![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভারতীয় অভিনেত্রী ও উপস্থাপিকা গওহার খানকে চড় মারার পর গ্রেফতার হওয়া 'মৌলবাদী' যুবক বললেন, গওহারকে 'উচিৎ শিক্ষা' দিতে চেয়েছিলেন তিনি যাতে ঐ নারী কখনও খোলামেলা পোশাক না পড়েন।
ভারতীয় দৈনিক মিড-ডে বলছে, ২৪ বছর বয়সী আকিল মালিককে নিজের এই কাণ্ডে মোটেও বিব্রত কিংবা অনুতপ্ত বলে মনে হয়নি। বরং নিরাসক্ত ভঙ্গিতে দেওয়া বিবৃতিতে মালিক বলেন, খাটো পোশাক পড়ে যেসব নারীরা পুরুষদের 'মাথা নষ্ট' করে দেয় এবং ধর্ষণের মতো অপরাধ করতে বাধ্য করে তাদের হাত থেকে নিজেকে এবং অন্য তরুণদের রক্ষা করতেই তিনি এই কাজ করেন।
তিনি আরও বলেন, "অভিনেত্রীরা সমাজের প্রতিনিধি। তাদের স্কার্ট কিংবা খাটো পোশাক পড়া উচিৎ নয়। কারণ এতে তরুণরা তাদের প্রতিভাবে শারীরিকভাবে আকৃষ্ট হয়। আজকাল অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেরাও ধর্ষণ এবং যৌন উৎপীড়ণের মতো অপরাধ করছে। এবং তারা পকেটে অভিনেত্রীদের অশ্লীল ছবি নিয়ে ঘোরে। অভিনেত্রীরা যদি সংক্ষিপ্ত পোশাক পড়া বন্ধ করে তাহলে অপরাধ কমে যাবে এবং একটি উন্নত সমাজের দিকে আমরা এগিয়ে যাবো।"
আকিল মালিক পেশায় একজন জুনিয়র আর্টিস্ট। সংগীতভিত্তিক রিয়েলিটি শো ‘ইন্ডিয়াস র স্টার’-এর সেটে তিন দিন ধরে কাজ করছিলেন তিনি। এই অনুষ্ঠানেই উপস্থাপিকা হিসেবে ছিলেন গওহার।
পুলিশকে আকিল জানান, তিন দিন ধরে গওহারকে খোলামেলা পোশাকে চলাফেরা করতে দেখে তার প্রতি শারীরিকভাবে আকৃষ্ট বোধ করছিলেন আকিল, কিন্তু নিজেকে সামলে নেন। অবশেষে তৃতীয় দিন অর্থাৎ অনুষ্টানের চূড়ান্ত পর্বের শুটিং চলাকালে গওহারকে তিনি প্রথমে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তাদের ধর্মে এ ধরনের পোশাক পরা অনুমোদিত নয়। কিন্তু বাক-বিতণ্ডা শুরু হওয়ায় আড়াই হাজার দর্শক এবং ২৫০ জন নিরাপত্তাকর্মীর সামনে গওহারকে চড় মারেন তিনি।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে গওহারকে অভদ্রভাবে স্পর্শ করারও অভিযোগ আনা হয়েছে। এরই মধ্যে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে এবং আদালত তাকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ বলছে, চলতি বছরের অগাস্টে আবু ধাবি থেকে মুম্বাইতে আসেন আকিল। আবু ধাবিতে বেয়ারা হিসেবে কাজ করতেন তিনি। মুম্বাইতে গাড়িচালক হিসেবে কাজ নেন আকিল। পাশাপাশি জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে ফিল্ম সিটিতে কাজ করছেন। ভবিষ্যতে অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছা আছে তার।
©somewhere in net ltd.