নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/humanistSamir

আমি সমীর

আমি সমীর । পেশায় একজন ছাত্র । ডিজাইন করতে ভালবাসি। । আমার ব্লগ এ আপনাদের সবাইকে স্বাগতম । :)

আমি সমীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্থান, কাল, শক্তি- সৃষ্ট না অসৃষ্ট ?(পার্ট -৪) এবং প্রশ্ন !

২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৪

শক্তিঃ

''শক্তি'' বলিতে আমরা বুঝি যে, উহা কাজ করিবার ক্ষমতা। শক্তিকে জানিতে বেশি দূরে যাইতে হয়না। কেননা উহা আমাদের নিজের মধ্যেই আছে, যাহার সাহায্যে আমরা উঠা বসা, চলা ফেরা ও নানাবিধ কাজকর্ম করিয়া থাকি। কিন্তু শুধু গায়ের শক্তিতেই সকল রকম কাজ করা যায় না, অন্যান্য রকম শক্তির ও দরকার। গায়ের শক্তিতে কোন কিছু দেখা বা শোনা যায় না, গায়ের জোর থাকা সত্ত্বেও অন্ধ বা বধির ব্যাক্তিরা দেখে না বা শোনে না। উহার জন্য চাই দর্শন ও শ্রবণ শক্তি। শুধু তাই নয় আরও অনেক রকম শক্তি আমাদের দরকার এবং উহা আছেও। যেমন -বাকশক্তি, ঘ্রাণশক্তি, স্পর্শশক্তি, ধীশক্তি, মননশক্তি ইত্যাদি এবং সর্বোপরি জীবনশক্তি। আমাদের দেহের মধ্যে যেমন রকম রকম শক্তি আছে, তেমন প্রকৃতিরাজ্যেও নানাবিধ ; যেমন তাপশক্তি, আলোকশক্তি, বিদ্যুৎশক্তি, রাসায়নিকশক্তি ইত্যাদি। বস্তুজগতে এমন কোন বস্তু নাই, যাহার মধ্যে কোনরূপ শক্তি নাই। সামান্য একটি দুর্বাপত্রেরও রোগ নিরাময় করিবার শক্তি আছে। মূলকথা এই যে এই জগতটিই শক্তির লীলাখেলা।-অর্থাৎ শক্তি জগতময় এবং জগত শক্তিময়।

বিজ্ঞানী প্রবর আইনস্টাইন বলিয়াছেন যে, ''পদার্থ'' শক্তির রূপান্তর মাত্র। শক্তি সংহত হইয়া হয় পদার্থের উৎপত্তি এবং পদার্থের ধ্বংসে হয় শক্তির উদ্ভব। কি পরিমান শক্তির সংহতিতে কি পরিমান পদার্থ এবং কি পরিমান পদার্থ ধ্বংসে কি পরিমান শক্তির উদ্ভব হইতে পারে, তাহা তিনি অঙ্কের সাহায্যে দেখাইয়াছেন। তিনি বলিয়াছেন যে একটি মটর পরিমান পদার্থকে সম্পুর্ন ধ্বংস করিতে পারিলে তাহা হইতে যে পরিমান শক্তির উদ্ভব হইবে, তাহা দ্বারা বড় রকমের একখানা মালবাহী জাহাজ চালানো যাইবে লন্ডন হইতে নিউইওর্ক পর্যন্ত। আইনস্টাইন এর এই সূত্র ধরিয়া অধুনা হইয়াছে পারমানবিক শক্তির আবিষ্কার। অর্থাৎ জগতের সবকিছু সৃষ্টির মূলে রহিয়াছে ''শক্তি''।

