![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেঃ
বেচে থাকার তীব্র আকাঙ্ক্ষা ছিলো বলেই
তার ফেলে যাওয়া পায়ের চিহ্ন ধরে হেটেছিলাম।
পাইনি কিছুই, শুধু পেয়েছি পথভর্তি দীর্ঘশ্বাস
আর শুনেছি তার থেমে যাওয়া নিঃশ্বাস, তবুও
একশত জোছনার মতো ছড়িয়ে যাওয়া আলোয়
আমি এই কুড়িয়ে পাওয়া নাকফুল হাতে নিয়ে
তার অস্তিত্ব খুজে বেড়াই, আর প্রভাতস্পর্শে
ঘুমহীন বিষাদের চোখে নিজেকে অন্ধত্বে জড়াই
আমিঃ
অজস্র এলোমেলো শব্দ সৃষ্টির রাতে আমি শূন্যতায় ঘেরা
অথচ এই শব্দগুলো কিছুই নয়, নিছক রাত জাগার বাহানা
আমি তবুও এইসব শব্দ দিয়েই অসমাপ্ত কবিতা বানাই
আর ঘোরলাগা প্রহরে সেইসব কবিতা পোড়াই
অতঃপর একদিন আমার সমস্ত কবিতার মৃত্যু হয়
অথচ সেইসব কবিতাদের মৃত্যুদিনে আমি কবি নই
আমি কেবল একটা ছায়া অথবা কেবল একজন খুনি!
আমার অধরা শৈশবঃ
এইসব পাতানো সময়কে নির্বাসন মেনে নিয়ে
পড়ে থাকে কৈশরের নিঃসঙ সাইকেল,বালকবেলা
আরো থাকে কাঠের লাটিমের ঝিম ধরা ঘূর্ণি
অথবা শৈশবের ক্যানভাসে আকা রঙীন ফড়িং
এইসব যন্ত্রনার অভ্যেস আমৃত্যু কুড়ে কুড়ে খাওয়া
তবুও বাস্তবতার ভীড়ে নিজেকে ফিরে পেতে চাই
শৈশবটা অধরাই থাক, তবুও জীবন এগিয়ে যাক
আমার স্বীকারোক্তিঃ
নৈঃশব্দ্যের আকুতিভরা সময়কে নির্ভুল দাবি করেছিলো
কৃষ্ণপক্ষের নীরিহ ছায়াজুড়ে বিভ্রান্তে মাতা বিচ্ছিন্ন স্বপ্নদল
আমিও বলেছিলাম এই সত্যের মতো প্রকট আর কিছু নেই
তুমিও বুঝতে পেরেছিলে মিথ্যের মতো বিষাক্ত আর কিছু নেই
অথচ কেবল তারাই বোঝেনি এই সত্য আর মিথ্যার যুগলবন্দীত্ব
যারা বহু আগেই নিজেদের সমাজ বলে দাবি করেছিলো !
অতঃপর একটি স্বঘোষিত ইচ্ছেঃ
বিদায়ী রাত্রিতে পৃথিবীর সমস্ত ভোরজুড়ে ফুটে উঠুক অজস্র শিউলি
আর সেগুলো কুড়োনোর জন্য তৈরি হোক অসংখ্য চুড়িভর্তি হাত
সে সাথে জেগে উঠুক নাম না জানা কোন কবির প্রেমভর্তি কবিতা
অথবা নিস্তব্ধতায় মগ্ন হয়ে যাক তাদের অগনিত মুগ্ধতাচ্ছন্ন রাত
©somewhere in net ltd.