নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বে স বে স

জাহি

জন্মই আমার আজন্ম পাপ। আমি মৃত, আমি শহীদ না , আমি শ্রমিক , আমি মানুষ না

জাহি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইমাম আবু হানিফা (রঃ) ও এক নাস্তিকের মধ্যে কথোপকথন

০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

নাস্তিকঃ "তোমার খোদা কবে জন্মগ্রহন করেছেন ?"

আবু হানিফাঃ "আল্লাহ সময়, কাল,যুগের আগে থেকে আছেন।"

নাস্তিকঃ "পার্থি -ব জীবনের নমুনা থেকে বল"

আবু হানিফাঃ "৩ এর আগে বাস্তব কত সংখ্যা"

নাস্তিকঃ "২"

আবু হানিফাঃ "২ এর আগে বাস্তব কত সংখ্যা"

নাস্তিকঃ "১"

আবু হানিফাঃ "১ এর আগে কত বাস্তব সংখ্যা"

নাস্তিকঃ "নাই"

আবু হানিফাঃ "যদি তোমার পার্থিব সংখ্যা ১ এর আগে কোন বাস্তব কিছু না থাকে তাহলে যিনি শাশ্বত তার আগে কি কিছু থাকতে পারে ?"



নাস্তিকঃ "তোমার খোদা কোন দিকে মুখ করে আছেন ?"

আবু হানিফাঃ "যদি কোন অন্ধকার স্থানে মোমবাতি আনা হয় সেটা কোন দিকে মুখ

করে থাকে ?"

নাস্তিকঃ "সব দিকে"

আবু হানিফাঃ "যদি তোমার পার্থিব কৃত্রিম আলো সব দিকে মুখ করে থাকতে পারে তাহলে যিনি আলো তৈরী করেছেন তিনি কি পারেন না?"

নাস্তিকঃ "তোমার খোদা কী কঠিন, তরল না বায়বীয়?"

আবু হানিফাঃ "মৃত ব্যক্তির পাশে কখনো ছিলেন ?"

নাস্তিকঃ "হ্যাঁ"

আবু হানিফাঃ "মৃত্যুর -পর সে কথা বলে ?"

নাস্তিকঃ "অবশ্যি -না"

আবু হানিফাঃ "মৃত্যুর - আগে সে কথা বলতে পারে কিন্তু মরার পর সে নির্জীব আর বরফ হয় কেন ?কে তার এই অবস্থা করে ?"

নাস্তিকঃ "তার আত্মা চলে যায়"

আবু হানিফাঃ "আত্মা কেমন আমাকে বলতো কঠিন ,তরল না বায়বীয় ?"

নাস্তিকঃ "আমি জানি না"

আবু হানিফাঃ "যদি পার্থিব আত্মার কোন সংজ্ঞা না দিতে পার তাহলে কিভাবে আল্লাহর অবস্থা বলা সম্ভব"



নাস্তিকঃ "তোমার খোদা কোথায় থাকে ?"

আবু হানিফাঃ "তুমি বাটিতে যদি এক গ্লাস দুধ নিয়ে আস"

নাস্তিকঃ "ঠিক আছে"

আবু হানিফাঃ "বল এর মধ্যে মাখন কোথায় থাকে ?"

নাস্তিকঃ "সব খানে"

আবু হানিফাঃ "যদি মাখনের মত সৃষ্ট বস্তু দুধের সব জায়গায় থাকে তাহলে আল্লাহ

কিভাবে একটি স্থা্নে থাকতে পারে?এটা তো বিরট আশ্চর্য!"



নাস্তিকঃ "জান্নাতে তো টয়লেট নাই তাহলে খাবার পর শৌচ কাজ করবে মানুষ কিভাবে ?"

আবু হানিফাঃ "মায়ের পেটে বাচ্চা ৯ মাস কিভাবে শৌচ কাজ করে , সেটার তো দরকার হয় না। তাহলে জান্নাতে দরকার হবে কিভাবে ?"

নাস্তিকঃ "কিভাবে জান্নাতে খাওয়ার আর উপভোগ করার পরও এই জিনিস গুল বাড়বে"

আবু হানিফাঃ "যেভাবে জ্ঞান যত দান করা হয় তত বাড়ে"



এভাবে যুগে যুগে নাস্তিকেরা অপমানিত হচ্ছে ও হবে

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫০

অন্ধকারের আলোকিত বাসিন্দা বলেছেন: ১ এর আগে বাস্তব সংখ্যা নাই কে বলল?

২| ০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

শ্রীঘর বলেছেন: এভাবে যুগে যুগে নাস্তিকেরা অপমানিত হচ্ছে ও হবে...

অপমান করবেন ভাল কথা। যৌক্তিক অপমান গ্রহনযোগ্য সব জায়গায়। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায় গোয়া (পাছা) দিয়া পাহাড় ঠেলা

বাস্তবিক অর্থে আস্তিক-নাস্তিকদের কোন ডিবেট নাই। বিচার মানি কিন্তু তালগাছ আমার টাইপের কিছু ডিবেট এখনো হয় তবে আনাঅফিসিয়ালি।

এই দেশে নাস্তিক হওয়া সহজ নয়। অনেক চিন্তা-ভাবনা কইরা একজন মানুষ নাস্তিক হয়।

তবে এই দেশে আস্তিকতা বাপ-দাদা থেকে প্রাপ্ত। কোন চিন্তার দরকার নাই।



৩| ০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৬

এমডি. আল-আমিন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট

৪| ০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২১

এমডি. আল-আমিন বলেছেন: শ্রীঘর বলেছেন: এই দেশে নাস্তিক হওয়া সহজ নয়। অনেক চিন্তা-ভাবনা কইরা একজন মানুষ নাস্তিক হয়। !!!!!!

অনেক চিন্তা-ভাবনা কইরা একজন অমানুষও কিন্তু মানুষ হয়।

কেউ দুধ বেচে মদ খায়! আবার কেউ মদ বেচে দুধ খায়!!
তাহলে বুঝুন

৫| ০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩০

নিরব বাংলাদেশী বলেছেন: চমৎকার

৬| ০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯

শ্রীঘর বলেছেন: হুজুররা প্রায়শ বলে "যে মুসলমান একবার কলেমা পড়বে সে তার পাপের সাজার পরেও বেহেস্তবাসী হওয়ার সম্ভবনা আছে বা থাকে।"

কিন্তু নাস্তিকদের এই সুযোগটা নাই। তার মানে এই পয়েন্টে সে একটু রিস্কের মধ্যে থাকে।

এইজন্যই চিন্তা-ভাবনা শব্দটা বলা।

৭| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:২১

মেংগো পিপোল বলেছেন: ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন। আমি এদের অপমানের কথা চিন্তা করিনা। এদের বিভ্রান্তি তে যেনো অন্যরা না পরে সে জন্য এই ধরনের যুক্তির খুব দরকার এখনকার সমাজে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.