নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্পই জীবন ৷ জীবনই গল্প ৷

ইরাবতী (ভূতের পেত্নী)

তোমার প্রাণের পরে ঠাই দিও একটুখানি, আমি প্রাণ ভরে শ্বাষ নিতে চাই তোমার মাঝেই ৷ তুমি মানেই আমি আমি মানেই তুমি ৷

ইরাবতী (ভূতের পেত্নী) › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঠিকভুল

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:০৬

আজ আমার বিয়ে ৷
আর পাঁচটা সাধারণ বিয়ের মতো করে নয়, কেনো বলছি? কারণ আমার বিয়ে হচ্ছে একজন মানসিক বিকারগ্রস্থ রোগীর সাথে ৷ যে কিনা মানসিক হাসপাতালেই থাকে বেশীরভাগ সময় ৷ যখন একটু সুস্থ হয় তখনই কেবলমাত্র তাকে কিছুদিনের জন্য বাসায় আনা হয় যখন আবারো মাত্রাতিরিক্ত সমস্যা শুরু হয় তখন হসপিটালে পাঠানো হয় ৷ এভাবেই চলছে কিছুক্ষন পর যে আমার স্বামী হবে তার জীবন ৷
বাসায় তার বাড়ীর সবাই এসে পড়েছে ৷ আমি সিম্পল একটা শাড়ী আর আম্মুর গলার হার আর দুল পড়েছি ৷ লিপস্টিকটাও লাগাইনি
যে আমি সবসময় সাজতে পছন্দ করতাম সেই আমার বিয়ের সাজটা আজ এরকম ৷ সবার সামনে গিয়ে বসলাম একটাবার ও মাথা তুলিনি যতক্ষন ওখানে বসে ছিলাম ৷ রেজিস্ট্রি পেপারে সাইন করলাম এরপর কালিমা পড়ে বিয়ে সম্পন্ন হলো ৷
কোনো অনুষ্ঠান ছাড়াই বিদায়ও হলো ৷ শ্বশুড় বাড়ী গিয়ে দেখলাম মোটামোটি অনেক বড় পরিবারেই বিয়ে হয়েছে আমার ৷ কেউ একজন আমাকে নিয়ে একটা ঘরে বসালো ৷ সম্ভবত এটাই আমার বাসরঘর ৷ কারণ বিছানায় কিছু ফুল ছড়িয়ে সাজানো ছিলো ৷ যিনি আমাকে নিয়ে এলেন ঘরে জানতে পারলাম সে আমার ফুপিশ্বাশুড়ী ৷
তিনি আমাকে হাসানের ব্যাপারে বললেন ৷ হাসান আমার স্বামীর নাম কয়েকবার শুনেছি তার নাম ৷ ছোটবেলা থেকেই সে নাকি একটু পাগলাটে স্বভাবের ছিলো দিনে দিনে তা শুধু বেড়েছেই কমেনি ৷ একপর্যায়ে তাকে বদ্ধ উন্মাদ পদবী দিয়ে মানসিক হসপিটালে রেখে আসা হয় ৷ কখনো ভালো কখনো খারাপ এভাবেই জীবন তার ৷ আমার শ্বশুড় বড় কোন পদে ভালো চাকরী করেন ৷ আমার ভাসুর এম বি বি এস ডক্টর তার ওয়াইফ ও তাই ৷ শ্বাশুড়ী মারা গিয়েছেন অনেকবছর হলো ৷ ফুপী শ্বাশুড়ী তার হাসবেন্ড মারা যাবার পর থেকে এখানেই থাকেন ৷ মূলত আমাকে আনা হয়েছে হাসানের টেক কেয়ারের জন্য ৷ যখন ও বাসায় আসে তখন মাঝে মাঝে ওকে সামলানো যায়না আর সামলানোর মতো আছেই বা কে?? তাই আমার সব কিছু যেনে শুনেও আমাকে বউ করে আনা হয়েছে ৷
এমনই ভাষ্য ছিলো আমার ফুপীশ্বাশুড়ীর ৷ তিনি টুকটাক আরো অনেক কিছু বললেন বোঝালেন ৷ আমি শুধু মাথা নিচু করে শুনে যাচ্ছিলাম আর ঘাড় নেড়ে মাঝে মাঝে সায় দিচ্ছিলাম যে আমি শুনছি ৷ একটু পর আমার বর কে ঘরে আনা হলো ৷ সে হয়তো বুঝেছে আজ ভালো কোন প্রোগ্রাম তাই চুপচাপ সবার কথা শুনছে অথবা কেউ হয়তো অনেক গিফটস দেবে বলে তাকে ভদ্র ছেলে হয়ে থাকতে বলেছে অথবা হয়তো সে নিজে থেকেই আজ কোনো ঝামেলা করছেনা ৷
ফুপী আমাকে বলে গেলেন, আমি যেনো ওর খেয়াল রাখি ৷
সবাই চলে গেলো ঘর থেকে ৷ আমি দরজা লাগিয়ে এসে বসলাম খাটে সারাটাদিন বুকফেটে কান্না এসেছে কিন্তু কাঁদতে পারিনি কারো সামনে, এখন তো কেউ নেই যে আছে সে থাকলে বা না থাকলে কি কিছু যায় আসে? হু হু করে কান্না আসছে আমার ৷ আমার জীবনটাই কেনো এরকম হতে হলো?? আমার কষ্টগুলো কেউ বুঝবেনা কেউনা ৷ আমি যখন নিজের জীবনের হিসেব মেলাতে ব্যাস্ত তখন পাশে হাসান এসে বসলো ৷ আমি অবাক হলাম ওকে দেখে ও নিজেও কাঁদছে ৷ যখন জিগেস করলাম কি হয়েছে কাদছো কেনো?
ও বললো তুমি কাদছো কেনো? আমার কারো কান্না সহ্য হয়না ৷ এরপর আর কাঁদতে পারলাম না ৷ হাসি দিয়ে ওকে বললাম আর কাঁদবোনা ৷
হাসান নাকি বদ্ধ উন্মাদ ৷ কিন্তু কই ১৪ দিন হলো ওর সাথে আছি আমি তো উন্মাদের মতো কিচ্ছু করতে দেখলামনা ওকে ৷ আমার সব কথা ও শোনে বোঝে, হ্যাঁ ও স্বাভাবিক নয় কিন্তু বদ্ধ উন্মাদ ও নয় ৷
হাসান আমাকে সেদিন জিগেস করেছিলো, আচ্ছা তোমার নাম কি? আমি বললাম কেনো? নাম জেনে কি হবে? ও বলেছিলো যদি আমি হারায় যাই তোমাকে খুজে না পাই তাহলে মানুষকে তোমার নাম বলতে হবে না? নাহলে কিভাবে তোমাকে সবাই খুজে আনবে আমার কাছে? সেদিন বলেছিলাম আমার নাম বউ ৷ আর শুধু তুমিই এটা বলে আমাকে ডাকবে এটা স্পেশাল নাম তো তাই ৷
এরপর থেকে তার মুখে একটাই কথা ৷ বউ তুমি কই? বউ ভাত খাবো, বউ জুস খাবো, বউ গল্প বলো ৷
কিছুদিন আগে ওকে নিয়ে শপিং করতে গিয়েছিলাম ফুপী বার বার বলেছে ওকে বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবেনা কিন্তু তবুও নিয়ে গেছি আমার কথা হলো কেনো নিয়ে যাওয়া যাবেনা? ও কি এলিয়েন? ইচ্ছে করছিলো মনে মনে না বলে ফুপীকে মুখের ওপরই বলি কথা গুলো কিন্তু গুরুজন তাই বললাম না ৷ আর আমি এমনিও সবার কাছে ভ্যালুলেস ৷ তাই শুধু বললাম সমস্যা নেই ফুপী আমি ওর খেয়াল রাখবো ৷
সেদিনই বুঝেছিলাম কেনো হাসানকে বদ্ধ উন্মাদ বলা হয় ৷
আমরা শপিং কমপ্লেক্সের ভেতরেই খাচ্ছিলাম টেবিলে ৷ ওয়াশরুমটা কোনদিকে দেখতে আমি উঠে সামনে চলে যাই হাসান ভেবেছে এখানেই আছি কিন্তু ও পেছনে সামনে সবখানে খুজে আমাকে না পেয়ে তুলকালাম করে ফেলে ৷ আমি ওয়াশরুম থেকে এসে দেখি কেউ একজন মার খাচ্ছে ভীর সরাতেই দেখলাম হাসান ৷ আমার বুকের ভেতর ধক করে উঠলো ৷ সাবাইকে যতো বলছি ওর মানষিক প্রবলেম আছে কেউ কথাই শুনলো না আমার ৷ হাসান আমাকে দেখতে পেয়েই বউ বউ বলে জরিয়ে ধরলো ৷ আমি যখন কাউকে বোঝাতেই পারলামনা তখন ওকে যতেটা পারি আগলে ধরলাম আর কিছু আঘাত আমারো লাগলো এরপর সবাই থামলো ৷ তারপর জানতে পারলাম হাসান একটু আগে সব টেবিল চেয়ার উল্টেছে এবং দু একজনকে মেরেছেও এসবের জন্যই এতোকিছু ৷ এরপর বললাম ওর কিছু মানসিক সমস্যা আছে তখন একজন বললো এসব পাগল নিয়ে বের হন কেনো? কোনো উত্তর না দিয়ে চলে এলাম ৷ এসে তো ফুপীর কাছেও বকা খেলাম অনেক ৷
