নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্পই জীবন ৷ জীবনই গল্প ৷

ইরাবতী (ভূতের পেত্নী)

তোমার প্রাণের পরে ঠাই দিও একটুখানি, আমি প্রাণ ভরে শ্বাষ নিতে চাই তোমার মাঝেই ৷ তুমি মানেই আমি আমি মানেই তুমি ৷

ইরাবতী (ভূতের পেত্নী) › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ বিবাহ বিচ্ছেদ

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২০


মিলনের সাথে কাল আমার দেখা হবে তিন মাস সাতদিন পর ৷ এতদিন না দেখে থাকার গ্যাপ আমাদের এই প্রথম ৷ আগে তো হাজার ব্যাস্ততাও আমাদের দুজনকে না দেখে থাকা থেকে দুরে রাখতে পারতোনা ৷ মিলনই ছটফট বেশী করতো অবশ্য ৷ আমি ছাড়া নাকি তার দিনটাই বৃথা যায় ৷ কিন্তু সেই আমরা তিন মাস সাতদিন একে অপরকে না দেখে আছি ৷
কালকের দিন আসতে আর ১২ ঘন্টা ১৭ মিনিট বাকী ৷ কালকের পর আমি চাইলেও আর মিলনকে দেখতে পারবোনা ৷ চার বছরের প্রেম তিন বছরের বিয়ে মোট সাত বছরের সম্পর্কটায় কাল আমি আর মিলন ইতি টানতে যাচ্ছি ৷ একটা কাগজে সই করে আমরা আলাদা হবো আমাদের মতো ৷
এডভোকেট আমাদের বলেছিলো নিজেদের মধ্যে যেনো আরেকবার কথা বলে নেই আমরাও সেটা মেনে চলে এসেছিলাম সেদিন ৷ কিন্তু কথা বলে তো লাভ নেই ৷ আমাদের সব কথা ফুরিয়ে গেছে ৷ কেমন আছো এটা জিগেস করার মত কথাটুকুও আর বেঁচে নেই আমাদের ৷ ব্যাপারটাকে অনিচ্ছাকৃত নাকি বিরক্তি কি বলবো আমার ঠিক জানা নেই ৷

"এক"
আমরা তো ভালোই ছিলাম ৷ কিন্তু মিলি ফেরত আসার পর থেকেই আমাদের জীবনটা পাল্টি খেতে লাগলো ৷ আমার ধারণা মিলন এখনো মিলিকে ভালোবাসে ওর সাথেই থাকতে চায় ৷ কিন্তু এটার পুরো সত্যতা আমি আজো পাইনি, মিলন তো স্বীকারই করে না ৷ কিন্তু ওর দুরে সরে যাওয়াগুলো তে আমি বুঝতে পেরেছি, যে ও হয়তো আমাকে চায়না ৷ কিন্তু কে চায় সংসারটা ভাঙ্গুক? আমিও চেষ্টা করেছি; ও যা পছন্দ করতো না সব বাদ দিয়েছিলাম ৷ তবুও ভুল ধরার শেষ ছিলোনা ৷ আসলে সম্পর্কটা যখন মন থেকে আসেনা তখন হাজার ঠিকের মধ্যে একটা ভুলই জ্বলজ্বল করে উঠে সমস্ত ঠিক কে বেঠিক করে দেয় এটাই বাস্তবতা ৷
আমার ধারণা আমাদের ডিভোর্সের পর মিলন মিলিকে বিয়ে করবে ৷
মিলি মিলনের প্রাক্তন প্রেমিকা ছিলো ৷ মিলনকে তখন আমি চিনতামনা সেভাবে; কিন্তু মিলিকে চিনতাম একই পাড়ায় থাকতাম আমরা ৷ একদিন শুনলাম মিলির বিয়ে ৷ সেদিন মিলি সে কি কান্না ৷ কাটা মুরগীর মত দাপিয়ে কাঁদছিলো মিলি ৷ বার বার ওর মায়ের পা ধরে বলছিলো আমাকে বিয়ে দিওনা ৷ তখন না জানলেও পরে জেনেছি ওর আর মিলনের প্রেম ছিলো কিন্তু ওকে জোর করে বিয়ে দিয়েছে ৷
একদিন মামার বাসায় যাবার পথে আমার মামাতো বোন বলেছিলো ওই যে ওই ছেলেটার সাথে মিলির প্রেম ছিলো ৷ সেদিনই মিলনকে আমার প্রথম দেখা ৷ মিলন সেদিন সবুজ রংয়ের শার্ট পরে ছিলো ৷ শুনেছি কাউকে যদি প্রথম দেখাতেই ভালো লাগে তাহলে তাকে প্রথম দেখার দিনের ড্রেসের রংটাও মনে থাকে ৷ সেদিন কিন্তু ভালো লাগা বহু দুরে, মনে কিছুই ছিলোনা জাস্ট একবার দেখেছিলাম ওকে তাহলে কেনো আমার আজো ওর পোশাকের রং মনে আছে কে জানে???

"দুই"
এরপর কলেজে যেতে আসতে মিলনের সাথে দেখা হতো ৷ আসলে কিভাবো কিভাবে যেনো ওকে আমার ভালো লাগতো ওর ও হয়তো লাগতো এরপর একদিন রাস্তায় কথা হলো সোখান থেকেই শুরু ৷ মিলন অনেক কষ্ট পেয়েছিলো মিলির বিয়ে হওয়ায় কিন্তু আমি যতটুকু পেরেছি মেন্টাল সাপোর্ট দিয়েছিলাম ওকে ৷ ধীরে ধীরে আমাদের সম্পর্ক হয় ৷ এরপর একসাথে পথ চলা ৷
মিলন অনেক সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে ৷ যখন বুঝলাম ওর বাসায় আমাকে মানবেনা তখন নিজেরাই বিয়ে করে ফেলি ৷ মিলনকে আমার জন্য বাড়ী ছাড়তে হয় ৷ জীবনে অনেক কঠিন সময় পার করেছি মানুষটার সাথে ৷ ও আমার জন্য দিন মজুরের কাজও করেছে ৷ আমাকে যেনো না খেয়ে না থাকতে হয় তাই ৷

আমাকে মিলন বলতো তোমার দায়িত্ব আমি নিয়েছি যতদিন বাঁচবো তোমাকে না খাইয়ে রাখবোনা ৷ আমি ওকে জড়িয়ে ধরে অনেক কেঁদেছি সেদিন ৷ ও চাকরীর জন্য চেষ্টা করছিলো পেয়েও গেলো ভালো একটা চাকরী ৷
এরপর আমাদের খারাপ সময়গুলো কেটে গেলো ৷ আমরা ভাল বাসা ভাড়া নিলাম স্বচ্ছলভাবে দিন চলছিলো ৷ যদিও ওর বাসা থেকে ওর সাথে যোগাযোগ রাখলেও আমাকে মানেনি ৷ ভালো খারাপ প্রতিটা মুহূর্তের সঙ্গী মানুষটা কাল থেকে আমার থাকবেনা ভেবেই চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পড়ছে আমার ৷

"তিন"
আমাদের বিয়ের দুবছরের মাথায় আমি আবিষ্কার করলাম মিলির সাথে মিলনের যোগাযোগ হয় ৷ কারণ ফেইসবুকে কমেন্ট লাইক সবখানে মিলির আইডি আর ফটো দেখে তো চিনেছিলামই ৷ এরপর মাঝে মাঝে দেখতাম মিলনকে ফোনও করতো আমি জিজ্ঞেস করলে বলতো; আরে এমনিই ফোন দেয় ৷
কিন্তু আমি জানতামই না মিলির ডিভোর্স হয়ে গেছে ৷ ব্যাপারটা জানি অনেকদিন পরে ৷ এভাবেই মিলনের সাথে আমার সম্পর্কের ভাঁটার শুরু ৷ ১ বছর অনেক চেষ্টা করেছি মানিয়ে চলার কিন্তু মিলনের ও তো চাইতে হবে ৷ আমি ওকে জিজ্ঞেস করেছি অনেকবার যে, মিলিকে ভালো লাগলে বলো আমি সরে যাবো কিন্তু কখনোই স্বীকার করেনি ও ৷
একদিন হঠাৎ ই এসে বলছে পুষ্প আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দেই তুমি সহ্য করে আছো কিন্তু আমি তোমাকে মুক্তি দিতে চাই ডিভোর্স দিয়ে দিতে চাই ৷

