![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশে বিএনপি-জামাত জোটের এখন যে অবস্থান আর নতুন প্রজন্মের যে গনজাগরন এই পরিস্থিতিতে মাঠ দখলে আনার সবচেয়ে সহজ উপায় কি .?
সবচেয়ে সহজ উপায় হলো সাম্প্রদায়িক দাংগা।
সেই দাংগাটা কিভাবে লাগতে পারে .?
তার একটা ফর্মুলা দেয়া প্রিয় ব্লগার ভাংগাচুরা যন্ত্রপাতির এই পোস্টটা অনেক পাঠকই পড়েছেন নিশ্চয়ই।
তার পোস্টের বক্তব্যের চেয়ে আরেকজন ব্লগারের জবাবে বলা এই কমেন্টটাই সেরা।
তিনি লিখেছেন...
লেখক বলেছেন: ওরা বইসা আছে কখন হিন্দুরা খেইপা একটা মসজিদে আগুন দিব আর সাথে সাথে দাঙ্গাটা লাগাইবো। দাঙ্গা লাগাইতে পারলে অনেক সুবিধা। তখন দাঙ্গার খাতিরে আচ্ছামত ভাংচুর করা যাবে, দেশ অচল করা যাবে। ঘটনা এমনও হইতে পারে ওরা নিজেরাই এইবার তিলক, গেরুয়া কাপড় পইরা জয় মা কালী বলতে বলতে মসজিদে আগুন দিব। পরে সেইটা ভিডিও কইরা ছড়াইয়া কইব, দেখ হিন্দু আম্লীগ মসজিদে আগুন দিছে। বুঝেনিতো ওগোর কোন ধর্ম নাই। মন্দিরে হাত দিতেও ওগোর যেমন বুক কাপে না, মসজিদে হাত দিতেও ওগোর তেমন বুক কাপবো না।
ঠিক এমনই একটা ঘটনা ঘটার জন্য আমারদেশ আর নয়াদিগন্ত প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে। কখন তাদের কর্মীরা এরকম কিছু একটা করবে।
বেশ কয়েকমাস আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এরকম একটা দাংগার সুত্রপাত হয়েছিল।
প্রিয় পাঠক, মনে আছে সেই দাংগার কিভাবে সুত্রপাত হয়েছিল...?
আসুন ফিরে দেখি।
চট্টগ্রাম, ফেব্র“য়ারি ১৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- হাটহাজারীর নন্দীরহাটে মন্দির ভাংচুরের পর স্থানীয় মসজিদের দেয়াল ভেঙে গুজব রটিয়ে হিন্দুদের ধর্মীয় স্থাপনা, বাড়ি ও দোকানে হামলা চালাতে উস্কানি দেওয়া হয় বলে পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া মো. জসিম পেশায় রাজমিস্ত্রি। তিনি মসজিদের দেয়াল ভাঙার কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের হাটহাজারী সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী সুপার বাবুল আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নন্দীরহাটের ঘটনাটি ছিল পরিকল্পিত। অস্থিরতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তা করা হয়েছে, যা প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
“মসজিদের দেয়াল ভাঙার সঙ্গে জসিম নামে একজন রাজমিস্ত্রীর যুক্ত থাকার সংবাদ পেয়ে হাজীপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার এবং তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে লোকমান ও এমদাদসহ বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়,” বলেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ৫০ টাকার বিনিময়ে হাজীপাড়া মসজিদের দেয়ালের একাংশ ভাঙার কথা জসিম তার জবানবন্দিতে স্বীকার করেছে। হাজীপাড়ার মো. এমদাদ উল্লাহ ও মো. লোকমান তাকে এ কাজে বাধ্য করেছে বলে সে জানায়।
লোকমান হাজীপাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং এমদাদ বিএনপির সমর্থক বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
গত ৯ ফেব্র“য়ারি নন্দীরহাটে লোকনাথ সেবাশ্রমের বার্ষিক উৎসবের শোভাযাত্রা স্থানীয় একটি মসজিদ অতিক্রমের সময় দুই ধর্মের কয়েকজন মানুষের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর এক দফা মন্দির ভাংচুর হয়। রাতে হিন্দুরা মসজিদের দেয়াল ভাংচুর করেছে- এই গুজব রটিয়ে পরদিন ভাংচুর ও লুটপাট হয় পাঁচটি মন্দির এবং কয়েকটি বাড়ি ও দোকানে।
