নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

১৯৯৩ সালের মার্চ মাসের এক রাতে আমার জন্ম। কার চোখে চোখ রেখে আমার চোখ ফোটা জানা নেই। কিন্তু জন্মের পর থেকেই একটা রোগ পেয়ে বসেছে,কারণে অকারণে রেগে যাওয়া।\nবোকা সোকা মানুষ, সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করে ফেলি, এ কারণে খেসারতটা প্রতিনিয়ত দিতে হয়।

অচিকীর্ষু বালক

আমি নি:সঙ্গ, রিক্ত ও নিঃস্ব এজন মানুষ। দেয়ার মত আমার কিছু নেই, আছে শুধু হৃদয় এবং হৃদয়ের অশ্রু। আমার হৃদয় শুধু ভালোবাসতে পারে এবং ভালোবাসা অনুভব করতে পারে। আমার চোখ শুধু অশ্রু ঝরাতে পারে এবং অশ্রুর ভাষা বুঝতে পারে। আমি চাই তুমি আমাকে ভালোবাসো এবং আমার ভালোবাসা গ্রহণ করো। আমি চাই, তুমি আমার চোখের একবিন্দু অশ্রু গ্রহণ করো এবং আমাকে তোমার চোখের একটি অশ্রুবিন্দু দান করো।কিন্তু যে পৃথিবীতে ফুল হয়েছে বাণিজ্যের পণ্য, সেখানে এক ফোঁটা ভালোবাসার কিংবা একবিন্দু অশ্রুর কী মূল্য! চাহিদা এখন হৃদয়ের নয়, হৃদপিণ্ডের। চাহিদা এখন মানুষের নয়, মানুষের অঙ্গ- প্রত্যঙ্গের।

অচিকীর্ষু বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিম কাকে বলে? একজন পরিপূর্ণ মুসলিম হতে কী কী গুণ প্রয়োজন?

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মুসলিম শব্দটি সালাম শব্দ থেকে উৎপত্তি যার শাব্দিক অর্থ শান্তি ও নিরাপত্তা বিধান করা। মুসলিম শব্দের অর্থ আত্নসর্মপনকারী।
পারিভাষিক অর্থেঃ
যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে মহান প্রতিপালক হিসেবে গ্রহন করবে, আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবেনা এবং রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর নির্দেশিত পথে নিজের জীবন চালাবে, হালাল কে হালাল বলে মানবে এবং হারামকে বয়কট করবে, সালাত প্রতিষ্ঠা করবে, রোজা রাখবে, নিসাবের অধিকারী হলে যাকাত আদায় করবে এবং হজ্জে গমন করবে। এইসব গুনাবলীর অধিকারী হলে তাকে মুসলিম বলা হয়।
পবিত্র কুরান থেকে বিষদ জানি..
لَّيْسَ الْبِرَّ أَن تُوَلُّوا وُجُوهَكُمْ قِبَلَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَلَٰكِنَّ الْبِرَّ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالْكِتَابِ وَالنَّبِيِّينَ وَآتَى الْمَالَ عَلَىٰ حُبِّهِ ذَوِي الْقُرْبَىٰ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَالسَّائِلِينَ وَفِي الرِّقَابِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَالْمُوفُونَ بِعَهْدِهِمْ إِذَا عَاهَدُوا ۖ وَالصَّابِرِينَ فِي الْبَأْسَاءِ وَالضَّرَّاءِ وَحِينَ الْبَأْسِ ۗ أُولَٰئِكَ الَّذِينَ صَدَقُوا ۖ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُتَّقُونَ
সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার।
قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ
মুমিনগণ সফলকাম হয়ে গেছে,
23:2
الَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَ
যারা নিজেদের নামাযে বিনয়-নম্র;
وَالَّذِينَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُونَ
যারা অনর্থক কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত,
23:4
وَالَّذِينَ هُمْ لِلزَّكَاةِ فَاعِلُونَ
যারা যাকাত দান করে থাকে
23:5
وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ
এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে।
23:6
إِلَّا عَلَىٰ أَزْوَاجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ
হাদীস থেকে ব্যখ্যাঃ
আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ জু’ফী (র)…আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) ইরশাদ করেন ঈমানের শাখা রয়েছে ষাটের কিছু বেশী। আর লজ্জা ঈমানের একটি শাখা।।সহীহ বুখারী ১ম খন্ড ঈমান অধ্যায় হাদীস নং ৮
প্রকৃত মুসলিম সে-ই যার হাত ও জিহবা থেকে অন্য মুসলিম নিরাপদ থাকে।। সহীহ বুখারী হাদিস নং ৯
এখানে হাত থেকে নিরাপদ বলতে কারো উপর আক্রমন করবেনা এবং জিহবা থেকে নিরাপদ বলতে কারো নামে কুৎসা গিবত মিথ্যা অপবাদ এবং অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ ফল ফলাদি গ্রাস না করা বুঝানো হয়েছে।।
মুহাম্মদ ইবনুন মুসান্না (র)…আনাস ইবনে মালিক (রাঃ)থেকে বর্নিত, নবী করীম (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ তিনটি গুণ যার মধ্য থাকে সে ঈমানের স্বাদ পায়। ১.আল্লাহ ও তার রাসূল তার কাছে অন্য সব কিছু হতে প্রিয় হওয়া। ২. কাউকে খালিস আল্লাহর জন্যই মুহব্বত করা। ৩. কূফরীতে ফিরে যাওয়াকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মত অপসন্দ করা। সহীহ বুখারী হাদীস নং ১৫ ঈমান অধ্যায়।
আম্মার (রাঃ) বলেন, তিনটি গুণ যে আয়ত্ব করে, সে (পুর্ণ) ঈমান লাভ করে। ১. নিজ থেকে ইনসাফ করা। ২. বিশ্বে সালামের প্রচলন করা। ৩. অভাবগ্রস্হ অবস্হায়ও দান করা। সহীহ বুখারী হাদীস নং ২৬।
হাদিসটি পড়ে একটু চিন্তা করুনতো….’আমরা কি আসলেই প্রকৃত মুসলিম হতে পেরেছি??…
না-কি জুম্মাবারে মসজিদে হাজিরা আর কুরবানীর গরুর মাংস খাওয়ার দাবীদার মুসলিম??..
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের কুরান বুঝার তৌফিক দান করুন এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নির্দেশিত পথে চলার তাওফিক দান করুন। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান পুরোপুরি মেনে চলার তাওফিক দান করুন আমীন।।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: Thanks

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মাসূদ রানা বলেছেন: যাযাক আল্লাহ ভাই :)

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:১৬

অচিকীর্ষু বালক বলেছেন: ধন্যবাদ ও জাযাকাল্লাহ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.