নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই মুহুর্তে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রয়োজন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ

১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৫৩



চাল ৫০-৭০ টাকা কেজি
সয়াবিন তেল ১৫০-১৬০ টাকা কেজি
আলু ৫০-৬০ টাকা কেজি
পেঁয়াজ ১৩০-১৪০ টাকা কেজি
কাঁচামরিচ ২২০-২৩০ টাকা কেজি
লবন ৪০-৪৫ টাকা কেজি

৪ জন মানুষের একটা পরিবার তিনবেলা খাবারে আলুভর্তা ডাল দিয়ে ভাত খেতে চাইলেও দৈনিক ৫০০ টাকায় কুলায় না। এদিকে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর পরিবারে মাসিক আয় ২০,০০০ টাকার নীচে। তাই এই মুহুর্তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আর্থিক সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ করে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরা প্রয়োজন। এরচাইতে বড় কোন করণীয় এই মুহুর্তে নেই বলে মনে করি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বা বিবিএসের তথ্য পর্যালোচনা ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) নিজেদের উদ্যোগে সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে করা সাম্প্রতিক এক জরিপ থেকে জানা যায়, খাদ্য মূল্যস্ফীতি চলতি বছর রেকর্ড ১৫ শতাংশে পৌঁছেছে।

অন্যদিকে, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ-সিপিডির তথ্যমতে, দেশে গত পাঁচ বছরে শুধু ভোগ্যপণ্যের দাম ৩১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।


সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি আর অতিরিক্ত মুনাফা'র বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান এবং কার্যকর বাস্তবসম্মত বাজার মনিটরিং করে দ্রব্যমূল্য অচিরেই যৌক্তিক সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে পণ্য বিক্রয় নিশ্চিত করাটা মূল ফোকাসে থাকা উচিত। দায়িত্ব প্রাপ্তরা দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন আশা করি।

আমার এক বন্ধু আমার এই লেখার প্রেক্ষিতে বললো, "শুধু আমাদের দেশে দ্রব্যমূল্য বেশি না। সারা পৃথিবীতে এই অস্থিরতা চলিতেছে। জাহা কন্ট্রোল করা খুবই দুষ্কর।

আমার উত্তর পরিষ্কার, সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি, মুদ্রার বিনিময় হারের পতন রোধ, অযৌক্তিক মুনাফা রোধ, কঠোর বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং কেন্দ্রীয়ভাবে পণ্য বিপনন পলিসি মেকিং এবং যথাযথ প্রয়োগে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমপক্ষে ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশ কাস্টমস এর ডেটাবেস থেকে আমদানিকৃত পণ্যের মোট খরচের সাথে খুচরা বাজার মূল্যের তফাত পর্যালোচনা করলেই অনেক শুভংকরের ফাঁকি বের হয়ে আসবে।

জীবনযাত্রার মৌলিক প্রয়োজনগুলোকে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে না আনতে পারলে সবকিছুই বৃথা যাবে দিনশেষে।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৪৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সহমত পোষণ করছি।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৩৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গত ১০ দিনেও তেমন কোন উন্নতি চোখে পড়লো কই?
ডিমের হালি ৬০ টাকা ছুইছুই।

গোঁদের উপর বিষ ফোঁড়া হয়ে নেমে এসেছে আকস্মিক বন্যা... :(

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

রাসেল বলেছেন: সহমত সহমত, সহমত পোষণ করছি। কিন্তু দেশ ও সাধারণ জনগণকে ভালোবেসে নিষ্পাপ আমলা,ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ এবং সর্বোপরি চাঁদাবাজরা সহমত পোষণ করবে না।

২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:২৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: যাদের কথা উল্লেখ করলেন, তারা কিন্তু আমাদের আপামর জনতারই অংশ। সাম্প্রতিক বন্যায় বোতলজাত পানি, চিড়া, গুড় সহ শুকনো খাবারের দাম একরাতে বৃদ্ধি কিন্তু আমাদের সমাজের গোপন চেহারাটাই তুলে ধরে।

আমার মনে হয় আমাদের বেশীরভাগ মানুষই সুযোগের অভাবে সৎ

৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:২৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আলুর দাম ষাট টাকা কি ভাবে হয় এটা জাতি জানতে চাই।

