| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চলো স্বপ্ন ছুঁই
একটু পড়ি, একটু লিখি
বিশ্বভ্রহ্মান্ডের যতগুলো প্রাণী পৃথিবীর সৌন্দর্য, লাবণ্য,রূপময়তাকে বহুগুণ বাড়াতে অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ভূমিকা পালন করে কপোত-কপোতী তার মধ্যে অন্যতম।
সৌন্দর্য পিপাসু মানব-মানবী পাখিটিকে পোষে শখের বশে।অনেকে অবশ্য জীবিকার্জন এর জন্যও এই পাখি লালনপালন।
তবে শখ বনাম পেশা কোনটি যে কবুতর পালন করার পেছনে প্রকৃত কারণ তারর হদিস পাওয়া ভার।কেউ পেশা হিসেবে নিলেও কখন যে তা শখে কনভার্ট হয়েছে তার খবর সে নিজেও জানে না।তা স্পষ্ট হয় যখন দেখা যায় অনেক কাজকর্ম পেশা হিসেবে নেয়ার সুযোগ থাকলেও, এদের নিয়েই ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কেটে যায় হাসি মুখেই।কেননা কবুতর পোষা, যত্ন নেয়ার কাজ নেহায়েত কম ঝামেলাপূর্ণ নয়,ক্ষেত্র বিশেষে সীমাহীন ধৈর্য পরিক্ষার চারণভূমি।
কপোত-কপোতীর নানা জাতি রয়েছে --জালালি,গ্রি বাজ আরো কত কি।তাদের বাহ্যিক চেহারা,অঙ্গভঙ্গি দেখেই ভিন্ন প্রজাতি চিহ্নিত করা যায় অবলিলায়।তবে পোষ মানানো খুবই কঠিন।
পৃথিবীর সৃষ্টি থেকে আজ অবধি যত সাহিত্য রচিত হয়েছে তার মধ্যে বিশেষ একটি জায়গা দখল করে আছে এই শান্তির প্রতীক রূপী পাখিটি।
কুকুর,বিড়াল,খরগোশ,,,ময়না,টিয়া,কাকাতুয়া বা যত পোষা পাখিই থাকুক না কেন কবুতর তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য শুধু এর বিশেষত্বের জন্য।
কোন পশু-পাখি কত আদরের বা শখের তার চেয়ে তার অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ঢেড় বেশি দরকারি তা মানবকুলের জন্য কতটা অপরিহার্য।
লাখো-কোটি বছর যাবত এই প্রাণিটি টিকে আছে কোন বিশেষ সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান শুরু করার জন্য তার সদয় উপস্থিতির অত্যাবশ্যকীয়তার কারণে।
কপোত-কপোতী কত শতাব্দী থেকে মানুষের সংস্পর্শে এসেছে তার সুনির্দিষ্ট হিসাব পাওয়া মুশকিল।তবে তা যে কোন আকস্মিক ঘটনার মধ্যদিয়ে তা নির্বিঘ্নে বলা যায়। কবুতরকে ডানা মেলে উড়িয়ে দেয়ার মধ্যেই প্রত্যাশিত সুখের, কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের শুভ সূচনা হয়ে থাকে।
সাধারণ কৃষক থেকে রাষ্ট্র প্রধান সবার হাতেই কবুতর সমানভাবে শান্তির সুবাস ছড়িয়ে দেয় বলে প্রচলিত প্রবাদ আছে।
কথা সর্বস্ব প্রেমিক-প্রেমিকা থেকে শুরু করে অটোমান সাম্রাজ্যের অধিপতি, রোমান এম্পরিয়র এর নৃপতি, মুঘল রাজ বংশের রাজাধিরাজ সবার কাছেই কবুতর এর প্রয়োজনীয়তা বা নিজের বাণী প্রেরণ, আবেগ নিংড়ে দেয়ার বাহক হিসেবে কবুতর সুপ্রাচীন কাল থেকেই সমাদৃত।
পীর -ফকির- আউলিয়া এর মাজার,দরবার শরীফ সর্বত্র এদের উপস্থিতিই জানান দেয় যে তাদের মহাত্ম ব্যঞ্জনার ধারক বাহক হিসেবেও কবুতর ছিল অতি প্রিয়,নিকট আপনজন।
কবুতর এর খাবার গ্রহণ,পারস্পরিক আনন্দ উল্লাস কিংবা অনুভূতি প্রকাশ করার ভঙ্গি অন্য সকল প্রাণি থেকে শুধু ভিন্ন নয় নান্দনিকও বটে।
এর মাংস সুস্বাদু, ডিম পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ আর বংশ বৃদ্ধি অত্যন্ত দ্রুত। অসুস্থ রোগী থেকে শুরু করে তরুণ -তরুণীর কাছে অতি প্রিয় খাবারের তালিকায় শীর্ষে কবুতরের মাংসের নাম।
শত গুনসম্পন্ন এই প্রজাতি মানুষের অতি ঘনিষ্ঠ। তাইতো মানব জাতির আদর,ভালোবাসা ও সাহচর্যে পৃথিবীর বুকে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখছে যুগ যুগ ধরে। সুন্দর,লাবণ্যময়ী এই পাখিটির সুন্দর ভবিষ্যত কামনায় সমগ্র মানবকুল। সুখী হোক কপোত-কপোতী, সুন্দর স্বাচ্ছন্দ্য বয়ে যাক জীবন সংসারে।
২১/০৫/২০১৬
©somewhere in net ltd.