নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৌঁছে দেয়া আমার দায়িত্ব

“যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে দলিল পেশ কর”

তাজদীদ

দেখ চেয়ে দেখ পাঞ্জেরী, সূর্য ওঠার কত দেরী।

তাজদীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার লুগাতী ও ইছতিলাহী অর্থ

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৬



‘ঈদ’ অর্র্থ হচ্ছে খুশি বা আনন্দ প্রকাশ করা। আর ‘মীলাদ’ ও ‘নবী’ দুটি শব্দ একত্রে মিলিয়ে ‘মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ’ বলা হয়। ‘মীলাদ’-এর তিনটি শব্দ রয়েছে- ميلادমীলাদ, مولد মাওলিদ ও مولود মাওলূদ। ميلاد‘মীলাদ’ অর্র্থ জন্মের সময়, مولد ‘মাওলিদ’ অর্র্থ জন্মের স্থান, مولود ‘মাওলূদ’ অর্র্থ সদ্যপ্রসূত সন্তান। আর النبى ‘নবী’ শব্দ দ্বারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনাকে বুঝানো হয়েছে।

অর্র্থাৎ আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থে ميلاد النبى ‘মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ’ বলতে নূরে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার বিলাদত শরীফকে বুঝানো হয়ে থাকে। সুতরাং ﻋﻴﺪ ميلاد النبى ‘ঈদু মীলাদিন নবী’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ’ বলতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশী প্রকাশ করাকে বুঝানো হয়েছে আর পারিভাষিক বা ব্যবহারিক অর্থে ﻋﻴﺪ ميلاد النبى ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ’ বলতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে উনার ছানা-ছিফত বর্ণনা করা, উনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করা, উনার পুতঃপবিত্র জীবনী মুবারকের সামগ্রিক বিষয়ের আলোচনা করাকে বুঝানো হয়।

এক কথায় ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ’ অর্থ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র ‘বিলাদত শরীফ’ উপলক্ষে খুশী প্রকাশ করা। অর্থাৎ খুশী প্রকাশ করে মীলাদ শরীফ মাহফিলের ব্যবস্থা করা, উনার শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা আলোচনা করা, ছলাত-সালাম পাঠ করা।



বি:দ্র্র: ঈদ, মীলাদ ও আননাবী তিনটি শব্দই আরবি। যেগুলো ফার্সী ভাষাতেও ব্যবহৃত হয়। শব্দ তিনটি একসাথে আরবীতে বললে এভাবে বলতে হবে: “ঈদু মীলাদিন নাবী” আর ফার্সীতে বললে হবে: “ঈদে মীলাদিন নাবী”। আর এ শব্দগুলো আমাদের দেশে দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত হয়ে আসছে “ঈদে মীলাদুন নবী” রূপে।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: : নবীজীর বেলাদত শরিফ ১২ই রবিউল আওয়াল উদযাপন
ঈদে মিলাদুন্নবি সা যথা যুগ্য মর্যাদায় উদযাপন ও আনন্দ প্রকাশ
ইমানদার মুমিন গনের জন্য অসংখ্য রহমত ও সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ এবাদত ।
তার জুতা মোবারকের ছোঁয়ায় আল্লাহর আরশ মহল্লা সম্মানিত
তিনি যে আমাদের জন্য দুনিয়ায় রহমত স্বরূপ প্রেরন হইয়াছেন
তার জন্য আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করা সর্ব শ্রেষ্ঠ নেয়ামত । বিখ্যাত
সাহাবা কেরাম গন তাবেয়িন তাবে তাবেয়িন গন এবং অলি আউলিয়া পির মাশায়েখ কামেল আলেম গন দিনটি মর্যাদার সহিত উদযাপন করতেন ।

আমরা রহমত হইতে বঞ্ছিত হইব কেন ?

রিবেশ বন্ধু বলেছেন: ফরজের চাইতেও বেশি বললে ভুল হবেনা

আল্লাহ যার নামের সাথে নাম মিশিয়ে দিয়েছেন এবং যার খাতিরে সৃষ্টি
সমুদয় পয়দা করেছেন , হেদায়েতের ভার দিয়েছেন , শাফায়াতের কাণ্ডারি বানিয়েছেন এবং সদা সর্বদা দরুদ ছালাম ভেজে থাকেন
অসংখ্য ফেরেস্তা গনকে নিয়ে সেই দয়াল নবীজীর প্রতি বেলাদত ও
তাজিম ঈমানের শক্ত আকিদা
ঈদে আজম ঈদে মিলাদুন্নবি সব ঈদের সেরা
তার রহমত আদায় কর পড় দরুদ জানাও ছালাম মদিনা মনোয়ারা ।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬
লেখক বলেছেন: রিবেশ বন্ধু বলেছেন: ঈদ অর্থ খুশি আর মিলাদ অর্থ জীবন বৃত্তান্ত আলোচনা
সাহাবা গন এবং পরবর্তী অনুসারি গন আদর্শের দিক দিয়ে তার মহান
শানে আলোচনা রাখতেন । এবং যথা যোগ্য মর্যাদায় দিনটি উদযাপন
করতেন ।কোরআন অয়ামা আরছালনাকা ইল্লা রাহমাতুল্লিল আলামিন
আল্লাহ বলেন আমি আপনাকে সমগ্র জগতের রহমত স্বরূপ প্রেরন
করেছি ।
আয়াত ইন্নাল্লাহা অয়ামালাইকাতাহু ইউছাল্লুনা আলান্নাবিয়ু ইয়া আইয়ুহাল্লাজিনা আমানু ছাল্লু আলায়হে অছাল্লিমু তাছলিম
আল্লাহ বলেন আমি এবং আমার অসংখ্য ফেরেস্তা গনকে নিয়ে
দরুদ ও ছালাম ভেজি আমার হাবিবের উপর হে ইমানদার গন তোমরাও ব্রশি বেশি পড় ।

আয়াত কুল ইন কুন্তুম তুহিব্বুন আল্লাজি ফাত্তাবিউনি ইবুব কুমুল্লা ইয়াগফিরলাকুম যুনুবাকুম অয়াল্লাহু গাফুরুর রাহিম
আল্লাহ বলেন যদি তোমরা আমাকে লাভ করতে চাও আগে আমার হাবিবের অনুসরন কর আমি তোমাদের ক্ষমা করে দেব ।

হাদিস যারা একবার নবীজীর উপর দরূদ ও ছালাম ভেজে তার শরীর থেকে ১০ গোনাহ ঝরে যায় তার আমল নামায় ১০ নেকি যোগ করে দেওয়া হয় এবং তাকে ১০টি সম্মান বৃদ্ধি করে দেওয়া হয় । মুসলিম ও বোখারিশরিফ

যে এবাদতে দরুদ নাই সে এবাদত আল্লাহর নিকট পউছেনা বরং
৪র্থ আকাশে ঝুলে থাকে আর যে এবাদতে দরূদ আছে সে এবাদত
বিজলির ন্যায় আল্লাহর নিকট পৌঁছে ।
হজরত উমর ফারুক রা

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৮

চঞ্চল ছেলে বলেছেন: শুকরিয়া

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৮

চঞ্চল ছেলে বলেছেন: View this link

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

সোচ্চার বলেছেন: জ্বী ১২ই রবিউল আউয়াল হযরত মোহাম্মদ (সা: ) এর ওফাত দিবসও কারও মৃত্যুদিবসে খুশী প্রকাশ করা নিতান্তই নিচু মন-মানষিকতার পরিচয় বহন করে। @লেখক ১২ই রবিউল আউয়াল হযরত মোহাম্মদ (সা: ) এর এর জন্মদিবস প্রমাণ চাই

৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

লজিক2010 বলেছেন: ধন্যবাদ।

@সোচ্চার ,
হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
روى ابو بكر ابن ابى الشيبة بسند الصحيح عن عفان عن سعيد بن مينا عن جابر وابن عباس رضى الله تعالى عنهما قالا ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم عام الفيل يوم الاثنين الثانى عشر من شهر ربيع الاول.

অর্থ: হযরত হাফিয আবূ বকর ইবনে আবী শায়বাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি ছহীহ সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন, হযরত আফফান রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত। তিনি হযরত সাঈদ ইবনে মীনা রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত জাবির ও হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা বলেন, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার বিলাদত শরীফ হস্তি বাহিনী বর্ষের ১২ই রবীউল আউয়াল সোমবার শরীফ হয়েছিল। (বুলুগুল আমানী শরহিল ফাতহির রব্বানী, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া)
এ ছহীহ ও নির্ভরযোগ্য বর্ণনার উপরই ইমামগণের ইজমা’ (ঐক্যমত) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। (সীরাত-ই-হালবিয়াহ, যুরক্বানী আলাল মাওয়াহিব, মা ছাবাতা বিসসুন্নাহ)

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

তাজদীদ বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০৫

মাটির কথা বলেছেন: "ঈদু মীলাদিন নাবী " যেভাবে ঈদে মীলাদুন্নবীঃ
হাদীছ শরীফে বর্ণিত ঈদুল ফিতর কে আমাদের দেশে বলা হয়, রোযার ঈদ বা রমজানের ঈদ। আবার ঈদুল আযহা কে বলা হয়, কুরবানীর ঈদ।
এটা আমাদের কথ্য ভাষার সাথে প্রচলিত হওয়ার সাথে সাথে মূল ভাষাতেই ঢুকে গেছে।


ঠিক ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও মূল আরবী শব্দ থেকে প্রচলিত শব্দে বেশী পরিচিত হয়েছে।

তাজদীদ ভাইকে অনেক ধন্যবাদ। পোস্টটা দেওয়ার জন্য।

৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২১

নড়াইলের ছেলে বলেছেন: @তাজদিদ, পোস্ট এর জন্য শুকরিয়া

৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২৬

নাহিদুল হক বলেছেন: আবু বাকর রা. দুই বছর খলীফা ছিলেন (১১-১৩হি:)। কখনো ‘ঈদে মীলাদুন্নবী’ পালন করেছেন বলে জানা যায়নি।
-
উমার রা. দশ বছর খলীফা ছিলেন (১৩-২৩হি:)। কখনো ঈদে মীলাদুন্নবী’ পালন করেছেন বলে জানা যায়নি।
-
উসমান রা. তের বছর খলীফা ছিলেন (২৩-৩৫হি:)। একবারও ঈদে মীলাদুন্নবী’ পালন করেছেন, এমনটা শোনা যায়নি। তিনি ছিলেন দুই নবীকন্যার স্বামী। দুই-দুইবার হিজরতকারী।
-
আলি রা. চার বছর খলীফা ছিলেন (৩৫-৪০হি:)। নবিজীর চাচাতো ভাই। প্রাণপ্রিয় মেয়ের জামাতা। তিনিও ঈদে মীলাদুন্নবী’ পালন করেছেন বলে শোনা বা জানা যায়নি।
-
হুসাইন রা. ছয় মাস খলীফা ছিলেন। তিনি ছিলেন নবীজির নাতি। জান্নাতের যুবকদের সর্দার। তিনিও জীবনে কখনো ঈদে মীলাদুন্নবী’ পালন করেছেন, এমনটা পাওয়া যায় না।
-
মুয়াবিয়া রা. খলীফা ছিলেন ৬৬১-৬৮০খ্রি)। দীর্ঘসময় ধরে। তিনিও কখনো ঈদে মীলাদুন্নবী’ পালন করেছেন, এমনটা শোনা যায় না। অথচ তিনি একজন কাতেবে ওহী ছিলেন।
-
উমাইয়া খিলাফত টিকে ছিল ৬৬১ সাল থেকে ৭৫০ সাল পর্যন্ত। প্রায় এক শতক। এই সময়কালেও কোনও ‘ঈদে মীলাদুন্নবী’-এর কথা ইতিহাসে নেই। উমাইয়া খলীফাগনের মধ্যে উমার বিন আবদুল আযীযের মতো ব্যক্তিও ছিলেন।
-
তারপর এলো আব্বাসী খিলাফা। ৭৫০ সাল থেকে ১৫১৬ সাল পর্যন্ত তারা ক্ষমতায় ছিলেন। হারুনুর রশীদের মতো মানুষও তাদের মধ্যে ছিলো। কিন্তু কেউ কখনো ‘ঈদে মীলাদুন্নবী’ পালন করেছেন বলে নযির নেই।
-
প্রামাণ্য তিনযুগের কোনও আলিম, কোনও ইমামকেউ ‘ঈদে মীলাদুন্নবী’ পালন করতে দেখা যায় নি। এটা যদি এতই গুরুত্বপূর্ণ কিছু হতো, তারা আমল ছেড়ে দিবেন, এমনটা হতেই পারে না। ইমাম মালিক রহ. বলেছেন:
-যা নবিজীর যুগে দ্বীন হিশেবে ছিল না, বর্তমানেও তা কিছুতইে দ্বীন হতে পারে না।
.
নবিজী (সা.) ইন্তেকালের সময় দ্বীনকে পরিপূর্ণরূপেই রেখে গেছেন। তিনি বা সাহাবীরা করে নি, এমন আমল নতুন করে সৃষ্টি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.