাকতে পছন্দ করি। আর এই স্বভাবের কারণেই স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী পেড়িয়ে গেলেও আমরা পরাধীনতার সেই বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছিলাম। নতুন এই "অস্থির প্রজন্ম" র হাত ধরেই হয়তো মুক্ত হবে দাসত্বের শৃঙ্খলে বন্দী আমাদের উট পাখির চিন্তা চেতনা।

"আমি কোন ডান, বাম, জামাতি বা সুশীল নই
বাংলাদেশকে ভালবাসি, দেশের হয়েই বেঁচে রই
আমার জীবনের নিশ্চয়তা চাই,
আমাদের জীবনের নিশ্চয়তা চাই।
আর নয় রক্ত, আর নয় লাশ,
মুক্ত বাংলাদেশে নিতে চাই মুক্ত নিঃশ্বাস।
"

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৪

নতুন বলেছেন: কেন আমাদের দেশের জনগনের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে রাজনিতিক দলের দাস বানায় জনগনকে?

যারা আপনার এলাকাতে আপনার ভোট দিয়েছে তারা আপনারই প্রতিবেশি। আয়ামীলীগের পোলাপাইন এমনটা করেছে, বিএনপি আসলে এমনটাই হবে।

এই চক্র থেকে বেরুনোর পথ কি?

দেশে সভ্যবিশ্বের মতন কবে আমাদের দেশের জনগনের ভোটের ভয়ে রাজনিতিকরা ভালো হয়ে চলবে ?

২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৩১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমি ইচ্ছে করেই এই পোস্টের মন্তব্যর প্রতিত্তোরে কিছু বলি নাই তখন। গত তিন সপ্তাহের মাঝে অনেক কিছুই ঘটে গেছে। আর মানুষের মন মানসিকতার আরও ব্যাপকতর প্রকাশ দেখাই যাচ্ছে। আনসার থেকে রিকশাওয়ালার নাটক, দরবেশ থেকে কালো মানিক এর গ্রেফতার..

আমাদের দেশের জনগনের ভোটের ভয়ে রাজনিতিকরা ভালো হয়ে চলবে ? উত্তরে বলবো, যেদিন থেকে জনগণের মনমানসিকতায় সার্বিক পরিবর্তন আসবে।

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:১১

শায়মা বলেছেন: তারুন্য এমনই। পাবজীতে মুখ ডুবিয়ে থাকুক আর নেট এডিকশনে মেতে থাকুক....... তারুন্যের ধর্ম জেগে ওঠা...... ঘুমিয়ে থাকলেও জেগে ওঠা .......

এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়

এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়

মিছিলের সব হাত/কণ্ঠ/পা এক নয়।

সেখানে সংসারী থাকে, সংসার বিরাগী থাকে,

কেউ আসে রাজপথে সাজাতে সংসার।

কেউ আসে জ্বালিয়ে বা জ্বালাতে সংসার

শাশ্বত শান্তির যারা তারাও যুদ্ধে আসে

অবশ্য আসতে হয় মাঝে মধ্যে

অস্তিত্বের প্রগাঢ় আহ্বানে,

কেউ আবার যুদ্ধবাজ হয়ে যায় মোহরের প্রিয় প্রলোভনে

কোনো কোনো প্রেম আছে প্রেমিককে খুনী হতে হয়।

যদি কেউ ভালোবেসে খুনী হতে চান

তাই হয়ে যান

উৎকৃষ্ট সময় কিন্তু আজ বয়ে যায়।

এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়

এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।

২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:১৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: যুদ্ধ শেষে অর্জিত বিজয় ফলপ্রসূ করার গুরু দায়িত্ব কতটুকু সফলতার সাথে করতে পারে সকল প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে; সেটাই এখন দেখার বিষয়।

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:২৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চলছে গুজব কানে কানে
কারা নাকি চলে গেছে ইয়াহিয়া খানের মতো
তিনিও যে একদিন দিয়েছিলেন মিথ্যা আশ্বাস
তার পর এদেশে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিয়ে চলে গেছেন নীরবে
রাতের আঁধারে গোপনে ।
দেশে যেন এখন গৃহযুদ্ধ অত্যাসন্ন যুদ্ধ হবে সত্য এবং মিথ্যার
যারা সন্ত্রাসী মাফিয়া মহা দূর্নীতিবাজ
তারা না কি চলে গেছে সম্পদের পাহাড় লুট করে
দেশ ছেড়ে গতরাতে বিমানে।