কোন রূপ কাজ করিতে হইলেই আগে চাই সেই কাজটি সমাধা করিবার মত শক্তি । অর্থাৎ ''শক্তি'' আগে ও কাজ পরে। এই জগত ঈশ্বর সৃষ্টি করিয়াছেন এবং সেই সৃষ্টিকাজেও তার আবশ্যক হইয়াছিল ''শক্তির''। যখন হইতে ঈশ্বর আছেন, তখন হইতে তাঁহার শক্তিও আছে। আমরা এমন একটি সময় কল্পনা করিতে পারিনা, যখন ঈশ্বর ছিলেন অথচ তাঁহার ''শক্তি'' ছিলনা। ঈশ্বর অনাদি । কাজেই শক্তিও অনাদি। পক্ষান্তরে আমরা এমন একটি সময়কে কল্পনা করিতে পারিনা, যখন কোনরূপ পদার্থ না থাকিলেও শক্তি থাকিবেনা। কাজেই মানিতে হয় যে ''শক্তি অনন্ত''। কোন পদার্থ বা পদার্থের অনুপরমানুও যেমন যেমন শক্তিবিহীন নয়, তেমন সৌরজগৎ, নক্ষত্র বা নীহারিকাজগত অথবা তাহারও বহির্দেশের কোথাও ও শক্তিবিরল জায়গা নেই। শক্তি কোন স্থানে সীমিত নয়। অর্থাৎ শক্তি অসীম। তাপশক্তি, বিদ্যুতশক্তি, চুম্বকশক্তি ইত্যাদি নানারূপ শক্তির আমরা ক্রিয়া দেখিতেছি। কিন্তু কখনও শক্তিকে দেখিতে পাইতেছিনা। কেননা শক্তির কোন আকার নেই, শক্তি নিরাকার।

এ যাবত যে সমস্ত আলোচনা করা হইল, তাহাতে মনে হয় যে, ঈশ্বর যেমন অনাদি, অনন্ত, অসীম ও নিরাকার, তেমনিই স্থান, কাল ও শক্তি - ইহারা সকলেই অনাদি, অনন্ত, অসীম ও নিরাকার। এখন প্রশ্ন এই যে, ইহারা কি সৃষ্ট না অসৃষ্ট । অর্থাৎ ঈশ্বর কি ইহাদিগকে সৃষ্টি করিয়াছেন, না অনাদিকাল হইতে ইহারা স্বভাবতই বিদ্যমান আছে, তাহা হইলে তাহা হইলে ইহারা ঈশ্বরের সৃষ্টি নহে; এবং যদি বলা হয় যে, ঈশ্বরের সৃষ্টি-- তবে পরমেশ্বর ''স্থানকে'' সৃষ্টি করিলেন কোন স্থানে থাকিয়া, ''কালকে'' সৃষ্টি করিলেন কোন কালে এবং শক্তিকে সৃষ্টি করিলেন কোন ''শক্তির'' দ্বারা ?



আরজ আলী মাতুব্বরের মাতুব্বরি(১৭_শক্তি)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫৬

সোহাইব সিনান বলেছেন: দুঃখিত। লেখাটি পড়ে মনে হল আপনি নিজেই এই বিষয়ে কনফিউশনে ভুগছেন। এই লেখা নিয়ে আর দশজনকে কিভাবে সৎ পথে নিয়ে আসবেন?????????????

২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ২:০৩

আমি সমীর বলেছেন: হাঁ ! কনফিউশনে ভুগছি । কিন্তু লিখাটা নিয়ে না , আপনার মন্তব্য নিয়ে । তারপরেও একবার বলছি পুর্বের পার্ট গুলো পড়ুন । অর্থাৎ পার্ট ১ থেকে শেষ পার্ট পর্যন্ত । তাহলে দেখবেন বুঝতে পারবেন যেটা বোঝাতে চাওয়া হয়েছে । :)

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ২:১৮

নীরব নিলয় বলেছেন: মানিয়া লইলাম শক্তিও অনাদি অনন্ত অসীম, কাল ও অনাদি অনন্ত অসীম। তাতে সমস্যা কিরূপ বুঝিতে পারিলাম নাহ। ঈশ্বর তাহার অনন্ত শক্তি দ্বারাই বিশ্বজগত সৃষ্টি করিয়াছেন এবং এ শক্তিকে একটা সিস্টেমে আবদ্ধ করিয়াছেন, আর যখন থেকে আবদ্ধ করিয়াছেন তখন থেকেই সেই সিস্টেমের কাল শুরু কিন্তু ঈস্বরীয় শক্তি বা ইশ্বরীয় কাল দুইটাই সিস্টেমের বাহিরের জিনিস। তিনি এই সিস্টেমের বাহির থেকেই সব নিয়ন্ত্রণ করিতে পারেন, কেন পারেন আমরা সবাই তাহা জানি। যখন এই সিটেমে ধ্বংস হবে তখনো ঈশ্বরীয় শক্তি বিলুপ্ত হবে না আবার যখন এই কাল ধ্বংশ হবে তখনও মহাকাল বিদ্যামান থাকিবে,

