নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Ambivert, Swimmer Against The Stream, But I\'m Not Anti-Social I\'m Anti-Idiots.

জ্যাক স্মিথ

লিখতে না পড়তে ভালো লাগে, বলতে না শুনতে ভালোবাসি, সেমি-ইন্ট্রোভার্ট।

জ্যাক স্মিথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন ভারতীয় শিক্ষকের চোখে বাংলাদেশের অগ্রগতি

২৭ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:০৮



মুখবন্ধ- সামগ্রিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এ কথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। যারা গেলো গেলো রব তুলেন কিন্তু বাস্তবতা তা বলে না, আমি দীর্ঘদিন থেকেই সবকিছু শেষ হয়ে গেলো, সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেলো, এই গেলো গেলো রব শুনে আসছি, কিন্তু এসবের কিছু ঘটছে না, যেমন- দেশ ধ্বংস হয়ে গেলো, ইন্ডিয়া দেশ দখল করে নিলো, দেশ দেউলিয়া হয়ে গেলো, রিজার্ভ শেষ হয়ে গেলো, দেশ অন্ধকারে ডুবে গেলো ইত্যাদি কিন্তু এসবের কিছু ঘটেনি শুধু গত এক মাসের বিদ্যুতের কিছু ঘাটতি ছিলো তবে তা এখন দূর করা হয়েছে।



ইসসরে দ্যাশটা শেষ হই গেলো!! এই শ্যাষ হয়ে গেলো পার্টি আসলে কোন সমাধান চায় না, তারা চায় চায়ের দোকানে ঝড় তুলতে, নেগেটিভিটির প্রতি মানুষের আকর্ষণ খুব বেশি হয়ে থাকে যে কারণে তারা শুধু নেগেটিভিটি'ই নিয়ে থাকে। তাদের আপনি আশার কথা শুনান, উন্নতির কথা শুনান, অগ্রগতির কথা শুনান তারা এসবের কিছুই শুনবে না, তারা নেগেটিভিটির আবর্জনা দিয়ে আলোচনার টেবিল ভরিয়ে তুলবে। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'কে যিনি যাবতীয় নেগেটিভিটি পাশ কাটিয়ে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, আর দেশকে এগিয়ে নেয়ার এই দুরূহ কাজের একমাত্র ক্রেটিড পাওয়ার যোগ্য হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এছাড়া আর কেউ নন। তিনি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক যাবতীয় চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র সব ধূলিসাৎ করে দিয়ে বাংলাদেশ নামক এই ভাঙ্গা নৌকাটি মেরামত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ১৪ বছরে তার বিরুদ্ধে কম ষড়যন্ত্র হয়নি, তাকে টেনে হিচড়ে ক্ষমতা থেকে নামানোর কম চেষ্টা করা হয়নি কিন্তু তবুও তিনি দমে যাননি, তিনি দমে যাওয়ার পাত্র নন, বঙ্গবন্ধু কন্যা কখনো দমে যান না। পিকুলিয়ার বাঙালীর একটা কমন মেন্টালিটি হচ্ছে, এরা ভালো থাকতে চায় না, এরা নিজেরা তো ভালো থাকবেই না, ভালো কিছু করবেই না তথাপি অন্য কেউ ভালো করলে, উন্নতি করলে তাকে টেনে হিচড়ে তার সমপর্যায়ে না নামাতে পারলে যেন এদের শান্তি নেই। শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও বিষয়টি ঠিক তেমনই হয়েছে, তাকে টেনে হিচড়ে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেশে অরাজক, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না করা পর্যন্ত যেন বাঙালীর ঘুম নেই।



