![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখ চেয়ে দেখ পাঞ্জেরী, সূর্য ওঠার কত দেরী।
ইসলামকে বিকৃত করার একটি সন্ত্রাসী নাম 'ছাত্র শিবির'। গঠিত হয় ১৯৭৭ সালে। ১৯৭১ সালে নাম ছিল কথিত 'ইসলামী ছাত্র সংস্থা'। এই সন্ত্রাসী দলটা তখন পাকিস্তানের পক্ষনিয়ে মানুষকে হত্যা করেছে, ঘরে আগুন দিয়েছে, মা-বোনের ইজ্জত লুটেছে, ধন-সম্পদ লুঠেছে। যা তাদের দৈনিক পত্রিকা সংগ্রাম এবং তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তান এ ভুরিভুরি প্রমান রয়েছে। আর সেই লুটকৃত ধন-সম্পদ নিয়েই তাদের আজ সব ব্যবসা।
ইসলামের নামে সন্ত্রাসী করে গদি দখল করাই এদের মূল লক্ষ্য। তাই এখন-
হাতুড়ি, রড, ইট, মুগুর দিয়ে হাড় গুড়ো করে দেয়া
রিকশার স্পোক কানের ভেতর ঢুকিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মগজ বের করা
হাত ও পায়ের রগ কাটা।
চোখ উপড়ে ফেলা
মেরুদণ্ড ভেঙ্গে ফেলা
কব্জি কেটে নেয়া
কিরিচ, ছোরা, কুড়াল ব্যবহার করে হত্যা করার মতো নৃশংসতা- এদেশের কথিত ইসলামী ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে কেবল শিবিরের সন্ত্রাসী নামের সাথেই যুক্ত।
তো দেখা যাক কিছু সন্ত্রাসী কু-কাজের ফিরিস্তি:
মার্চ, ১৯৮১: গঠিত হওয়ার মাত্র তিন বছরের মাথায় সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডাররা চট্টগ্রাম সিটি কলেজের নির্বাচিত এজিএস ছাত্রলীগ নেতা তবারক হোসেনকে কলেজ ক্যাম্পাসেই কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। কিরিচের এলোপাতাড়ি কোপে মুমূর্ষু তবারক যখন পানি পানি করে কাতরাচ্ছিল তখন সন্ত্রাসী এক শিবিরকর্মী তার মুখে প্রস্রাব করে দেয়।
১১ মার্চ, ১৯৮২ : চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ৩ বাস বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এসে সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডাররা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রদের উপর হামলা চালায়। এই সহিংস ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
১৯৮৪: চট্টগ্রাম কলেজের সোহরাওয়ার্দী হলের ১৫ নম্বর কক্ষে সন্ত্রাসী শিবিরেরকর্মীরা ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ও মেধাবী ছাত্র শাহাদাত হোসেনকে জবাই করে হত্যা করে।
১৯৮৬: সন্ত্রাসী শিবির ডান হাতের কবজি কেটে নেয় জাতীয় ছাত্রসমাজের নেতা আবদুল হামিদের। পরবর্তীতে ঐ কর্তিত হাত বর্ষার ফলায় গেঁথে তারা উল্লাস প্রকাশ করে।
৩১ মে, ১৯৮৮ : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মেইন হোস্টেলের সামনে, কলেজের প্রিন্সিপাল ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ, ও শত শত শিক্ষাথীদের সামনে ছাত্রমৈত্রী নেতা ডাক্তার জামিল আক্তার রতনকে কুপিয়ে ও হাত পায়ের রগ কেটে হত্যা করে সন্ত্রাসী শিবিরের ক্যাডাররা।
১৯৮৮: চাঁপাইনবাবগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জাসদ নেতা জালালকে তার নিজ বাড়ীর সামনে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডাররা।
জুলাই প্রথম সপ্তাহ, ১৯৮৮: বহিরাগত সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডারদের হামলায় আমির আলী হল ছাত্র সংসদের জিএস ও জাসদ ছাত্রলীগ নেতা প্রিন্স সহ ২০-২৫ জন আহত হয়।
১৭ জুলাই, ১৯৮৮ : ভোর সাড়ে চারটার দিকে এস এম হলে বহিরাগত সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডাররা হামলা চালায় এবং জাসদ ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি ও সিনেট সদস্য আইয়ূব আলী খান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সিনেট সদস্য আহসানুল কবির বাদল এবং হল সংসদের ভিপি নওশাদের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়।