এর মাঝে হঠাৎ একটা ফোন এলো যা আরো একবার ওলটপালট করে দিলো আমাকে ৷
সৃজন ফোন করেছিলো ৷ হ্যাঁ সেই সৃজন যাকে নিজের চেয়েও বেশী ভালোবাসতাম আমি ৷ আমাদের চার বছরের সম্পর্কটা পরিণতি পায়নি ৷ সৃজনের অনেক ইচ্ছে ছিলো জীবনে ভালো পজিশান করবে ৷ বাইরে যাবার জন্য ট্রাই করতে করতে হয়েও গেলো ৷ কথা ছিলো দুবছর পর দেশে এসে ও সবার সাথে বিয়ের কথা বলবে ৷ আর আমার বাসাতেও বিয়ের চাপের মতো পরিস্থিতি ছিলোনা তাদের ইচ্ছে ছিলো আমাকে আরো পড়ানোর যার জন্য আমরা দুজনেই নিশ্চিন্ত ছিলাম ৷ কিন্তু কথায় বলেনা? যা হবার তা হবেই সেটা যেভাবেই হোক ৷ সৃজনের চলে যাবার আগের দিন আমরা ওর এক কাজিনের বাসায় দেখা করি ৷ সেখানে ওকে জড়িয়ে ছিলাম অনেক্ষন মনে হচ্ছিলো হারিয়ে ফেলবো না তো??
একটা সময় আমরা দুজনেই জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটা করে বসি ৷ আবেগকে প্রশ্রয় দিতে নেই কিন্তু কেউ সে কথা ভাবলাম না ৷ আমাদের চার বছরের পবিত্র সম্পর্ককে মূহূর্তেই অপবিত্র করে ফেলি আমরা ৷ পরে দুজনেই বুঝতে পেরেছি কাজটা আমরা একদম ঠিক করিনি এতো প্রাইভেটভাবে দেখা কেনো করতে গেলাম এটা ভেবে আমি অনেক অপরাধবোধে ভুগছিলাম ৷
সৃজন চলে গেলো পরেরদিন ৷ সব ঠিকঠাকই ছিলো ঝামেলা শুরু হলো আমার পিরিয়ড বন্ধের পর ৷ আমি টেনশানে পড়ে গেলাম দু মাস যাবৎ এরকম হচ্ছে ৷ কাছের বান্ধবীকে জানালাম ও বললো প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে আমি তো ভয়েই শেষ ৷ কীহবে এখন? সিওর হতে টেস্ট করলাম কিন্তু পজেটিভ না নেগেটিভ বুঝতে পারছিলাম না হয়তো প্যাকেটে লেখা আছে এটা ভেবে প্যাকেট আনতে ঘরে এলাম সর্বনাশ যে হয়েছে আমার বোনের চিৎকারেই বুঝলাম আমি টেস্ট করে ওই কাঠিটা ওয়াশরুমে রেখেই চলে এসেছি বড় আপু দেখেই বুঝে গেলেন আমিও অস্বীকার করার সাহস পেলাম না ৷ সব বলে ফেললাম ৷
এরপর রাতে আম্মু এসে বললো চল তোকে ডক্টর দেখিয়ে সিওর হয়ে আসি ৷ যা হবার হয়ে গেছে কী আর করা যাবে ৷ আমিও রাজী হলাম ৷ ডক্টর আমাকে বললো কিছু টেস্ট করতে হবে এটা বলে একটা ইনজেকশান দিলো আর কিছু মনে নেই আমার ৷ সেন্স আসার পরে বুঝলাম আমি বাসায় ৷ কখন এলাম কি হলো কিছুই বুঝতে পারছিলামনা ৷ শুধু শরীরটা খারাপ লাগছিলো ৷
জানলাম তিনদিন পর তাও প্রতীবেশীর কাছ থেকে ৷ আমি নাকি এবসান করিয়ে এসেছি ৷ শুনেই হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেলো ৷ আম্মুকে জিগেস করতেই উনি বললেন তো কি জারজ সন্তান জন্ম দিতি? আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো আমার অগোচরে আমার সন্তানকে মেরে ফেলা হলো???
এসব কথা যতই গোপন রাখা হোক চাপা কখনোই থাকেনা ধীরে ধীরে সবাই জেনে গেলো আমি একটা নষ্টা মেয়ে ৷
সৃজনকে জানালেও কিছুই করার নেই এখন তো দুরে দুবছরের আগে সে ভিসাই করতে পারবেনা দেশে আসার জন্য ৷ এদিকে প্রতিবেশীরা আমাদের বেঁচে থাকা হারাম করে দিচ্ছিলো ৷
তখনই আব্বুর একজন পরিচিত লোক মানে আমার শ্বশুড় আমাকে তার ছেলের জন্য নিতে চাইলো ৷ এমন পরিস্থিতিতে একজন বাবা তার মেয়েকে যে বিয়ে দিতে পারবে এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার ৷ ছেলে যাই হোক আমার তো বিয়ে হবে ৷ আমি যে সৃজনের জন্য অপেক্ষা করতে বলবো সে মুখও ছিলো না আমার তবুও বলেছিলাম ৷ কিন্তু যেখানে দু ঘন্টা পার করা মুশকিল সেখানে দুবছর কেউ অপেক্ষা করবে? শেষ পর্যন্ত হেরে গেলাম বিয়ে হলো হাসানের সাথে ৷ বিয়ের আগে সুইসাইডও করতে চেয়েছি কিন্তু কেনো যেনো পারিনি সাহস হয়নি ৷ সেখানেও হেরে গিয়েছিলাম সেদিন ৷ বিয়ের পর সৃজনের সাথে যোগাযোগ রাখিনি ৷
আজ ও ফোন করেছে কারো কাছ থেকে নম্বর নিয়ে ৷ ও দেশে এসেছে দেখা করতে চায় ৷ ওর ভাষ্যমতে আমার সাথে অন্যায় হয়েছে সেটাতে ওরও দোষ আছে তবে আমি একা কেনো ভুগবো? ও আমাকে বিয়ে করতে চায় ৷ পাগল স্বামী কি দিতে পারবে আমাকে? সৃজন তো এতোদিন পরেও আমাকে ভালোবাসে এতোকিছুর পরেও তবে কি সমস্যা?
আমার কাছে সবকিছু অসহ্য লাগছে সৃজন দুদিন যাবৎ ফোন দিয়ে কান্নাকাটিও করছে সে আমাকে চায় ৷ কি করবো আমি? আবারো ওর ফোন এলো ৷
-- আলো তুমি কেনো এমন করছো? প্লীজ চলে এসো আলো ৷
-- ঠিক আছে কাল আসবো ৷
-- ওকে এক কাপড়ে চলে এসো এরপর আমি ডিভের্সের সব ব্যাবস্থা করে দিবো ৷ তারপর স্বাভাবিকভাবেই বিয়ে হবে আমাদের ৷
-- না কাল আগে বিয়ে করবো আমরা ৷ তারপর যা হবার হবে ৷
-- আলো কী বলছো এসব? আমার একটা সন্মান আছে আমার ফ্যামলি এতোসব জানেনা তারা জানবে তোমাকে পছন্দ করতাম এখন বিয়ে করবো ৷ তোমার বিয়ের ব্যাপারে বলা যাবেনা ৷
-- কিন্তু সৃজন
-- আর কথা না ৷ কাল দেখা হচ্ছে ৷
-- ওকে ৷
হুম আজকে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে দেবো আমার ভালেবাসার মানুষটার সাথেই জীবন কাটাবো আমি কারো জন্য নিজের জীবন কেনো নষ্ট করবো? রেডী হয়ে বের হলাম ৷ পৌছে দেখলাম সৃজন এসে গেছে ৷ ওকে বললাম সৃজন তোমার ফোনটা দেবে একটা ছবি তুলবো কতোদিন তোমার সাথে ছবি তুলিনি ৷
ও বললো তুলবো তো সব হবে বিয়েটা মিটে যাক আমরা রিল্যাস্ক হই তারপর ৷ আমি ওর কথার তোয়াক্কা না করে নিজের ফোন দিয়েই একটা সেল্ফি তুললাম আমাদের ৷
এরপর ওকে বললাম, সৃজন আমাদের এতো বছরের সম্পর্ক তুমি আমাকে এতো ভালোবাসো যে এতোকিছুর পরেও আমাকে বিয়ে করতে চাও কিন্তু আমার সত্যতা সামনে আনার সাহস তোমার নেই কারন একটাই সন্মান থাকবেনা ৷ সন্মান যে কি জিনিস আমি তা জানি কারন নষ্টা অপবাদ নিয়ে অনেকগুলো দিন পার করেছি আমি ৷ সৃজন তোমাকে কোনো দোষ আমি দিচ্ছিনা ৷ তুমি যা করছো তা ন্যাচারাল ৷ ইনফ্যাক্ট একটা ছবি তুলতেও তুমি ইতস্তত বোধ করছো এটাও ভুল না স্বাভাবিক ব্যাপার ৷ তুমি যে আমাকে বিয়ে করতে চেয়েছো এটাও অনেক ৷ কিন্তু সৃজন একটা কথা কি জানো? ভালোবাসাটা অনেক ধরনের হয় ৷ সবার ভালোবাসার ধরণ এক না ৷ যেমন তুমি আমাকে এতো ভালোবেসেও আমার বিয়ে টা কে নিজের পার্ট ধরতে পারবেনা ওটা আলাদাই ৷ এবং ভবিষ্যতে এটা নিয়ে কথাও হয়তো উঠবে এটা নরমাল মানুষের স্বাভাবিক স্বভাব ৷ কিন্তু একজন এবনরমাল মানুষ এতো কিছু বিচার করেনা ৷ যাকে ভালোবাসে তাকে শুধু ভালোই বাসে ৷ তার ভালোবাসার মানুষটার আগের জীবন নিয়ে তার কোনো মাথা ব্যাথা থাকেনা ৷ তার প্রয়োজন একটাই সেটা হলো ভালোবাসা ৷
তাই নরমাল মানুষের থেকে আমার জন্য নিঃস্বার্থ ভালোবাসা জমা রাখার এবনরমাল মানুষটাকেই আমি ভালোবাসি ৷
আমি ইচ্ছে করেই বিয়ের কথা তোমাকে বলেছি তুমি কি বলো তা জানতে ৷
তোমার কোনো দোষ নেই সৃজন ৷ দোষ আমাদের ভাগ্যের যে আমরা এক হইনি কিন্তু এতগুলো দিন যে মানুষটা আমার ভরষায় বেঁচে থাকার মানে পেয়েছে তাকে ছেড়ে তোমার সাথে চলে যাবার মানে কি?? আমার তো কোনো অভাব নেই, আমার বর আমাকে ভালোবাসে তাহলে? তারপরেও যদি যাই তবে সেটা নেহাত শারিরীক চাহিদার জন্যই যাওয়া হবে তাই নয় কি সৃজন??
তুমি আমাকে ছেড়ে বাঁচতে পারবে ৷ কিন্তু ওই ছেলেটা?? ওকে ঘুম পাড়িয়ে এসেছি, যদি উঠে আমাকে না পায় সারা বাড়ী মাথায় তুলবে ৷ জানো সৃজন আমি যখন ওয়াশরুমে যাই, গোসলে যাই ও দরজার সামনে দাড়িয়ে থাকে আমি বের হলেই জড়িয়ে ধরে বলে বউ এতো দেরী হলো কেনো?? একজন নরমাল মানুষ কি এতোটা মিস কাউকে করতে পারে? যে একটা মিনিট চোখের আড়াল হতে দিতে চায়না?? তাকে ছেড়ে কি আশায় যাবো সৃজন?
ছবিটা তুললাম আমাদের শেষ দেখা এটা এ জন্য ৷ আজ সব সম্পর্ক এখানেই শেষ ৷
জানো সৃজন কিছু কিছু এক্সিডেন্ট জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ৷ আমি আমার পাগল বরকেই ভালোবাসি ৷ ভালো থেকো ৷
সৃজন একটা কথারও উত্তর দেয়নি ৷ আমি চলে এলাম একবারও পেছনে ফিরিনি ৷ কারণ বুঝেছি নরমাল মানুষের চেয়ে এবনরমাল মানুষগুলো বেশী নিষ্পাপ ৷ বেশী পবিত্র ৷ আমারো অপেক্ষা সহ্য হচ্ছেনা কখন যে বাসায় যাবো ৷ আমার বরটাকে দেখবো!!!! এইটুকু রাস্তাই যেনো শেষ হচ্ছে না ৷



মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

লাবণ্য ২ বলেছেন: গল্প বলার স্টাইল ভালো লেগেছে আপু।তবে শিরোনামে গল্পের নামকরণ করলে ভালো হয়।

শুভকামনা রইলো।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

ইরাবতী (ভূতের পেত্নী) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: এই গল্পটাও ভালো হয়েছে। নাম করনের বেলায় একটু সময় নিবেন। লেখার সাথে নামের মিল টা জরুরী.......।
গল্পের প্যারা গুলি মধ্যে লাইন গ্যাপ দিবেন, পড়তে ভালো লাগবে.....
আরো ভালো ভালো গল্প লিখুন। আমরা সবাই এসে পরে যাব।

আরো ভালো ভালো আপনার কাছে থেকে গল্প পাবার প্রত্যাশায়...
শুভ কামনা রইল!

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২

ইরাবতী (ভূতের পেত্নী) বলেছেন: ধন্যবাদ ৷ খেয়াল রাখবো৷

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৫৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গল্প লেখার প্রচেষ্টা ভাল হয়েছে। আশা করি, আগামী দিনে আমার দারুন একজন গল্পকার পাব। শুভ হোক ব্লগে পথচলা। লিখুন মন খোলে, আর পড়ুন বেশি বেশি। (ধন্যবাদ)

হ্যাপি ব্লগিং.......

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮

ইরাবতী (ভূতের পেত্নী) বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ৷ নতুন হিসেবে অনেক সাপোর্ট পাচ্ছি আপনাদের ৷ আমি সবসময় চেষ্টা করবো ভালো কিছু করবার ৷

৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

আমি ৎৎৎ বলেছেন: ভাল লাগল। ভাল থাকুন।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

ইরাবতী (ভূতের পেত্নী) বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.