নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ওরা কেনো বুকে ভর দিয়ে হাঁটে- তুন্ত?
ওরা কি মিছিলে যায় নি?
ওরা উন্মত্ত পশুর মত কেনো বাঁচে?
তোমার স্লোগানও কি স্বপ্ন দেখায়নি?
ওদের বুক কেনো কাষ্ঠল?
তোমার মশালের আগুন কেনো ওদের বুক ঝলসায়নি?
ওরা বোধহয়...
পৃথিবীর সকালগুলো প্রাণবন্ত হউক,
নিঃশেষিত, রক্তাক্ত লাশের চোখে-
প্রতীয়মান প্রচ্ছন্ন শেষ আলোর মতো,
পাখির সুরে উদ্বেলিত হউক নিষ্ঠুরতম শাসক হৃদয়,
যে নিস্তব্ধতা, নীরবতা থমকে দিয়েছে,
কোলাহলে মুখর জাগতিক যত যান্ত্রিক ভাবনা,
মিশে থাক তা সহস্র রজনীর...
সুবিন্যস্ত গানের লিরিকে জড়োসড়ো ঠোঁটের উন্মত্ত স্ফুরণ,
শঙ্খচিলের উদ্ভ্রান্ত আকাশ নেমে আসে বসন্তের নিমজ্জিত কোকিল স্বরযন্ত্রে,
ভাঙ্গা চিবুকের শ্রী গেঁথে যায় চুলের ছন্দপতন উল্লাসে,
হৃদ্য থেকে হস্ত, ধীরে ধীরে নুয়ে যায় তার শরীর-
গেয়ে...
পুরানো শুকনো হাড্ডি চিবিয়ে রোজ রাত্রিরে উৎসব হয়,
আধ ভাঙ্গা গেলাসে মদ, বাকি অংশে একসময় তৃষ্ণা মেটানো হতো,
শহরের সবকটা কুকুর-বেড়ালে সখ্যতা,
শুধু চেনা হলো না মানুষগুলো,
দেখতে কেমন?
ওদের হরেক রঙের আয়না আছে।
শুনেছি- মানুষ...
জানি, কবিতা সুখের হয়-
লোকার বাসের সিটে,
প্রেমিকার বুকে ঘুম হয়ে আসা ক্লান্তির মত
অথবা,
ভর দুপুরে এক গ্লাস ঠান্ডা আখের রসের মত,
ও মজুর ভালো বুঝে-
বুকের ভিতর যখন কাষ্ঠল গ্লানি জমে।
আমিও জানি- সুখ গভীর...
চৈত্রের ব্যাক্টেরিয়া- কবিতায় সংক্রমিত তারা,
মরচুয়ারিতে লাশ নেই,
কবিতার জন্য মৃত্যুর স্থগিতাদেশ,
শরীরের রঙ ধূসর-
দু\'ব্যাগ কবিতার প্রয়োজন; কবিতার গ্রুপ সবুজ ডাঁটা।
একুশখানা বছর আমার,
শহুরে রাস্তায় ঝরে যাওয়া কিছু শুকনো পাতার মত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গেছে;
সিগারেটের ফিল্টারে জমাট পোড়া বিষাদে-
শহুরে রাস্তায় গুটিকয়েক গর্ত খুঁড়েছে,
বৃষ্টি এলেই ওখানে পানি জমে,
পা ডুবিয়ে কিছু প্রেমিক হেডফোন গুঁজে বিমর্ষতার...
তুমি যদি প্রতিদিন নিজেরে গুছাইয়া আমার সামনে দন্ডায়মান হও,
তাইলে বলব- তোমার জন্য ভালোবাসাও পকেটে ভাঁজ কইরা রাইখা দিবো।
মূর্তি প্রদর্শনীতে,
স্রষ্টা কি কোনদিন নিজেরে সাজাইয়া রাখে
- বলো?
পূজার্হ প্রেয়সী আইসা, আমারে চাইতে পারে-
পরিপাটি...
আদর্শের খাতায় ভাঁজ দেওয়া কিছু নীতি বেঁচে, কেজি কয়েক বাদাম কিনব-
প্রেম করবার পূর্বে এতটুকু নিশ্চিত হইতে হবে তুমি মার্ক্স, লেনিন কিংবা গ্রামসি বাদে আমাকেও বুঝো।
অক্টোবর বিপ্লবে-
তুমি নিজেরে কতটুকু আমার জন্য...
একুশ আমার কাছে এসেছে মধ্য রাতে শক্তি\'র কবিতা হয়ে,
মাঝরাস্তায় ছফার নির্বাক চাহনি ঘিরে,
হঠাৎ থমকে যাওয়া মিছিলে শশ্মান নীরবতা ছুঁয়ে,
চোখ বুঝে এক রাশ স্বপ্ন নিয়ে।
একুশ এসেছিলো আমার কাছে,
দুঃস্বপ্নের রাতে এক ফালি...
কার শহরে সকাল হয়ে আসো,
সূর্যের নীলাভ প্রখরতায় কার শরীরে উত্তাপ ছড়াও,
কোন গলিতে পথিকের ছায়া মাড়াও,
কোন দিগন্তের বাতাসে চুলের বাঁধন খুলো,
কার মাঝে উদ্ভ্রান্ত হও,
কার চায়ের পেয়ালায় এক চুমুক নিশ্বাস নাও,
যদি নাইবা...
এই শহরে তোমাকে দেওয়ার জন্য-
লাল-রঙিন কৃষ্ণচূড়া নেই ,
তবে আছে রক্তিম এক স্বাধীনতার সূর্য-
আমার কিংবা আমাদের বিজয়ের সূর্য।
যে সূর্য ধারণ করেছে আমার পূর্ব পুরুষ,
আলিঙ্গন করে বেঁচে আছে-
আমার মা, বীর বাঙালী এবং...
উলঙ্গ শরীরে জ্যোছনা পোহাইতাম,
মাটি লেপ্টে বুকের উপর প্রলেপ দিতাম,
অপ্সরার উরুতে কবিতা লিখতাম-
তারপর?
হিংসা আর বিদ্বেষের প্রচ্ছন্ন সঙ্গমে কাল ছেদন কইরা
এই শহরে পৌঁছাইলাম-
একখানা নাম ঝপাইয়া জন্তু-জানোয়ারের শক্ত চামড়া পরাইয়া দিলো,
পাপ-পূন্যের হিসেবে...
©somewhere in net ltd.