![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতীব সাধারন ছেলে। সাধারণ মনের ছোটো ছোটো স্বপ্ন গুলোই আমার বেচে থাকার প্রেরনা।
চাদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার ২নং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ারডের খান বাড়ির একটি ছেলের সাথে বিয়ে হয়েছিল পাসের গ্রামের কুলসমা নামের একটি মেয়ের সাথে।মেয়ের বাবা বিদেশ থাকতো।যৌতুক হিসাবে দাবি ছিল ছেলেকে(আলমগির) বিদেশ নিয়ে যাবে।কুলসুমার বাবা রাজিও ছিল।কিন্তু ভাজ্ঞের কি পরিহাস,কুলসুমার বাবা ধরা পড়ে নিসসহ হয়ে বাড়ি ফিরে।যার কারনে আলমগির কে বিদেশ পাঠাবে দুরের কথা নিজের সংসার চালাতে কস্ট হয়।এর পর থেকে সুরু হয় কুলসুমার জীবদ্দসা।এর মাঝে আড়াই বছর চলে গেল,এবং তাদের দুটি সন্তান হল।সবচাইতে বড় বেপার হল কুলসুমার শাশুড়ি।যার নাম জোহরা বেগম।ওনি হল এই কাহিনির মেইন ভিলেন।
যাই হক আস্তে আস্তে কুলসুমার অত্যাচারের পরিমান বাড়তে থাক্ল।ভোরে ঘুম থেকে উঠে কাজ করা শুরু হত।নাস্তা হাতে নিয়ে জোহরা বেগম কে ডেকে তোলা থেকে শুরু করে রাতে পাটিপে ঘুম পাড়ানো পর্যন্ত কাজ করতে হত।কুলসুমার এ দিকটার জন্য কোন দুঃখ ছিলনা।জদি তার শাশুড়ি তাকে সামান্ন পরিমান ভালবাস্ত।তার শ্বামি আলমগির চট্রগ্রামে একটি বেসরকারি চাকরি করত।এদিকে কুলসুমার একবেলা খাবার জুটত তো আরেবেলা জুতটোনা।তার ছোট দুটি বাচ্চাকে অনেক মারতো তার শাশুড়ি।কিছুদিন পর পর বাপের বাড়ি পাঠাত চাল-টাকা আনার জন্ন।তার বাবার সমসসা হলেও মেয়েকে খালি হাতে বিদায় দিত না।দিলে কি হবে তার প্রতি সামান্ন মায়া হয়না তার শাশুরির।কিছুদিন পর গায়ে হাত তোলা আরাম্ভ করল।লাঠি দিয়ে প্রছন্ড প্রহার করত।সে দেখতে ওত সুন্দর ছিলনা বলে তার শ্বামি তাকে দেখতে পারতনা।শুধু যৌতুকের জন্য তাকে বিয়ে করসে।তাকে কখনো কোন কাপড় কিনে দেয়নি তার স্বামী কিংবা তার শাশুরি।ছিড়া কপড় পরে থাকত।বাড়িতে কেউ এলে লুকিয়ে থাকত লজ্জায়।তার বাবা গ্রামের মুরুব্বি,মেম্বার দের নিয়ে শালিশ বসলো।কুলসুমাকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে সব না করে।কারন তার ইচ্চা সে স্বামীর সাথে সংসার করবে।কিছুদিন যাওয়ার পরে তাকে প্রত্তেক দিন মার-ধর করত।তার স্বামী তার বাবাকে ডেকে বলল যেদিন আমার টাকা কিংবা আমাকে বিদেশ নিতে পারবেন সেদিন মেয়েকে রেখে যাবেন।আপনার মেয়ে আমার দরকার নাই।এই বলে তাকে বের করে দেয়।তার বাবার সংসারে আর তিনজন বেড়ে গেলে সংসারে অভাব লেগেই থাকত।এদেকে তার ছেলের ৫ এবং ৩ বছর হয়ে গেল।স্কুলে পাঠাবার সময় হলেও অভাবের কারনে পাঠাতে পারেনা।তার সন্তানের দিকে তাকিয়ে মরতেও পারেনা।
উলেখ্য-তার শাশুড়ি জোহরা বেগম তার বড় ছেলের ১ম বউকে অত্তাচার করে তাড়িয়ে দিয়ে আবার যৌতুক নিয়ে বিয়ে করায়।এটা তাদের একটা ব্যবসা হয়ে গেছে।এলাকার কেউ কিছু বলতে গেলে তাদের সাথে ঝগড়া আরাম্ভ করে।
আজ ৫ বছর হয়ে গেল,কিন্তু বিছারের অভাবে কিংবা টাকার অভাবে কুলসুমা এবং তার ছেলে কারই কোন ঠিকানা মিলেনা।আর কোন দিন তার ছেলে নিজের বাড়ি জেতে পারবেনা?তারা আর দশটা ছেলে-মেয়েদের মত লেখাপড়া করতে পারবেনা?এটাই কি কুলসুমার শেস পরিনতি?
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১২
সারা জীবন ভােলাবাসব বলেছেন: দয়া করে ১ম পেিজে পোসট করুন,,,,।