আমার নিজস্ব মতামত।

অতঃপর একটা আয়াত,
"তাহারা এমন সব বিষয়ে তর্ক করে যার উত্তর কেবল কিয়ামত দিবসেই দেয়া হবে"

কোনসব বিষয় তা সহজেই অনুমেয়, ঈশ্বরীয় শক্তি বা ঈশ্বরীয় কাল সম্পর্কে আমরা কেও অবগত নয় কিন্তু তাই নিয়ে মাতব্বরী করছি।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ২:২৬

আমি সমীর বলেছেন:

অতঃপর একটা আয়াত,
"তাহারা এমন সব বিষয়ে তর্ক করে যার উত্তর কেবল কিয়ামত দিবসেই দেয়া হবে" :D :D :D

এই কথাটা কিরকম ?
কিয়ামত দিবস । মানে যেটা মানুষ কখন দেখেনি , শুধুমাত্র অন্ধভাবে বিশ্বাস করে আসছে । ভালই বলেছেন । এরকম আরো কোন আয়াত আছে কি ?

২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ২:২৮

আমি সমীর বলেছেন: /এবং এ শক্তিকে একটা সিস্টেমে আবদ্ধ করিয়াছেন//

কিভাবে করেছেন ? তখন কি শক্তি প্রয়োজন ছিলো ? নাকি শক্তি ছারাই সম্ভব হয়েছিলো ?

৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩০

আমি সমীর বলেছেন: স্থান, কাল, শক্তি- সৃষ্ট না অসৃষ্ট ? চারটি পার্ট এ লিখা হয়েছে । দয়া করে প্রথম থেকে পরে আসুন । ধন্যবাদ

৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩৩

নীরব নিলয় বলেছেন: ভাই কিয়ামত কি আগেও কয়েকবার হইছিল নাকি যে মানুষ দেখবে? =p~

৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩৯

নীরব নিলয় বলেছেন: কিভাবে করছেন এটা বিজ্ঞানের বিষয়, বিজ্ঞান আর ধর্মের মাঝে পার্থক্য এটাই যে ধর্মে বলা হয় ঈশ্বর করেছেন, কিন্তু কিভাবে করেছেন এটা যেখানে আলোচিত হয় সেটাই বিজ্ঞান, আর আপনি নিশ্চয় বিগ ব্যাংগ সম্পর্কে জানেন। সো কিভাবে করেছেন এ প্রশ্ন নিরর্থক আপনার জন্য।

তখন অবশ্যই শক্তি প্রয়জন হয়েছিল। স্টিফেন হকিং এর ব্রিফ হিস্টোরী বইটা পড়লে আপনি জানতে পারবেন যে কিভাবে এই বিশাল মহাবিশ্ব একটা বিন্দুতে আবদ্ধ ছিল। একটা বিন্দু, চিন্তা করুন একটা বিন্দু থেকে লক্ষ লক্ষ অসীম বিন্দুর সৃষ্টি। এটা কিভাবে সম্ভব তার ব্যাখাও দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা , তারা আলরেডী একটি থিওরী দিয়েছেন যে বিপুল পরিমাণ শক্তি তখন এই একটি পরমাণুতেই সঞ্চিত ছিল, আর আইন্সট্যানের সূত্র অনুযায়ী এই শক্তিই পদার্থে পরিণত হয়ে সারা মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে। অতএব সৃষ্টি প্রথমে ছিল কেবলি ঈশ্বরীয় শক্তি, ঈশ্বর তার শক্তি দ্বারাই বিশ্বজগত সিস্টেম সৃষ্টি করেছেন। কিভাবে করেছেন সেটাই বিজ্ঞান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.