![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলামে পীর তন্ত্র বলতে কিছু নেই। যেখানে এসব দেখবেন চোখ বুজে ধরে নিবেন এসব ভন্ডামী। পারলে প্রতিহত করুন, মানুষকে এসব ভন্ডামী থেকে সর্তক করুন। অসল পীর বা নকল পীর দূরে থাক, এদেরকে মুসলমান বলা যাবে কিনা সন্দেহ আছে। এরা মানুষকে আখিরাতে পার করানোর কথা বলে, কিন্তু এরা যে নিজেদের জায়গা জাহান্নাম করে নিয়েছে।
পীরদের মধ্যে যে নিজেকে হক্কানী পীর বলে দাবী করেন মাওলানা সৈয়দ মোহম্মদ এছহাক সাহেবর আক্বীদা দেথুন:
১. আল্লাহর আন্দাজ নাই... (ভেদে মারেফাত, ১৫পৃ
২. শরিয়ত কামেল পীর সাহেব যদি এমন হুকম দেন যাহা প্রকাশ্যে শরিয়তের খেলাফ হয়, তবুও তা নিরাপত্তিতে আদায় করিবে.... (আশেক মাশুক, ৩৫পৃ.)
৩. আমি এতবড় আলীশান খোদা, আমি জমিন ও আসমানে সামাই হই না, একমাত্র মোমেনের কলবে সামাই হই.... (ভেদে মারেফাত, ২১পৃ
৪. মনসুর হাল্লাজ আল্লাহপাকের মোরাকাবা করিতে করিতে আল্লাহর নূরের মধ্যে গরক হইয়া হঠাৎ একদিন বলিতে লাগিলেন আনাল হক (আমি খোদা)... (আশেক মাশুক, ৪২পৃ.)
৫. পীর সাহেব হলেন আখেরাতের উকিল স্বরূপ... (ভেদে মারেফাত, ৬০পৃ
৬.যেই ব্যক্তির পীর নাই, তাহার পীর শয়তান... (ভেদে মারেফাত, ২৩পৃ
৭. বান্দা অসংখ্য গুনাহ করার ফলে আল্লাহপাক তাহাকে কবুল করিতে চান না। পীর সাহেব আল্লাহপাকের দরবারে অনুনয় বিনয় করিয়া ঐ বান্দার জন্য দোয়া করিবেন, যাহাতে তিনি কবুল করিয়া নেন।... (ভেদে মারেফাত, ৩৪পৃ
৮. কাফন চোরের হাত আমার হাতের সঙ্গে লাগিয়াছে, এখন কেয়ামত দিবসে ওকে ছাড়িয়া আমি কেমনে পুল ছেরাত পার হইয়া যাইব? (ভেদে মারেফাত, ২৭-২৮পৃ
৯. পীরের মুরীদ হওয়া ফরজ। (মাওয়াযেজ এসহাকিয়া)
১০. যদি কারো দুইজন পীর হয় তবে দুই পীর তোমার দুই ডানা ধরে বেহেশতে নিয়ে যাবেন, কোনই ক্ষতি নেই। (মাওয়াযেজ এসহাকিয়া, ৫৫-৫৬পৃ
এগুলো কি মুসলমানের আক্বীদা? কোরাআন হাদীসের সাথে এসবের সম্পর্ক আছে কি? কয়েকটি উপমা দিলাম মাত্র। এরূপ হাজারটা দেয়া যাবে। হিন্দুরা তো না জেনে শিরক করে, কিন্তু এরা কেন করে জানেন? এক কথাই, এসব শুধুই ধান্দা। কারণ- ইরি ধান, বুরো ধান, মুরিদান, আয়ের শ্রেষ্ঠ তিন উপদান। সব ধান্দা ভাইয়েরা। কেও অজ্ঞনতার সহিত কুফরী করলো, আল্লাহপাক তাহাকে লগু শাস্তি দিবেন, হয়তো মাফও করতে পারেন। কিন্তু যে জেনে শুনে কুফরী করলো, সে মাফ পা্ওয়া তো দূরে থাক, তার শাস্ত হবে দ্বিগুন। কারণ সে ইচ্ছাকৃত কুফরী করলো।
যার আমল তার সাথে যাবে, কাউর কোন আমল কাউর কোন উপকারে আসবে না। ভালো কাজ করলে ভালো কাজের প্রতিদান হিসেবে জান্নাত, বিপরীতে জাহান্নাম অরধারিত। আল্লাহ পাক এরশাদ করেন: "যে ব্যক্তি গুনাহ করে, তা তারই দাযিত্বে থাকে। কেউ অপরের বোঝা বহন করিবে না।" (সূরা আনআম: ১৬৪) হযরত আবু হুরাইরা (রা থেকে বর্ণিত:
قَامَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ أَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ (وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الأَقْرَبِينَ)، قَالَ: يَا مَعْشَرَ قرَيْشٍ, اشْتَرُوا أَنْفُسَكُمْ مِنَ اللهِ، لاَ أُغْنِي عَنْكُمْ مِنَ اللهِ شَيْئًا يَا بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ لاَ أُغْنِي عَنْكُمْ مَنَ اللهِ شَيْئًا يَا عَبَّاسُ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ لاَ أُغْنِي عَنْكَ مِنَ اللهِ شَيْئًا وَيَا صَفِيَّةُ عَمَّةَ رَسُولِ اللهِ لاَ أُغْنِي عَنْكِ مِنَ اللهِ شَيْئًا وَيَا فَاطِمَةُ بِنْتَ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم، سَلِيني مَا شِئْتِ مِنْ مَالِي، لاَ أُغْنِي عَنْكِ مِنَ اللهِ شَيْئًا. (رواه البخاري ومسلم)
"যখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা এই আয়াত (আপনি নিকটতম আত্মীয়দের সর্তক করে দিন) নাযিল করেন, তখন নবী করীম (স (নিজের আত্মীয় স্বজনকে) দাওয়াত দিতে উঠেন। তিনি বলেন, হে কোরাইশ সম্প্রদায়, নিজেকে আল্লাহর আযাব থেকে ক্রয় করিয়া ফেলো, আমি তোমাদেরকে আল্লাহর আযাব হইতে রক্ষা করতে পারবো না। হে আবদে মানাফের সন্তানরা, আমি তোমাদেরকে আল্লাহর আযাব হইতে বাঁচাতে পারবো না। হে আব্বাস বিন আব্দুল মুত্তালিব, আমি আপনাকে আল্লাহর আযাব হইতে রক্ষা করতে পারবো না। হে সাফিয়া, রাসূলের ফুফী, আমি আপনাকে আল্লাহর আযাব হইতে রক্ষা করতে পারবো না। হে ফাতেমা, মুহাম্মদের মেয়ে, আমার সম্পত্তি যাহা ইচ্ছা তুমি চাইতে পারো, কিন্তু আল্লাহর আযাব হইতে আমি তোমকে বাঁচাতে পারবো না। (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
যারা এসব পীরদের পিছনে সময় নষ্ট করছেন তাদের জন্য উপেরোক্ত হাদিসটি যতেষ্ট। যেখানে রাসূল (স তাঁর প্রতিবেশী, নিকট আত্মীয়, চাচা, মেয়ে, ফুফী কাউকে আল্লাহর আযাব হইতে বাঁচাতে পারবে না, সেখানে পীর আপনাকে কেমন করে বাঁচাবে? এসব ভন্ডদের পিছু ছেড়ে কোরআন সুন্নাহ অনুসরণ করুন।
নুসরণ করুন।
লেখাটা PeaceBD (শান্তির বাংলাদেশ) থেকে সংগ্রহ করা।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৭
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: ভন্ডপীরগুলারে উষ্ঠা।
২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪২
শাহাদাত রুয়েট বলেছেন: একদম সঠিক কথা । আমি সহমত।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৮
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৫৩
লালবািত বলেছেন: ওহে মহাজ্ঞানী!
