| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাংবাদিক জুলহাস
সমাজের সব অসঙ্গতি ও অসামঞ্জস্যতায় নাক গলাতে চাই, সাহস পাইনা! ভীতু!
ভারতকে দীর্ঘদিন ধরে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ করার দাবি জানানো বিভিন্ন সংগঠন গোয়াতে এবার এক ছাতার নিচে আসতে চলেছে। ২০২৩ সালের মধ্যে ভারতকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ করার লক্ষ্যে আগামী ১৪ জুন থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত হিন্দু জনজাগৃতি সমিতির পক্ষ থেকে গোয়াতে এক মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার গণমাধ্যমে প্রকাশ, ওই কর্মসূচিতে কমপক্ষে ১৫০ হিন্দু সংগঠন শামিল হবে।
হিন্দু জনজাগৃতি সমিতি সনাতন সংস্থার একটি শাখা। নরেন্দ্র দাভোলকরকে হত্যার পরে সনাতন সংস্থা বিতর্কের কেন্দ্রে চলে আসে।
হিন্দু জনজাগৃতি সমিতির মুখপাত্র উদয় ধুরি বলেন, ‘ভারতের জনগণ হিন্দু রাষ্ট্রের ধারণায় একমত। সাম্প্রতিক নির্বাচনে যোগী আদিত্যনাথের ব্যাপক জয়ে এটা স্পষ্ট যে লোকেরা দেশে হিন্দু রাষ্ট্র চাচ্ছেন। আমাদের সম্মেলন ওই মিশনকে দিশা দেবে।’
তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালে হিন্দু রাষ্ট্র বাস্তবে পরিণত হবে এবং আমাদের সংগঠন চায় ওই মিশনকে সম্পূর্ণ করতে সমস্ত হিন্দু সংগঠন একসঙ্গে কাজ করুক। ওই সম্মেলনে ‘লাভ জিহাদ’, ধর্ম পরিবর্তন, হিন্দু ধর্মস্থলের নিরাপত্তা, হিন্দু সাধুদের অপমান ইত্যাদি ইস্যুতে আলোচনা হবে।’
তিনি বলেন, ‘হিন্দুদের ওপরে অত্যাচার বন্ধ করতে উপায় বের করা হবে। আমাদের হিন্দু রাষ্ট্র ছত্রপতি শিবাজির শাসনামলের ভিত্তিতে হবে।’
হিন্দু জনজাগৃতি সমিতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিজেদের লোক বলে অভিহিত করলেও বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার হিন্দুদের জন্য বেশি কিছু করেনি বলে মন্তব্য করেছে। তারা বলছে, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, ৩৭০ ধারা অপসারণ ইস্যু দীর্ঘায়িত রয়েছে। এছাড়া রাম মন্দির নির্মাণও এখন বহু দূরে।
ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর জন্য বিশ্বহিন্দু পরিষদ, বজরং দলসহ বিভিন্ন সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। সম্প্রতি বিজেপি’র সহযোগী দল শিবসেনা হিন্দু রাষ্ট্রের লক্ষ্যে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতকে দেশের প্রেসিডেন্ট পদপ্রাথী ঘোষণা করার দাবি তুলেছে।#
তথ্য ও ছবিঃ ইন্টারনেট।
©somewhere in net ltd.