![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছি!! তোমার নাম মুরগি কেন?? এখনো যে মানুষ হতে পারিনি। এখনো যে মিথ্যা বলি। এখনো আমি লোভি। মানুষ তো এরকম হতে পারে না!!
উৎসর্গ: বিচার মানি তালগাছ আমার এবং
চানাচুর কে।
(১)
খিলখিল হাসি দেখেই মেয়েটার প্রেমে পড়েছিলাম। রেষ্টুরেন্টে সবাই মেপে মেপে কথা বলে, মেপে মেপে হাসে এবং মার্জিত ভাবে খায়। কিন্তু মেয়েটির কোন বালাই নেই। বান্ধবীর কথা শুনে খিলখিল করে হেসে যাচ্ছে। শুধু আমি না, অন্যেরাও তার দিকে তাকাচ্ছে ওর তাতে কিচ্ছু যায় আসে না।
এই মেয়েটি এখন আমার বউ ওর নাম ইরা। এখন আর ওর খিল খিল হাসি নেই। সারাদিন মনমরা হয়ে থাকে। আমাদের প্রথম বাচ্চা হাওয়ার দুদিন পরে বাচ্চাটা মারা গেল। ডাক্তার বলেছিল বাচ্চা একদম ফিট। কিন্তু এর পরেও কিভাবে কি হলো বুঝলাম না। ফুটফুটে আর
ধবধবে সাদা দেহ কিন্তু গলার দিকে লালচে ছিল লাশের। ইরা কান্নাকাটি জুড়ে দিলে আমি ডক্টর কল দেই। ডক্টর স্বাভাবিক মৃত্যু বলে। গলার লালচে ভাবটাও স্বাভাবিক। মরা লাশের নীল, লাল, ফ্যাকাসে, কালো এসব হওয়া নাকি স্বাভাবিক।
এর পর থেকে ইরা আর হাসে না। বাড়ি থেকে কোথাও বের হয়না। আমি অফিস করে এসে সারাদিন ওকে নিয়েই থাকি। ওর পছন্দের খাবার নিয়ে আসি মাঝে মাঝে। আমার সাথে কথাটথাও খুব একটা বলে না।
অথচ বিয়ের সময় রাত দুইটা অবদি ও বকবক করেই যেত। এর বিরুদ্ধে নালিশ ওর বিরুদ্ধে নালিস। আমি ব্যাপারটা খুব ইনজয় করতাম।
কিন্তু এখন সব শূন্যতা। আমি এ নিয়ে ওকে কিছু বলিনা। প্রথম বাচ্চা মারা গেছে ধকলটা সহ্য হচ্ছে না হয়তো।
(২)
আমাদের ২য় বাচ্চা হবে। এবারও ছেলে হবে আর চেকাপ করে জান গেল সব ঠিকঠাক। ইরা যদিও এখন কথা কম বলে কিন্তু চোখে মুখে এখন একটু আনন্দ দেখতে পাচ্ছি। রোজ আয়নার সামনে একটু বেশি সময় নিয়ে সাজে আজকাল।
আমরা হসপিটালে, ইরার পেইন উঠেছে। আমি বড্ড ছটফট করছি কি হয় না হয়। রাত ঠিক ২:৩৭ মিনিটে জানতে পারলাম আমি বাবা হয়েছি আর ওরা ঠিক আছে। আমি কেবিনে ঢুকে বাচ্চার দিকে না তাকিয়ে ইরার দিকে তাকালাম। বড্ড হাসি-খুশি দেখাচ্ছে ওকে। বাচ্চার পা থেকে মাথা পর্যন্ত অদ্ভুত ভাবে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
রাত তিনটার দিকে এম্বুলেন্স করে আমরা বাসার দিকে আসছিলাম। আমার প্রচণ্ড ঘুম পাচ্ছিল। সারারাতের ধকলে। আমি আমার বাচ্চাটাকে চুমু খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম এম্বুলেন্সেই।
(৩)
বাসায় এসে আমি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না। এত্ত ঘুম পাচ্ছে। ইরা বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ওলে বাবুতা, বাবু আমাল,,,, এরকম বাচ্চাদের মত বলে যাচ্ছে। আমি অদ্ভুত ভাবে ইরার দিকে তাকিয়ে আছি। মোবাইল দিয়ে বাচ্চাটার একটা ছবি তুললাম। ফেসবুকে সবাইকে জানাব বলে। কিন্তু না পোষ্ট করিনি। ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
সকালে ইরার কান্না শুনে ঘুম ভেংগে গেল। এই বাচ্চাটাও মারা গেছে। সারা দেহ ফ্যাকাসে সাদা গলার দিকটা কিছুটা লালচে এবং নীলচে। আমার চোখে কোন পানি নেই। আমি ইরার মত কান্নাকাটি করতে পারছি না। বুকে শক্ত একটা পাথরের মত অনুভব করছিলাম। উফ আমিকি পাগল হয়ে গেলাম?
পরদিন সন্ধ্যায় দেখলাম ইরা আয়নার সামনে সাজুগুজু করছে। সন্তান হারানোর বেদনা একদম নেই। অদ্ভুত ভাবে ইরার মুখটা জ্বলজ্বল করছে। এত রুপবতী লাগছে বলার মত না। এবং খেয়াল করলাম ওর চুল কাধ পর্যন্ত ছিল সেটাও কোমর পর্যন্ত চলে এসেছে। তবে কি ও অমরত্ব লাভ করে ফেলেছে? যেমনটা ওর ডায়রিতে লেখা ছিল?
ও আপনাদের তো বলাই হয়নি। আমাদের ২য় সন্তান হওয়ার সময় হাসপাতালের বেডে ওর ডায়রি গোপনে আমি পড়ে ফেলেছিলাম। সেখানে বলিদান আর অমরত্ব লাভের ব্যাপারটায় সুন্দর করে লেখা ছিল। ইরা যুগ যুগ বেঁচে থাক। এমন রুপবতী বউ ভাগ্য কজনার আছে?
২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩০
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: শেষটা কেমন জানি, বুঝতে পারলাম না।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২০
আমি মুরগি বলেছেন: আপনি সাদা মনের মানুষের কমেন্টটা পড়ুন তাহলে বুঝতে পারবেন আশাকরি। এর পরেও বুঝতে না পারলে দুঃখিত!
৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪২
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: নিজের সন্তানকে হত্যা করে অমরত্ব লাভ করতে চাইবে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আমার মনে হয় না। তবু গল্প তো গল্পই.............লেখনিতে জোর আছে।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৯
আমি মুরগি বলেছেন: এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা জানিনা। তবে পরকিয়ার জন্য সন্তান বলিদানকারী অনেক পাওয়া যাচ্ছে আজকাল। লেখনীতে জোর নেই বোধহয় এটা তো মুরগিমার্কা! ধন্যবাদ।
৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২২
আমি মুরগি বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার কথা একটু আগে মনে করেছিলাম। কেন মনে করেছিলাম সেটা বলল না।
৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬
বেনামি মানুষ বলেছেন: প্রথমে ভেবেছিলাম মাতৃত্বকালীন ক্রাইসিসের কথা আসবে, পরে দেখি ডাইরি!
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭
আমি মুরগি বলেছেন: কি থেকে কি আসে কে জানে! তবে আপনকে এত খুশি লাগিছে কেন? কষ্ট পাওয়া উচিৎ তো!
৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪
অাব্দুল্লাহ অাল কাফি বলেছেন: অদ্ভূতুরে প্রক্ষাপট....
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬
আমি মুরগি বলেছেন: ধন্যাবাদ ভাইয়া!
৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯
তাসবীর হক বলেছেন: শেষটা কেমন যেন ঠেকল। গল্প হলেও আরেকটু অন্যভাবে লিখলেই বোধহয় ভালো হতো।যদিও আপনি কি লিখবেন সেটা বলার আমি কেউ না।তবে যে মা মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগ করে সন্তানের জন্মের জন্য সেই মা কিভাবে সদ্যজাত সন্তানকে বলি দিতে পারে?নাহ এইটা মানতে পারলাম না...