গেলো গেলো পার্টি যে কোন মূল্যে তাকে নিচের দিকে টেনে নামানোর চেষ্টা করতে করতে বলে- তাড়াতাড়ি ক্ষমতা থেকে নইম্যা আসো, দ্যাশটারে বিম্পি-জামাতের হাতে তুইলা দাও, আমরা আবার জালাও পোঁড়াও রাজনীতিতে ফিরে যেতে চাই, আমরা আবার হরতাল-ভাংচুরের রাজনীতিতে ফিরে যেতে যাই, আমরা আবার দুর্নীতিতে শীর্ষ হতে চাই, আমরা আবার জঙ্গি যুগে ফিরে যেতে চাই.. ইত্যাদি। এসব চিৎকার চেঁচামেচির দল যে আসলে কি যায় তারা তা নিজেরাই জানেনা। শেখ হাসিনাকে টেনে হিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে তারা একবার নূরা পাগলা বা বিকাশ নূরা'কে ক্ষমতায় বাসাতে চায়, আবার রেজা কিবরিয়াকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চায়, কেউ কেউ চায় হেফাজতের মামুনুল হক, কেউ চায় চরমোনা'ইর পীর অথবা জামাতে ইসলাম এই দেশের ক্ষমতায় বসুক। কি জঘন্য!! শেখ হাসিনার পরিবর্তে এই সব পাগল ছাগলদের কি আপনি ক্ষমতায় দেখতে চান? আসলে এরা যা এদের চয়েস ও তেমন, তুলনা করার জন্য একটা মিনিমাম লেভেল তো থাকা দরকার নাকি? অথচ এই গেলো গেলো পার্টি চারিদিকে নেগেটিভিটি ছড়িয়ে নিজেদের এক বে-শা-ল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মনে করে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এরা রাজনীতিতে বিশেষ ভাবে অজ্ঞ।

আর গেলো গেলো পার্টির চিৎকার চেঁচামেচির মূল কারণ হচ্ছে- মানুষের সস্তা সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেলা করা এবং দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, অরাজকতা এদের খুউব পছন্দ, গণতন্ত্রের নামে এরা বাংলাদেশকে বিম্পি-জামাতের হাতে তুলে দিয়ে দেশটাকে অরাজকতায় ভরিয়ে তুলতে চায়, অতঃপর ঘোলা পানিতে মৎস্য শিকার করতে চায়। সবকিছুর'ই তাদের কাছে একটা সহজ সমাধান আছে আর তা হচ্ছে- রাস্তায় কলার খোঁসা পড়ে আছে, সব সরকারের দোষ। ম্যানহোলের ঢাকনা চুরি হইসে, সব সরকারের দোষ। অফিসে বসের কাছে ঝাড়ি খাইসে, সব সরকারের দোষ। রাতে বউর হাতে আচ্ছা মতো ধোলাই খাইসে, সব সরকারের দোষ। ঘুমোতে যাওয়ার আগে সরকারের দোষ, ঘুম থেকে উঠে সরকারের দোষ, সবকিছুতেই এরা শুধু সরকারের দোষ দেখে আর নিজেরা এমন একটা ভাব ধরে যেন ভাজা মাছটি উল্টে খেতে পারে না, মানবতার ঝণ্ডা যেন আজ তাদের হাতে, তদের চেয়ে ভালো মানুষটি আর পৃথিবীতেই নেই। অথচ প্রকৃত সত্য হচ্ছে- যারা আজ খুউব ভালু ভালু কথার ফুলঝুরি ফুটচ্ছে, গণতন্ত্র, গণতন্ত্র বলে মুখ ফেনায় ভরিয়ে তুলছে তাদের প্রত্যেকটারে আমি চিনি, খুব ভালো করেই চিনি, আমি তাদের টপ টু বোটম চিনি, আর তাই এদের ভালো ভালো কথা আমার কাছে মূল্যহীন। বি-কেয়ারফুল বন্ধুগণ যারা খুব ভালো ভালো কথা বলে তাদের থেকে। এই দেশের প্রত্যেকটা চোর, প্রতিটি বাটপার, প্রতিটি বদমাশ, প্রতিটি ভণ্ড নিজ নিজ অপকর্ম এবং ব্যর্থতার যাবতীয় দায় সরকারের উপর চাপিয়ে এক ধরণের মানসিক প্রশান্তি অনুভব করে এবং নিজেদের বিশাল রাজনৈতিক গবেষক মনে করে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এদের রাজনৈতিক জ্ঞান শূন্যের কোঠায়। এরা মূলত শাহবাগে নূরা পাগলার আলু, পেয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে জ্বালাময়ী বক্তব্য শুনে এবং ইউটিউবে আল্লামা পিনাকি এবং মৌলানা ইলিয়াসের ভিডিও দেখে রাজনৈতিক জ্ঞান অর্জন করে। সুতরাং এদের রাজনৈতিক গবেষক তো দূরের কথা বড় জোড় এদের মানসিক রোগী অথবা সুযোগ সন্ধানী বলা যেতে পারে, যারা সুযোগের অভাবে এখনো চুরি, দুর্নীতি করার সুযোগ পায়নি তাই খুউব ভালো মানুষটি সেজে বসে আছে, তারা মূলত সরকার পরিবর্তনের আড়ালে সুযোগ চাচ্ছে দুর্নীতিতে আরেকবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য।