পুলিশ জানায়, মন্দিরে ভাংচুরের আগে হাজী পাড়া মসজিদে দুই পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠকে লোকমান ও এমদাদ ছিলেন। সভা চলাকালীন লোকমান ও এমদাদের কিছু সমর্থক বাইরের কিছু লোককে নিয়ে মন্দির ভাংচুর করে।
এর পেছনে কারা ইন্ধনদাতা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানায়। জামায়াত ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের ইন্ধন রয়েছে বলে আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করে আসছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল বলেন, এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্রঃ দৈনিক পূর্বকোণ, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১২
৫০ টাকার বিনিময়ে নন্দীরহাটে মসজিদ ভাংতে রাজি হয় জসিম
মোস্তফা মোহাম্মদ এমরান, আদালত প্রতিবেদক: মাত্র ৫০ টাকার বিনিময়ে হাটহাজারীর নন্দীরহাটে মসজিদ ভাংতে রাজি হয় স্থানীয় রাজমিস্ত্রি জসিম। জনৈক লোকমান ও বিএনপি কর্মী এমদাদ ওই রাজমিস্ত্রিকে মসজিদের সামনের কিছু অংশ ভাঙ্গার কাজে রাজি করাতে সক্ষম হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাতে চুক্তিমতো জসিম নন্দীর হাট সংলগ্ন মসজিদের সম্মুখভাগের বিভিন্ন পিলারের ইট ভেঙ্গে ফেলে।
সকালে স্থানীয় মানুষের কাছে গুজব ছড়িয়ে দেয় অপর একটি ধর্ম বিশ্বাসীরা ওই মসজিদটি রাতের অন্ধকারে ভাংচুর করে। এ-ঘটনায় দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। হাটহাজারীর নন্দীর হাট এলাকায় দুটি সম্প্রদায়ের কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল মানুষের মধ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার রাজমিস্ত্রি জসিম গতকাল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজ-এর আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে এমন তথ্য দেন। জসিম ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে অনুশোচনা প্রকাশ করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জসিম শুধু টাকার জন্য মসজিদ ভাঙ্গার জন্য রাজি হয়। ওই ঘটনা যে পরবর্তীতে দুটি ধর্মের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করবে সে ব্যাপারে তিনি জানতেন না। গতকাল দুপুরে জসিম আদালতে ওই জবানবন্দি প্রদান করেন। নন্দীর হাটে মন্দির-মসজিদে হামলার ঘটনায় হাটহাজারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের নেতৃত্বে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়। আদালত আসামিদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদের মধ্যে রাজমিস্ত্রি জসিম গতকাল আদালতে জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এমদাদ বিএনপি কর্মী বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। অপরদিকে অন্যান্য আসামিদের মধ্যে কয়েকজন জামায়াত ও শিবির কর্মী রয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
নোয়াখালীর রাজগঞ্জে হিন্দুদের বসতবাড়ি আর মন্দিরে হামলার খরব নিশ্চয়ই পড়েছেন । আর কপি পেস্ট দিতে চাই না। আজকের পত্রিকা দেখুন। সমীকরন সহজ ।
বিএনপি-জামাত আগামী তিনদিনের হরতালেই এমন কোন ঘটনা ঘটালে অবাক হবার কিছুই থাকবে না।
এ ছাড়া জামাতের বাঁচার আর কোন পথ খোলা নেই।
০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
বিপ্লব৯৮৪২ বলেছেন: আপনি সবার পোস্টে একই লিংক দিচ্ছেন কেন
২| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৯
অশ্রুহীন মন বলেছেন: আল্লাহ নাকরু দেশে সম্পদায়িক এক ধাঙ্গা হাত থেকে আমদের সবাই বচিয়ে রাখুক। আমিন
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২২
নিলিমা আকতার বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম