স্মৃতি যা ছিলো অন্ধকারে আজ

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭

তোমার স্মৃতি যা ছিলো অন্ধকার সময়ের
ব্যবচ্ছেদ তা থাকুক তালাবন্ধ,
চাবিটা ফেলে দাও সমুদ্র গহীনে। এবার
চোখ বন্ধ করে ভেবে দেখো তোমার
মনেও আছে একটা বিশুদ্ধ অরণ্য, দূষণহীন।
জড়িয়ে কুয়াশা শুকনো পাতায় আছে পালক
ওম। শব্দের বৃত্তেরা গাছের পাতার ফাঁক-
ফোঁকর গলে পাখিদের
সাথে উড়ে যাবার বাসনায় থাকুক।
বোবা পর্যটক হয়ে থেকো না ঘরের
দাওয়ায় বসে। কান পেতে শুনে দেখো,
কাচারি ঘরের পাশ ঘেঁষা ঘাস
মাড়িয়ে চলে হয়তো যাচ্ছে তোমার
পথিক প্রবর। পাতার নিঃশ্বাস,
ঝরা পাতা বাতাস সুরের
গানে হেসে’তো উঠছে ঐ ধুলোর চপল –
বালক। ছুঁয়ে দেখো তাকে,
আজো তুমি বেঁচে আছো তোমার
নির্জনে।
তাঁর হাত মুঠোয় পুরে খুব পাশাপাশি পথ
হাঁটলে হাতে নিয়ে অক্ষর, মৌনতার
মাঝেও শব্দেরা বিমূর্ত হবে। বিমনা কিছু
অস্ফুটে বলা হবে বা হবেনা, অসম্পূর্ণ
ব্যথায় বিকাল হয়তো নির্বাক হবে। সন্ধ্যার
আকাশে জন্ম নিবে পরজন্মের আকাশ।
কিংবা নক্ষত্র-বিস্তারের
চাইতে কিছুটা পথ বেশী হাঁটলে,
নির্জনতার অধিকার গাছের আড়াল
ছেড়ে সমুখে দাঁড়িয়ে, আদুরে সোহাগে,
ছুঁয়ে দিবে বাক্যের ঠোঁট, তখন
দুলে উঠতেই পারে, কাব্যের ঘর-দোর-
উঠোন। ভয় পেও না, জাগো!
আগামীর কথা ভেবে আজ ত্রস্ত হরিণীর
মত তোমার সঞ্চরণ, মনে মনে জানি এমন
তরো আমারও হচ্ছে। চোখের
আগুনে বারবার ঘরটা ই পুড়ে যাচ্ছে। কত
দিন হলে ভোলা যায় সব? কত দিন
লাগবে শুকাতে তার ক্ষত? স্মৃতির দাগ? আর
কত রাত হলে জ্যোৎস্নায়
ভাসবে শরীরের লোমকূপ?
তবে কি চাঁদেরও নিভে যাবে আলো,
মুছে দিয়ে কাজল? আঁধারের হাত
ধরে তবে কি ফিরে যাবে স্বপ্নের লং-
মার্চ? জানি না, অনেক কিছুই জানি না।
পুনরায় জেগে ওঠো বেহাগ সময়ের আঁধার
পালাবে খুঁজে ফেরা চোখের আকার,
ত্রস্ততার মেদিনী বৃষ্টির
সিঞ্চনে হবে সিক্ত- বিমূর্ত অক্ষর
স্ফুরণে জাগবে সব স্বরবর্ণ- আশ্চর্য
লালাভপদ্ম ফুটে উঠাবে ভোর-
শব্দেরা নিবে ডুবস্নান বিলুপ্ত চৈতন্যের
উন্নত পয়ারে- তখন
তোমাকে সাজাবো গয়নায় দিয়ে কিছু
বৈদগ্ধ শব্দের, মম্ময় সহবাস।
তুমি আবার স্বপ্ন প্রসব করো কোনো এক
অবচেতন নদীর বেলাভুম শুরু হবেই
আমাদের রঙের হোলি খেলা। স্পর্শ
কথা লেখা হোক সমুদ্র তটে,
ঘুমেরা জেগে উঠুক উৎসবের বাসরে,
মুগ্ধতার
আলো মেখে শব্দেরা জড়িয়ে রাখুক
তোমার-আমার জন্ম গন্ধ। আমি সব স্বপ্নের
আঙুল ধরে শেখাবো তোমায় কেমন
করে ফেলতে হয় এক’পা- দু’পা….
একটা পথেই হাটতে শেখা।

০ টি +০/-০