সেদিন আমার হাত পা কাপছিলো কি বলছে মিলন??? কিন্তু দিনে দিনে বুঝতে পারলাম আমি পারিনি ওর মনের মতো হতে ৷ তাই আজ আমাদের অবস্থান এটা ৷ উকিল বলেছিলো তিন মাস এক সাথে থেকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করুন এরপরও যদি মনে হয় তাহলে ডিভোর্স হবে ৷ কিন্তু থাকলাম আর কই? এই তিনমাস পুরো আলাদা থাকলাম আমরা, আমি বাবার বাড়ী এসেছি ৷
আজকের রাতটা পারই হচ্ছেনা ৷ এটাই ভালো যদি সত্যি আর সকাল না হতো ৷

You Have A New Message

মেসেজটা ওপেন করতেই বুকটা কেঁপে উঠলো ৷ মিলন পাঠিয়েছে ৷
-- Ghumiyecho?
-- Na.
-- Busy?
-- Eto rate ki niye busy thakbo?
-- Tao thik.
-- Hothat mone porlo?
-- Asole amadr photo gulo dekhchilam. Kal to somporkota ses hoye jabe tai mone porchilo.
-- Somporko ses hobe er jonno mone porlo? Bah valo to...
-- Ghumabe kokhon?
-- Question avoid korcho?
-- Na to. Good night. Ghumiye poro.
-- Hmm.

"চার"
আয়নার সামনে দাড়িয়েই দেখছি চোখ ফুলে আছে ৷ সারারাত জাগলে যা হয় ৷ রেডী হলাম উকিলের চেম্বারে যাবো ৷
মিলন এলো ৷ আমরা বসে আছি উকিলের সামনে ৷

-- মিলন সাহেব ফাইনাল ডিসিশান কি তাহলে??
-- জ্বী আমি ডিভোর্স চাই ৷
-- পুষ্পিতা ম্যাম আপনি?
-- জ জ জ্বী আ আ আমিও
আমার গলা আটকে যাচ্ছে বার বার ৷ এতবড় মিথ্যে বলতে হচ্ছে আটকানোই স্বাভাবিক ৷ ফাইনালি হয়ে গেলো আমাদের চার বছর প্রেম আর তিন বছর বিয়ের সমাপ্তি ৷
-- পুষ্প তুমি সুখী হও আমি তো তোমার মর্যাদা দিতে পারিনি ৷
-- তুমি কি আবার বিয়ে করবে?
-- হুম মিলিকে বিয়ে করছি ৷
-- কথাটা এত দেরীতে বলতে হলো? আগেই জানাতে পারতে ৷
-- আসলে,,,,
-- ব্যাখ্যা চাইনি মিলন ৷ শুভ কামনা ৷

আমার ধারণাটা ভুল ছিলোনা তাহলে ৷ হোক ওরা সুখী হোক ৷ আজ থেকে তো আমি আর মিলনের কেউ রইলাম না ৷
এরপর শুনেছিলাম দু মাস পর ওদের বিয়ে সেই অনুযায়ী এ মাসেই বিয়ে হবার কথা ওদের দুমাস পার হয়ে গেছে ৷

"পাঁচ"
ফোনটা আশা করিনি ৷ ডিভোর্সের দু মাস পর আজ মিলন ফোন করলো হয়তো বিয়ের ডেট জানাবে ৷

-- হ্যালো
-- কেমন আছো?
-- ভালো তুমি?
-- আছি ৷
-- বিয়ে কবে?
-- পরশু ৷
-- গুড ৷
-- পুষ্প একবার দেখা করতে পারবে কাল?
-- কেনো?
-- দরকার ছিলো ৷
-- না ৷
-- ওকে আমি গোল চত্তরে ওয়েট করবো ১১ টায় ৷ ভালো লাগলে এসো ৷
-- আমি আসবো না ৷ রাখছি ৷
সকাল ১০ টা ২০ ৷ আমার এক আত্মা যাবোনা বলে বাকী চার আত্মাই যাবো বলছে ৷ মনের সাথে পেরে উঠছিনা ৷ নাহ শেষ পর্যন্ত যেতে হলো ৷
-- কি বলবে?
-- জানতাম আসবে ৷
-- কারণটা বলো ৷
-- বিয়ের কার্ড দিতে ডেকেছি ৷
-- ওহ
-- কাল এসো অবশ্যই ৷
-- হুম ৷
-- নিচে তাকিয়ে আছো কেনো? আমার দিকে তাকাও ৷
-- মিলন আমি যাচ্ছি ৷
ওর চোখের দিকে তাকাবার সাহস আমার নেই এটা কি বুঝে ফেললো???
যাই হোক কাল ওর জীবনের একটা শুভ দিন ৷ কিন্তু ওই বিয়েতে যাবার সাহস তো আমার নেই ৷ আমি দুর থেকে সহ্য করে নিচ্ছি নেবো; কিন্তু কাছ থেকে সহ্য করবার ক্ষমতা আমার নেই ৷ আমি যেতে পারবোনা ৷

পরদিন দুপুর ১২ টায় হঠাৎ একটা ফোন এলো ৷ ওপাশ থেকে যা বলা হলো তা শোনবার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না ৷
দৌড়ে চলে গেলম হসপিটালে ৷
আমার মিলনের এক পা নাকি কেটে ফেলতে হবে না হলে ও বাঁচবেনা ৷ আমার জীবনে এত ঝড় গিয়েছে কখনো মনে হয়নি মরে যাই কিন্তু আজ মনে হচ্ছে ৷
শেষ পর্যন্ত মিলনের এক পা কেটে ফেলা হলো ৷
সাতদিন হলো রোজ আমি মিলনকে দেখতে আসি রান্না করে আনি ৷ একদিনও মিলিকে আসতে দেখিনি ৷
-- মিলি আসেনা??
-- পঙ্গু মানুষের কাছে তোমার মতো বোকা ছাড়া আর কেউ আসেনা ৷

"ছয়"
অনেকদিন হয়ে গেছে মাঝে মাঝে কথা হয় মিলনের সাথে ৷ ওর অসহায়ত্বগুলো আমি নিতে পারছিলামনা ৷ ছেলেটা সবকিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছিলো ৷ ও ভাবতো ও কারো যোগ্য না এখন ৷
নাহ আমি আর পারলাম না ৷ মিলি থাকলে এক কথা ছিলো এভাবে মিলনকে একা কষ্ট দেয়া যাবেনা ৷ আমি মিলনকে ভালোবাসি হোক পঙ্গু হোক ডিভোর্স আমি আবার ওর সাথে থাকবো ও রাখতে না চাইলেও থাকবো ৷
মিলন কোনভাবেই রাজী হচ্ছিলো না কিন্তু আমার সাথে সে পেরে উঠলোনা আমি তাকে বিয়ে করবোই ৷ হ্যাঁ ফাইনালি আবার বিয়ে হলো আমাদের ৷
সত্যি কথা বলতে কি আমার খারাপ লাগে যে ও আমাকে ছেড়েছিলো কিন্তু সে যথেস্ট ভালোবাসতো আমাকে এখনো বাসে ৷ আমরা ভাল আছি এখন ৷ আমি একটা চাকরী করছি আর একটা অনলাইন শপ করেছি যেটার সব কাজ মিলন করে ৷ আমি শুধু প্রোডাক্ট রেডী করি ৷