নির্বিচারে গণহত্যা গুম খুন রাহাজানি ধর্ষণ করে
দেশটাকে শেষ করে দিয়ে তারা নাকি চলে গেছে।

এদিকে চাটুকার চেটে যায় গুইবলসীয় কায়দায়
পাপের খেসারত দিতে হবে এখন ও বুঝে না
তাই দেশের মানুষ কে বিভ্রান্ত করে চলে।

যাদের হাতে ছিল পরশপাথর যাদের আশীর্বাদে
রাজাকার পেয়ে যেত মুক্তি যোদ্ধার সনদ;
অভিশাপে মুক্তিযোদ্ধারা হারাতো মান সম্মান সম্ভ্রম কিংবা হয়ে যেত রাজাকার।

দেশের বারোটা বাজিয়ে তারা নাকি চলে গেছে কজন।

অতীত থেকে নেয়নি শিক্ষা তারা লোভে পড়ে পচে গেছে নষ্ট কীটের মতো
তারা এখন ও নস্যাৎ করার হীন প্রচেষ্টায় রাতকে করছে দিন ।

স্বৈরাচারের মসনদ রক্ষার প্রত্যয়ে এখনও তারা সক্রিয় ।

ক্ষুব্ধ স্রষ্টার অভিশাপে ধ্বংস অনিবার্য জেনে ও পাপের পাহাড় বাড়িয়ে চলছে প্রতিদিন।
তাদের সাথে মিলে যায় আইয়ুব খান ইয়াহিয়া খানের চরিত্র তাদের মায়াকান্না মানুষ বুঝে গেছে
গণহত্যার পর তারা এখন সবচেয়ে ঘৃণিত
মায়াকান্নায় হয় না কাজ এখন আর।

কারা নাকি রাতের আঁধারে চলে গেছে
নির্বিচারে এদেশের নিরীহ মানুষের উপর গুলি করে হত্যা করে তারা নাকি চলে গেছে গোপনে।
যারা এদেশের নিষ্পাপ শিশু ও তারুণ্যের জীবনকে ভাবে শিয়াল আর শকুনের খাদ্য যারা বিটিভি ভবন মেট্রোরেল ভেঙে ধামাচাপা দিতে চায় শত প্রাণ গণহত্যার দায়ভার
তারা নাকি চলে গেছে গতরাতে গোপনে...

২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৫৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কবি ভাই আপনি দুইদিন আগেই কিভাবে টের পেয়ে গেলেন?

কারা নাকি রাতের আঁধারে চলে গেছে
নির্বিচারে এদেশের নিরীহ মানুষের উপর গুলি করে হত্যা করে তারা নাকি চলে গেছে গোপনে।
যারা এদেশের নিষ্পাপ শিশু ও তারুণ্যের জীবনকে ভাবে শিয়াল আর শকুনের খাদ্য যারা বিটিভি ভবন মেট্রোরেল ভেঙে ধামাচাপা দিতে চায় শত প্রাণ গণহত্যার দায়ভার
তারা নাকি চলে গেছে গতরাতে গোপনে...


যদিও তারা চলে গিয়েছিলো দিনের আলোতে, ভর দুপুরে...

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:১৯

কামাল১৮ বলেছেন: অনক কিছুই বললেন আসল কথাটাই বললেন না।মুক্তচিন্তার চর্চা বন্ধ করে মৌলবাদের সুজোগ করে দিয়ছ এই সরকার।তারই ফল আজকের এই আন্দোলন।নতৃত্বে আছে মৌলবাদিরা।ছাত্র নেতাদের অনেকেই শিবিরের কর্মী।

২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:০২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: দেশটা যেহেতু সকলের, দেশের সকল জনগনের; তাই দেশে সকল ধরনের মতাদর্শের সহনশীল একটা পরিবেশ কাম্য। আপনার চিন্তাধারায় হয়তো মুক্তচিন্তার চর্চা বন্ধ হয়ে মৌলবাদের উত্থান ঘটেছে; অন্য অনেকের মতে হয়তো এর বিপরীতটাও হতে পারে। আমার লেখায় আমি আমার দেখা বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে কথা বলেছি যেখানে শুধু আমার অভিজ্ঞতার কিছুটা শেয়ার করেছি। এর বাইরে বিশাল পরিসর রয়ে গেছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে গত ত্রিশ পয়ত্রিশ বছরে।

আপনার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সবসময়।

৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:২০

কামাল১৮ বলেছেন: দিয়েছে হবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.