নোট: দোষ গুন ছাড়া পৃথিবীতে কোন সরকার নেই, ক্ষমতাসীন দলের অপকর্মের ফর্দ সবসময় একটু বড় হয়েই থাকে, কিন্তু তাই বলে জেনে বুঝে পাবলিকের সস্তা সেন্টিমেন্টের উপর ভর করে দেশকে আমরা অরাজকতার দিকে ঠেলে দিতে পারি না, আর তাই বাংলাদেশের জন্য শেখ হাসিনা ছাড়া বিকল্পও কিছু দেখি না। আজকে জামাতের বিরুদ্ধে বললাম, কালকে বললাম বি এন পির বিরুদ্ধে, আরেকদিন বললাম আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে, অথবা আজকে এর পক্ষে, কালকে ওর পক্ষে আরেকদিন আরেকজনের পক্ষে এভাবে সব পক্ষের পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলে বা ব্যালেন্সিভ কথাবার্তা বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ হওয়ার আমার দরকার নেই, আমি আওয়ামীলীগের সাপোর্টার আর তাই আমি এ দলের পক্ষেই কথা বলবো।

ধন্যবাদ।

আচ্ছা, বয়ান তো অনেক হলো, এবার গেলো গেলো রব বন্ধ করে এক নজরে ভিন দেশীর চোখে বাংলাদেশ দেখি, নিচের ভিডিও থেকে।



বিষয়টা মোটেও এমন নয় যে, আমরা যারা বাংলাদেশ নিয়ে আশাবাদি বা পজেটিভ চিন্তা ভাবনা করি তাদের ওই চায়ের দোকানের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে বাংলাদেশের সার্বিক পরস্থিতি সমন্ধে জ্ঞান অর্জন করতে হবে, আমরা মোটেও মঙ্গল গ্রহ থেকে আবির্ভাব হয়নি যে আমাদের আল্লামা পিনাকির ভিডিওর জন্য তীর্থের কাকের মত অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি বুঝতে। সুতরাং তোমরা যারা চায়ের দোকানের বিশেষজ্ঞ তারা চায়ের দোকানেই পড়ে থাকো আর ফেসবুক ভিত্তিক গার্বেজ জ্ঞান নিয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন কোন তথ্য আমাদের দিতে এসে না, তোমাদের ওইসব ফেসবুকীয় গার্বেজ আমাদের কাছে মূল্যহীন।

তো আরেকজন আমেরিকান অর্থনৈতিক স্কলার বাংলাদেশের ইকোনোমিক গ্রোথ নিয়ে কি বলে একটু শুনি-
How Bangladesh is Secretly Becoming the Richest Country In South Asia



আসলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটাই হচ্ছে শেষ কথা, কিছু মানুষের গাঁ জ্বালা করলেও বাংলাদেশের এই উন্নয়ন কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না, জয় বাংলা। B-)










মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:৫০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আপনার পরিবারের আয়ের উৎস কি/ আপনি নিজে কি করেন? আপনার পরিবারের ক্তজন আরবে আছে?

২৭ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:৩৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সরি, আমি ঠিক বুঝি নাই আপনার প্রশ্ন!! তবে আমি বা আমার পরিবারের কেউ'ই রাজনীতিতে যুক্ত না।


২| ২৭ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:০৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



কৃষক পরিবারের আয় কি?

২৭ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:৩৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কৃষি পণ্য।

৩| ২৭ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:১১

কামাল১৮ বলেছেন: বেশির ভাগ লোক গা বাচিয়ে চলতে চায়।দুর থেকে সুধু গেলো গেলো করে।সমস্যার ভিতরে ডুকে সমাথান করতে চায় না।অথবা তারা সমস্যার সমাধান জানে না।
আপনার বিশ্লষণ ভালোলাগলো।

২৭ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:৩৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ধন্যবাদ, কামাল সাহেব।

৪| ২৭ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:৪৪

নতুন বলেছেন: এই সরকার বড় বড় প্রজেক্ট করছে নিজেদের মানুষ তাতে ধান্দা করছে।

আয়ামীরাজনিতিকদের বেশিরভাগই কোটি টাকার সম্পত্তি করেছে এই দশকে.... কিভাবে?

দেশের জনগনের উপকার হয় তেমন প্রজেক্ট কম।

চিকিতসা ব্যবস্থার উপরে কোন কাজ হয়না। পথ শিশুর উপরে কাজ হয় না। কৃষকের জন্য কাজ হয় না। বেকার দের কর্ম সংস্থানের উপরে কাজ হয় না। :(

সামনে বংঙ্গবন্ধু সেটেলাইট ২ এর প্রোজেক্ট আসবে, বড় বড় স্থাপনার উপরে বিনিয়ওগ বাড়বে।

দেশের জনগনের ভালোর জন্য পরিবর্তান দরকার।

শেখ হাসিনা অমর নন, তিনি না থাকলে তার ছেলে বা বোনকে দিয়েও কি রাজতন্ত্র চালাতে চাইবে জনগন?

দেশে জবাবহিদিতার সংস্ক্রিতি চালু করতে হবে। জনগনের জন্য কাজ না করলে জনগন ভোট দেবেনা সেই পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে হবে।

সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে যেন জনগন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোটটা তারা নিজেরাই কোন বাধা ছাড়া দিতে পারে।
গনতান্ত্রিক দেশের শুরুটা এখান থেকে শুরু করতে হবে।

২৭ শে জুন, ২০২৩ রাত ১১:০৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আসলে সমস্যার অন্ত নেই কিন্তু শেখ হাসিনার বিকল্পও নেই, উনার মত যোগ্য অবিভাবক এই দেশে আপদত অন্য কেউ নেই।

নাহ্ সরকার জনকল্যাণ মূলক অনেক কাজ করে আসছে।

মনে হয় না গণতন্ত্র খুব ভালো কিছু বয়ে আপনাবে আমাদের জন্য, পূর্বেও গণতন্ত্র তেমন কিছুই দিতে পারেনি। তবে জবাদিহিতার একটা ব্যবস্থা থাকতে হবে।

আর বাকি যে সমস্যার কথা বলেছেন, এগুলা আমাদের দূর্ভাগ্য।

আপনার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৫| ২৭ শে জুন, ২০২৩ রাত ১১:০৯

তানভির জুমার বলেছেন: ভারতীয়রা খুশি কারণ। আরো ১২ বছর আগের ১০ হাজার টাকার রোড পারমিট ভারতীয়রা পেয়েছে মাত্র ৫০০ টকায় (ট্রানজিট)। বাংলাদেশীরা ভারতীয়দের ঘৃনা করার অন্যতম একটা কারণ হচ্ছে। ভারতীয়রা শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে একটা চরম স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ কে গত ১০ বছর ধরে সমর্থন দিচ্ছে। আমাদের দেশটা ধ্বংস করার জন্য ভারতীয়রা অনেকভাবে দায়ী।

২৭ শে জুন, ২০২৩ রাত ১১:১৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: না ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র, উল্টোটা হলে বাংলাদেশ এতদূর আসতে পারতো না। তাছাড়া, শেখ হাসিনার সাথে ভারতের দীর্ঘ দিনের নিবীড় সম্পর্ক রয়েছে। ভারতীয়রা বাংলাদেশকে ভালোবাসে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ২৭ শে জুন, ২০২৩ রাত ১১:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এ কথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।
কিন্তু এগিয়ে যাওয়াটা এত সহজ ছিল না।

মুক্তিযুদ্ধ শেষে বাংলাদেশটা যুদ্ধবিধ্বস্তই ছিল।
ভাংগা জাহাজ ও মাইনে চট্টগ্রাম বন্দর মংলা বন্দর বন্ধ, চট্টগ্রাম বন্দর মাইনমুক্ত করে চালু করতে ২ বছর লেগে যায়।
ভইরব ব্রিজ, সুভপুর ব্রিজ, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ধ্বংশ। বেশীর ভাগ রোড ব্রিজ ধ্বংশ,
৪ লাখ বাংগালি পুলিশ আর্মি কর্মচারি ব্যাবসায়ী পাকিস্তানে ৩ বছর জাবত আটক।