كونوا مع الصادقين এই আয়াতটির ব্যাখ্যা ও তাফসীর জানতে চাই।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০৮
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: আপনি মনে হয় বাংলা ভালো মত পড়তে পারেন না। আর সাহাবীরা, তাদের মৃত্যুর পর ইমামরা তারা কেও কি পীর নামে পরিতিচ ছিল? নাকি তারা "৯. পীরের মুরীদ হওয়া ফরজ। (মাওয়াযেজ এসহাকিয়া)" "১০. যদি কারো দুইজন পীর হয় তবে দুই পীর তোমার দুই ডানা ধরে বেহেশতে নিয়ে যাবেন, কোনই ক্ষতি নেই। (মাওয়াযেজ এসহাকিয়া, ৫৫-৫৬পৃ
" এই তাইপ ধারনা পোষণ করত? নাকি তারা ওরস করে টাকা পয়সা উপার্জন করতো ?
পোস্ট টা আবার পড়ার জন্য অনুরধ রইল। আর সত্য কে মিথ্যা কে টা জানতে হলেও কুরআন আর হাদিস পড়তে হবে। কিন্তু সেদিন দেখলাম এক পীর সূরা ফাতিহাই পড়তে পারে না। সে আবার পীর
৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৫৪
মো: আবু জাফর বলেছেন: ভন্ডপীরগুলারে উষ্ঠা।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫২
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: ভন্ডপীরগুলারে উষ্ঠা।
৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৫৮
৪০৪ পাওয়া যায়নি বলেছেন: গদীনশীল পীরবাজি মানেই বছরের ওপর বছর মানুষের অন্ধবিশ্বাসকে মূলা দেখিয়ে রমরমা ব্যবসা। সচেতন না করতে পারলে এই ভ্রান্ত ধ্যান ধারণা প্রজন্মেও ছড়াতে থাকবে।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫২
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: ইরি ধান, বুরো ধান, মুরিদান, আয়ের শ্রেষ্ঠ উপাদান
আমাদের সবার সচেতন হতে হবে।
৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১৮
আলতামাশ বলেছেন: কিন্তু আপনার মতিউর রহমানের মত সৌদি সরকারের বেতনভোগি কেউ এই দেশে ইসলাম আনে নি।
কারা এই দেশে ইসলামের প্রচার-প্রসার ঘটিয়েছে, সেটা কি জানেন?
১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১১
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: "কিন্তু আপনার মতিউর রহমানের মত সৌদি সরকারের বেতনভোগি কেউ এই দেশে ইসলাম আনে নি।" মানে? ব্যাখ্যা আশা করি।
আর বাংলাদেসের যাদের মাদ্ধমে ইসলাম প্রসার হইছে তারা কি বলে গেছে আমার কবর কে মাজার বানাও? ওরস কর? গাঞ্জা টানা টানি কর? আমার কবর কে সিজদা কর? আপনি যেকোনো মাজারে জান দেখবেন সবাই ধুমিয়া সিজদা করে কবর কে? হযরত শাহজালালা (রহ) কি সেটা বলে গেছেন? পীর নামে যে তাদের বলা হয়ে তারা কি নিজেদের কে পীর বলতেন? পীর শব্দ টা কুরাআন হাদিসে দেখাতে পারবেন। তারা দাঈ ছিলেন। পীর নামক কোন কিছু ইসলামের ছিল না।
রিফাত ভাইয়ের কমেন্ট দ্রষ্টব্য।
৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪১
রিফাত হোসেন বলেছেন: আলতামাশ সাহেব পাব্যর্ত অঞ্চলে খৃষ্ট সম্প্রদায় বেশী কেন জানেন ?
কারন তারা সেখানে মিশনারী পাবলিকদের এক্টিভিটি বেশী ।
তাই তার মানে খৃষ্টারনা তো পাদ্রী বা ফাদারদের পূজা করা শুরু করে না !
তারা শুধু ধর্ম প্রচার করে হয়ত মুখে অথবা হয়ত অর্থ দিয়ে !
