নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্যথার মৃত্যু নেই, ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে।

স্ব জীব (হাসান মেহেদী)

বেদে পাড়ার সাপ গুলো হাঁটতে জানে।ওখানে মানুষের চেয়ে সাপ বেশি।দুঃখও খুব সস্তা।পালতোলা নৌকা,নৌকা ভর্তী দুঃখ,সেই নৌকা তীর খোজে।নৌকায় চুলা সমেত ভাতের হাড়ি। মানুষগুলোর শরীরে সাপের সুগন্ধি। মানুষ না,ওরা বেদুঈন ওরা সাপ।কয়েকটা সাপ গান গায়,আমার হিংসে হয়।

স্ব জীব (হাসান মেহেদী) › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেম- দুর্ভেদ্যতা

১৬ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

সন্তানের মুখে স্তন গুঁজে দিয়ে শুয়ে আছে মিলি।হৃদয়ে শুনশান নীরবতা।বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে।ঝুম বৃষ্টি।জানালা খোলা।জানালা পেরুলেই ঘন পাহাড়ি জঙ্গল।জঙ্গলের কোল ঘেষে পাহাড়ি ঝর্ণা।বিকেলবেলা মিলি দাড়িয়ে থাকে জানালায়।ঝর্ণায় বৃষ্টির রিনিঝিনি শব্দ খোজে।বৃষ্টি খুব ভালো লাগে মিলির।বৃষ্টি এলে সংসারের পিছুটান ভুলে যায় সে।খিটখিটে মেজাজ এক নিমেষে উধাও হয়ে যায়।একটা কালো বিড়াল দরজার নিচ দিয়ে ঘরে ঢুকলো।মিলির ভয় করছে।তবুও তাকিয়ে আছে বিড়ালের দিকে।
পাহাড়ি পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার নিতাই ঘোষ।নিতাই দা নামে পরিচিত।কেউ কেউ কেউ মাস্টার মশাই বলে। ছোট বড় সবাই শ্রদ্ধা করে।বয়েস চল্লিশের কোঠায়।এক মাত্র সন্তানের বয়স একবছর ছয় মাস।নাম বৃষ্টি।মিলি বৃষ্টি ভালোবাসে। তাই মেয়ের নাম রেখেছে বৃষ্টি। মিলি নিতাইয়ের বউ।বউকে খুব ভালোবাসে নিতাই। জাত-ধর্ম ছেড়ে, বয়েসের বাধা ঢিঙিয়ে ঘর ছেড়ে মেয়েটা তার কাছে এসেছে শুধুমাত্র ভালোবাসার কারণে।এই ঋণ কিছুতেই শোধ হবার নয়।নিতাই ছাতা মাথায় হাটছে।সেই সন্ধ্যে থেকে অবিরাম বৃষ্টি। মিলির কথা ভাবতে ভাবতে নিতাই উঠোনে এসে দাড়ায়।মিলির হাতে লাগানো, হাসনাহেনা ফুলের সুভাস পুরো উঠোন জুড়ে।কয়েকটা ফুল হাতে নিয়ে নিতাই দরজায় কড়া নাড়ে।নিতাই ডাকে-বউ!বউরে...।
মিলি দরজা খুলে দেয়।নিতাই হাতে রাখা ফুল গুলো বাড়িয়ে দেয়।মিলির মায়াবী চেহারা উজ্জল হয়ে উঠে।ফুল গুলো হাতে নিয়ে জড়িয়ে ধরে নিতাইকে।বাতাসের জাপটায় কেরোসিনের কুপিটা নিভে যায়।আধবুড়ো নিতাইয়ের মাঝে সুখ খুজে পায় মিলি।মাথা উঁচু করে চুমু খায় নিতাইয়ের ঠোঁটে।অন্ধকার ছাড়া যেই চুমুর স্বাক্ষি আর কেউ নেই।

২৬ ফেব্রুয়ারি,২০১৫।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.