![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্ব পালনকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরের একটি পরিত্যক্ত (ময়লা ফেরার স্থান) কে নান্দনিক আয়োজনে শিশু পার্কে পরিণত করেছিলাম। পার্কটির নাম “আমাদের শিশু পার্ক”। বিকেলে শিশুদের কোলাহলে মুখরিত হতো পার্কটি। শীতের বাগান করা হলে কিছুদিন অবশ্য গাছের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় পার্কটি বন্ধ ছিল।
২। নীচে পার্কটির ছবি শেয়ার করা হলো। ছবিগুলো আজকের। এক বন্ধু পাঠিয়েছেন। পার্কটির ডিজাইন আমার নিজস্ব। অর্থাৎ একজন ইউএন্ওকে জুতা সেলাই থেকে চন্ডী পাঠ সব দায়িত্ব পালন করতে হয়। পার্কের গেটের ডিজাইন ও রঙ ছিল দেখার মতো; এখনো আছে। দেওয়াল, তার্ ওপরে কলস. কলসে নীল অপরাজিতার লতা। অনন্য এক ডিজাইন। এক অকৃত্রিম বন্ধু (আসলে দুই জন) আমাকে অপরাজিতা ভালবাসতে শিখিয়েছে। আমি এখন্ও অপরাজিতার ভক্ত। আমার গ্রামের বাড়ী “একটুকু বাসা”- তেও নীল-সাদা অপরাজিতা সব ঋতুতেই ফোটে।
৩। কথায় ফিরে আসি। শিশু পার্কে ছয়টি রাইড ছিল। টাইলস-এর তৈরি ওয়াক ওয়ে খুব সুন্দর। আমি একটি কাচা গোল ঘর তৈরি করেছিলাম। আমি চলে আসার পর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সেটিকে পাকা গোল ঘর করেছেন। আসলে পাকায় খুশী থাকা পাকা লোকেরা কাঁচার মূল্য বুঝবে কি করে? শীতে হলুদ-কমলা গাঁদা, ডালিয়া রোপণ করছিলাম। অপূর্ব রূপ ধারণ করেছিল বাগানটি বসন্তকালে। ফুটেছিল বর্ণিল পুস্পরাজি। সে এক অপরূপ দৃশ্য। ওখানে একবার বসন্ত উৎসব আয়োজিত হয়েছিল। সে এক অপূর্ব মিলনমেলা। শীতকালে পিঠা উৎসব ও বার বি কিউ আয়োজিত হতো। প্রাণের টানে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ জনগণ চলে আসত। আপ্যায়িত হতো কাঁঠাল পাতার তৈরি প্লেটে। তৈরি হতো ভাপা পিঠা, চিতই পিফা। পার্কে স্থাপন করা উনুনের পাশে বসে সবাই পিঠা উপভোগ করত। সেই দিনগুলো খুবই মিস করি।পার্কটির নির্মাণ ব্যয় ছিল খুবই কম। আমার এসব কাজের একমাত্র অনুপ্রেরণা ছিলেন ডিসি পার্কের নির্মাতা ও স্বপ্নদ্রষ্টা আমার প্রাণপ্রিয় জেলা প্রশাসক শ্রদ্ধেয় মাহবুব স্যার।
৪। এবার আসি আসল কথায়। বতর্মানে পার্কটি আবার পরিত্যক্ত। মানুষ যেখানেই থাকুক না কেন, সুষ্টি তাকে বরাবর ভাবায়। আজ পার্কটি জনহীন, প্রায় শ্রীহীন, বৃক্ষরাজি ঝড়ের তোড়ে নুয়ে পড়েছে। জং ধরেছে ইস্পাতের রাইডগুলোতে। ইউএনও অফিসে লোকবলের অভাব নেই। তারপরও অযত্ন, অবহেলা। গেইটের এক পাশের একটি গোল ল্যাম্প না থাকায় চোখটা ঝাপসা হয়ে আসে। কোলাহল শূণ্যতা বড্ড পীড়া দেয় মনে।
৫। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজ্জন ব্যক্তি। তাঁর সাথে কথা বলে তাঁকে সর্ববিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক ও সক্রিয় মনে হয়। আমি ঘাটাইলবাসীর পক্ষ হতে (নিজেকে এখনও ঘাটাইলের একজন ভাবি) ইউএনও মহোদয়ের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। দয়া করে আবার সংস্কার করে পার্কের দরজাটি খুলে দিন। আপনি না করলে কে করবে, বলুন?
২| ১৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুবই চমতৎকার কাজ করেছেন। আপনার নামের বানান কি ঠিক আছে?
১৯ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭
হীসান হক বলেছেন: জি
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট।