![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখক : ইসমাম খান বাবু
গল্পঃ
মোশারফ একটি সরকারি চাকরী করতো । তার পরিবারে তিনি আর তার সহজ সরল স্ত্রী ছাড়া আর কাউ ছিলো না কারন তিনি বড় হয় অনাথ আশ্রমএ । মোশারফ নিয়মিত সকালে তার স্ত্রীর হাতের তৈরি করা নাস্তা খেয়ে অফিসে যান । একদিন মোশারফের অফিসে একজন লোক আসলো, লোকটি দেখতে হ্যান্ডসাম এবং স্মার্ট। লোকটি মোশারফকে অনেক টাকার ঘুষের অফার করলো কিন্তু মোশারফ নাকচ করে দিলো কারণ মোশারফ অনাথ হলেও ছোট থেকে নিজেকে বিশুদ্ধ ও সৎ রেখেছেন । স্মার্ট লোকটি রাগ হয়ে চলে গেলো । মোশারফের জীবন ভালোই চলছিল । কিছু দিন পর, হঠাৎ লক্ষ্য করলো তার স্ত্রীর চেহারা আনমরা! আগের মতো নেই! কথাও বলে না, বেশির ভাগ সময় চুপ থাকে ! মোশারফ জিজ্ঞাসা করল কি হয়েছে তোমার? কিছু বলো না, চুপ করে রোইলো । মোশারফ তার চোখে দেখে কিছু একটা আছ করতে পেরেছিল কিন্তু মোশারফের অফিসর সময় হয়ে যায় তাই ঐদিন আর বেশি কিছু জিজ্ঞাসা করলো না, মোশারফ অফিসে চলে যায় । মোশারফ রাতে বাসায় ফিরে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করে “কি হয়েছে আমাকে বলো!”, তখন তার স্ত্রী তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে আর বলতে থাকে আমাকে মাফ করে দাও । মোশারফ আবারো তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করে “কি হয়েছে আমাকে বলো!” । কিছুক্ষণ কেঁদে মোশারফের স্ত্রী বলে “আমি তোমার অজান্তেই একটি ছেলে এর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পরি, আমি ওকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম কিন্তু ও আসলে একটা প্রতারক! এখন ও আমার আপত্তিকর ভিডিও ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিছে” । এইসব শোনার পর মোশারফ হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো । কিছুক্ষণ পর মোশারফের স্ত্রী দৌড় দিয়ে রান্না ঘরে গেলো এবং একটি চাকু নিলো আত্মহত্যা করতে কিন্তু তখন মোশারফ এসে তার স্ত্রীকে বাধা দেয়ে আত্মহত্যা করতে! মোশারফ তার স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে বলে “আমি তোমার সাথে আছি”। এর কিছুক্ষণপর মোশারফের মোবাইলে একটি কল আসলো! মোশারফ ফোনটি রিসিভ করলো, ফোনে একটি লোক বলো “মোশারফ আপনিতো নিজেকে বিশুদ্ধ ও সৎ রেখেছেন, ঘুষ খওয়া না! কিন্তু আপনি আপনার স্ত্রীকে বিশুদ্ধ রাখতে পারলেন না! হা..হা..হা” এই বলে ফোন টা কেটে দিলো । তখন মোশারফ বুঝতে পারছিলো যে তার স্ত্রীকে ফাঁদ ফেলা হয়েছে এবং এটি এই সেই লোক যে দেখতে হ্যান্ডসাম ও স্মার্ট ও তাকে অনেক টাকা ঘুষের অফার করেছিলো । ঘণ্টা-খানিক পর, সেই লোকটি আবার ফোন দিয়ে বলে “ মোশারফ আপনার জন্য একটি ভালো অফার আছে! আপনি আমার ওই কাজটি করে দিন যেটা আমি আপনাকে অনেক টাকার ঘুষের অফার করে ছিলাম তাহলে আমি আপনার স্ত্রীর আপত্তিকর ভিডিওটা দিয়ে দিবো! এই বলে ফোন টা কেটে দিলো । মোশারফ চিন্তায় পড়ে গেল! মোশারফ কি তার স্ত্রী সম্মান জন্য অসৎ কাজ করবে কি করবে না! তাহলে কি সৎ হারিয়ে অসৎ কাজ করবে মোশারফ? না এটা কিভাবে হয়! যে মানুষ ছোট থেকে নিজেকে বিশুদ্ধ ও সৎ রেখেছেন, সে কিভাবে এই কাজ করে? তাই মোশারফ সিদ্ধান্ত নিলো ওই লোকটা কে উচিত শিক্ষা দিবে । পরের দিন ওই লোকটা মোশারফকে ফোন দিলো! জিজ্ঞাসা করলো “মোশারফ তার কাজটি করবে কি না!” মোশারফ বলো “আমি কাজটি করবো কিন্তু আমার একটি শর্ত আছে! যদি আমার স্ত্রীর আপত্তিকর ভিডিওটা আগে দেয়ও তাহলে আমি কাজটি করবো । ওই লোকটি রাজি হলো কারন লোকটি কাজ টা তারাতারি করানো দরকার । মোশারফ লোকটিকে বাসায়ে আসেতে বলো । মোশারফ ওই লোকটি আসার আগে বাসায়ে পুলিশ ডেকে রাখে, যখন ওই লোকটি মোশারফ এর বাসায়ে আসে তখন তাকে ধরিয়ে দয়ে এবং মোশারফ মতো মানুষের বিশুদ্ধতার জয় হয় ।