সে যাই হোক ।
তুলনায় একজন মুসলিম বুজুর্গ ব্যক্তি ইসলামের দাওয়াত দিতে পারেন । এখন বিনিময়ে তার উপর ও তার খোদা তথা আমার খোদার উপর কৃতজ্ঞ থাকা উচিত ।
মুরীদ হতেও সমস্যা নাই যে তার সাথে দাওয়াত দেওয়া । কিন্তু কেউ মারা গেলে তার মৃ্ত্যু পরবর্তী কোন প্রকার শক্তি থাকে না কারও উপকার বা অপকার করার । সুতরাং মাজার বা কবরকে শ্রদ্ধা করা যায় কিন্তু এর থেকে বেশী আশা করা শিরক ।
আর বড় কথা একজন হাক্কানী আলেম বা বুজুর্গ ব্যক্তি কোথাও ফিক্সড বসে থাকে না বা আরাম আয়েশে থাকে না ,যেভাবে বাংলাদেশে শয়তানের পীর রা থাকে !!!
আল্লাহর রাসূল সাঃ পর্যন্ত খেজুর এর বিছানায় ঘুমিয়েছে সেখানের আপনার ছাগলা মার্কা বর্তমান কথিত পীররা কেমন এ.সিতে ঘুমায় আর ওয়াজ ওসিয়ত করে রাতের ঘুম হারাম করে , সাধারন মানুষকে কষ্ট দিয়ে মাইক দিয়ে চিল্লা চিল্লি করে করে !
ইসলামের দাওয়াত দিতে কারউ কষ্ট যাতে না হয় খেয়াল রাখতে হয় ।
লিফলেট বিতরন বই লেখে মুহম্মদী ইসলাম, গাউছিপুরী ইসলাম হেন তেন কুফরী বা শেরক না করলেও চলে, তাই নয় কি ?
আসছে ইসলামী পীর শিখায়তে !
আরবীতে প্রোফাইল পিক দিলেই ইসলামী নীতি অনুসরন করা যায় না ।
আরবী ভাষাকে শ্রদ্ধা করে কারন কোরআন শরীফ এতে লেখা হয়েছে ও মহানবী সাঃ এর মাতৃভাষা ।
কিন্তু এই ছাড়া এইটাকে নিয়ে নাচা নাচি করি না । বাংলা আমার মাতৃভাষা এইটাই আমার অগ্রাধিকার পাবে , আরবীরও আগে !
১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫৩
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: ধন্যবাদ!
৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১১
আমিই মিসিরআলি বলেছেন: je bektir pir nai,tahar pir soitan, ha ha ha
pir-i to nai abar soitan hoy kemne
৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১৬
টিপূ সুলতান বলেছেন: ﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ﴾
১১৯) হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সহযোগি হও৷
এই আয়াতের ব্যখ্যা কিভাবে করবেন..?
কেন রে বাবা পীরের বিরুধী,,, তুমি যখন স্কুল মাদ্রাসায় গিয়েছিলে তখন অবশ্য তোমাকে শিখানোর জন্য স্যারের প্রোয়োজন হয়েছিল.।? নাকি নিজ থেকে শিখে নিয়েছো.।? আল্লাহ নিজে বলেছে সৎ লোকের সংগি হউ ,,,, আর নবী করিম (সাঃ) বলেছেন, আকাশের লক্ষ তারার মাঝে একটা চাঁদের যত টুকু মর্যদা আমার আলেম উলামা পরী উম্মতে তত মর্যদা,,,,
১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩১