"সাত"
আমাদের দ্বিতীয় বিয়ের এনিভার্সারী আজ ৷ এক বছর হয়ে গেছে ৷ বাসায় এসে দেখি মিলন ওয়েট করছে ৷ ও আমাকে একটা খাম ধরিয়ে দিলো ৷ বললো আজ মনে হলো এটা তোমার পড়া উচিত ৷
আমি খাম খুললাম একটা চিঠি; চিঠির তারিখটা বছরখানেক আগের ৷ এক বছর আগের চিঠি মিলন এখন কেন দিলো? প্রশ্নের উত্তর জানতে চিঠি পরা শুরু করলাম ৷

পুষ্প,
আমি জানি তোমার ভেতরটায় আজ অনেক কষ্ট জমা
কারণ আজ আমার বিয়ে ৷ জানো পুষ্প যাকে বিয়ে করছি তার মর্যাদাটা বুঝতে আমার অনেকটা সময় লেগে গেলো ৷ মেয়েটা আমার জীবনের আনন্দের জন্য নিজের সুখগুলো ছেড়ে দিয়েছে ৷ জানো সে কে??? আমার পুষ্প!!
অবাক হলে??? নাহ ভুল পরোনি ঠিক নামটাই পরেছো ৷ হ্যাঁ তোমাকে ডিভোর্স দিয়ে অনেক বড় অন্যায় করেছি আমি ৷ আসলে আমি মিলির সাথে একটু ইনভলব হয়ে পরছিলাম কিন্তু পরে বুঝলাম আমি তোমাকে কষ্ট দিচ্ছি ৷ এরপর দেখলাম তুমিও সন্দেহ করছো আমাকে, তখন মনে হয়েছিলো তোমাকে ভালো রাখার যোগ্যতা আমার নেই ৷ তাই ডিভোর্সের কথা বলেছি, কিন্তু দেখলাম তুমিও রাজী হয়ে গিয়েছো ৷ আমার সাথে থাকতে একবারো জোর করলেনা ৷ অবশ্য আমার সুখের কথা ভেবেই এক কথায় রাজী হয়েছো জানি ৷ তখন ভেবেছি হয়তো তুমিও চাও এটা ৷ কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝেছি তুমি চাইলেও আমি পারবোনা তোমাকে ছাড়া থাকতে ৷ কারণ যে মানুষটা আমার জন্য এত ত্যাগ করেছে কত কথা সহ্য করেছে ৷ আমার প্রতিটা খারাপ সময়কে নিজের মতো করে সুন্দর করেছে ৷ সব সময় পাশে থেকেছে ৷ তাকে ছাড়া জীবন ভাবা যায়??? তাই প্ল্যানটা করলাম অন্যরকম ৷ খুব আপসেট থাকায় যা তুমি ধরতে পারোনি ৷ তোমার মনে আছে পুষ্প? আমরা কাজী অফিসে বিয়ে করেছিলাম? আর যেদিন আমাদের ডিভোর্স হয়েছে ভেবে বসে আছো সেদিন আমাদের কোর্ট ম্যারেজ এর কাগজে সই করেছো তুমি ৷ ডিভোর্স না বরং আরো একবার বিয়ে করেছি আমরা আর উকিল সবই জানতো ৷ তাই তোমাকে সারপ্রাইড দিতে বিয়ের কথা বলেছি যেখানে আমি একটা পার্টি দিচ্ছি আমাদের বিয়ে উপলক্ষে ৷ তোমাকে তো চিনি
নিশ্চই বিয়ের কার্ড খোলোনি? ?? খুলে দেখতো কি লেখা আছো??? এবার কি করবে ভেবে নিয়ে চলো এসো অপেক্ষা করছি ৷

