নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Nature

হুতুম

হুতুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে বিতর্ক হল সংলাপে রাকিব হাসনাত সুমন বিবিসি বাংলা, ঢাকা

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপের আজকের পর্বটির বিষয়বস্তু ছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্র কোন পথে?
এতে অংশ নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক মহাসচিব আইরিন খান বলেছেন বাংলাদেশে এখন একদলীয় শাসন চলছে বলেই মনে করেন তিনি।

রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা বলেছেন বিএনপি আগামী নির্বাচনেও আসবে কি-না তা সরকারের বিবেচ্য নয় এবং দেশে কোন অন্তর্বর্তী নির্বাচনও হবেনা।

বিএনপির একজন নেতা বলেছেন আলোচনার মাধ্যমে সমাধান না হলে সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে বিএনপি আন্দোলনেই থাকবে।

ঢাকায় বিয়াম মিলনায়তনে সংলাপের এ বিশেষ পর্বে দেশে প্রতিনিধিত্বশীল শাসন ব্যবস্থা আছে কি-না, সর্বদলীয় নির্বাচনের জন্য ফর্মুলা, অন্তর্বর্তী নির্বাচনের সম্ভাবনা এবং উন্নয়নের জন্য গণতন্ত্র জরুরী কি-না এমন বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে এসেছে।

বাংলাদেশে ৫ই জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের বার্ষিকী পালিত হতে হচ্ছে মঙ্গলবার।

এ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গন। কেউ দিনটিকে পালন করছে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস আর কেউ পালন করছে গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে।

এমন পটভূমিতে আজ বাংলাদেশ সংলাপের বিশেষ পর্বটি অনুষ্ঠিত হলো।
এ পর্বে একজন দর্শক জানতে চান গণতন্ত্র যদি হয় একটি দেশের সব নাগরিকের প্রতিনিধিত্বশীল শাসন ব্যবস্থা, তাহলে ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের পর বাংলাদেশে কি সেই ব্যবস্থা আছে ?

আরেকজন দর্শক জানতে চান নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কালীন সরকারের একটি ফর্মুলা কি খুঁজে পাওয়া যাবে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক মহাসচিব আইরিন খান বলেন আইরিন খান জানান ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি নিজেও ভোট দিতে পারেননি কারণ তার এলাকাতেও একজন মাত্র প্রার্থী ছিলেন।

তিনি বলেন, “ একদলীয় শাসন আছে বলেই বলবো। কিন্তু এর মাশুল বিএনপিও দিবেনা, আওয়ামী লীগও দিবেনা। দিবে সাধারণ মানুষ। কারণ সুশাসন হবেনা। আওয়ামী লীগ যতই ভালো কাজ করতে চায় না কেন একা পারবেনা। তাই দুদল মিলে সমঝোতা করতে হবে”।

তবে একি সঙ্গে তিনি বলেন কেউ কেউ বলছেন বর্তমান সরকার প্রতিনিধিত্বশীল সরকার নয়, আবার যারা ভোট দিয়েছেন তারা বলছেন প্রতিনিধিত্বশীল। এ কারণেই সমঝোতা জরুরী বলে মনে করেন আইরিন খান, যিনি এখন রোম ভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ল অর্গানাইজেশনের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রায়ই একি ধরনের অভিমত দেন সাবেক রাষ্ট্রদূত নাসিম ফেরদৌস। তবে তিনি বলেন এর আগের সংসদে বিরোধী দল ছিল কিন্তু তাদের কোন কার্যকর ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। তাই গণতন্ত্র ও নির্বাচনের জন্য সব দলকেই দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, “একটা দলের একনায়কতন্ত্রই হচ্ছে। কিন্তু সেখানে দলের নেতৃত্বকে রেসপন্সিবল করতে হবে। কোন দলের মধ্যে কোন গণতন্ত্র আমরা দেখেছি বলে মনে হয়না”।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম অবশ্য বলেন প্রতিনিধিত্বশীল সরকার রয়েছে বলেই বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন করছে। বিএনপি নির্বাচনে না এসে ভুল করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন তাদের ভুলের মাশুল অন্য কেউ দেবেনা।

তিনি বলেন, “বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি না আসবে সেটা আমার বিষয় নয়। তাদের আনার জন্য কলা মুলো ঝুলিয়ে দিবোনা। এটাই সোজা কথা। সংবিধান আছে। সংবিধানে বলা আছে নির্বাচন কিভাবে হবে। বিএনপি একা দল, আরও অনেক দল আছে”।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড: আব্দুল মঈন খান বলেন বিএনপি এমন কোন নির্বাচনে যেতে পারেনা যেখানে ফল আগে থেকেই নির্ধারিত থাকে। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনকে ভোট বিহীন নির্বাচন আখ্যায়িত করে তিনি বলেন ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি বলেই বর্তমান সরকার বৈধতা পায়নি।

তিনি বলেন, “সরকার কিন্তু একটা ফাঁদে পড়ে গেছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। কিন্তু বিএনপি অংশ নেয়ায় সরকার বৈধতা পেয়েছিলো। এবার বিএনপি নির্বাচনে যায়নি বলে সরকার এখনো বৈধতা পায়নি”।

একজন দর্শক বলেন, “আমাদের দেশে নির্বাচন ও গণতন্ত্র খেলাই রয়ে গেছে”।

আরেকজন বলেন, “দুদলে বসে আলোচনা করে সমাধানে আসুক তারপর নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার চাই”।

দেশে অন্তর্বর্তী নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে কি-না এমন এক প্রশ্নের জবাবে মিস্টার ইমাম বলেন অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচনের কোন সম্ভাবনা নেই, নির্বাচন হবে বর্তমান সংবিধানের আলোকেই।

ওদিকে মিস্টার খান বলেন সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনাই একমাত্র উপায়। সেটি না হলে বিএনপি আন্দোলনে করেই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.