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: আমার কোন পীর নাই, এখন আমি কি তাইলে আপনার মতে শয়তানের অনুসরন করি? আর আমি জানি কিভাবে নামায পড়তে হয়ে, কিভাবে অজু করতে হয়ে, কিভাবে জাকাত আদায় করতে হয়ে। আমি এগুলো সব নিজে শিখিনি, কুরান হাদিস পড়ে শিখেছি কিছু আর কিছু শিখেছি সত্যবাদীদের কাছ থেকে। কই আমার তো কোন নির্দিষ্ট পীর(?) লাগে নাই? তারা তো কেও ইসলাম কে ইউজ করে ব্যবসা করে না। তারা তো কেও নিজেদের কে পীর বলে পরিচয় দেয় না, তাদের তো কোন মুরিদ নাই। তারা কি তাইলে সত্তবাদী না? কোন একটা নির্দিষ্ট পীর কেই কেন আমার কানার মত ফলো করতে হবে? নামায পরারা আগে পীর কে জিজ্ঞেস করতে হবে " বাবা নামায পড়ব? কেন? যারা সত্তবাদী তারা নিজেদের কে পীর বলে না, তারা কবর কে পুজা করে না, তাঁর কবর কেন্দ্র করে গাঞ্জা সেবন করে না। তারা নিজদের কে ইসলামের সেবক মনে করে, ইসলাম বিষয়ে জ্ঞান আহরণ করে। গদির উপর বসে খাইতে খাইতে মাখন মার্কা শরীর বানায় না, ইসলামের নাম দিয়ে টাকা উপার্জন করে না
ইরি ধান, বুরো ধান, মুরিদান, আয়ের শ্রেষ্ঠ তিন উপদান
১০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৪
রিফাত হোসেন বলেছেন: @ টিপু সাহেব
শিক্ষার শেষ নাই, কেউ শিক্ষা দিতে চাইলে মাগনা শিখতে অনাগ্রহীও নই ।
তবে শিরকের পক্ষে নাই, কুফরীর পক্ষেও নাই । না বুঝে করলে আরেক হিসাব আর বুঝে করলে আরেক হিসাব, শয়তানের কাছে পরাজিত হলে আরেক হিসাব । কিন্তু বুইঝা শুইনা শয়তানের কাছে নিজেকে অর্পিত করলে এ কেমন হিসাব ?
সত্য বাদের সহযোগী হতে কারউ কোন আপত্তি থাকার কথা না ।
কিন্তু সহযোগী হবার ইচ্ছায় এ থেকে ইহজীবনে আর্থিক ফজিলত আদায় করা ও ভ্রান্ত ধারনা সৃষ্টি কি সঠিক ?
বলেন সঠিক ?
এইযে খাসী মানত করে , আগে আল্লাহ পিছে উনি মানে আমার আম্মার পীর (বহুত লম্বা নাম পীরের শর্টকাট কই হাছান শাহ)
বি.দ্র. আমার মা ও পীরের মুরীদ !
জনৈক স্কুল মাষ্টার যিনি আমার খালাতো ভাই এর শ্বশুর , তিনি আমার আম্মাকে মনে করেন সুফ টাইপের হাক্কানি , মাজভান্ডারী টাইপের কিছু । আমার মাকে পীর তুল্য সম্মান করে ! কারন তিনি অনেক কিছুই পারেন ও বুঝেন যা সাধারন মানুষ পারে না !!!
কিন্তু আদতে আমি তার ছেলে হয়ে জানি আমার মা কি রকম । কি খুবই সাধারন মানুষ আর পীরের মুরিদ হন , আর তা আসে বংশ পরম্পরায় !
মাজারে মানত করে, নানারা মানে নানা সহ নানার ভাইরা অনেক সুফল পেয়েছিল । পুরা ১৪ গোষ্ঠি তথা ঐ গ্রামই ঐ পীর বলতে অজ্ঞান ! যদিও পীরের কবর ঐ গ্রাম থেকে দূরে অনেক !
পীর নাম খারাপ কথা বা অবিশ্বাস করলে ক্ষতি হয় , তাতে তাদের ভয় হয়েছে, অনেকে মরেছে হেন তেন, যারা বিশ্বাসী তারা অনেক কিছু পেয়েছে , ভুগি চুগি ।
মানুষের জীবনে অনেক ঘটনাই রেন্ডম স্টাইলে ঘটতে পারে তাই তার সাথে পীরের কানেকশন কেন সৃষ্টি করা হয় ?
এই কানেকশনই তাদের মনে বিশ্বাস ও ভয় তৈরী করেছে ।
কই পীরের কবরের মাটি তো আমার বোনের কঠিন ঔষুধ সারাতে পারল না ! কই আমার নানা কে বা মামাকে বাচাতে পারল না কঠিন অসুখ থেকে যার কারনে প্রান যায় তাদের !