১৯৮৮: সিলেটে সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডাররা মুনীর, জুয়েল ও তপনকে বর্বরভাবে হত্যা করে।
আগষ্ট, ১৯৮৮ : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মোঃ ইউনুসের বাসভবনে সন্ত্রাসী ছাত্র শিবির বোমা হামলা করে। এতে অধ্যাপক ইউনুস বেঁচে গেলেও তার বাড়ীর কর্মচারী আহত হয়।
পবিত্র রমজান মাস ১৯৮৯: ছাত্র ইউনিয়নের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গাজী গোলাম মোস্তফাকে বিশ্ববিদ্যালয় পাশ্ববতী চকপাড়ায় ইফতারের দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়ে হাতের রগ কেটে দেয় শিবির ক্যাডাররা।
নভেম্বর, ১৯৮৯ : নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের সামনে সন্ধ্যায় জাসদ ছাত্রলীগের নেতা-কমীদের ওপর সন্ত্রাসী শিবিরের বোমা হামলায় বাবু, রফিক সহ ১০ জন আহত হয়।
২২ ডিসেম্বর, ১৯৯০: ছাত্রমৈত্রীর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ সভাপতি ফারুকুজ্জামান ফারুককে সন্ত্রাসী শিবিরের ক্যাডাররা জবেহ করে হত্যা করে।
১৭ মার্চ, ১৯৯২: পবিত্র রমজান মাসে চট্টগ্রামের কুখ্যাত সিরাজুস সালেহীন বাহিনীসহ কয়েক হাজার সশস্ত্র বহিরাগত সন্ত্রাসী শিবীর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেলা ১১ টার সময় অতর্কিত হামলা চালালে জাসদ ছাত্রলীগ নেতা ইয়াসীর আরাফাত পিটু নিহত হয় এবং জাসদ ছাত্রলীগের আইভি, নির্মল, লেমন, রুশো, জাফু, ফারুক এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের রাজেশ সহ প্রায় দেড়শাতাধিক ছাত্র-ছাত্রী আহত হয়। এদের অধিকাংশেরই হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়া হয় এবং রাজেশের কব্জি কেটে ফেলা হয়। এই হামলার সময় সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডাররা এস এম হল, আনোয়ার হল এবং লতিফ হল আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। ব্যাপক আকারে গান পাউডারের ব্যবহার করায় হলের জানালার কাঁচগুলো গলে গিয়েছিলো। লতিফ হলের অনেকগুলো কক্ষ এখনো অব্যবহূত অবস্থায় পড়ে আছে। এই হামলার তীব্রতা এতই ছিল যে, বেলা ১১টায় শুরু হওয়া হামলা রাত ৩টায় বিডিআর নামানোর আগ পর্যন্ত বন্ধ হয়নি।
মে, ১৯৯২: কথিত ইসলামী ছাত্রী সংস্থা রাজশাহী কলেজ শাখার সন্ত্রাসী নেত্রী মুনীরা বোমা বহন করার সময় বিষ্ফোরণে মারা যায় এবং তার সহযাত্রী-সহকমী আপন খালা এবং ঐ রিকসাওয়ালা আহত হয়।
১৯ জুন, ১৯৯২: শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধী গো-আযমের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে হরতাল কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে জাসদের মিছিল চলাকালে সন্ত্রাসী শিবিরের সশস্ত্র হামলায় সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে জাসদ নেতা মুকিম মারাত্মক আহত হন এবং ২৪ জুন তিনি মারা যান।
আগষ্ট, ১৯৯২: বিশ্ববিদ্যালয় পাশ্ববর্তি নতুন বুথপাড়ায় সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডার মোজাম্মেলের বাড়ীতে বোমা বানানোর সময় সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডার আজিবর সহ অজ্ঞাতনামা অন্তত আরো তিন জন নিহত হয়। বিষ্ফোরণে পুরো ঘর মাটির সাথে মিশে যায় এবং টিনের চাল কয়েকশ গজ দুরে গাছের ডালে ঝুলতে দেখা যায়। পরবর্তীতে পুলিশ মহল্লার একটি ডোবা থেকে অনেকগুলো খন্ডিত হাত পা উদ্ধার করে। যদিও সন্ত্রাসী শিবির আজিবর ছাড়া আর কারো মৃতু্র কথা স্বীকার করেনি। পুলিশ বাদি হয়ে মতিহার থানায় শিবির ক্যাডার মোজাম্মেলকে প্রধান আসামী করে বিষ্ফোরক ও হত্যা মামলা দায়ের করে। প্রায় ৫ বছর পলাতক থাকার পর মামলা ম্যানেজ করে মোজাম্মেল এলাকায় ফিরে আসে এবং জামাতের রাজনীতিতে পুনরায় সক্রিয় হয়।
৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৩: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী শিবির সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালালে ছাত্রদল ও সাবেক ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ মিলে গঠিত সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের ওপর শিবিরের হামলায় ছাত্রদল নেতা বিশ্বজিৎ, সাধারণ ছাত্র নতুন এবং ছাত্র ইউনিয়নের তপন সহ ৫ জন ছাত্র নিহত হয়।
১৯৯৯ : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. এনামুল হকের ছেলে ও ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ মুছাকে সন্ত্রাসী শিবিরকমীরা নৃশংসভাবে হত্যা করে।
১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৩: বহিরাগত সশস্ত্র সন্ত্রাসী শিবির কমীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শেরেবাংলা হলে হামলা চালিয়ে ছাত্রমৈত্রী নেতা বিশ্ববিদ্যালয় টিমের মেধাবী ক্রিকেটার জুবায়েদ চৌধুরী রিমুকে হাত-পায়ের রগ কেটে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।
১৯৯৪: পরীক্ষা দিতে আসার পথে তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের সামনের রাস্তায় ছাত্রমৈত্রী নেতা প্রদুৎ রুদ্র চৈতীর হাতের কব্জি কেটে নেয় সন্ত্রাসী শিবির কমীরা।
১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৫: সন্ত্রাসী শিবির কমীরা বিশ্ববিদ্যালয় পাশ্ববতী চৌদ্দপাই নামক স্থানে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সকাল-সন্ধ্যা বাসে হামলা চালিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী নেতা দেবাশীষ ভট্টাচায রূপমকে বাসের মধ্যে যাত্রীদের সামনে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার আগে বর্বর সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডাররা তার হাত ও পায়ের রগ কেটে নেয়।
জুলাই, ১৯৯৫: জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কমীদের ওপর সশস্ত্র সন্ত্রাসী শিবির কমীরা হামলা করে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছাত্রনেতা ফরহাদের হাতের কব্জি কেটে নেয়। এ হামলায় প্রায় ২৫ জন ছাত্রদল নেতা-কমীর হাত পায়ের রগ কেটে নেয় সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডাররা।
১৯৯৬: জাসাস রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমানকে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করে এবং ছাত্রদল নেতা ডুপ্লের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। এদের বাঁচাতে এসে দুইজন সহপাঠি ছাত্রী এবং একজন শিক্ষকও আহত হয়।
১৯৯৭: চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট দখল করার জন্য সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডাররা ছাত্র সংসদের ভিপি মোহাম্মদ জমির ও কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদউদ্দিন আহমদকে গুলি করার পর পায়ের রগ কেটে হত্যা করে।
১৯৯৭: বঙ্গবন্ধু পরিষদের রাবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল খালেক, জিয়া পরিষদ নেতা হাবিবুর রহমান আকন্দ সহ প্রায় বিশ জন শিক্ষকের বাসায় বোমা হামলা ও অগ্নি সংযোগ করে সন্ত্রাসী ছাত্র শিবির।
