![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক অনেক আপনজন আর শুভাকাংখীদের শুভকামনায় ও হৃদ্যতায় সিক্ত আমি, আপ্লুত। এখন আর ভয় পাই না, অসম্ভব আত্মবিশ্বাসে তৃপ্ততা নিয়ে বলতে পারি -ভালো আছি। আমি ভাগ্যবান, কৃতজ্ঞ। জীবন, এক অনিন্দ্য সুন্দর উপহার। থেমে গেলাম বা চলে গেলাম তাহলেতো হেরে গেলাম। আমিতো হারতে আসিনি। কাল কি হবে তাতো আমি, তুমি, আমরা কেউই জানি না। অপেক্ষা করি, এগিয়ে যাই, না হয় বিশ্রাম নিলাম কখনও কখনও। সময় কাউকে ফেলে যাবে না কারন আমি প্রাণী নই, মানুষ। থাকব, শেষ পর্যন্ত।
‘মানুষ !’ একটা ভুল মানুষই জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। বিশ্বাস বসবাসের সবচেয়ে অযোগ্য জায়গাটিও মানুষ, তারপরও বেঁচে থাকতে এই মানুষকেই বিশ্বাস করতে হয়। হিংস্র মানুষের শুধু অকারণ ক্রোধ আর ঘৃণা থাকে। নিজের অসততা আর ঘৃণ্যতাকে বৈধ করে নিতে এই অকারণ ক্রোধ আর ঘৃণাই তাদের একমাত্র যুক্তি। এদের সম্পর্ক হয় স্বার্থের, একেকটা দোকানের মত, নিজের প্রয়োজন ও সুবিধামত এরা একেকটা দোকানের গ্রাহক হয়ে চলে। এদের চরিত্রকে ‘সোস্যাল ডমস্টিক প্রস্টিটিউট’ (কি পুরুষ কি নারী) বলা যেতে পারে।
আমি শুধু ভালবাসতে জানি, ঘৃণা করতে শিখিনি। ঘৃণা করতে পারাটাও মানুষ হিসেবে আমার অধিকার। আমি ফেরেশতা নই আমি মানুষ হতে চাই। শূন্যতায় জীবন থাকে না। শূন্যতা পূরণ করে ফেলার অর্থ মনে না রাখা নয়। আবার মনে না রাখা আর ভুলে যাওয়াও এক নয়। শূণ্যতা আমার অতীত আর ভরাট বর্তমান। সম্পর্কের ভুল বোঝাবুঝিটা স্বাভাবিক, ভাঙ্গন ও দূরত্বও সম্পর্কের শরীর। কিন্তু তৃতীয় শ্রেণীর কিছু মানুষ থাকে যারা এই সম্পর্কের ভুল বোঝাবুঝিটা বাড়িয়ে দিয়ে, দূরত্বের দিকে ঢেলে দিয়ে আনন্দ পায়, নিজের অবদমিত সুবিধা নিতে চায়। শোন, সম্পর্ক এমন যুক্তিহীন বিলীনতা নিয়েই। সেখানে বিশ্বাস-অবিশ্বাস ও স্বচ্ছতা-অস্পস্টতা আপেক্ষিক। ভালবাসার মত সম্পর্কের অস্থিত্বই টিকে আছে ধারণা প্রসূত বিশ্বাসের উপর। তবে অতিইন্দ্রিয় ও অদ্ভুত ব্যাপাটা এখানেই। যদি ভালবাস তবে এই ধারণা প্রসূত বিশ্বাসেই তোমার বিন্দুমাত্র ধারণার অস্থিত্ব থাকতে পারবে না। এ বিশ্বাস হতে হবে অন্ধ এককথায় শর্তহীন নিখাদ। এরপরও সম্পর্ক যে ভাঙ্গবে না এমন নিয়শ্চয়তা কিন্তু নেই। আচ্ছ বুঝলাম, ভেঙ্গে গেছে, হারিয়েছ,দুজনের পথ আজ দুদিকে -এখন অস্থিত্বজুড়ে প্রতিটি নিশ্বাস বিদীর্ণ করে স্মৃতি আসা যাওয়া করে। সবটুকু শূণ্য করেই সম্পর্ক ছিল আমার। প্রতিটি স্পন্দনে স্পন্দনে মিশে গিয়ে কখন যে ভেসে গিয়েছি এক মহাশূণ্যতায় তা অনুভবেরও ফুসরত হয়নি। হ্যা, শূণ্যে ফেরা যায় না। তাই বলে, একে মেরে ফেলোবো, এতাটা সস্তা নই আমি। এটা খুব সাধারণ চরিত্র যে সম্পর্কের দূরত্বের সময়ে, ভাঙ্গন অথবা বিচ্ছেদের পর পারস্পরিক বিষেদগার। আমি বিস্মিত! এতটা সাধারণ আমি ভাবিনি তোমায়। এতটা সস্তা, নীচ আর অপদার্থকে আমি আগলে রেখেছিলাম। যে কাঁটা তুমি আমার পথে বিছিয়ে চলেছো যে কাঁটায় ক্ষরণ হওয়া রক্তের ছাপতো আমি রেখে যাব না।। আচ্ছা বলতÑকী এমন প্রয়োজন ছিল ? কিইবা লাভ হচ্ছে তোমার ? কতটাই বা সুখ পাচ্ছ তুমি? নাহয় শেষ পর্যন্ত আর ফিরব না, রইব না তোমার পাশে। তবুও দেখো তোমার কাঁটার বিপরীতে মখমলময় গালিচা বিছিয়ে চলেছি আমি তোমার পথে। কারন আমি মানুষ আর তুমি মানুষের কাতারে না। ভেবে দেখো কি যোগ্যতা আছে তোমার? যে পুরুষ স্ত্রীর আয়ে জীবন ধারণ করতে চায় আর স্ত্রীর গায়ে হাত তোলে তাকে নপুংশক বলতেতো তোমারও আপত্তি থাকার কথা না। হা হা হা ফাঁপা জিনিসে শব্দ হয় বেশি, তোমারও তাই-শব্দটাই বেশি ছিল। তারপরও কতটা কোমল উষ্ণতায় বারবার বলেছিলাম থাম, থাম। সাবধান হও - এসবের জন্য চরম মূল্য দিতে হবে তোমাকে। হলোতো এখন, ভরা জলের উত্তাল টেউ শেষ পর্যন্ত আর সামলাতে পারলে না। উম্মাদের মত দ্বিগি¦দিকে শুধুই ভেঙ্গেছো। তুমি ভাঙ্গবে আবার ভাঙ্গনের আর্তনাদ শুনবে না, তা কি করে হয় বল। আর্তনাদ তোমাকে শুনতেই হবে, আজ হোক বা কাল। ভেঙ্গেছোতো তোমাকে আগলে রাখা নিজেরই মঙ্গল সীমানার দুইপার। এখনও টের পাচ্ছ না, তোমার ভরা জীবন শুষে নিতে বুক ফুঁড়ে যে বেড়িয়ে আসছে কত নৈশব্দের বালু চর। শোন, তারপর যদি অস্থিত্ব টিকিয়ে রাখতে পার, মেপে রেখো শেষ পর্যন্ত কতটা গভীরতা আছে তোমার? গুণে রেখো, কতটা খণ্ডিত হয়ে বেঁচে আছো তুমি? যদি কখনও দেখা হয় কোন অপেক্ষমান সময়ে-তখন খুব জানতে ইচ্ছা করবে যে, বলো কিন্তু.........
প্রতিটা ভবিষ্যতইতো অপেক্ষমান বর্তমান। জীবনের প্রয়োজন বা অপ্রয়োজনে আমরা যে বর্তমানকে বিসর্জন বা উদযাপনে ভাসিয়ে দিই সেই দৃশ্যের সময় আপেক্ষিক। আসলে পরবর্তী দৃশ্য বলে কিছু নেই। লাইফ ইজ বিউটিফুল।
©somewhere in net ltd.