ইতি
তোমার মিলন ৷

আমি নির্বাক হয়ে গেছি দৌড়ে গিয়ে কার্ডটা খুজে বের করলাম ৷ কার্ড খুলে দেখলাম আমার আর মিলনের নাম ৷
এতবড় মিস্টেক কিভাবে করলাম আমি? মিলন এত কিছু করলো চোখের সামনে আমি কিছুই বুঝলামনা?? কার্ডটা কেনো সেদিন খুলে দেখলামনা?? নিজের গালে চড় বসাতে ইচ্ছে করছে ৷ দৌড়ে গিয়ে মিলনকে জড়িয়ে ধরলাম ৷
বুঝতে বাকী রইলোনা আমাকে নিতে আসতেই মিলনের এক্সিডেন্ট টা হয় ৷ অথচ মিলন একবারও সে কথাটা আমাকে জানতে দেয়নি ৷

-- পুষ্প ৷ কেঁদোনা ৷ চিঠিটা নিয়ে যাচ্ছিলাম তোমার বাড়ীর সামনে গিয়ে কাউকে দিয়ে পাঠাবো ভেবে কিন্তু যেতে তো পারিনি ৷ চিঠিটা গাড়ীর বক্সে রাখা ছিলো ৷ তাই হারায়নি ৷ পঙ্গু হবার পর ভেবেছিলাম কিছু জানতে দেবোনা তোমাকে ৷ কারণ আমার সাথে জড়িয়ে তোমার জীবন নষ্ট করবোনা ৷ কিন্তু শেষমেষ তুমিই জেদ করে আবার বিয়ে করলে ৷ ভাবো আমরা তিনবার বিয়ে করেছি ৷ হাহাহাহা
--- একদম চুপ ৷ হাসবেনা ৷ ফাজিল কোথাকার ৷
-- পাগলীটা ৷ ভালোবাসি তো ৷








মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৪

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আমার তৃষ্ণা তোমার সুধা তোমার তৃপ্তি আমার সুধা

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

ইরাবতী (ভূতের পেত্নী) বলেছেন: বাহ!!

২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: মেয়ে মানুষের মধ্যে শাশ্বত কিছুই পাওয়ার নেই। রোমিও-জুলিয়েট, লায়লা-মজনু এসব হলো ইমোশনাল ব্যাপার স্যাপার । অতিমাত্রায় বাড়াবাড়ি । একজন মানুষের জীবনে নারী প্রেম কতটুকু প্রয়োজন ? কিছু বোকা পুরুষরা ব্যাপারটাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তুলেছে ! তবে এও ঠিক, যাকে পাওয়া গেল না, যাকে পাওয়ার নয়, সেই মেয়েটির জন্য দীর্ঘকাল বুকের মধ্যে যেম কেমন করে ! সেটা হয়তো প্রেম নয় । বোকা পুরুষরা যেটা দখল করতে পারে না সেটাকে মহামানিত্ব করে তোলার চেষ্টা করে ।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

ইরাবতী (ভূতের পেত্নী) বলেছেন: আমি তো কিছুই বুঝলাম না ৷

৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ধর্মীয় ও গল্প হিসেবেও গল্পটার প্লট আমার ভাল লাগেনি। দুঃখিত...

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৫

ইরাবতী (ভূতের পেত্নী) বলেছেন: ধন্যবাাদ ৷ এটা শুধুই গল্প ৷

৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ধর্মীয় ও গল্প হিসেবেও গল্পটার প্লট আমার ভাল লাগেনি। দুঃখিত... - উনি খুব সিনিয়র একজন ব্লগার..........
গল্প লেখার সিসটেম হিসেবে ঠিক আছে। তবে খুব সিলি হয়ে গেছে ঘটনা। আপনাকে বিয়ে নিয়ে আর লিখতে মানা করেছিলাম। খুব শিঘ্রই সবাই বিরক্ত হয়ে যাবে.........
শুভ কামনা রইল!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.