"বাংলাদেশ শুরু করেছিল মাত্র ১৮ ডলার দিয়ে। ১৫ই ডিসেম্বর পাকিস্তানীরা চলে যাওয়ার আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সব টাকা জালিয়ে দিয়েছিল, একটি আধাপোড়া লেজার খাতার ভেতর মাত্র ১৮ ডলার পাওয়া যায়। এটাই ছিল সম্বল। বলছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ডঃ মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন।
বিশ্বব্যাঙ্ক আইএমএফ বলেছিল পাকিস্তান বিশ্বব্যাঙ্কের লোনের ৫০% দায় নিচ্ছে না, তারা বলছে এই ঋন পুর্বপাকিস্তানে খরচ হয়েছে।
তখন তাজুদ্দিন ও নুরুলইসলা্ম গেছিলেন ওয়াশিংটনে -
"যখন আমরা ওয়াশিংটনে গেলাম, তখন ওরা আমাদের বিরাট লেকচার দিল। বললো, তোমরা পাকিস্তানের সঙ্গে মিটমাট করে নাও। তাজউদ্দিন সাহেব তো রীতিমত শকড। আমরা গেছি সাহায্য চাইতে, ওরা বলে পাকিস্তানের সঙ্গে মিটমাট করে নাও।"
বিশ্বব্যাংকও তখন এমন কিছু বিষয় তুলছিল, যা বাংলাদেশকে ভীষণ ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। এর মধ্যে একটি ছিল, পাকিস্তানকে দেয়া বিশ্বব্যাংকের ঋণের দায়ভাগ নেয়ার প্রশ্ন।
অধ্যাপক ইসলাম বলেন, "‌ওরা বলছিল, ঋন পেতে চাইলে পাকিস্তানকে যে ঋণ দেয়া হয়েছে, সেটার দায়ভাগ আমাদেরও নিতে হবে। আমরা বললাম, আমরা কেন নেব, ওরা তো আমাদের সম্পদ পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করেছে। তখন ওরা বললো, সেটা তোমাদের ইন্টারন্যাল ব্যাপার। পাকিস্তান দিবে না, রিজার্ভ ও সরকারি বিমান জাহাজ টাকার তোমাদের ৫০% অংশ প্রাপ্য। ফেরত নিতে হবে।" (সুত্র - বিবিসি) https://www.bbc.com/bengali/news-59643194

শেষ পর্যন্ত ফয়সালা হয়েছিল, ঋন পেতে পাকিস্তানের নেয়া ঋনের দায়ভার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকেই নিতে হয়েছিল। কিন্তু সম্পদের ভাগ পায় নি। যদিও তখন পাকিস্তান এশিয়ার অন্যতম সমৃদ্ধ দেশ ছিল। আর বাংলাদেশের রিজার্ভ অলমোষ্ট জিরো বলা যায় না, তার চেয়েও খারাপ। জিরো মায়নাস বিলিয়ন ডলার (পাকি ঋনের বোঝা)।

এখন পাকিস্তান কোথায় বাংলাদেশ কোথায়।
দু বছর আগে পাকিস্তানী দ্য ডনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে, বাংলাদেশের জাতীয় আয় বেড়েছে ৫০ গুণ আর মাথাপিছু আয় বেড়েছে ২৫ গুণ,
যা ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বেশি। দেশটির খাদ্য উৎপাদনও বেড়েছে চার গুণ। রপ্তানি বেড়েছে শতগুণ।
১৯৯০ সালে বাংলাদেশে ৬০ শতাংশ দারিদ্র্য ছিল।
তা কমে এখন ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ।

২৭ শে জুন, ২০২৩ রাত ১১:২৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বরাবরের মতোই অসাধারণ বিশ্লেষণ। আপনার মত যদি সবাই যৌক্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষণ করতে পারতো তাহলে তো কোন কথাই ছিলো না, কিন্তু আমাদের দুর্ভগ্য যে এমন লোক দেশে খুব একটা বেশি নেই। অধিকাংশ মানুষ আবেগ নির্ভর বিচার বিশ্লেষণ করে। শেখ হাসিনা যখন থাকবে না তখন সবাই তার জন্য আফসোস করতে থাকবে।

ফ্যাক্ট তুলে ধারার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৭| ২৮ শে জুন, ২০২৩ রাত ১:০৭

