নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইকবাল হোসেন খালি

প্রচলিত চলমান ব্যবস্থার পরিবর্তন চাই; কিন্তু সেই পরিমান শক্তি নাই...... তাই শুধু পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিতে দেখে যাই।

ইকবাল হোসেন খালি › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাল ব্যাংকনোট ও ব্যাংকের দায়-দায়িত্ব

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২০

ব্যাংক জাল টাকা চেক করে নেয়; কিন্তু গ্রাহককে জাল টাকা চেক করে নিতে দেয় না।
এরকম মাঝে মাঝেই শোনা যায় ব্যাংক গ্রাহকের প্রদান করা টাকার বান্ডিলে জাল নোট পাওয়া গেলে, ব্যাংক তখন অতি যত্ন করে সেই টাকা গ্রাহককে ফেরত দিয়ে বলেন, "এই টাকা জাল অন্য নোট দেন।" গ্রাহক মুখ কাচুমাচু করে নিজ অপরাধ ভেবে তাই করেন বা ঐ নোটের মুল্যমান বাদ দিয়ে টাকা জমা করেন।
ব্যাংক টেলার কিভাবে জানলেন যে ঐ নোট জাল। তার হাতের আঙুলে তো আর কোন জাল-নোট চেকার নাই। ব্যাংকে টেলারের কাউন্টারের নিচে থাকে ঐ জাল-নোট চেকার মেশিন। ওটার মাধ্যমে তিনি জানেন যে নোটটা জাল। এই মেশিনটা গ্রাহক দেখতে পান না। তাছাড়া, ব্যাংক-টেলার একজন ব্যাংক-নোট-পারদর্শীও বটে তার নিজ পেশার কারনে।

ব্যাংক টেলারের পেছনে থাকে নোট-কাউন্টিং মেশিন যা দিয়ে তিনি নোট গননা করেন। এই মেশিনটা গ্রাহক দেখতে পান। গ্রাহক-টেলার একই সাথে নোট কাউন্টিং এর ডিসপ্লেও দেখতে পান। এই নোট-গননা মেশিনের মত জাল-নোট-চেকার মেশিনটাও যদি এইরকম কোন স্থানে রাখা হোত যাতে টেলার-গ্রাহক এক সাথে এটার ডিসপ্লে দেখতে পেতেন। তাহলে মনে হয় অনেক সন্দেহ দুর হয়ে যেত।
এবার একটু বিপরীতভাবে দেখা যাক।

ব্যাংক থেকে জাল টাকা প্রাপ্তি কিন্তু অসম্ভব বা অবাস্তব কোন ঘটনা নয়। এরকম ঘটনা বেশকিছু ঘটেছে। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত নোটের বান্ডিলেও জাল টাকার উপস্থিতির খবর হয়েছিল। সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকেও এরকম ঘটনা ঘটেছে।
বলা হয়ে থাকে কাউন্টার ত্যাগ করার আগেই টাকা প্রাপ্তিতে যদি কোন অমিল থাকে জানানোর জন্য। অন্যথা তা গ্রহনযোগ্য নয়। গ্রাহক না হয় আঙ্গুলে গুনে টাকার পরিমান সম্পর্কে নিশ্চিত হলেন। টাকা জাল কি না সে সম্পর্কে গ্রাহক কিভাবে নিশ্চিত হবেন? আঙ্গুলে তো সেটা নিশ্চিত করা সম্ভব না। আর একজন সাধারন গ্রাহক হিসাবে তিনি জাল-নোটের ব্যাপারে দক্ষ্ও নন।
যেহেতু ব্যাংক কতৃক জাল-টাকা প্রদানের সম্ভাবনা রয়েছে সেহেতু গ্রাহক পয়েন্টও জাল-নোট চেকার মেশিন প্রদান করা হোক। যাতে গ্রাহক কাউন্টার ত্যাগ করার আগেই এই সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেন। তা না হলে গ্রাহক যতক্ষন পর্যন্ত বাহিরে গিয়ে ধরা না পড়ছেন ততক্ষন পর্যন্ত তিনি নিশ্চিত হচ্ছেন না যে ব্যাংক তাকে জাল নোট প্রদান করেছে।

এরকম বহু ঘটনা ঘটেছে - গ্রাহক ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে বাহিরে গিয়ে বা অন্য ব্যাংকে জমা দিতে গিয়ে জালনোট বলে ধরা খেয়েছেন। তারপর যখন যে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেছেন সে ব্যাংকে এসে তা জানালে ব্যাংক কর্মকর্তা সেটা অস্বিকার করেছেন।

তাই জাল-নোট চেকার মেশিন গ্রাহক-এন্ডে রাখা হোক যাতে গ্রাহক কাউন্টার ত্যাগ করার পুর্বেই নিশ্চিত হতে পারেন যে ব্যাংক টেলার তাকে জাল নোট প্রদান করেননি।

উৎস: আমার ফেবু পাতা থেকে [https://www.facebook.com/zazabormon]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.