মোশারফ একটি সরকারি চাকরী করতো । তার পরিবারে তিনি আর তার সহজ সরল স্ত্রী ছাড়া আর কাউ ছিলো না কারন তিনি বড় হয় অনাথ আশ্রমএ । মোশারফ নিয়মিত সকালে তার স্ত্রীর হাতের তৈরি করা নাস্তা খেয়ে অফিসে যান । একদিন মোশারফের অফিসে একজন লোক আসলো, লোকটি দেখতে হ্যান্ডসাম এবং স্মার্ট। লোকটি মোশারফকে অনেক টাকার ঘুষের অফার করলো কিন্তু মোশারফ নাকচ করে দিলো কারণ মোশারফ অনাথ হলেও ছোট থেকে নিজেকে বিশুদ্ধ ও সৎ রেখেছেন । স্মার্ট লোকটি রাগ হয়ে চলে গেলো । মোশারফের জীবন ভালোই চলছিল । কিছু দিন পর, হঠাৎ লক্ষ্য করলো তার স্ত্রীর চেহারা আনমরা! আগের মতো নেই! কথাও বলে না, বেশির ভাগ সময় চুপ থাকে ! মোশারফ জিজ্ঞাসা করল কি হয়েছে তোমার? কিছু বলো না, চুপ করে রোইলো । মোশারফ তার চোখে দেখে কিছু একটা আছ করতে পেরেছিল কিন্তু মোশারফের অফিসর সময় হয়ে যায় তাই ঐদিন আর বেশি কিছু জিজ্ঞাসা করলো না, মোশারফ অফিসে চলে যায় । মোশারফ রাতে বাসায় ফিরে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করে “কি হয়েছে আমাকে বলো!”, তখন তার স্ত্রী তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে আর বলতে থাকে আমাকে মাফ করে দাও । মোশারফ আবারো তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করে “কি হয়েছে আমাকে বলো!” । কিছুক্ষণ কেঁদে মোশারফের স্ত্রী বলে “আমি তোমার অজান্তেই একটি ছেলে এর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পরি, আমি ওকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম কিন্তু ও আসলে একটা প্রতারক! এখন ও আমার আপত্তিকর ভিডিও ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিছে” । এইসব শোনার পর মোশারফ হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো । কিছুক্ষণ পর মোশারফের স্ত্রী দৌড় দিয়ে রান্না ঘরে গেলো এবং একটি চাকু নিলো আত্মহত্যা করতে কিন্তু তখন মোশারফ এসে তার স্ত্রীকে বাধা দেয়ে আত্মহত্যা করতে! মোশারফ তার স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে বলে “আমি তোমার সাথে আছি”। এর কিছুক্ষণপর মোশারফের মোবাইলে একটি কল আসলো! মোশারফ ফোনটি রিসিভ করলো, ফোনে একটি লোক বলো “মোশারফ আপনিতো নিজেকে বিশুদ্ধ ও সৎ রেখেছেন, ঘুষ খওয়া না! কিন্তু আপনি আপনার স্ত্রীকে বিশুদ্ধ রাখতে পারলেন না! হা..হা..হা” এই বলে ফোন টা কেটে দিলো । তখন মোশারফ বুঝতে পারছিলো যে তার স্ত্রীকে ফাঁদ ফেলা হয়েছে এবং এটি এই সেই লোক যে দেখতে হ্যান্ডসাম ও স্মার্ট ও তাকে অনেক টাকা ঘুষের অফার করেছিলো । ঘণ্টা-খানিক পর, সেই লোকটি আবার ফোন দিয়ে বলে “ মোশারফ আপনার জন্য একটি ভালো অফার আছে! আপনি আমার ওই কাজটি করে দিন যেটা আমি আপনাকে অনেক টাকার ঘুষের অফার করে ছিলাম তাহলে আমি আপনার স্ত্রীর আপত্তিকর ভিডিওটা দিয়ে দিবো! এই বলে ফোন টা কেটে দিলো । মোশারফ চিন্তায় পড়ে গেল! মোশারফ কি তার স্ত্রী সম্মান জন্য অসৎ কাজ করবে কি করবে না! তাহলে কি সৎ হারিয়ে অসৎ কাজ করবে মোশারফ? না এটা কিভাবে হয়! যে মানুষ ছোট থেকে নিজেকে বিশুদ্ধ ও সৎ রেখেছেন, সে কিভাবে এই কাজ করে? তাই মোশারফ সিদ্ধান্ত নিলো ওই লোকটা কে উচিত শিক্ষা দিবে । পরের দিন ওই লোকটা মোশারফকে ফোন দিলো! জিজ্ঞাসা করলো “মোশারফ তার কাজটি করবে কি না!” মোশারফ বলো “আমি কাজটি করবো কিন্তু আমার একটি শর্ত আছে! যদি আমার স্ত্রীর আপত্তিকর ভিডিওটা আগে দেয়ও তাহলে আমি কাজটি করবো । ওই লোকটি রাজি হলো কারন লোকটি কাজ টা তারাতারি করানো দরকার । মোশারফ লোকটিকে বাসায়ে আসেতে বলো । মোশারফ ওই লোকটি আসার আগে বাসায়ে পুলিশ ডেকে রাখে, যখন ওই লোকটি মোশারফ এর বাসায়ে আসে তখন তাকে ধরিয়ে দয়ে এবং মোশারফ মতো মানুষের বিশুদ্ধতার জয় হয় ।
©somewhere in net ltd.