কলাবাগান১ বলেছেন: সারে ৮০% এর অধিক ভূর্তুকি দেওয়ার পর এখন সারের যে দাম আর উপরে শুশীল কাছে প্রশ্ন কৃষককে কত দামে এই সরকার এর আগে সার কিনতে হত??? সরকার কৃষক বান্ধব শুধু খালি চোখে সরাসরি এরা দেখতে পায় না। জাস্ট গতকাল এর দেখলাম ইত্তেফাকে লিখা "কেমন আছে জোড়া-তালির পদ্মা সেতু' শিরোনামের প্রবন্ধ। সেটা দেখলেই বুঝা যায় ২১ জেলার কৃষক এর কত উপকার হচ্ছে...। ইনারা এসব চোখে দেখবে না...তারা ৪-৫ ঘন্টা ওয়েট করবে ফেরীর জন্য, ৮-১০ মিনিটে পার হওয়া টাকেই বলবে যে 'বংগবুল্ট' সড়ক। ইউটিউবে এদের পীর ইলিয়াস এর সমালোচনা শুনলেই বুঝা যায় এদের লেভেল এর সমালোচনা....টাইটেল দেয় হাসিনার স্বামী মোদি কি বলেছে...এই শিরোনাম দেখলেই বুঝা যায় সমালোচনার লেভেল।
Padma Bridge on Bangladesh economy

২৮ শে জুন, ২০২৩ সকাল ৯:৩০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এদের সমালোচনার ধরণ এবং লেভেল যাচ্ছে তাই। আমি বলছি না সরকারের সমালোচনা করা যাবে না বা সরকারের কোন ত্রুটি নেই আমি শুধু এই পোস্টে তাদের সমালোচনার ধরনটা দেখিয়ে দিয়েছি, যার পুরোটাই বস্তবতা বহির্ভূত এবং এটা করে তারা শুধুই মানসিক প্রশান্তি লাভ করার জন্য।

ইত্তেফাকের রিপোর্টটা পড়লাম view this link লেখক কিন্তু বঙ্গ পিপলের পালস ঠিকই বুঝতে পেরেছেন, যে কারণে শিরোনামটা দিয়েছেন নেগেটিভ, আর নেগেটিভ শিরোনাম দিয়ে আল্লামা পিনাকি ভক্তদের এই নিউজের প্রতি আকৃষ্ট করিয়েছেন এবং তাদের পদ্মা সেতুর উপকারীতা, উপযোগীতা পড়তে বাধ্য করেছেন। লেখাটি পড়ার পর তাদের এখন গা জ্বালা করবে =p~

ভারত এবং শেখ হাসিনা ফোবিয়ায় আক্রান্তের অন্যন্য নিদর্শন হচ্ছে- মৌলানা ইলিয়াস এবং আল্লামা পিনাকি। ব্যক্তিগতভাবে আমি কয়েকজনকে চিনি যারা সমানভাবে ওই রোগে আক্রান্ত ;) । এসব হাউ কাউ এবং চিৎকার চেঁচামেচি পার্টির লোকজন মনে করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের যোগ্যতা অর্জন করার একমাত্র হাতিয়ার হচ্ছে, শেখ হাসিনা এবং ইন্ডিয়াকে গালিগালাজ করা। যতবেশি শেখ হাসিনা এবং ইন্ডিয়াকে গালিগালাজ করা যাবে ততবেশি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের যোগ্যতা অর্জন করা যাইবে। =p~

নূরা পাগলা কিছুদিন শাহাবাগে আলু, পেয়াজের দাম নিয়ে চিৎকার চেঁচামেছি করে এদের ব্রেইন ওয়াশ করে দিয়েছিল, যে কারণে এরা নূরা পাগলাকে প্রধাণমন্ত্রীর স্থানে বসিয়েছিল, ভাবা যায়!! এই সব বঙ্গ পিপলদের কত সহজে ম্যানুপুলেট করা যায়।

শ্রদ্বেয় কলাবাগান১, আপনার মন্তব্যটি আমার এই পোস্টকে অলংকৃত করিবে, ভালো থাকবেন সবসময়।

৮| ২৮ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আওয়ামীলীগ একটি ভালো দল। হ্যাঁ কেউ কেউ হয়তো দূর্নীতি করছে। কিন্ততু দেশের অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। এরকম উন্নয়ন আগের কোনো সরকার করে নাই।

২৯ শে জুন, ২০২৩ রাত ১২:১৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ভালো কি না জানিনা তবে আওয়ামীলীগ বড় এবং যোগ্য দল, দেশ পরিচালনার জন্য আওয়ামীলীগের ধারে কাছে কোন দল নেই।