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬
আমি মুরগি বলেছেন: মানতে না পারার জন্যই লেখা। আপনার জন্যই লেখাটা সার্থকতা পেল। অনেক ধন্যবাদ।
৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সন্তান বলি দিয়ে অমরত্ব লাভ। অদ্ভুত ভাবনা।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৯
আমি মুরগি বলেছেন: ধন্যবাদ,,,, ♥
৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪
প্রামানিক বলেছেন: সন্তান মেরে অমরত্ব লাভ করা আমার কাছে ভালো লাগল না, এরকম বউ যে কোন কাজ করতে পারে, কবে যে আপনাকে মেরে লাশের বুকের উপর বসে ধ্যানমগ্ন কাপালিকের মত সিদ্ধি সাধন শুরু করে?
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৭
আমি মুরগি বলেছেন: সে তো অমরত্ব পেয়ে গেছে! কি আর করার তাকে তো ফাঁশি দিলেও মরবে না। থাক বেঁচে থাক ইরা! মরে যায় আমরা!!
১০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২১
নতুন বলেছেন: মায়েরা সন্তানকে হত্যা করে হয়তো... কিন্তু সেটা হয়তো হিট অপ দি মোমেন্টে হয়ে থাকে...
কিন্তু তার কারনও তারাই সৃস্টি করে আসলে...
যেমন পরকিয়া সম্পকের বিষয়টা দেখে ফেলা... তখন সেটা থামাতেই হঠাত করেই হত্যা...
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৯
আমি মুরগি বলেছেন: হুম! এক এক জনের হত্যার ব্যাপারয়াটা এক এক রকমের। ইরা কোনভাবে হয়তো প্রভাবিত হয়েছিল। ডায়রিতে কি আর এত কিছু লেখা থাকে!
১১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৯
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: মুরগি দাদা,গল্প একদম ফাটিয়ে লিখেছেন দিলেন।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২০
আমি মুরগি বলেছেন: কিন্তু কেউ একজন বলল এটা নাকি মুরগি মার্কা লেখা হয়েছে!! কাকে বিশ্বাস করব? নাকি নারীরা সবসময় ছলনাময়ী হয়?
১২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫
মানিজার বলেছেন: উরে ! এইটা তো চমৎকার একটা গল্প ! !
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯
আমি মুরগি বলেছেন: ধন্যবাদ মানিজার পান্ডা ভাই
১৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিষয়বস্তু অভিনব, তবে একেবারে না। বাস্তবে এমন কয়েকটা ঘটনা আমি জানি। তবে লিখেছেন চমৎকার। ভালো লাগলো।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭
আমি মুরগি বলেছেন: ধন্যবাদ!
১৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯
শামচুল হক বলেছেন: কাহিনী চমৎকার, তবে আপনে সাবধানে থাইকেন, ডবল অমরত্ব পাওয়ার জন্য আপনাকেও ধরতে পারে।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৭
আমি মুরগি বলেছেন: উঁহু সেটা হবে না। এর পরে আপনাকে দেখিয়ে দিব
১৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
হাউকাউ প্লট, মুরগী যদি সাহিত্যিক হয়ে যায়, সাহিত্যিকরা সেদিন মুরগী হয়ে যাবে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৬
আমি মুরগি বলেছেন: পৃথিবীর সবকিছুই হাউকাউ থেকে শুরু।
১৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০০
আমি চির-দুরন্ত বলেছেন: চাঁদ গাজীর মন্তব্য দেখে আমিই মুরগি হয়ে গেসি
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৮
আমি মুরগি বলেছেন: লল
১৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: লেখাটি ভালো'র দিকে যাচ্ছিল। শেষটা এমন করার কোন কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি। গল্প হলেও মানুষ সেখানে বাস্তবতা খুঁজতে চায়। আমাকে উৎসর্গ করার জন্য ধন্যবাদ...
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৮
আমি মুরগি বলেছেন: স্বাগতম।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২০
শায়মা বলেছেন: হা হা মুরগি ভাইয়া গল্পটা মুরগিমার্কাই হয়ে গেলো তো!