আজকে ঈদ। সামুতে ঈদের ব্যানার কই? (পার্ট ২)

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৭

আমার ছোট ভাই এবং তার বন্ধুরা বড়দের টুসকি টুর্নামেন্টে খেলে সেমিতে গিয়ে হেরে যায়। আমি জানতাম সেদিন তাদের ম্যাচ ছিল। ম্যাচ হেরে সন্ধ্যার দিকে বাসায় এসে আম্মুকে বলে “আম্মা কিছু টাকা দেন?” আমি তো পুরাই টাস্কিত। আজকে তো কোন অকেসন নাই এবং আমি জানি ওরা ম্যাচ হারছে। তাইলে কিসের পার্টি? জিগ্যেস করলাম। যা বলল শুনে আমি পুরাই থ!!! আজকে ম্যাচ হারছে সেই হারার দুঃখ ভুলার জন্য পার্টি দিয়ে একটু নাচানাচি করবে, পোলাও কর্মা খাবে আরকি তাই আম্মুর কাছে চাদার টাকা চাচ্ছে।শুনে আমি টাস্কিত হবার সাথে সাথে হাসতে হাসতে শেষ।

এখন কিছু ব্লগারের ঈদ ঈদ করে ব্লগ ফ্যাটিয়ে ফেলা নিয়ে আমার ছোট ভাইয়ের কথা মনে পড়ে গেলো। মহানবী (সাঃ) মারা গেছেন এই দিনে আর আজ তারা উৎসব করবে। দিনে ফযর নামায না পড়লেও ঘুম থেকে উঠে ক্লিন সেভড করে পাঞ্জাবি গায়ে চাপিয়ে কিছু ব্যানার বানিয়ে শহর ঘুরবে। জোহর আর আসর যাবে ঘুরতেই। মাগরিবে শুরু হবে মাজারে নাচানাচি আর গাজাখাওয়া। গাজা খেতে খেতে কখন এশা শেষ হয়ে যাবে জানবেই না। ফজর যাবে কতো মানুষের পকেট থেকে টাকা আজকে মারতে পারলো। বুঝতে পারলেননা? আগে ১-২ দিনে খান্ত দিত। কিন্তু এখন ৫৬ দিন ব্যাপী? কারন যত বেশি দিন চালাইতে পারবো তত বেশি ইনকাম। আমি এদের দোষ দিবনা। টাকার মোহে এরা কি করতে পারে এরা নিজেরাই জানেনা। দোষ দিবো সেই সব লোককে যারা এদের টাকা দিবে । আরে গাধা টাকা দিয়ে যা বুখারি শরিফ কিন। পড়। তা পড়বেনা। কারন তারা ছোট মানুষ তাদের পক্ষে ইসলামের জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব নয়। আর পীর বাবাতো আছেন। তারে টাকা দাও সে পীর বাবা দুই হাত ধরে জান্নাতে নিয়ে যাবে। কি দরকার কষ্ট করে শীতের মাজে নামায পড়ার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে অজু করে?। আমার পীর বাবাকে মাসে ১০০০ টাকা করে দিবো আমার জান্নাত পাকা। ঐ সব মুস্লিমারা তো বলদ আরা গাধা। কষ্ট করে নামায পড়ে । আরে এত কষ্ট না করে বাবার কাছে ১০০০ টাকা দাও জান্নাত পাক্কা। গাজার গন্ধে রাস্তা দিয়ে হেটে জাওয়া যাবেনা আর মাইকে তাদের উন্মামদিয় চিতকারে মানুষ সারা রাত ঘুমাতে পারবেনা। আমার মনে পড়ে গেলো একটা হাদিস যে হাদিসে বলা ছিল সে প্রকৃত মুসলিম নয় যার মুখ ও হাত থেকে আরেক মুসলিম নিরাপদ নয়।



Click This Link

৭ টি +০/-০