১৯৯৭ : গভীর রাতে রাবি ক্যাম্পাসে বহিরাগত শিবির সন্ত্রাসীদের হামলায় ছাত্রলীগ নেতা-কমীরা আহত হয়। রাবি জিমনেসিয়াম পুলিশ ক্যাম্পেও বোমা হামলা করে সন্ত্রাসী শিবির।
১৯৯৮ : শিক্ষক সমিতির মিটিং থেকে ফেরার পথে রাবি শহীদ মিনারের সামনে অধ্যাপক মোঃ ইউনুসের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় সন্ত্রাসী ছাত্র শিবির। ছাত্র-কর্মচারীদের প্রতিরোধে অধ্যাপক ইউনুস প্রাণে বেঁচে গেলেও মারাত্মক আহত হন তিনি।
১৯৯৯: রাবিতে অবস্থিত ’৭১ এর গণকবরে স্মৃতিসৌধ নির্মানের জন্য স্থাপিত ভিত্তি প্রস্তর রাতের আঁধারে সন্ত্রাসী ছাত্র শিবির ভাঙ্গতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মচারী বাধা দেন। ফলে সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডাররা তাকে কুপিয়ে আহত করে এবং ভিত্তিপ্রস্তর ভেঙ্গে ফেলে।
২২ আগস্ট, ১৯৯৮ : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী সঞ্জয় তলাপত্রকে হত্যা করে সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডাররা।
২০০০ : চট্টগ্রামের বদ্দরহাটে সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডাররা মাইক্রোবাসের মধ্যে থাকা ৮ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে প্রকাশ্য দিবালোকে ব্রাশফায়ার করে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
২০০১: রাবি ছাত্রী হলে বহিরাগত অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত ছাত্রী বিক্ষোভে সশস্ত্র সন্ত্রাসী ছাত্র শিবির কমীরা কমাণ্ডো হামলা চালায় এবং ছাত্রীদেরকে লাঞ্ছিত ও রক্তাক্ত করে।
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ, ২০০১: রাবি অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহাকে সন্ত্রাসী ছাত্র শিবির কমীরা হাত পা বেধে জবাই করার চেষ্টা করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা টের পাবার ফলে, তাদের হস্তক্ষেপে তিনি প্রাণে বেঁচে যান।
২০০২: রাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নেতা সুশান্ত সিনহাকে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেয় সন্ত্রাসী শিবির কর্মীরা।
২৫ জুলাই, ২০০৪ : সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডার রবি, রোকনের নেতৃত্বে প্রায় ১৫/২০ জনের একটি দল রাবি ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত সিনহার ওপর হামলা চালায়। ইট দিয়ে জখম করার পামাপাশি তার মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেয়ার চেষ্টা চালায় শিবির ক্যাডাররা।
২০০৪: রাবি ছাত্রী হলে বহিরাগত অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত ছাত্রী বিক্ষোভে সশস্ত্র সন্ত্রাসী ছাত্র শিবির কমীরা হামলা চালায়।
২০০৪: অধ্যাপক মোঃ ইউনুসকে ফজরের নামাজ পড়তে যাবার সময় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। যদিও এই হত্যা মামলায় জেএমবির দুইজন সদস্যকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। তারপরও এলাকাবাসী অনেকেরই মতামত হচ্ছে সন্ত্রাসী ছাত্র শিবিরের ক্যাডাররাই তাকে হত্যা করেছে। উল্লেখ্য, ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালে দুই দফায় সন্ত্রাসী ছাত্র শিবির তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০০৪: বরিশালের বাবুগঞ্জের আগরপুর ইউনিয়নের ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি শামীম আহমেদকে সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডাররা হত্যা করে।
