নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন ঘনিষ্ট বিষয় নিয়ে লেখালেখি করি। চেতন ভগতের মতো বাংলাদেশেও পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখি। সেই পরিবর্তন শুরু হবে আমার নিজ জেলা কুমিল্লা থেকে, পরে ছড়িয়ে পড়বে সারা বাংলাদেশে-এই আমার বিশ্বাস।

বিপ্লব৯৮৪২

কিছুই বলার নাই।

বিপ্লব৯৮৪২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাকসামে সাঈদীর রায় পরবর্তী সহিংসতায় পুড়িয়ে দেয়া সেই বাড়িটি ঃ পুনর্বাসন পর্ব

২৮ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪২



আজ থেকে এক বছর আগে বাড়িটি যখন পুড়িয়ে দেয়া হয় তখন পোড়া বাড়ি ও হতাভাগা পরিবারের ছবিসহ একটি পোস্ট দিয়ে এই বিষয়ে সকলকে এগিয়ে আসার জন্য সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলাম।



সেই পোস্টের লিংক ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে জানিয়েছিলাম এগিয়ে আসার জন্য। ভাবলাম তিনি ব্যস্ত সময় পান না। তাই আমার মেসেজটি তার চোখে পড়েনি। কয়েকদিন পরে তার তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেস্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ইনবক্সে মেসেজটা দিয়ে সাহায্য করার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। এবারও কোন সাড়া শব্দ নেই। ভাবলাম তাদের সাহায্য করার জন্য আবেদন সর্বোচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে। যেকোন কারনেই হোক তা অগ্রাহ্য করা হয়েছে। ইতিমধ্যে যশোরের মালোপাড়ায় আক্রান্ত এলাকা প্রশাসন থেকে পুনর্বাসন করা হয়ে গেছে। বুঝলাম বিকল্প পথে হাটতে হবে। আক্রান্ত পরিবার যদি একটি হয় তাহলে সেখানে কারো নজর তেমনভাবে পড়ে না। যদি একটি বাড়ি বা পুরো পাড়া হয় তাহলে হৈ চৈ বেশী হয়।







দেশের সব জায়গায় আক্রান্ত পরিবার ও বাড়িঘর পুনর্বাসিত হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এটি থেকে যাচ্ছে। একদিন তাদের ফোন দিয়ে জানালাম, আর কারো সাহায্যের আশা না করে এবার যেন নিজেরাই ঘর ঠিক করে নেন। তারা জানালো অর্থাভাবের কথা। সামনে বর্ষাকাল। পরের ঘরে কয়দিন থাকা যায়। তাদের পুনর্বাসনের জন্য যে খরচ তা আমার হাতেও নেই। তাই ধীরে চলো নীতিতে এগুলাম। প্রথমে কিছু টাকা দিয়ে বললাম, দেখে শুনে গাছ কিনেন, করাত কলে নিয়ে ঘরের মেরামতের উপযোগী কাঠ তৈরি করেন।

মাস খানেক পরে জানাল, সব রেডি।







এবার বললাম কাঠে আলকাতরা দিয়ে রোদে শুকাতে দেন।

ইতিমধ্যে লাকসামের বিভিন্ন দোকানে খোঁজ নিলাম কেউ আমাকে বাকীতে মাল দিবে কি না । আমি পরবর্তীতে মাসে মাসে কিছু টাকা কয়েক ভাগে দিয়ে পরিশোধ করব। এত বিশাল পরিমানে বাকীতে কেউ দিতে রাজি হচ্ছিল না, যেহেতু আমার বাড়ি লাকসাম থেকে দূরে, আমিও এলাকায় পরিচিত কেউ নই।







