আমি চেয়ে থাকি অবিকল চেয়ে থাকি সমুদ্রে

১১ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

অঝোরে ভেসে যায় কান্নার জল____
আমি চেয়ে থাকি অবিকল চেয়ে থাকি সমুদ্রে___
সিগন্যাল বাতি জ্বালিয়ে কে যেন তেড়ে আসছে রুপালী থালার মত চকচকে ধারালো ঢেউ একে একে পাড়ে ঠেকে আবারো নামে অন্ধকার____
কেবল জোয়ারে লেগে থাকে লবনের দাগ হাহাকারে যখন গা ঘেষে সমুদ্রের বাতাস মধ্যঘোরে কেঁদে ওঠে রাত___
আমার ভয় হয় ভীষণ ভয় হয় ভেঙ্গে পড়ে শরীরের মন___
অসহায়ে কাঁটে নিশি বেলা শেষে কেবল মৃত হাসি___
আঁধারে বসে আছি পরিচিত কেদারায় নয় ইঞ্চি মাথা হেলিয়েছি কেদারার ঘাড়ে বয়স্ক কাঠ চাকচিক্য সুবাস ভুলে বাসি ফুলের গন্ধ ছড়ায়___
বাসি ফুলের মত সত্য স্মৃতির গন্ধ___
অনেক পুরনো দিন থেকে উঠে আসে মনে___
খুব আড়ালে কথা বলে বিড়বিড়ে তোলে আর্তনাদ কখনো কাঁদে কখনো হাসে___
কখনো বলে কখনো শোনে কেবল বেলা শেষে মৃত হাসি দেয়___
অসহায়ে কাটে নিশি বেলা শেষে কেবল মৃত হাসি___
আমার ঘুম আসে না ঘুমে ঘুম আসে না___
পাঁপড়ি খাড়া করে চেয়ে আছি এখানে ভোর নেই নদীর সমস্ত প্রীত জল শুকে খরা বালুচর___
দূরে শোনা যায় ভাংচুরের শব্দ___
কুড়াল মেরে শিকড় কাঁটা চলছে। এখানে গাছ নেই জ্বলে পুড়ে ছাই হয়েছে সুপ্রিয় অঞ্চল__
তবুও রোজ রাতে পেঁচা ডাকে___
ভীমরুলের ডাল ধরে সে নিত্যান্ত আপোষ করে___
সময়ে কাছে সত্য হয়ে কে যেন রয়ে গেলো নিকটে এখানে তোমার মত কোন নারী নেই___
এই বোধ সেই প্রথম থেকেই চলছে হৃদয়ে প্রতিদিন নিত্যনতুন সাধারণ ধারণার মত সরল সে বোধ___
আমি চেয়ে আছি পাঁজরের ভিতরে আদৌ কোন প্রাণ নেই___
আমি চেয়ে আছি কলিজার ভিতর কালো জামের মত খিটখিটে রক্ত চুপসে পড়ছে___
আমি চেয়ে আছি ফুসফুসের ভিতরে অনবরত ভুকম্পন কাঁপে___
আমার সদরের রাস্তাঘাট শূণ্য___
কোন মানুষ নেই কোন দোকানপাট নেই জন প্লেয়ারের শোকেজ সাজানো সিগারেট বাতি নেই___
আমার শহরে কোন ধোঁয়া নেই কোন বাতাস নেই সূর্য নেই___
আলো নেই আঁধার নেই কেবল গুমোট গুমোট খুব গুমোট খুব খুব
আকটি মানুষ কতটা নিখোঁজ হলে নি:শূন্য শহর হয়____

০ টি +০/-০