৩০ অক্টোবর, ২০০৪: জামাতের বর্তমান রাজশাহী মহানগরের আমীর আতাউর রহমান এবং প্রক্টর নূরুল আফসারের উপস্থিতিতে ছাত্রীদের মিছিলে হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডাররা প্রায় অর্ধ শতাধিক ছাত্রীকে রক্তাক্ত করে।
১০ ডিসেম্বর, ২০০৫: সন্ধ্যায় জুবেরী ভবনের সামনে রাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি এস এম চন্দনের ওপর হামরা চালিয়ে তার রগ কেটে নেয়ার চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডাররা।
২রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৬: বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাতপন্থী শিক্ষক মহিউদ্দিন এবং রাবি সন্ত্রাসী ছাত্র শিবির সভাপতি মাহবুব আলম সালেহীন সহ আরো দুইজন সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডার মিলে একযোগে অতকিতে হামলা চালিয়ে রাবি’র ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবু তাহেরকে হত্যা করে।
২১ আগস্ট, ২০০৬: রাবিতে অনুষ্ঠিত ‘সেকুলারিজম ও শিক্ষা’ শীষক সেমিনারে বক্তব্য দেয়ার অপরাধে অধ্যাপক হাসান আজিজুল হককে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে সন্ত্রাসী শিবির। প্রকাশ্য সমাবেশে তারা অধ্যাপক হাসান আজিজুল হকের গলা কেটে বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেয়।
৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১০: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেনকে হত্যা করে ম্যানহোলের মধ্যে ফেলে রাখে সন্ত্রাসী শিবিরের ক্যাডাররা।"
তথ্যসূত্র
আরো তথ্য
দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসবাদী শিবির ক্যাডারদের আরো খবর দেখুন-
আবারো তালেবানি শাসনের দিকে বাংলাদেশ..
চট্টগ্রামে তিন শিবিরকর্মী গ্রেপ্তার একে-৪৭ উদ্ধার
এ শিবির ক্যাডার কি মঙ্গল গ্রহে থাকে?
ঢাবিতে শিবির জংগীদের একশন
শীর্ষ সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ ভারতে গ্রেফতার
দুবাইয়ে বসে অস্ত্র ব্যবসা করছে শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ
এগুলো হচ্ছে শিবিরের হাজারো সন্ত্রাসীপনার কয়েকটি স্যাম্পল মাত্র। এরাই আবার বলে থাকে ছাত্র শিবির ইসলামের আদর্শ অনুসরন করে থাকে। ওয়াক্ থু! মিথ্যাচারের সীমা থাকা উচিত।
ইসলামে বলা আছে, “যার হাত ও জবান থেকে মানুষ নিরাপদ নয় সে আমার উম্মত নয়”। (আল হাদীস)
এখন আপনারাই বলেন কি বলবেন এই মুনাফিক্ব দল সন্ত্রাসী ছাত্রশিবির সম্পকে??
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২২
তাজদীদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তবে দেশপ্রেমিক বাঙালী এদের জনম জনম ঘৃণা করবে।
২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫৬
জিয়া চৌধুরী বলেছেন: 1# islami chatra sanghohobe. 2# naziarhat college principle gopal krisno muhuri and CU bcl leader Ali mortujar hottar kotha bad poreche.
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:১৯
তাজদীদ বলেছেন: ধন্যবাদ। শুধু নাজিয়ারহাট কলেজের প্রিন্সিপাল হত্যাই নয়- এছাড়াও আরো অনেক হত্যাকাণ্ড, নৃশংসতা পড়ে আছে যা এখানে উল্লেখ করতে গেলে বিশাল আর্কাইভ তুলে ধরতে হবে।
৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৩
জানকিরান বলেছেন: ভাই, এগুলা ত কমই। আমার কাছে আরও আছে। লাগলে কইয়েন।
৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০১
শহীদুল্লাহ খান বলেছেন: জানকিরান বলেছেন: ভাই, এগুলা ত কমই। আমার কাছে আরও আছে। লাগলে কইয়েন।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪১
পথিকের ডায়েরীর পাতা বলেছেন: বাঙালী এসব মনে রাখেনা। রাখলে এরা এখনো বাংলাদেশে থাকে কি করে?