২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:০১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বাজার সিন্ডিকেট দূর করতে প্রয়োজন কঠোর বাজার মনিটরিং এবং সাথে চাঁদাবাজি, মধ্যসত্বভোগী নির্মূল করা। কিন্তু ভোট ব্যাংক আর দলীয় ফান্ড শক্ত করতে কোন দলীয় সরকারই এই কাজগুলো কখনো ঠিকমতো করে আসে নাই। বন্যার দ্বিতীয় দিনেই চিড়া, মুড়ি, গুড় সহ সকল শুকনো খাবারের দাম হুট করে বেড়ে গেল... এই হচ্ছে ব্যবসায়ীদের মন মানসিকতা। তাই আলুর দাম ষাট টাকা কেন একশত টাকা হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কাঁচামরিচ এর কেজি তিনশত টাকা ছুঁয়েছে, ডিমের হালি ষাট টাকার কাছাকাছি।

৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৩৬

করুণাধারা বলেছেন: গত মাসে একটা খবর দেখলাম, ৩৩ বছর পর রেশনের খাবারের দাম বেড়েছে আট গুণ। খবরটা পড়ে অবাক হলাম, জুন মাস পর্যন্ত ১০ সংস্থায় চাকুরী করা মানুষেরা ১.০৯ টাকা কেজি দরে ৩৫ কেজি চাল, ২.১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি আটা পাচ্ছিলেন। বর্তমানে এই চাল এবং আটার দাম যথাক্রমে ১০ টাকা এবং ১২ টাকা প্রতি কেজি। এছাড়া এরা রেশনে পান তিন কেজি চিনি কেজিপ্রতি ৫ টাকা, ৮ কেজি সয়াবিন তেল কেজি প্রতি দুই টাকা ৩০ পয়সা দরে, ৮ কেজি মসুর ডাল এক টাকা বিশ পয়সা কেজি দরে।

view this link

খবর থেকে উদ্ধৃতি দিলাম:
"বর্তমানে সরকারের মোট ১০টি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রেশন সুবিধা পেয়ে থাকেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর (এনএসআই), সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ (সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী), বাংলাদেশ পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার এবং গ্রাম প্রতিরক্ষা অধিদপ্তর, দুর্নীতি দমন কমিশন, কারা অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

সংস্থাভেদে চার সদস্যের একটি পরিবার প্রতিমাসে ১.০৯ টাকা থেকে ১.৮০ টাকা দরে ৩৫ কেজি চাল ও ৩০ কেজি করে আটা পেয়ে থাকে। এছাড়া, প্রায় ৩ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চিনি, ১.২০ টাকা দরে ৮ কেজি মসুর ডাল এবং ২.৩০ টাকা দরে ৮ লিটার সয়াবিন তেল পায়। বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা বর্তমানে ১.২০ টাকা কেজি দরে চাল ও আটা পাচ্ছেন।"

খুবই বৈষম্যময় খাদ্য ব্যবস্থা!

২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:১১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সরকারী সুবিধা, রেশন এসব তো আজ নতুন নয়। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময় থেকে এই নিয়ম চলে আসছে। টিসিবি'র খাদ্য বিতরণ ট্রাক হতেও বাজার দরের চাইতে কম মূল্যে খাদ্য বিতরণ হয়। কিন্তু আমরা পোস্টের মূল ফোকাস অন্য জায়গায়। প্রতিটি পণ্যের উৎপাদন খরচ অথবা আমদানী খরচ সুচারুভাবে মনিটরিং করে প্রফিট মার্জিন লিমিটেড করে মধ্যসত্ত্বাভোগী বিলোপের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারমূল্য অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব। কিন্তু এই জায়গার সরকারী কার্যকর কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ে না। যা কার্যক্রম দেখি, সেগুলো আইওয়াশ ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। স্বাভাবিকভাবে ইনফ্লেশন, টাইম ভেল্যু অফ মানি সহ অন্যান্য ইকোনমিক ফ্যাক্টর বিবেচনার দশ বছর আগের চাইতে বর্তমানে যে কোন পণ্যের মূল্যই বাড়বে অনেকটা। কিন্তু সেটা কতটুকু, কতটুকু হলে গ্রহণযোগ্য হবে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে তা বিবেচনা করে শক্ত সরকারী মনিটরিং দরকার।

আর খাদ্য ব্যবস্থায় কিছুটা বৈষম্য থাকবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসমূহের মূল্য অতি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নিয়ন্ত্রণে রাখাটা সরকারেরই গুরুদায়িত্ব।

৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৪৭

স্বাধীন বাংলার পরাধীনতা বলেছেন: নির্বাচিত সরকার ছাড়া সম্ভব নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.