নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি হৃদয়ে বাংলাদেশ, প্রবাসেও বাংলাদেশ!

বহু বছর ধরে প্রবাসে দিন কাটাচ্ছি

চাটগাইয়া জাবেদ

প্রবাসী মন!

চাটগাইয়া জাবেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভয়াল দুঃসহ স্মৃতিমাখা ২৯ এপ্রিল! ২৯ এপ্রিল ১৯৯১ এ দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি শোকাবহ দিন!

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩



দিনটি ছিল সোমবার। সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনার পাশাপাশি ছিল গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, বাতাসও বইছিল হালকাভাবে। দুপুর গড়াতেই বেড়ে গিয়েছিল বাতাসের গতিবেগ। বিকেলের পর থেকে বাতাসের সঙ্গে বাড়তে থাকে বৃষ্টি। রাত ১২টার দিকে ভেড়িবাঁধ ভেঙে উঠে আসা জলোচ্ছ্বাস ভাসিয়ে নিয়ে যায় বাড়িঘর, মানুষ, গবাদিপশু সবকিছু। মূহুর্তের মধ্যে পাল্টে যায় সবকিছু!
এটি কোন গল্পের বর্ণনা নয়, বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া এক দুঃসহ ঘটনার বর্ণনা!

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রকৃতির এ ভয়াল রূপটি দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছিল ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল। ২৫ বছর আগের প্রলয়ংকারী ঘুর্ণিঝড়ের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ আর প্রাণহাণির দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে আবারো দিনটি হাজির হয়েছে উপকূলবাসীর কাছে!

২৯ এপ্রিলের মধ্যরাতে আঘাত হানা প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গিয়েছিল কক্সবাজার জেলার মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, কক্সবাজার সদর, চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালীসহ দেশের ১৩টি উপকূলীয় জেলার শত শত ইউনিয়ন!

ঘন্টায় ২০০ থেকে ২২৫ কিলোমিটার গতিবেগের প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড় এবং ২৫ থেকে ৩০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে দেশের উপকূলীয় এলাকা পরিণত হয়েছিল বিরানভূমিতে। ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়, সহায় সম্বল হারায় মানুষ।বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস তছনছ করে দিয়েছিল উপকূলীয় জনপদ। ভেসে গিয়েছিল ফসলের ক্ষেত, লাখ লাখ গবাদি পশু।

ভয়াবহ এ ঘূর্ণিঝড়ে মারা যায় প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ। যদিও সরকারি হিসাব মতে মৃতের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৩৮ হাজার। সম্পদহানি হয়েছিল ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি। বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল প্রায় ৬০ লাখ মানুষ!

২৯ এপ্রিলের সেই ধ্বংসযজ্ঞের স্মৃতি বয়ে নিয়ে আবারও উপকূলীয় মানুষের কাছে দিনটি ফিরে এসেছে। ভয়াল সে স্মৃতি আজো কাঁদায় পুরো উপকূলবাসীকে। এ দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি শোকাবহ দিন। দুঃসহ সে স্মৃতি এখনো কাঁদায় স্বজনহারা মানুষগুলোকে!

সেই ভয়াবহ দিনটি কখনো ভূলবো না, ভোলার নয়! আজো মনে পরলে(সেই রাত) এখনো শরীর কেপেঁ উঠে। ১৯৯১ সালের ২৯শে এপ্রিলের ঘূর্নিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থাদের জন্য সমবেদনা ও নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি...

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০২

ছাসা ডোনার বলেছেন: ১৯৯১ সালের ২৯শে এপ্রিলের ঘূর্নিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থাদের জন্য সমবেদনা ও নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।

০১ লা মে, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮

চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: আমী্ন

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২৯

আহলান বলেছেন: ধন্যবাদ ...

০১ লা মে, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯

চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ...

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮

বিজন রয় বলেছেন: সাংঘাতিক।

০১ লা মে, ২০১৬ দুপুর ২:৫২

চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: খুবই ভয়াবহ ছিল। বাংলাদেশ ইতিহাসেই এটিই সাংঘাতিক!

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: At that time I was a little boy. I visited those area with my uncle after 5 days.still dead body floating. :(( :((
Allah save us.

০১ লা মে, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: Allah save us.

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০০

মোঃ আলামিন বলেছেন: আমার এক কলিক এর বাসা চট্টগ্রাম এর সি বিচ এর কাছে । আমারা অনেক কলিক এক সংগে বেরাতে গিয়েছিলাম তাদের বাসায় তো সে বলল তার বাবা নাকি গায়ে শক্ত দিয়ে নিজেকে বেধে রেখেছিলো ঘরের সাথে যাতে তার লাশ টা ভেসে না যায় সমুদ্রে । সে সময় চট্টগ্রাম জহুর বিমান ঘাটিতে প্রায় ৪৫ টা মিগ- ২১ বিমান নোনা পানিতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো ।

০১ লা মে, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬

চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: সে রকমের শত কাহানী ও ঘটনা আছে, যা এখনো অজানায় রয়ে গেল!

৬| ০১ লা মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

আব্দুল্যাহ বলেছেন: আগে এমনিতে কিছু শুনেছিলাম, আজ কিছু জানলাম।

০২ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩

চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: এগুলো তো মাত্র অল্প। বলতে গেলে আরও অনেক অনেক! সময় করে একদিন শুনাব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.