পীরের গুষ্টি কিলাই, অপেন চ্যালেঞ্জ কোন পীর আমাকে বান বা তীর মারলে মারুক গিয়া কবর থেকে । দেখতে চাই ।
নবী সাঃ এর সাহাবী ছিলেন । যারা তারঁ বন্ধু বা সহযোগী ছিল । কোরআনের আয়াত তাই নির্দেশ করেছে ।
কিন্তু তাকে কেন্দ্র করে শয়তানের পূজা বা ব্যবসা করতে বলে নাই ।
১১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:১৬
সবুজ ভীমরুল বলেছেন: দেওয়ানবাগী পীর প্রচার করসিল যে তার চেহারা চাঁদে দেখা গেছে...............এইবার ঈদে দেখলাম জাকের মঞ্জিলে ঈদের সালাতের পর ওইখানে লাফাইয়া লাফাইয়া পীরের নামে যিকির শুরু হইসে.......ঐ পীর আবার ক্লিন শেভ সাংলাস পড়া.................ভন্ড গুলারে বাঁশ দিয়া পিডানো দরকার!!
১২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৯
আলতামাশ বলেছেন: ক্যাচাল আরেক পোস্টে করব। এখন ব্যাস্ত আছি, না হলে ঠিকই উত্তর দিতাম
১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:০১
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: আপনিও পীরের মুরিদ। আশ্চর্য হলাম।
১৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩০
ঠোটকাটা বলেছেন: Click This Link
১৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৬
জিললুর রহমান বলেছেন: যারা নিজেদের পীর দাবী করে, তারাই ভন্ড।
১৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫০
টিপূ সুলতান বলেছেন:
পীর সাহেব কর্তৃক জান্নাতের সার্টিফিকেট প্রদান সম্পর্কে আলোচনা চলছিল। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কলিজার টুকরা ফাতেমা রা. কে জান্নাতের সার্টিফিকেট দিতে পারেননি, অতএব যেসব নামধারী পীর সাহেবরা তাদের মুরীদদেরকে জান্নাতের টিকেট দেয় তাদের ভণ্ডামী প্রমাণিত হওয়ার জন্য দ্বিতীয় কোন কিছুর প্রয়োজন নেই। তবে যারা হক্কানী পীর তাঁরা বাইআত করানোর সময় মুরীদদের কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করে থাকেন। তারা মুরীদদেরকে বলেন, অঙ্গীকার করুন যে, আমি শিরিক করব না, কবর পূজা করব না, চুরি করব না, হত্যা করব না, পাঁচ ওয়াক্ত নামায পাবন্দির সাথে আদায় করব, যাকাত ফরয হলে যাকাত আদায় করব, হজ্ব ফরয হলে হজ্ব আদায় করব, রমযান মাসে রোযা রাখব, জিহাদ ফরয হলে জিহাদ করব। এসকল অঙ্গীকারের পর পীর সাহেব বলেন, এখন বায়আত করে নিলাম। এ হলো হক্কানী পীরের বাইআত। আবার পীরের হাতে বাইআত হওয়ার পর হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে জান্নাত পাওয়া যাবে না; বরং আমল করতে হবে। দৃষ্টান্ত স্বরূপ বলা যায় যে, পীর সাহেব তার টিকেট নিয়ে প্লেনে ছড়ছেন। সাথে তাঁর মুরীদ টিকেট ব্যতীত প্লেনে চড়তে উদগ্রীব। কিন্তু টিকেট না থাকায় তাকে প্লেনে চড়তে দেয়া হবে না। প্লেনে চড়তে হলে তাকেও আলাদা টিকেট করতে হবে। মোটকথা পীর সাহেব মুরীদকে জান্নাতে যাওয়ার পথ দেখাতে পারে কিন্তু আমলবিহীন মুরীদকে জান্নাতের সার্টিফিকেট দেয়ার যোগ্যতা ও ক্ষমতা তার নেই। আল্লাহ পাক আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন!
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৪
কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: একদম হক্ব কথা। মনের কথাডা কইচেন। ভন্ডপীরগুলারে উষ্ঠা।