| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাংবাদিক জুলহাস
সমাজের সব অসঙ্গতি ও অসামঞ্জস্যতায় নাক গলাতে চাই, সাহস পাইনা! ভীতু!
সুন্দরবনের কাছে বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক চলছে। রামপাল প্রকল্পকে সুন্দরবনের কফিনের প্রধান পেরেক হিসেবেও চিহ্নিত করেছেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি। প্রকল্পটি বন্ধের দাবীও জানিয়েছেন বহুবার। কিন্তু সরকার তার সিদ্ধান্তে অটল।
সুন্দরবন সংলগ্ন রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা পরিবহনের জন্য গভীর চ্যানেল তৈরি করতে ৩৩ মিলিয়ন টন পলি-কাদা বঙ্গোপসাগর ও পশুর নদী থেকে ড্রেজিং করা হবে। আর এই ড্রেজিংয়ের ফলে সেখানকার মাছসহ জলজ প্রাণীদের বৃদ্ধি ও বেঁচে থাকা ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়বে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হবে ছোট মাছ ও ছোট প্রাণীগুলো। ফলে এরা দ্রুত বিলুপ্ত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানী উইলিয়াম ক্লায়েন্ডল ও অস্ট্রেলিয়ার জন ব্রুডি’র যৌথ গবেষণায় এ তথ্য বেরিযে এসেছে।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটার ভবনে ‘রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহার্য কয়লা পরিবহন ও নদী ড্রেজিং পরিকল্পনার পরিবেশগত প্রভাব’শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞ আনোয়ার হোসেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ড্রেজিং ও কাদা মাটি ডাম্পিংয়ের প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হবে। পর্যায়ক্রমে পলি-কাদা পার্শ্ববর্তী ‘ইকোসিস্টেমে’ ছড়িয়ে পড়বে। ডাম্পিং করা পলি-কাদা ও ঘোলা পানিতে জলজ প্রাণীদের বৃদ্ধি ও বেঁচে থাকা ঝুকিপূর্ণ হবে। এতে সুন্দরবনের জলজ জীবন বিপন্ন হবে।
এ প্রসঙ্গে সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শেখ ফরিদুল ইসলাম রেডিও তেহরানকে বলেন, সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে নদীর ড্রেজিং নিয়ে তিনি বেশী উদ্বিগ্ন নন। কারণ মংলা বন্দরের জন্যও ড্রেজিং করতে হচ্ছে। তিনি মনে করেন, সুন্দরবন বিনাশী কয়লাভিত্তিক খোদ বিদ্যুত প্রকল্পটি বন্ধ করা দরকার দেশ ও মানুষের স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই।#
সম্পাদনায়ঃ
ইফতেখার আহমেদ
তথ্য ও ছবিঃ ইন্টারনেট।
©somewhere in net ltd.