এরকম উন্নয়ন আগের কোনো সরকার করে নাই।
- কিন্তু তারা তো কোন উন্নয় দেখে না তারা শুধু দূর্ণীতি দেখতে পায়। আর হ্যাঁ দূর্ণীতি থেকে যদি ভালো কিছু হয় তাহলে আমি দূর্ণীতিতে কোন সমস্যা দেখি না, আমি যা বললাম জেনে বুঝেই বলেছি এবং আমি এর ব্যাখ্যা দিতে পারবো।

শুভ কামনা, মিঃ নুর।


৯| ২৮ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১১

নিমো বলেছেন: ছিঃ! এসব লিখবেন না। তাতে গোলাপী আপুর পাংখা আমাদের মডু বাবু রাগ করবে। :-P

২৯ শে জুন, ২০২৩ রাত ১২:২৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সত্যি নি? আগে ঝানতাম নাতু!! :P বিষয়টা এখন থেকে মাথায় রাখতে হবে।

অভিনন্দন ও নিরন্তর শুভ কামনা প্রিয় নিমো।

১০| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:২৬

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আসলে সমস্যার অন্ত নেই কিন্তু শেখ হাসিনার বিকল্পও নেই, উনার মত যোগ্য অবিভাবক এই দেশে আপদত অন্য কেউ নেই।

ব্যক্তি হিসেবে শেখ হাসিনাই যোগ্য কিন্তু উনি সহী তরিকাতে দেশ চালাতে পারছেনা। উনিও এক রকমের জিম্মি হয়ে আছেন।

উনি দূনিতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করলে তিনি পরাজিত হবেন। মানুষ তাকে সাধারন প্রধানমন্ত্রীর মতনই মনে রাখবে। এক সময় আয়ামীলীগ বাদে সবাই ভুলে যাবে।

কিন্তু উনি যদি দূনিতি মুক্ত বাংলাদেশের শুরুটা করে যেতে পারেন তবে তাকে বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখের বেটি হিসেবে মনে রাখবে ভালোবাসার জায়গা থেকে।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৪৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: প্রিয় নতুন, আপনার অভিযোগগুলো যুক্তিযুত এবং এগুলো অস্বীকার করার উপায় নেই। পৃথবীর কোন সরকারই পার্ফেক্ট নয়, ইউ নো।

আমি আপনার কমেন্ট মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেওয়ার দাবী জানাচ্ছি, আশা করি তিনি অবশ্যই এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।

হ্যাপি ব্লগিং।

১১| ০২ রা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৩৫

কিরকুট বলেছেন: দেশ রসাতলে যাচ্ছে ইহা কেবল বিএনপি ও ক্ষমতার ঝোলে জিহবা ডোবাতে না পারা ধর্মীয় ব্যবসায়ী দল গুলাই অনুধাবন করছে ।
সাধারন মানুষের জবানী শুনুন । দেশ ২০০০ সালে যা ছিলো তার থেকে কিছুই উন্নত হয় নাই । রাস্তা ঘাট হইছে । আওমিলীগ ক্যাডারদের চান্দা তোলার নতুন দুয়ার খুলে গেছে । সাধারন মানুষ কে ১০০০ টাকা কেজি কাঁচামরিচ খেতে হচ্ছে, ২৫০ টাকা কেজি ব্রয়লার মুরগী খেতে হচ্ছে , ১০০ টাকা কেজি চাল খেতে হচ্ছে ।

মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে না ইহাও সত্য তিন বেলা ভরা পেটে ঘুমাতেও যেতে পারছে না । ভিক্ষুকের সংখ্যা বাড়ছে । লুটপাট বাড়ছে । আইন তাদের জন্য যাদের অর্থ আছে যাদের নাই তাদের জন্য অকথ্য নির্যাতন ।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৫৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বেশি অভিযোগ করতে হয় না, অভিযোগে মুক্তি নেই।
পেয়াজ, মরিচের দাম এগুলো সাময়িক, ঠিক হয়ে যাবে।
দুর্নীতি থেকে যদি ভালো কিছু হয় তাহলে বেশি করে দূর্ণীতিই হোক। দূর্ণীতি হচ্ছে উন্নয়নের সহদোর, সুতরাং নো দূর্ণীতি নো উন্নতি।
আশা করি বুঝতে পরেছেন।

দেশে এগিয়ে যাচ্ছে এটাই হচ্ছে শেষ কথা। ভালো থাকবেন।

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:০৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বাংলাদেশের উন্নতি কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। B-) জয় বাংলা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.