আমার এলাকার পরিচিত স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও স্কুলের হেড মাস্টার আব্দুল জব্বার স্যারকে পুরো বিষয়টা বললাম । তিনি প্রথমে রাজি হলেন, পরে টাকার পরিমান শুনে দ্বিধাদ্বন্দে পড়ে গেলেন। লাকসামে তার পরিচিত ব্যবসায়ী আছে , ছাত্র জীবনে তিনি লাকসাম কলেজের ছাত্র ছিলেন। টাকাটা শেষমেষ তার পকেট থেকেই দিতে হয় কি না এই ভেবে আজ না কাল করে সময়ক্ষেপন করতে লাগলেন।

অবশেষে ভয়ে ভয়ে একদিন গেলেন।

যে দোকানদারের কাছে তিনি গেলেন তিনিও আওয়ামীলীগ নেতা। চাহিদামত সব মাল দিলেন।

মাল দেয়ার পর সেদিনই সম্ভবত দোকানদারকে কেউ উলটাপালটা বোঝায়। তিনি চিৎকার চেচামিচি শুরু করে দিলেন, তাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা পরেরদিনই দিতে হবে। তা না হলে ......









এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসে সুশীল সমাজের বিশিষ্ট নাগরিক অত্র অঞ্চলের কমিনিস্ট নেতা কমরেড বিজয় বাবু।

চাকরী-বাকরী এটা সেটা করে তার বেশ কিছু টাকা ব্যাংকে জমা। সে তৎক্ষণাৎ দোকানদারের দাবী পুরন করে তার মুখ বন্ধ করে দিল।

আর এখন আমি সবাইকে মাসে মাসে কিছু কিছু করে দিচ্ছি ।



















মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:২০

তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: ভাল কাজে আজীবন বাঁধা আসে। আপনি ও আপনারা সেই বাঁধা অতিক্রম করে মানুষের কল্যানে এগিয়ে এসেছেন। এটা কয়জনে পারে।
আপনাদের জন্য শুভকামনা--এগিয়ে চলুন আপনারা--দেশ এগিয়ে চলবে সেভাবে।

২৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪

বিপ্লব৯৮৪২ বলেছেন: বস, এই দেশ বি-শা-ল।
আপনি যেভাবে বলছেন সেভাবে এগিয়ে নিতে পারে একমাত্র রাস্ট্র।
কোন ব্যাক্তির পক্ষে তা সম্ভব নয়।
ওই এলাকায় অনেক ধনাঢ্য ব্যাক্তি আছে। বেশ কয়েকজনের কাছে এদের জন্য সাহায্যের কথা বলতেই তারা আমাকে ধান্ধাবাজ মনে করেছে। তাই অনেকটা জিদের বশবর্তী হয়ে নিজেই পথে নেমে যাই।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:৩০

তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: রাষ্ট্র করবে এটাই স্বাভাবিক হওয়ার কথা ছিল।
এটা করার কথা স্থানীয় প্রশাসন কিন্তু আমাদের দেশ স্বাভাবিক কোন দেশ নয়। ব্যক্তিস্বার্থ না থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রও এগিয়ে আসে না-ব্যক্তিতো নয়ই।

যাক আপনি জেদের বসে যেটা করছেন সেটাই বরং রাষ্ট্র।
অনেক শুভকামনা আবারো।

৩০ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:০৩

বিপ্লব৯৮৪২ বলেছেন: আপনি ভালো একটা পয়েন্ট তুলে ধরেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার আমাকে বলেছে, ২/৩ মাস পর পরই নাকি থানা থেকে লোকজন গিয়ে বলেছে, আপনাদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হয়ে গেছে, চিন্তা করবেন না। তাদের আশ্বাসে দেখতে দেখতে সময় নষ্ট। অথচ থানার কাজ এটা নয়, তাদের কাজ তদন্ত করে আসামি ধরা। তারা তার কিছুই করতে পারেনি। সাহায্যের বিষয়ে দেখাশুনা করবে ইউএনও বা ডিসি। কিন্তু তাদের এখানে কোন ভুমিকা নেই। এই হল অবস্থা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.