![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেদে পাড়ার সাপ গুলো হাঁটতে জানে।ওখানে মানুষের চেয়ে সাপ বেশি।দুঃখও খুব সস্তা।পালতোলা নৌকা,নৌকা ভর্তী দুঃখ,সেই নৌকা তীর খোজে।নৌকায় চুলা সমেত ভাতের হাড়ি। মানুষগুলোর শরীরে সাপের সুগন্ধি। মানুষ না,ওরা বেদুঈন ওরা সাপ।কয়েকটা সাপ গান গায়,আমার হিংসে হয়।
»»
Jan 12 ·
ছায়া নেমে আসে,
সুখের রঙটা ঘোলাটে,
সে অন্য পথে হাঁটে,
থাক সেসব...
ধূলোমাখা চিঠিটা আগুনের ছোঁয়া পেতেই ছাই হয়ে গেলো,জীবন্ত অনুভূতির মৃত্যু...
»»
যদি দূরে উড়ন্ত ক্ষুদ্রবিন্দু চিল দেখে অবাক হও,
যদি কাশবনের আকাশে শাদা মেঘের ভেসে যাওয়ায় চোখ স্থির হয়ে থাকে।
যদি ঝুম বৃষ্টিতে তোমার খুব ভিজতে ইচ্ছে করে,
যদি জোৎস্নায় তুমি হেটে যেতে থাকো দূর থেকে দূরে বেখেয়ালী ভাবে...
তবে তুমি মোহগ্রস্থ,
এই মোহ কোনো নারীর প্রতি না,
এই মোহ অডেল অর্থের প্রতি না,
এই মোহ নোংড়া যৌনতার প্রতি না,
এই মোহ অন্য সব জরাগ্রস্থ মোহ নয়।
এটা প্রেমের মোহ,
যোগ্যতা-অযোগ্যতার বালাই এখানে নেই,
চাওয়া-পাওয়া আর বিনিময়ের হিসেব নিকেষ এখানে হয় না।
এটা প্রেম,প্রকৃত প্রেম,প্রকৃতির প্রেম।
হৃদয় আর মস্তিষ্কের মোহাবৃত প্রেম তোমার চোখে লেগে আছে,
ইশ,যদি চোখে দেখতে পেতাম!
Jan 20
»»
বিকেলের রোদে ক্রিকেট খেলে সন্ধার পর ছেলে বাড়ি পিরবে-একটা সময় বাবা-মা এটা মেনে নিতে পারত না।
কিন্তু এখন বাবা-মা সপ্ন দেখতে শিখে গেছে।
তাদের ছেলে ব্যাট হাতে অথবা বল করার জন্যে দৌড়ে আসছে আর কোটি কোটি চোখ তা মুগ্ধ হয়ে দেখছে-এই ছবি গুলো এখন বাবা-মা খুব সহজেই এঁকে নিতে পারে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন ১৬ কোটি হৃদয়ের সপ্ন আর ভারত,অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের জন্য ত্রাশ।বাংলাদেশ ক্রিকেটের টেষ্ট স্ট্যাটাস কেড়ে নিতে মরিয়া এই তিনটি দল।
ইশশ,বাংলাদেশে আমন্ত্রন জানিয়ে যদি এই বদের হাড্ডি গুলারে হোয়াইট ওয়াশ করা যেত।
Jan 27 · Edited
»»
হাতের সিগারেটটা পেলে দেয় অমল।বড় রাস্তার দুপাশে চোখ বুলায়।সন্ধ্যা নেমে আসছে। মানুষজন তেমন নেই।যেই দেয়ালটার সামনে সে দাড়িয়ে ব্যাচেলরদের রুমমেট আবশ্যক টু-লেটে তা পুরোপুরি ঠাশা।
'পড়াতে চাই' উল্লেখ করেও কয়েকটি কাগজের টুকরো দূরত্ব বজায় রেখে এখানে-ওখানে লাগানো।তার নিচে ফোন নাম্বার দেয়া।
অমল মৃদু হাসে।পকেট থেকে কলম বাহির করে।ঐ নাম্বারটার নিচে তার নিজের নাম্বারটাও লিখে দিবে এই ভেবে।পকেটের যে আকাল পড়েছে ঐ ধরনের রঙ-চঙে পোষ্টার তৈরি করার মত টাকাও তার কাছে নেই।পিছন থেকে বাচ্চা কন্ঠে কে যেন ডাকলো-
:-ভাইজান?
অমল পিছনে তাকায়।ছোট একটা মেয়ে।গায়ে হালকা জামা।খালি পা।মাথার চুল গুলো অযত্নে প্যাকাশে হয়ে আছে।গায়ের রঙটাও মলিন হয়ে যাচ্ছে দিন দিন।কনকনে শীত চারপাশে।
:-দুইটা টা দেন।কিছু খামু।
:---কি খাবি?
:-পেয়াজু খামু।
:---দাড়া।
অমল পাশের পেয়াজু দোকানে যায়।মানি ব্যাগ বের করে পাঁচ টাকার নড়বড়ে নোট টা শেষ বারের জন্য দেখে নেয়।একমাত্র যেই নোটটা গত দু দিন সাথে নিয়ে বয়ে বেড়াচ্ছে সে।
চার টাকায় দুটো পেয়াজু কিনে।হেটে গিয়ে পেয়াজু আর তার সাথে বেচে যাওয়া ১ টাকার কয়েনটি মেয়েটির হাতে দেয়।তারপর হাটা শুরু করে অমল।বাসায় যেতে হবে।
কিছুদূর যেতেই মেয়েটি ডাকদিল।
:-ভাইজান।
অমল পিছন পিরল।মেয়েটা আস্তে আস্তে হেটে এসে,এক টাকার কয়েনটা আর একটা পেয়াজু অমলের হাতে দিয়ে ছোট ছোট পায়ে হেটে চলে গেলো।
ল্যামপোষ্টের আলোয় কিছুক্ষন দাড়িয়ে থেকে ভিড়ের মাঝে মেয়েটির হারিয়ে যাওয়া দেখল অমল।অমলের গাল ভর্তি পেয়াজু।আর চোখ ভর্তি পানি।পেয়াজুর আদলে ছোট বোনের অকৃত্তিম ভালোবাসা চিবুচ্চে সে।তার প্রচন্ড ক্ষিদে পেয়েছে।কিন্তু পেয়াজুটা গলা দিয়ে নামছে না।দলা পেকে যাচ্ছে।ভালোবাসার কি অদ্ভুত ক্ষমতা।
অমল হাটা শুরু করল।চোখ ভর্তি জল নিয়ে আর কতক্ষণ দাড়িয়ে থাকবে সে...
Jan 30
»»
Feb 7 ·
রাত তার কষ্টের কথা বলে,
রাত্রি ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদে,
কষ্ট আর অশ্রু অন্ধকারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে...
»»
16 feb.
বেলকনিতে ঝোৎস্না নেই…বহুদিন হলো জোৎস্নায় বসি না,হাঁটাও হয় না…
উল্টো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি…বৃষ্টির ঘ্রাণে মাদকতা…ল্যামপোষ্টের আলো…সেই আলোয় রাস্তায় জমে থাকা পানির ওপর বৃষ্টির ফোটা নেচে নেচে উঠে...
চারপাশে বেশ অন্ধকার…অন্ধকার মানে দুঃখ আর দুঃখ মানে বোবা কান্না…যা হাতের তালুতে মুছে পেলতে হয়...কাউকে দেখাতে হয় না।
»»
feb 22
ট্রেনের শব্দ করে ছুটে চলা শুনি,দূর থেকে...
এরপর,এরপর নিশ্চুপ সব কিছু…
দেওয়াল ঘড়ির কাঁটা টিক-টিক করে যায়,
পেন্ডুলামটা শব্দ করে বলে দেয় ২টা বাজে…টেবিল ল্যাম্পটা অপ করি...
তেল চিতচিতে বালিশটায় মাথা রাখি...ঠোঁটের কোনে হাসি,সে হাসি কেউ দেখে না…
শুধু দেখি আমি আর দেখে অন্ধকার...
ঘড়ির কাঁটা তখনও টিক-টিক করে যায়…সময়ের দৌড়ে পাল্লা দেওয়া হয় না কখনো….
»»
Feb 25 ·
মেরীদের উঠোনে কৃষ্ণচূড়া…সে দিকে তাকালে আর ঋতুর হিসেব করতে হয় না,সন্ধের আলোয় কৃষ্ণচূড়ার ফুলগুলোয় কেমন যেন ভিন্নতা আসে…মনে হয় মেয়েটা খোঁপায় ফুল গেঁথে এদিকে তাকিয়ে আছে,তার ঠোঁটে হাসি...
না...বছর তিনেক ধরে পাশের কবরে শুয়ে শুয়ে কৃষ্ণচূড়ার রূপ দেখে সে...
সোজা রাস্তা,দু-ধারে ঝাউ গাছ…সন্ধে নামলে বাতাস বেড়ে যায়,তখন ঝাউ পাতা অদ্ভুত শব্দ তোলে...কেমন যেনো হাটতে ভালো লাগে তখন…পিছনে তাকাতে ইচ্ছে হয় না…মনে হয় শুধু হেটে-হেটেই জীবনটা পার করে দেয়া যেতে পারে...দূরে কেউ গান গাইছে,বাতাসে গানের সুর…তারও দূরে কোথাও কূপি জ্বলছে…সব কিছুই অনেক দূরে…
নক্ষত্রের আলো,সেই আলোয় হাটছি...দূরে-বহুদূরে...
»»
Feb 26
গতকাল দেখেছি এইদেশের মানুষের পাকিস্তান প্রেম,
আজ দেখবো এই দেশের মানুষের ভারত প্রেম...
পৃথিবীর অন্য কোনো রাষ্ট্রে এমন পরদেশী প্রেমী আছে কি না,জানা নেই…!
একজন বলেছিলো,
পাকিস্তান আমাদের জন্ম শত্রু…আর ভারত আমাদের জাত শত্রু...
অন্য একজন বলেছিলো,
"যে জন বঙ্গেতে জন্মে সাপোর্টার হয় পাকিস্তানি কিংবা হিন্দুস্থানি, সে জন কাহার জন্ম,নির্ণয় ন জানি"
বাংলাদেশে অবস্থানরত সকল ভারত ও পাকিস্তান প্রেমীর শুভ বুদ্ধির উদয় হোক...
বাংলাদেশ আজ জিতবে-এটাই প্রত্যাশা।
হারলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের সাথেই আছি…
»»
Mar 05
অনেক যাত্রী ট্রেনে,
আমি যার পাশে হাটু ভেঙে বসে আছি তার নাম দুলাল,
আমার সহযাত্রী...
দুলালের নির্দিষ্ট সিট নেই,আমারও।
ট্রেনের জানালায় গভীর রাত...
দুলালের পরনে ময়াল পেন্ট আর হাফ শার্ট...পায়ে জুতো নেই,বয়স ১৩ তে আটকে আছে…শ্যাম বর্ণ।।
সে ব্রামনবাড়িয়ার কসবায় যাচ্ছে,নিজের ঘরে।
বেকারীতে চাকরি করে তিন বছর,
বেকারীওয়ালা আর তাকে মারতে পারবে না,
দুলাল বেকারী ছেড়ে পালিয়েছে...
- দুলাল,তুই কি গরীব?
---হ.
-তোরে গরীব বানাইছে কে?
---আল্লা.
-আল্লাহর ওপর রাগ হয় না,আল্লাহ যে তোরে গরীব বানাইছে?
---না.
ছেলেটা তার পরিবারের কথা বলল,অনেকক্ষণ...আস্তে আস্তে দুলালের পরিবার আমার আপন হয়ে উঠল…
কথা শেষ না হতেই ট্রেন থামল...
--ভাই ব্রামন বাড়িয়া আইছে আমি যাই,
মাথায় হাত বুলিয়ে দিলাম,ছেলেটা চোখ ভরা পানি নিয়ে চলে গেলো,আমারটা দেখে গেলো না...
»»
Mar 7 ·
নীল জলরাশী,
আমি এবং আমরা...
সেন্টমার্টিনে…
»»
Mar 9
অস্তাচলে সূর্য বিশ্রামে যায়,
গোধূলীর সময়টায় সবাই নেশাগ্রস্থ…কেমন যেন ম্লান সবার চেহারা,
তা দেখে সেন্টমার্টিনের রূপও মলিন হয়ে উঠে...
সমুদ্র গোংড়ায়,
কান পেতে থাকি,
জোয়ার এসে পা ধুয়ে দেয়,স্থির হয়ে থাকি,নড়ি না,আস্তে আস্তে জোয়ার বাড়ে,জোয়ারের পানি আশকারা পেয়ে হাঁটু ভিজিয়ে দেয়……
ঐ দূরে কেউ গান গায়,
বাতাসে বিমর্ষ আনন্দ,
পাশ দিয়ে দু-জন প্রিয়জন হাতে হাতে রেখে জোৎস্নায় ভিজে ভিজে হাঁটে …ওদের দেখে-নিঃসঙ্গ সমুদ্রটার চিৎকার বেড়ে যায়...
ওদিকের নারিকেল পাতায় বাতাস লেগে থাকে…তীরের দোকানটায় মাঝ বয়সি ছেলেটা মাছ ভাজে…ঐ দোকানের কুপিটা নিভতে গিয়েও নিভে না…কয়েকটা ছেলে কাঁকড়া চিবোয়…
জিয়াউলের ছোট বোন ছাড়া অন্য কেউ নেই আর মিজানের বাংলা বইয়ের দুটো ছড়া মুখস্ত...
তবুও ওদের অল্প বয়সি হাসি গুলোর সময় সমুদ্র কেন জানি গর্জন করে না...
সমুদ্রের চাপা দুঃখ আছে হয়তো,সেই কারনেই সমুদ্রের বিশালতার সামনে সবাই কেমন জানি হয়ে যায় বিবর্ণ,নিস্তেজ...
গল্প আঁকি,ছবি আঁকি,আঁকি স্বপ্ন আর সুখ-দুঃখের গন্তব্য…ডুবে যাই একাকিত্বের গভিরে,তবুও হাসি লেগে থাকে...এইটুকুইতো অবশিষ্ট…
Mar 9 at 1:23am
»»
Mar 24 · Edited ·
সময় করে একরাতে গল্প শুনব,বৃষ্টি নামবে খুব করে,বাতাসের ঝাপটায় জ্বলন্ত কুপিটা নিভে যাবে,টিনের চালে বৃষ্টিরা ছন্দে মেতে উঠবে,জানালার অন্ধকারে বৃষ্টি দেখবো,গল্প শেষে একসময় পাতলা কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়ব,তলিয়ে যাবো গভীরে,একরাতে ঠিকই গল্প শুনব...
»»
Mar 31
বেদে পাড়ার সাপ গুলো হাঁটতে জানে।ওখানে মানুষের চেয়ে সাপ বেশি।দুঃখও খুব সস্তা।পালতোলা নৌকা,নৌকা ভর্তী দুঃখ,সেই নৌকা তীর খোজে।নৌকায় চুলা সমেত ভাতের হাড়ি।
মানুষগুলোর শরীরে সাপের সুগন্ধি।
মানুষ না,ওরা বেদুঈন ওরা সাপ।কয়েকটা সাপ গান গায়,আমার হিংসে হয়...
