![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আর একটু কাল বেঁচেই থাকি .........বেঁচে থাকার আনন্দে ।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তিগত উৎকর্যটায় বদলে যায় অনেক কিছু । আর এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই জ্ঞানভাণ্ডারের সুপ্রাচীন উৎস বইয়ের জগৎ । বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে হাতে লেখা চামড়ার পুস্তক , তারপর প্রিন্টিং প্রেস এবং সবশেষে ইন্টারনেট বা ডিজিটাল মাধ্যমের বই আজ আমাদের হাতের নাগালে।
ই-বুক হল ইলেকট্রনিক বুক -এর সংক্ষিপ্ত রূপ । ই-বুক বা ইলেকট্রনিক বুক হল টেক্সট ছবি বা এ দুটোর সমন্বয়ে ডিজিটাল বই যা কোন কম্পিউটার বা অন্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসে পাঠ করা যায় । অক্সফোর্ড ইংরেজি ডিকশনারিতে ই-বুকের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে " মুদ্রিত বইয়ের ইলেকট্রনিক ভার্সন বলে । তবে মুদ্রিত আকার ছাড়াই বহু ই- বুক আছে ।
শুরুর কথা --
ই-বুকের শুরুটা বেশী দিনের নয়। ১৯৭১ সালের মাইকেল এস হার্ট ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জেরক্স সিগমা ভি মেইনফ্রেম কম্পিউটারের অপারেটর হিসাবে কাজ করতেন ।কম্পিউটার ব্যবহারের নতুন নতুন ক্ষেত্র আবিস্কার করতে গিয়ে তিনিই প্রথম " যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা "কম্পিউটারে টাইপ করে ই-বুকের প্রচলন করেন । এর পরপরেই উনি ই-বুক প্রসারের লক্ষে প্রোজেক্ট গুটেনবার্গ নামের একটি কার্যক্রম শুরু করেন ।কপিরাইটের আওতার বাইরের বইগুলো বিনামূল্যে এখান থেকে পাঠ করা বা ডাউনলোড করা যায় । গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত গুটেনবার্গের সংগ্রহে প্রায় ৪০ হাজার বই আছে বলে জানানো হয় ।
অগ্রগতি--
প্রথমদিকে ই-বুক ছিল সীমিতভাবে ব্যবহারযোগ্য । কম্পিউটারের হার্ডওয়ারের ম্যানুয়েল বুক বা উৎপাদনক্ষেত্রে বিশেষ টেকনিকের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু ব্যক্তিই ই-বুক ব্যবহার করত । নব্বইয়ের দশকে ইন্টারনেট জনসাধারণের কাছে পৌঁছে গেলে খুব দ্রুতই ই-বুকের প্রসার ঘটে । একাধিক ফরম্যাটে সনি ,গুগল , অ্যামাজন , মাইক্রোসফটের মত নামকরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ই-বুক ব্যবসায় নামে। বর্তমানে প্রায় আড়াই মিলিয়ন ই-বুক ইন্টারনেটে পাওয়া জায়।এসব বইগুলো কপিরাইটের আওতাধীন নয় । পাঠক ইচ্ছা করলে গত ১০০ বছরের আগের ফিকশনই ইন্টারনেট থেকে বিনামূল্যে পড়তে বা নামাতে পারেন।
কপিরাইটের আওতাধীন অনেক বই ই-বুক আকারে পাওয়া যায় । বেসিরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলো পড়তে হলে কিনতে হয় । অ্যামাজন ডট কম সবচেয়ে বেশী ই-বুক বিক্রি করে থাকে ।
ই- বুক ডিভাইস--
ই-বুক পড়তে হলে দরকার বিশেষ কিছু ডিভাইস ।ডেক্সটপ বা ল্যাপটপে ই-বুক পড়ার সুবিধা তবে এগুলোর চেয়ে হালকা ও সহজে বহন যোগ্য আরও অনেক ডিভাইস তৈরি হয়েছে । ই-বুক রিডার ট্যাবলেট কম্পিউটার ও স্মার্ট মোবাইল ফোনেও ই-বুক পড়া যায় কিংবা ডাউনলোড করা যায় ।
বাংলায় ই- বুক
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে বাংলাদেশেও চালু হয়েছে ই-বুক । প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই পাওয়া যায় অনলাইনে ।জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের তৈরি করা ডিজিটাল বই পেতে হলে
http://www.ebook.gov.bd ওয়েবসাইটে যেতে হবে ।এখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৩ টি এবং মাধ্যমিকের ৭২ টি বইয়ের ডিজিটাল সংস্করন রয়েছে ।কোন ধরনের নিবন্ধন বা অর্থ ছাড়াই সাইটে রাখা বই পড়া বা ডাউনলোড করা যায় ।
প্রথম পাতায় সহায়তা , ই-বুক সম্পর্কে ও আর্কাইভ নামের তিনটি বাটন আছে ।বই পড়তে বা ডাউনলোড করতে আর্কাইভ বা প্রথম পাতার নিচে দেওয়া প্রতিটি শ্রেণীর লিংকে ক্লিক করতে হবে । তবে যেসব ইলেকট্রনিক ডিভাইসে ফ্লাশ সমর্থন করে সেসব ছাড়া পড়া যাবেনা এখানকার বই ।ওয়েবসাইট ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীর ডিভাইসে " অ্যাডবি ফ্লাশ প্লেয়ার " ও উইনার নামের সফটওয়্যার ও নিকস নামের ফন্ট থাকতে হবে ।অথবা এখন আরও নতুন নতুন সফটওয়্যার যা সহায়তাকারি ডিভাইসে থাকতে হবে । তবে এ সফটওয়্যার গুলো না থাকলে সাইটের সহায়তা পাতায় দেওয়া লিংক থেকে ডাউনলোড করা যাবে ।
এছাড়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের টেক্সট বই পড়তে http://www.nctb.gov.bd সাইটটিতেও যাওয়া যেতে পারে । এখানকার প্রথম পাতার টেক্সট বুক উইং থেকে পিডিএফ ফরম্যাটের টেক্সটবুক ডাউনলোড করে পিডিএফ রিডারে পড়া যায় । এই সাইটে পিডিএফ বইয়ের ফাইল খুবই কম। ফলে অল্প সময়ে নামানো যায় পছন্দের বই ।
টেক্সট বুক ছাড়া বাংলা সাহিত্যের তেমন নির্ভরযোগ্য ই-বুক সাইট নেই বললেই চলে। কিছু ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক প্রচেষ্টা এক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায়। তার মাঝে দেশী বই ডট কম , এভারগ্রিনবাংলা ডট কম সাইটে ফ্রি বাংলা বই পড়ার সুযোগ আছে । অর্থের বিনিময়ে ভারত থেকে প্রকাশিত বাংলা বই পড়া যাবে http://www.boimela.lcom এবং বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত বই পড়া যাবে http://www.boi-mela.com সাইটটি থেকে ।
©somewhere in net ltd.