»»Apr 3.
আজ পকেট ভরা শূণ্যতা,
হৃদয়ে বড় দৈন্যতা,
শহর আমার গরীব হয়ে গেলো… ♫♫♫
»»Apr 12.
প্রয়োজনে বেঁচে আছি,
প্রয়োজন ফুরোলেই যাবো চলে,
দেখা হবে না।
»»Apr 20 ·
কেমন আছি?
সেটা মুখ্য না।
বেঁচে আছি,সুস্থ আছি...এইতো অনেক।।।
»»Apr 21.
ঠোঁট ভরা লিপিষ্টিক লাগিয়ে এই পাড়ার মেয়ে গুলো ঢং করে হাসে।যৌনতা মিশ্রিত হাসি।হাসির গভিরতায় অন্য গল্প।
যৌনতা বিক্রির দায়ে এই পাড়ার মেয়েদের সবাই বেশ্যা বলে।তবে যে পুরুষ গুলো এই পাড়ায় এসে যৌনতা কিনে তাদের কোনো নাম নেই।তুমি-আমি কেউই তাদের নাম দেই নি।
এখানে পৃথিবীটাই জেল খানা,কান্নার রঙ রক্ত…আর জীবন মানে খেতে হবে,বাঁচতে হবে।জীবন মানে একটা দেহ,চারটা দেয়াল।জীবন মানে অভিশাপ।
জীবন মানে অদৃশ্য দেয়াল,তাদের আর আমাদের মাঝে।.
»»
Apr 28.
অথচ আমারও একটা ঘর আছে।রাত নামলেই সবাই ঘরে ফিরে।নিজের ঘরে ঘুমায়।ঘরের সামনেই উঠোন।সে উঠোনে অন্ধকার আর জোৎস্নার পালাবদল হয়।
পাশেই পুকুর।পুকুর ভর্তি আকাশ।
এখানে ঘর মানে কয়েকটা রুম।উঠোন মানে একটা বারান্দা।সে বারান্দায় এক টুকরো আকাশ,আকাশ পাওয়াটাও ভাগ্য।।পুকুর মানে টাঙ্কি ভরা পানিতে গা ভিজানো।
অথচ আমার পুকুরে ডুবে থাকতে ইচ্ছে হয়।
»»
May 5 ·
শহর ঘুমিয়ে পড়ে,
জেগে থাকাদের চোখের পাতায় আলপিন বিঁধে থাকে,
রাতে কি চিল গুলো ঘরে ফেরে নাকি আকাশে উড়ে...!!!
»»
May 8 ·
সেকেন্ডের কাঁটাটা বিরামহীন ভাবে ছুটছে...
অথচ,মানুষের ব্যস্ততা দেখলে মনে হয় দুশ বছর বাঁচবে...!!!
»»
May 11 ·
জন্মের পর বয়স একটু বাড়তেই ঘর ছাড়তে হয়,
মা-বাবা সন্তান হিসেবে পরিচয় দেয় না কখনো,এই ভূমিতে জন্মেও মানুষ হিসেবে স্বিকৃতী পায় না,সমাজের কাছেও উপহাস্য জন্তু হিসেবে পরিচিত এই 'হিজড়া'রা...
মা দিবসে তাদেরও মা বলে ডাকতে,ইচ্ছে করতেই পারে…অথচ সেই ডাকে সাড়া দেওয়ার মত কেউ নেই...!!!
»»
May 17 ·
এই শহরে একদিন হয়তো জোৎস্না বিক্রি হবে...!!!
»»
May 23.
ডায়রির পাতায় অনেক গুলো রাত জমিয়েছি,
জোৎস্না রাত,বৃষ্টিরাত,জোনাক রাত..
অথচ জোৎস্না,বৃষ্টি,জোনাক কিছুই জমিয়ে রাখতে পারিনি..
শহরে কারফিউ চলবে,
আমি ঠিকই নেমে পড়ব জোৎস্নায়..পকেট ফুরে জোৎস্না ভরে রাখবো,
এ্যাকুরিয়ামে জমিয়ে রাখবো একটুখানি বৃষ্ট,
সাথে গুটিকয়েক জোনাকী...!
নিজের বলতে এটুকুই থাকবে…
»»
May 23 ·
প্রত্যাশার ইটের চাপে বুক ভারি হয়,
সন্ধ্যা নামতেই নিজের ছায়া হারিয়ে ফেলি,
এই সন্ধ্যায় একটুও তাড়া নেই…
ওষ্ঠের ওপরে আর গালের দাড়ি-গোপের নির্বাক তত্ত বুঝিয়ে দেয়,
সময় আমাকে টেনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে...
স্বপ্নের স্রোতে আমি,আমার আমিত্ত্ব,
অথচ,
মায়ের দিব্যি,আমি স্বপ্ন দেখতে চাইনি,
চাইনি বড় হতে...
»»
May 30
এক গ্লাস পানির পুরোটাই আমার জ্বিব স্পর্শ করল,
এতোটাই তৃষ্ণার্ত ছিলাম আমি, স্নায়ুতন্ত্র ...!
বেঁচেতো আছি,
বেঁচে থাকার পুরোটাই কি বেঁচে থাকি!
এটা বেঁচে থাকার স্বরলিপি... বেঁচে থাকার এই প্রেম একদিন লেখা হবে।
June 7
১.
ক্ষিদে না থাকলে মানুষের ছুটে চলা স্তব্দ হয়ে যেতে।
২.
ঘুম ভাঙলেই দেখি বেঁচে আছি।
৩.
মৃতদের ভিড়ে হেঁটে যাই,দেখি বেঁচে থাকার অভিনয়।
জুন ৭,২০১৪।.
»»
Jun 09
1.
গন্ধ পাচ্ছো না!
মৃত স্বপ্নের গন্ধ,
পঁচে যাওয়া হৃদয়ের গন্ধ।
»»
Jun 25
কাঁকড়ার সংসারে কেউ নেই,তোমাদের পিছুটান থাকতে পারে,এখানে কেউ হাসতে জানে না,এদের পৃথিবী পায়ে হাঁটা পথ,রাম বাবু এখনো মরেনি,অথচ শেফালিরা সুখেই থাকে...
»»
Jul 3.
১.
আমি ঋণি,আমাকে সৃষ্টি করা হয়েছিলো।
২.
প্রতিটি 'নিঃশ্বাসই' চলে যাওয়ার দিকে আমাদের ক্ষাণিক ঠেলে দেয়।
৩.
মৃত্যু যদি আমায় নিতে আসে,আমি আরো কিছুদিনের ছুটি চাইবো।
জুলাই ৩,২০১৪।
»»
Jul 3.
পথটা আরো মসৃন হলো।শিখেছেন জীবনের তৃতীয় অধ্যায়।কি করে দূরে সরে যায় রুপবতী।একা পথে বাদাম নিয়ে,একটু বাতাস হলেই গান ধরবেন।বৃষ্টি থেমে গেলে রঙধনু ভেসে উঠে।ভেজা চোখে তাকিয়ে দেখুন,মায়াভরা পৃথিবী তাকিয়ে আছে।
»»
Jul 7.
Dear BCB,
I won't forgive you.
Dear Sakib,
We're sorry.
»»
Jul 12
৫২তে রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নিজস্ব ভাষার 'রক্তে ভেজা বর্ণমালা' নিয়ে এদেশের মানুষ 'রক্তাক্ত ফিলিস্তিনির' পাশে দাড়িয়েছে... বাহ্!
»»
Jul 19.
তোর হইবে মেঘের উপরে বাসা... ♫♫
»»
July 25
সমস্ত অপেক্ষার পালা শেষ করে যেদিন মানুষ হবো,সেদিন তোমাদের সাথে এক দীর্ঘ নদীর দূরত্ব সৃষ্টি হবে।
ঐপাড়ে সভ্যতার অশ্রুহীন কান্নার আর্তনাদ,এপাড়ের সবার ভেতরে মানুষ হওয়ার মৌন গল্প-যার কোনো শ্রোতা নেই।
জুলাই ২৫,২০১৪।
»»
Aug08
১.
রাত না থাকলে এক অচেনা অপ্রাপ্তি নিয়েই সবার জীবনের সূর্য অস্তমিত হতো,অথচ রাতের নিজস্ব কোনো গল্প নেই,হয়তো অন্ধকারের চেয়েও বড় শিল্পকর্ম স্রষ্টা এঁকেছেন।
২.
পথের চেয়ে দৃশ্যমান নিঃস্ব কিছুর অস্তিত্ত চোখে পড়ে নি,পরিচিতদের মাঝে জীবন নেই,আছে মনোমালিন্য হওয়ার মত অজস্র শব্দ।
৩.
একদিন যাদের সাথে দেখা হয়েছিল কিংবা বহুদিন যাদের সাথে দেখা নেই,এছাড়া যাদের সাথে কোনোদিন দেখা হবে না--ইশ্!!! তাদের জীবনের গল্পকার অন্য কেউ হবে।
৪.
যারা রাত বাড়লেই জীবনের জুয়ার হিসেব মেলাতে বসে অথচ কোনোদিন তা মেলাতে পারেনা,শেষমেষ জীবনের ব্যাকরণ জটিল বলে নিঃশব্দে দীর্ঘশ্বাস ফেলে,তাদের ভেতরের হাহাকার মধ্যরাতের সংবাদপত্রে চাপা হবে,একদিন।।
অগাস্ট ০৮,২০১৪.
»»
Aug 19
৪০৮ নাম্বার কয়েদী বহু বর্ষায় গা ভেজায়নি বৃষ্টিতে,দেখেনি ক্ষেতের পানির সাথে প্রতিযোগীতা করে শাপলার বেড়ে উঠা,কদম ফুলে চারপাশটা কেমন দেখায়, কচুপাতায় পানি জমে থাকার সুন্দর্যও সে দেখেনি,
দেখেনি ঝুম বৃষ্টিতে স্কুলের ছেলে মেয়ে গুলোর প্যলিথিনে বই লুকিয়ে আস্তে আস্তে বাড়ির পথে হেটে চলা,বৃষ্টিতে চা দোকানে বসে বিড়িতে ফুক দিয়ে চা খায়নি বহু দিন,
বৃষ্টির রাতে জমে থাকা রাগের সবটুকু ভুলে গিয়ে বউয়ের কাছে আত্মসমর্পণ করেনি,শুনেনি টিনের চালে বৃষ্টির নেশাময় সঙ্গমের আশকারা,শেষ রাতে খুব বৃষ্টিতে দীঘির জলে দুজনে গোসল করেছিলো সেই কবে,মনে নেই...
অথচ বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে,ঝুম বৃষ্টি,খুব বৃষ্টি...
»»
ইটের ওপর মাথা রেখে যারা ফুটপাতে ঘুমায়,
অথচ ইশ্বরের প্রতি বিন্দু মাত্র রাগ নেই,
তাদের কথা ভাবি।
সাহিত্যিকরা এদের জীবন লিখে আনন্দ পায়,পাঠকরা তা পড়ে অশ্রু ঝরায়,দিন শেষে আবার রাত নামে,
ইটের ওপর মাথা রেখে এরা স্বপ্ন দেখে সকালে গরম গরম পরোটা দিয়ে ডিম ভাজি খাওয়ার।
তুলোর স্তুপে(বালিশে) মাথা রেখে ঘুমানোর স্বপ্ন এরা দেখেনি এখনো।
সেপ্টেম্বার ১৫,২০১৪।
বাড়ি যাচ্ছি...
ভয়ানক ভাঙা চাঁদটার সাথে...♫♫
October 2 at 11:29am ·
»»
১.
শ্যাওলা জমা পুরোনো দেওয়ালের শরীরে যে অচেনা বৃক্ষের জন্ম,
নিজেকে সেই বৃক্ষ ভাবি।যার অস্তিত্ব মূল্যহীন।
২.
জীবন বলতে যা বুঝি-তার মানে অর্থ-অনর্থের দোলনায় শুয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলা।সেই সাথে,অন্তত আগামি কালকের ভালোটা দেখার জন্য বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখা।যে স্বপ্নের গড় আয়ু ষাটের কোঠায়।
৩.
দন্ডায়োমান পুরুষাঙ্গের ওপর যে সমাজ স্থীর,সেখানে নারী আর নগ্নতা সমার্থক শব্দ।ধর্ষণ হচ্ছে পুরুষের কাছ থেকে উপরি পাওনা।
অক্টোবার ২১,২০১৪।.
»»
Nov 12.
ফেসবুক ইনবক্সে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে যারা জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানিয়েছেন তারা ভালো থাকুন।
ভালো থাকুক জগতের সকল জীব।এমনকি গতকাল দেখা ভাঙা পায়ের কুকুরটিও।যার চোখের চলচল ভাষা আমি বুঝিনি।
সেদিন দেখা হওয়া বৃদ্ধা 'মা' ,, যার ভাত খাওয়ার টাকা আমি দিতে পারিনি পকেট শুণ্য থাকায়।তিনিও ভালো থাকুক।
ভালো থাকুক আমার সেই বন্ধু দুটি যাদের আত্মহত্যার কোনো গল্প লিখা হয়নি।
জানালার কাঁচে ভাঙা চাঁদের আলো,বাবা-মা এর ঋণের স্তুপের ওপর দাড়িয়ে আমি নিজের ভালো থাকার হিসেব মেলাচ্ছি...
১২ নভেম্বার,২০১৪.
»»
Nov 28.
মনের ডাক বাক্সে শত নালিশ জমা হয়,ডাকপিয়ন এসে ভুল দরজায় কড়া নাড়ে,প্রাপকের সাড়া না পেয়ে নীল খামে ভরা নালিশেরা ফিরে যায় আপন ঠিকানায়।
জীবন এসে যেই স্থানে দাড়িয়েছে,সেখান থেকে একটি শিমুল গাছ দেখতে পাই।যার মগডালে মৃত মানুষদের জুয়ার আসর।কাঁটার ভয় আমার ভাবনায় নেই,আমি যে গাছে চড়তে জানিনা।অথচ ডালে বসা পাখিগুলো গল্পে মেতেছে।তাদের গল্পে বিষাদের চিহ্ন মাত্র নেই,নেই পিছুটান।
»»
Dec 25
ভাবনার করিডোরে শুণ্যতার আলাপন।সন্ধ্যা গুলো ভিষণ মন খারাপের হয়।ভবঘুরের দলে ভিড়ি,যারা স্বপ্ন ফেরি করে...
সস্তার একটা টঙে রাত বাড়লেই বিচ্ছেদি গানের আসর বসে।মিশে যাই অতিথী হয়ে।ঘরে ফিরি পকেট ভ্রতি সুন্দর্য্য নিয়ে।রাত গভির হয়।বেড়ে যায় মানুষ না হওয়ার ক্ষতটা।
ডিম লাইটের আলোয় চোখ রেখে ভাবতে থাকি পঞ্চাশে পা রাখা একটি স্কুলের কথা।যেই স্কুলের আমি একজন অকৃতজ্ঞ ছাত্র।
রাত বাড়ে হাজার বছরের পুরোনো সেই রাত।
©somewhere in net ltd.