নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Ambivert, Swimmer Against The Stream, But I\'m Not Anti-Social I\'m Anti-Idiots.

জ্যাক স্মিথ

লিখতে না পড়তে ভালো লাগে, বলতে না শুনতে ভালোবাসি, সেমি-ইন্ট্রোভার্ট।

জ্যাক স্মিথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহর নিজস্ব কোন আলো নেই

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:৩৪

ওয়েট এ মিনিটি, আগেই আমার দিকে তেড়ে আসার প্রয়োজন নেই, আগে জাকির নায়েকের এই বয়ানটি একটু শুনুন, তারপর কমন সেন্স ইউজ করুন।



উনার বয়ান অনুসারে আমি প্রমাণ করে দিবো আল্লাহর নিজস্ব কোন আলো নেই। তার আগে আপনাকে ধৈর্য সহকারে পোস্ট'টি পড়তে হবে।



তো চলুন উনার বক্তব্যটি একটু কাঁটাছেড়া করি- উপরোক্ত বয়ানে বিশিষ্ট এই জ্ঞানী দাবী করেছেন; চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই যা আমরা মাত্র কিছুকাল আগে (২০০/১০০ বছর আগে) জানতে পেরেছি অথচ ১৪ শত বছর আগেই আল্লাহ পাক কুরআনে তা উল্লেখ করে রেখেছেন। তিনি মূলত সূরা ফুরকানের ৬১ নাম্বার আয়াতটির মনগড়া ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন। ছলচাতুরীর মাধ্যমে আয়াতটির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বরাবরের মতোই লেজে গোবরে অবস্থা করে ফেলেছেন আর সেজন্যই এই পোস্ট'টির অবতারণা করেছি।

নাম্বার ওয়ান- তার দাবী অনুযায়ী চাঁদের যে নিজস্ব কোন আলো নেই তা ১৪০০ বছর আগেই কুরআনে উল্লেখ ছিল কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন মাত্র কিছুকাল আগে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে উনার দাবীটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। প্রথমত চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই কুরআনে এ ধরণের কোন দাবী'ই করা হয়নি এবং দাবী করার প্রশ্নই আসে না। দ্বিতীয়ত চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই এমন কথা কুরআনেই প্রথম উল্লেখ করা হয়েছে, কুরআনের আগে মানুষ বিষয়টি জানতো না, তার এ দাবীটিও ভুয়া এবং এরও কোন সত্যতা নেই। সুতরাং উনার দুটি দাবীই মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রণীত।

এবার দেখি কেন উনার দুটি দাবী'ই ভিত্তিহীন। প্রথম কথা হচ্ছে মোহাম্মদের জন্মেরও হাজার বছর আগেই (BC 500) প্রাচীন গ্রীক দার্শনিক এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানী Anaxagoras সর্বপ্রথম চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই সে সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা দিয়ে গিয়েছেন।



2,500 years ago, Anaxagoras correctly determined that the rocky moon reflects light from the sun.

Anaxagoras এর সম্বন্ধে আরও জানি এখান থেকে: Moonlight

আরেকজন প্রাচীন বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী Aristarchus of Samos (BC 230) মোহাম্মদের জন্মেরও ৮০০ বছর আগে চাঁদের নিজস্ব আলো নেই সূর্য থেকে প্রতিফলিত আলো তা তার গবেষণা পত্রে উল্লেখ করে গিয়েছেন "



Aristarchus' Model- Aristarchus understood that the Moon casts no light but shines by reflection of the Sun's light and so claimed that if one measured the angle between the Sun and Moon when the Moon is half-illuminated (said angle suggested by the illumination itself), one could calculate their distances"



Aristarchus সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন: World History Encyclopedia থেকে, এবং উইকি থেকে

এ দুজন ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন প্রাচীন জ্যোতির্বিজ্ঞানীগণ চাঁদের প্রতিফলিত আলোর বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা দিয়ে গিয়েছেন। সুতরাং দেখা গেলো কুরআন নাজিলেরও বহু বছর পূর্বেই মানুষ জানতো যে চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই। কাজেই জাকির নায়েকের দাবীর কোনই ভিত্তি নেই।

দ্বিতীয় কথা হচ্ছে; চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই এটা ধার করা বা প্রতিফলিত আলো এ ধরণের কোন কথাই কুরআনে উল্লেখ নেই, পুরো বিষয়টি'ই হচ্ছে জাকের নায়েকের গুঁজামিল। বিষয়টা হচ্ছে এমন- আমি দাবী করলাম "আমি'ই সর্ব প্রথম পারমানবিক বোমা আবিষ্কার করেছি", কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে আমি পারমানবিক বোমার নামই শুনিনি কোনদিন আবিষ্কার তো অনেক দূরের কথা , কাজেই এখানে আমি আগে না আইনস্টাইন আগে এ প্রশ্নটিই অবান্তর। আগে আমাকে প্রমাণ করতে হবে যে আমি পারমানবিক বোমা আবিষ্কার করেছি তারপর কে আগে আবিষ্কার করেছে আর কে পরে করেছে তা নিয়ে তর্ক করা যাবে। জাকির নায়েক মূলত স্ট্র ম্যান ফ্যালাসির মাধ্যমে গুঁজামিল দিয়ে মজাদার এক খিচুড়ি পাকিয়েছেন মাত্র এবং দক্ষিণ এশিয়ার লক্ষ কোটি হাবাগোবা জনগণ উক্ত খিচুড়ি ভক্ষণ করে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেন আর বলেন এমন মজাদার খিচুড়ি আমরা জীবনে খাইনি। :-B



এবার আসি নাম্বার টু তে- চলুন এবার দেখি কুরআনে সত্যিই এ ধরণের কোন দাবী করা হয়েছে কি না। নাহ মোটেও না, একদমই না, কুরআনে এ ধরণের দাবী করার কোন প্রশ্নই আসে না; কারণ কোরআন জ্যোতির্বিজ্ঞানের কোন বই নয়, কুরআন শুধুই এক ধর্মীয় বই মাত্র (এ বিষয়টি একটু পরে ক্লিয়ার করতেছি প্যারায়)। এখন দেখবো মহা জ্ঞানী জাকের নায়েক ঠিক কোন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এমন দাবী করেছেন যে চাঁদের প্রতিফলিত আলোর কথা কুরআনে ১৪ শত বছর আগেই উল্লেখ আছে।

তিনি সূরা ফুরকানের ৬১ নাম্বার যে আয়াতটির কথা বলেছেন আমি পুরো আয়তটি এখানে কপি করে দিচ্ছি।
تَبَارَكَ ٱلَّذِى جَعَلَ فِى ٱلسَّمَآءِ بُرُوجًۭا وَجَعَلَ فِيهَا سِرَٰجًۭا وَقَمَرًۭا مُّنِيرً
বাংলা- কত মহান তিনি, যিনি নভোমণ্ডলে সৃষ্টি করেছেন তারকারাজি এবং তাতে স্থাপন করেছেন প্রদীপ ও জ্যোতির্ময় চাঁদ। ইংরেজি- Blessed is the One Who has placed constellations in the sky, as well as a radiant lamp and a luminous moon.

উপরে আয়াতটিতে লক্ষ করুন, আমি مُّنِير , জ্যোতির্ময় এবং luminous এই তিনটি শব্দ বোল্ড করে দিয়েছি বিস্তারিত পরবর্তী প্যারার () তে দেখুন । কিন্তু তার আগে ছোট একটি উদাহরণ দেখে নেয়া যাক; কেউ যদি বলে- "দিনের প্রখর সূর্য এবং রাতের জ্যোতির্ময় চাঁদ থেকে আমরা আলো পাই" এই কথার দ্বারা কি প্রমাণ হয় উক্ত বক্তা বিরাট এক বিজ্ঞানী? উক্ত বাক্যে "প্রখর সূর্য" এ কথার মাধ্যমে তিনি কি সূর্যের নিজস্ব আলো আছে এ কথা বুঝিয়েছেন? এবং "জ্যোতির্ময় চাঁদ" এ কথার মাধ্যমে চাঁদের যে নিজস্ব আলো নেই সে কথা বুঝিয়েছেন? সিম্পল উত্তর হচ্ছে না, দুটি ক্ষেত্রেই বক্তা মূলত উজ্জ্বল বস্তুকেই বুঝিয়েছেন 'প্রখর' এই শব্দটির মাধ্যমে উচ্চ তীব্রতা এবং 'জ্যোতির্ময়' এই শব্দটির মাধ্যমে কম তীব্রতাকেই বুঝানো হয়েছে। কখনোই উক্ত বক্তা "দিনের প্রখর সূর্য এবং রাতের জ্যোতির্ময় চাঁদ থেকে আমরা আলো পাই" এ কথার মাধ্যমে জ্যোতির্বিজ্ঞানের কোন তত্বের প্রতি আলোকপাত করেননি আর উক্ত উজ্জ্বল বস্তুর আলোর উৎস কি; এটা কি ধার করা আলো না নিজের আলো এ বিষয়টির প্রতিও কোন ইঙ্গিত করেনি। উক্ত বাক্যটি শুধুই এক সাধারণ কথা মালা, বিলিভ মি, এখানে বিজ্ঞানের লেশ মাত্র নেই, যদিও তারা তা খুঁজে পায়। ;)

() আমি যা বলতে চাচ্ছি তা হচ্ছে; জাকির নায়েক মূলত ত্যানা পেঁচিয়েছেন এই শব্দটি নিয়ে مُّنِير মুনির । এই মুনির হচ্ছে نور নূর এর এক্টিভ পার্টিসিপল। যেমন ইংরেজিতে Light এর এক্টিভ পার্টিসিপল Lighting, shine এর shining, glow এর glowing, Laugh এর laughing ইত্যাদি। এখন জাকের নায়েকের কুযুক্তি হচ্ছে এই নূর বা মুনির শব্দের অর্থ হচ্ছে রিফ্লেক্টেড লাইট বা প্রতিফলিত আলো, যা পুরোপুরি হাস্যকর। B:-)
কেন?
ওয়েল!! নূর এর প্লেইন এন্ড সিম্পল অর্থ হচ্ছে আলো, জ্যোৎস্না, উজ্জ্বল, দ্যুতি ইত্যাদি। সোজা কথা হচ্ছে আলোর যতগুলো সমর্থক শব্দ রয়েছে তার সবগুলোই হচ্ছে নূর। কখনোই নূর মানে প্রতিফলিত আলো বা ধার করা আলো বুঝানো হয় না। কোন কিছু জ্বল জ্বল করে জ্বললেই তা থেকে নূর বা আলোর বিকিরণ হচ্ছে এক কথাই বুঝানো হয়, কিন্তু উক্ত জ্বলন্ত বস্তুর আলোর উৎস কি সে দিকে কোন ইঙ্গিত করা হয় না। উক্ত জ্বলন্ত বস্তুর আলোর উৎস যে কোনকিছুই হতে পারে যেমন এটা ব্যাটারি চালিত হতে পারে, ডিজেল চালিত হতে পারে, বৈদ্যুতিক হতে পারে, প্রাকৃতিক হতে পারে অথবা প্রতিফলিত আলোও হতে পারে আবার নিজস্ব আলোও হতে পারে। অতএব মূল কথা হচ্ছে নূর মানে আলো এবং এই নূর দ্বারা শুধুমাত্র আলোকেই বুঝানো হয় আলোর উৎসকে নয়, বুঝা গেলো?

নূরজাহান নামের অর্থ কি? নূরের জাহান, বা দুনিয়ার আলো। সন্তান বড় হয়ে দুনিয়াতে আলো ছাড়াবেন (সফলতার আলো) এই প্রত্যাশায় পিতামাতা সন্তানের নাম রাখেন নূরজাহান। জাকের নায়েকের কুযুক্তি অনুসারে নূরজাহান নামের অর্থ দাঁড়ায়- ধার করা আলোর দুনিয়া। =p~

নূর মানে প্রতিফলিত আলো বা ধার করা আলো কোন অ্যারোবিক ভাষাবিদ বা আরবি ভাষাভাষী কোন ব্যক্তি এমনটি দাবী করেন না। কোন অ্যারোবিক অভিধানেও নূর মানে ধার করা আলো বা প্রতিফলিত আলো এমনটি পাওয়া যায় না, যা জাকির নায়েক দাবী করেছেন। আশা করি বিষয়টি আমি আপনাদের ক্লিয়ার করতে পেরেছি।

কিন্তু তবুও আমি আরেকটু ক্লিয়ার করি, যেমন- আমার দাদী একটি কবিতা লিখলেন, সে কবিতার একটি লাইন হলো " স্নিগ্ধ রাতের চাঁদের জ্যোৎস্না আর দিনের প্রখর সূর্যের আলো যা দেখি তাই লাগে ভালো"। এখন আমি যদি জাকির নায়েকের মত গুঁজামিল দিয়ে দাবী করি "আমার দাদী বহু আগেই জানতেন চাঁদের হচ্ছে ধার করা আলো আর সূর্যের হচ্ছে নিজস্ব আলো সুতরাং আমার দাদী একজন বিশ্ব বিজ্ঞানী কারণ তিনি চাঁদের সাথে জ্যোৎস্না লিখেছেন এবং সূর্যের সাথে আলো লিখেছেন, আমার দাদী কত মহান এক বিজ্ঞানী", তাহলে বিষয়টা কেমন হবে? কেউ যদি চাঁদের আলো কে জ্যোৎস্না আর সূর্যের আলো কে আলো বলে তাহলে কি এটা প্রমাণ হয় যে উক্ত ব্যক্তি চাঁদের নিজস্ব আলো নেই আর সূর্যের নিজস্ব আলো আছে এ কথাই বুঝিয়েছেন?

"তোমার চেহারায় নূর চমকাচ্ছে" এর দ্বারা কি এটা বুঝানো হয় যে তোমার চেহারা অন্যের কাছ থেকে আলো ধার করে এনে তারপর তা ছড়িয়ে দিচ্ছে? নূর মানেই হচ্ছে স্ব-মহিমায় উজ্জ্বল কোন কিছু। কেউ কিন্তু বলে না তুমি ভবিষ্যতে লাইট করবে, বরং মানুষ বলে তুমি ভবিষ্যতে সাইন করবে বা উজ্জ্বলতা ছড়াবে; যার অর্থ সফলতার মুখ দেখবে। এখন লাইট আর সাইনের পার্থক্যের কারণে আমি কিন্তু যে কাউকে বেশাল বিজ্ঞানী দাবী করতেই পারি। গুঁজামিল দেতে যে কত্ত মজা। B-)

কাজেই নূর বা মুনির দ্বারা কখনোই এটা বুঝানো হয় না যে এটা ধার করা বা প্রতিফলিত আলো, ভেরী সিম্পল; যে বস্তুটি আলো ছড়ায়, দ্যুতি ছড়ায়, উজ্জ্বলতা ছড়ায় তাহাই নূর, ইহা কি ধার করা আলো বা প্রতিফলিত আলো সেদিকে কোন দৃষ্টিপাত করা হয় না। রিফ্লেক্টেড লাইট বা প্রতিফলিত আলোর আরবি হচ্ছে এটা- الضوء المنعكس আদ্দাওউল মুনাকিছু, এখানে নূর বা মুনির এসবের কোন বালাই নেই।

সুতরাং সূরা ফুরকানের ৬১ নাম্বার আয়াতটি অতি সাধারণ এক ধর্মীয় আয়াত এখানে বিজ্ঞানের লেশ মাত্র নেই, এখানে জ্যোতির্বিজ্ঞানের কোন কিছুর প্রতিই ইঙ্গিত করা হয় নি, এটা শুধুই একটি আয়াত মাত্র যেখানে স্রষ্টার গুণগান, স্রষ্টার মহিমা প্রকাশ করা হয়েছে। ধূর্ত, চালাক ধর্মীয় গুরুগণ এভাবে প্রতিটি আয়াতে গুঁজামিল দিয়ে বিজ্ঞানের কোলে আশ্রয় নিয়ে, মানুষের চোখে ধোঁকা দিয়ে ধর্মগ্রন্থকে টিকিয়ে রাখার শেষ চেষ্টা করে যাচ্ছে, যদিও তারা তাতে সফলকাম হবে না।

*** আফ্রিকার আদিবাসী জনগোষ্ঠী যাদের চাঁদের আলোর উৎস সম্পর্কে কোন ধারণা নেই তাদের "বরকতময় তিনি যিনি আকাশে নক্ষত্রপুঞ্জ স্থাপন করেছেন এবং তাতে একটি প্রদীপ ও উজ্জ্বল চাঁদ রেখেছেন" এই আয়াতটি হাজার বছর পাঠ করালেও তারা বুঝতে পারবে না যে উক্ত আয়াতটিতে চাঁদের ধার করা আলোর কথা বলা হয়েছে। ঠিক তেমনি বিগত ১৪ শত বছর ধরে কোন কুরআন বিজ্ঞানী উক্ত আয়াতটি পাঠ করে আবিষ্কার করতে পারেনি যে চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই। গত ১৪ শত বছরে বিলিয়ন বিলিয়ন বার এই আয়াতটি পাঠ করেছে মুসলিম জনগোষ্ঠী, কিন্তু তাদের কেউই চাঁদের ধার করা আলোর বিষয়টি বুঝতেই পারেনি, শেষ পর্যন্ত মহাজ্ঞানী জাকের নায়েক উক্ত আয়াত থেকে মহা বিজ্ঞান আবিষ্কার করে ফেললেন।*** The Sky has a limit but stupidity has no limit. X((

( ) সূরা ফুরকানের ৬১ নাম্বার আয়াত সম্পর্কে ইসলাম ডট ওআরজি সবচেয়ে অনেস্ট ব্যাখ্যাটি প্রদান করেছেন, তারা কোন ধরণের ছল চাতুরীর আশ্রয় নেয় নি, আয়াতটি সম্বন্ধে তাদের অভিমত হচ্ছে; কুরআন মুসলিমদের প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থ এটা কোন জ্যোতির্বিজ্ঞান বই নয় তাছাড়া তৎকালীন সাহাবীগণ কুরআন থেকে কখনো জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চা করেননি। তারা আরও বলেন"আয়াতটিতে মূলত স্রষ্টার মহিমা প্রকাশ করা হয়েছে, দিনে প্রখর সূর্য এবং রাতে চাঁদের উজ্জ্বলতা দ্বারা মূলত স্রষ্টার ক্ষমতার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে, এখানে কোন বিজ্ঞান বা আলোর উৎস কি সেদিকে কোন আলোকপাত করা হয় নি। বিস্তারিত ইসলাম ডট ওআরজি থেকেই দেখুন। What is meant by وَقَمَرًا مُّنِيرًا in Surah 25, Verse 61?

মহা হাস্যরসের বিষয় হচ্ছে; জাকের নায়েকের উক্ত বয়ানটি ভাইরাল হবার পর থেকে কিছু কিছু কুরআনের অনুবাদগণ তাদের অনুবাদে luminous এর পাশে (Reflected light) অনেকে (Borrowed light) ব্র্যাকেট বন্দি করে জুড়ে দিয়েছেন যা পুরো বিষয়টিকে হাস্যকর করে তুলেছে। অথচ প্রকৃত সত্য হচ্ছে আজ থেকে ১৫/২০ বছর আগের কোন অনুবাদ অথবা ব্যাখ্যায় Reflected light বা borrowed light এসবের কোন লেশ মাত্র ছিলো না। Reflected light বা borrowed light এসবের সূচনা হয়েছে জাকির নায়েকের বয়ান'টি ভাইরাল হবার পর থেকে। এর আগের চৌদ্দ-শত বছর মুসলিম বিশ্ব যেন অন্ধকারেই ছিলো, জাকির নায়েক তাদের আলোর পথ দেখালেন, যে কিনা কোন মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন নি আর যার না আছে কোন ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী, কি হাস্যকর!! কি হাস্যকর!!! =p~

সে যাই হোক, এবার একটু ভিন্ন কিছু অনুসন্ধান করি- সূরা আল কিয়ামাহ এর ৮ নাম্বার আয়তটি একটু দেখি: وَخَسَفَ ٱلْقَمَرُ and the moon becomes dark এই আয়াতটির নামকরা সব তাফসীর গ্রন্থ যেমন- Ibn Kathir, Al-Tabari, Jalalayn , এবং Tanwir al-Miqbas এসব গ্রন্থে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে কিয়ামতের দিন চন্দ্র তার নিজের আলো হারাবে। লে হালুয়া!! :-P

সুতরাং না না তথ্য উপাত্তে দেখা যাচ্ছে চাঁদের আলো যে ধার করা আলো বা প্রতিফলিত আলো এমন দাবী কুরআনের কোথাও করা হয় নি, এই মিথ্যা দাবীটি করেছে শুধুমাত্র ওই ধূর্ত জাকির নায়েক। এর পরেও কি আপনারা আমার কথা বিশ্বাস না করে জাকির নায়েকের অন্ধ ভক্ত হয়ে থাকবেন?

ওয়েল, ওয়েল, ওয়েল চলুন এবার সত্যি সত্যি একটু অন্ধ হয়ে যাই, মানে জাকির নায়েককে অন্ধভাবে বিশ্বাস করি আর তার ফলাফল কি দাঁড়ায় তা একটু দেখি। সমস্ত যুক্তি-তর্ক বাদ দিয়ে যদি সাময়িক সময়ের জন্যও আমরা জাকির নায়েককে অন্ধ বিশ্বাস করি তাহলে নূর মানে প্রতিফলিত আলো বা ধার করা আলো এটাই আমাদের মানতে হবে। আর এটা যদি মানি তাহলে এই নূর রিলেটেড কুরআনের অন্যান্য আয়াতের কি অবস্থা হয় তা একটু দেখি।

- সুরা আন-নূর: জাকির নায়েকের কুযুক্তি অনুসারে এই সূরার মানে দাঁড়ায় "প্রতিফলিত আলোর সূরা বা ধার করা আলোর সূরা" =p~ এছাড়াও কুরআনে আরও ৩৯ টি আয়াত পাওয়া যায় যেখানে নূর نور বা مُّنِير মুনির শব্দটি ব্যবহার হয়েছে, তো নূর মানে যদি প্রতিফলিত আলো বা ধার করা আলো হয়ে থাকে তাহলে সেসব আয়াতের অর্থ কি দাঁড়ায় সেদিকে এবার নজর বুলাই।

- সূরা বাকারার ২৫৭ নাম্বার আয়াতের প্রথম অংশটি একটু দেখি : ٱللَّهُ وَلِىُّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ يُخْرِجُهُم مِّنَ ٱلظُّلُمَـٰتِ إِلَى ٱلنُّورِ Allah is the Guardian of the believers—He brings them out of darkness and into light আল্লাহ মুমিনদের অভিভাবক-তিনি তাদের অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসেন।

উক্ত আয়াতটির শেষের শব্দ আল নূর ٱلنُّورِ দ্বারা লাইট বা আলো বুঝানো হয়েছে।

এখন জাকির নায়েকের যুক্তিতে আয়াতটি অনুবাদ করি: Allah is the Guardian of the believers—He brings them out of darkness and into reflected or borrowed light. আল্লাহ মুমিনদের অভিভাবক-তিনি তাদের অন্ধকার থেকে প্রতিফলিত বা ধার করা আলোতে নিয়ে আসেন। Laughing My Ass Off. =p~

- সূরা তওবার ৩২ নাম্বার আয়াতটা একটু দেখি: يُرِيدُونَ أَن يُطْفِـُٔوا۟ نُورَ ٱللَّهِ بِأَفْوَٰهِهِمْ وَيَأْبَى ٱللَّهُ إِلَّآ أَن يُتِمَّ نُورَهُۥ وَلَوْ كَرِهَ ٱلْكَـٰفِرُونَ They wish to extinguish Allah’s light with their mouths, but Allah will only allow His light to be perfected, even to the dismay of the disbelievers. তারা তাদের মুখ দিয়ে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ কেবল তাঁর নূরকে পরিপূর্ণ হতে দেবেন, এমনকি কাফেরদের হতাশার জন্যও।

উক্ত আয়াতে নূর نور শব্দটি দু'বার ব্যবহার করা হয়েছে, তো ধূর্ত জাকির নায়েকের যুক্তি অনুসারে আয়াতটির অনুবাদ করি: They wish to extinguish Allah’s reflected light with their mouths, but Allah will only allow His borrowed light to be perfected, even to the dismay of the disbelievers. তারা তাদের মুখ দিয়ে আল্লাহর প্রতিফলিত আলোকে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ কেবল তাঁর ধার করা আলোকে পরিপূর্ণ হতে দেবেন, এমনকি কাফেরদের হতাশার জন্যও। LOL B:-/

-সূরা নূরের ৩৫ নাম্বার আয়াতটির প্রথম অংশ একটু দেখি: ٱللَّهُ نُورُ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ Allah is the Light of the heavens and the earth. আল্লাহ নভোমণ্ডল ও পৃথিবীর নূর

পুরো আয়াতটিতে বেশ কয়েকবার নূর نُور বা আলো শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে কিন্তু পোস্ট ছোট রাখার সুবিধার্থে শুধুমাত্র আয়াতটির প্রথমাংশ উল্লেখ করা হলো।

তো চলুন জাকির নায়েকের যুক্তিতে আয়াতটির অনুবাদ করি: Allah is the reflected Light of the heavens and the earth আল্লাহ নভোমণ্ডল ও পৃথিবীর প্রতিফলিত আলো :-<

সুতরাং আল্লাহর নিজের কোন আলো নেই সে নিজেই একটি প্রতিফলিত আলো বা ধার করা আলো বিষয়টি সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হইলোB-)

=====================================================================

মুনির বা নূর রিলেটেড আরও কিছু আয়াত নিচে উল্লেখ করা হলো।

-সূরা বাকারার ১৭ নাম্বার আয়াত
-সূরা আল ইমরান এর ১৮৪ নাম্বার আয়াত
-সূরা নিসার ১৭৪ নাম্বার আয়াত
-সূরা আল মায়েদার ১৫, ১৬, ৪৪ এবং ৪৬ নাম্বার আয়াত
-সূরা আন-আম এর ১, ৯১ এবং ১১২২ নাম্বার আয়াত
-সূরা আর-রফ এর ১৫৭ নাম্বার আয়াত
-সূরা তওবার ৩২ নাম্বার আয়াত
-সূরা ইউনুস এর ৫ নাম্বার আয়াত
-সূরা আর রদ এর ১৬ নাম্বার আয়াত
এন্ড সো অন... আমি পূর্বেই উল্লেখ করেছি কুরআনে সব মিলিয়ে ৩৯ টি আয়াতে নূর বা মুনির রিলেটেড আয়াত পাওয়া যায় যার কোথাও নূর মানে প্রতিফলিত আলো বা ধার করা আলো এ ধরণের কোন কিছুর প্রতি ইঙ্গিত করা হয়নি। এগেইন, নূর মানে আলো, জ্যোতি, দ্যুতি,জ্যোৎস্না বা যা জ্বলজ্বল করে জ্বলে তাই নূর এই আলোর উৎস কি সেটা মুখ্য বিষয় নয়। কোথাও কোথাও নূর মানে ইসলামের আলো বুঝানো হয়েছে। কোথাও কোথাও নূর মানে আল্লাহর হুকুম বুঝানো হয়েছে, কোথাও কোথাও নূর মানে ভালো কিছু বুঝানো হয়েছে, কিন্তু কোথাও নূর মানে প্রতিফলিত আলো বা ধার করা আলো এমন কিছু বুঝানো হয়নি। সবই ঠিক আছে শুধু ঠিক নেই ওই ধূর্ত জাকের নায়েকের যুক্তিটি, উনার যুক্তি মানলে কুরআনের অন্যান্য আয়াত সব উলট পালট হয়ে যায়।

এই ব্লগের সবাই জ্ঞানী গুণী ব্যক্তি তাই আশা করি বিষয়টি বুঝতে আপনাদের খুব বেশি সমস্যা হয় নি।

নোট: শুধু জাকির নায়েক নয়, যে কোন ধর্মীয় গুরুদের কাছ থেকে বিজ্ঞান চর্চা বন্ধ করুন এবং আপনার ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠান মাদ্রাসায় নয়। জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় সাধারণ শিক্ষার বিকল্প কিছু নেই।



পোস্ট'টি লিখতে Wiki Islam এবং The Masked Arab এর সহয়তা নেয়া হয়েছে, যাদের সবাই আরবের অধিবাসী এবং আরবি তাদের মাতৃভাষা। সুতরাং আরবি গ্রামার শিখতে আমাদের মোটেও জাকের নায়েকের উপর ভরসা করার প্রয়োজন নেই। B-)

এভাবে জোড়া তালির মাধ্যমে মুসলিম স্কলারগণ কুরআন থেকে হাজারো বিজ্ঞান যেমন বিগ ব্যাং থিওরি, ভ্রুন তত্ত্ব, পানিচক্র, পৃথিবীর আকার ইত্যাদি আবিষ্কার করেছে, সময় সুযোগ যদি হয় তাহলে পরবর্তীতে তাদের এসব জোড়া তালির যাবতীয় রহস্য উন্মোচন করিবো, এনশাআল্লাহ!! ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। :)



পোস্টে ভুল ভ্রান্তি থাকা বাঞ্ছনীয়।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৪৪

কামাল১৮ বলেছেন: দীন(ইসলাম) প্রতিষ্ঠার জন্য মিথ্যা বলাতে কোন দোষ নাই।
মিথ্যা দিয়েই করতে হয় শত্যেকে প্রতিষ্ঠিত।বিসর্জন নাটকে রবি ঠাকুর।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হ্যাঁ যা কিছু তাদের পক্ষে যায় তা যতই অযৌক্তিক হউক না কেন তা চোখ বন্ধ করে সুভাহানাল্লা বলে এক বাক্যে মেনে নিতে হবে, আর এজন্যই ধর্মীয় সমাবেশগুলোতে যত্তসব বুলিশিট প্রচার হয়।

মিথ্যা দিয়েই করতে হয় শত্যেকে প্রতিষ্ঠিত। - উক্তিটি দারুণ ছিল। :)

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৪৯

কামাল১৮ বলেছেন: নাটকে এটা পুরোহিতের উক্তি।আরেক জাকির নায়েক।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হিন্দুত্ব বাদীরাও ভয়ঙ্কর কুসংস্কারান্ন।

প্রথম মন্তব্যের জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা।

৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৭

নজসু বলেছেন:



কাজ নাই, আসুন সবাই খই ভাজি। :)

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তা যা বলেছেন ভাইজান। আসলে মাঝে মাঝে অকাজে খই ভাজতে হয়। :D

পোস্ট'টি যখন লিখছি তখন ভাবছি আমি এসব কি করছি!! সময় কি এতটাই মূল্যহীন হয়ে গেলো যে আজ আমাকে এসব ধর্মীয় গুরুদের বক্তব্যের পিছনে সময় ব্যায় করতে হচ্ছে!!


আপনাকে স্বাগতম আমার পাতায়।

৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪১

অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের দেশের প্রায় সব ধর্মপ্রান ধার্মিকেরা বিশ্বাস করে যে সকল বিজ্ঞান আসলে বিজ্ঞানীরা কোরআন থেকে আবিস্কার করেছে ।
আপনি কেবল ধর্মের নাম বললেন অমুক ব্যাপার কোরআনে আছে । আসলেই আছে কিনা সেই ব্যাপারে কেউ খুজেও দেখবে না ।
এই বিষয়ে একটা কালজয়ী বই আছে । বইটির নাম পদার্থবিজ্ঞানে মুহাম্মাদ । রকমারি বেস্ট সেলার । বইটা আমার কাছে আছে । বইটা আমি প্রায়ই পড়ি বিশেষ করে যখন মন খারাপ থাকে । আমার মন একেবারে ভাল হয়ে যায় । আপনিও পড়ে দেখতে পারেন ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমি স্কুল জীবনে একটা বই পড়েছিলাম বইটির নাম খুব সম্ভবত 'আলকুরআন এন্ড দ্যা সাইন্স' ওই বয়সেই বইটির গুজামিল দেখে আমার প্রচুর হাসি পেয়েছিল, আমি নিশ্চিত আপনি যদি বইটি পড়েন তাহলে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাবেন। =p~ বইটিতে ব্ল্যাক হোল, বিগ ব্যং, আকাশের গ্রহ নক্ষত্র ইত্যাদি বিষয়ের যে সকল প্রমান দেখানো হয়েছে তা জাকির নায়েকের স্টুপিডিটিকেও হার মানায়।

আরেকটি বই পড়েছিলম 'মাহান স্রষ্টা ও তার একত্ববাদ' নামে। বইটি লিখেছিলেন এক মাদ্রসার ছাত্র যিনি বিজ্ঞানের মাধ্যমে স্রষ্টার নানা মহিমা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। খুব আশা নিয়ে বইটি পড়া শুরু করেছিলম ভেবেছিলাম দারুণ কিছু হবে হয়তো কিন্তু বইটির মধ্যে ছাইপাশ লেখা দেখে খুব হতাশ হয়েছিলাম। /:)

পদার্থবিজ্ঞানে মুহাম্মাদ সময় সুযোগ পেলে বইটি হয়তো পড়বো এবং পদার্থবিজ্ঞানের বিপুল গিয়ান আর্জন করবো। =p~

আসলে মাঝে মাঝে এসব গার্বেজ বই পড়তে হয়, তাহলে স্টুপিডিটি কিভাবে কাজ করে সে সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়।

আপনার মন্তব্যে প্রীত হলাম। :D

৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: সমস্ত ধর্মীয় গ্রন্থ ও ধার্মিকদের কথায় আপনি লজিক খুঁজে পাবেন না। তাদের আছে শুধু বিশ্বাস।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: শুধু বিশ্বাস নিয়ে থাকলে তো কোন সমস্যাই ছিলো না কিন্তু বিজ্ঞান নিয়ে টানাটানি কেন করে?

আসলে- কাক কখনো ময়ূর হয় না, তেল আর জল এক না, সাপ আর দাড়ি দুটি ভিন্ন জিনিস, জল আর জলপাইও দুটি আলাদ সত্তা।
কিন্তু ধার্মীয় গুজামিল দ্বারা এরা কাককে ময়ূর, তেলকে জল, সাপকে দড়ি এবং জল কে জলপাই বানানোর চেষ্টা করে। একটু ঘাঁটাঘাটি করলেই এদের ধাপ্পাবাজির বিষয়টা ধরা পরে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

বাউন্ডেলে বলেছেন: চমৎকার লেখার জন্য, ধন্যবাদ। এক কথায় “প্রতারক” বললেই হতো।তবে ঘারত্যাড়া মুমিনসদের জন্য সময় নষ্টটা যুৎসই হয়েছে। আমি যদিও আলাহ-রসুলের বিশ্বাষী । কিন্তু মুমিনস নামক সব ধর্মের উল্লুককে মানুষের পর্যায়ে আছে বলে মনে করি না।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এক্সাক্টলি, লোকটা একজন ফ্রড এ ব্যাপারে কোনই সন্দেহ নেই। তার বিরুদ্ধে মানুষের টাকা মেরে দেয়ার অভিযোগ চলমান।একসময় এই লোকটা যা বলতো মানুষ তা চোখ বন্ধ করে মেনে নিতো। এসব নিয়ে পরে থাকা আসলেই সময় নষ্ট। মানুষের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক এই কামনাই করি।

হ্যাপি ব্লগিং।

৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৮

কামাল১৮ বলেছেন:
“ আল্লাহর নিজস্ব কোন আলো নেই”
আল্লাহ কি আছে যে তার নিজস্ব আলো আছে কি নেই সেটা প্রাসংঙ্গিক।আপনার ধারণা নাই।আপনার ধারণা কি?

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আচ্ছা- আমি জাকির নায়েকের আল্লাহর কথা বলতেছি, ওই যে কুরআনাের আল্লাহ যে সিংহাসনে বসে থেকে আকাশে চাঁদ এবং সূর্য ঝুলিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ তো অবশ্যই আছেন যার সাথে আমাদের মহাজাগতিক চিন্তাধারা সবসময় কথা বলেন। B-)

৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানলাম।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: দ্বিতীয়বার আসার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৫২

নিমো বলেছেন: এই কারণেই আবালের আরেক নাম জোকার নায়ক।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এই জোকারটা আমাদের দেশের মানুষের ব্রেইন পুরোপুরি ওয়াশ করে ছেড়ে দিয়েছে। তবে এখন তার দৌরাত্ম কমেছে।

১০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩৬

এ আর ১৫ বলেছেন: ধন্যবাদ , এই পোস্টটির জন্য , প্রিয় তালিকায় রাখলাম।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে আনন্দিত হলাম। হ্যাঁ সময় করে পড়বেন এবং পোস্টের বিষয়ে কোন মতামত থাকলে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না।

শুভ কামনা।

১১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০১

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



বিজ্ঞান এবং ধর্ম দুটো আলাদা বিষয়। এখানে এক করার কোন কিছু নেই। ধর্ম একটা বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। কিন্তু বিজ্ঞান সেটা নয়। বিজ্ঞান পরীক্ষা করে, চিন্তা করে, ফলাফল বের করে।

আমি কখনই ধর্ম ও বিজ্ঞান কে এক করি না। এবং এইসব ওয়াজ মাহফিল থেকে দূরে থাকি। ধর্মের সাথে বিজ্ঞান গেলানোর কাজ করে তাদের থেকে দূরে থাকাই উত্তম।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: পার্ফেক্ট, আর এটাই হওয়া উচিৎ কিন্তু কিছু মানুষ এটাকে কচলাতে কচলাতে তিতা বের করে ফেলে।

আপনার সুন্দর মতামত জানতে পেরে আনন্দিত হলাম।

১২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:১৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: দারুন ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন পুরো বিষয়টি। এরপরেও দেখবেন অনেকে মানতে নারাজ।

১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৪:০২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এমন হাজারো গুজামিলের মধ্যে এটি একটি মাত্র উদাহারণ আর তাতেই দেখেন কত বড় পোস্ট হয়ে গেছে, সবগুলো নিয়ে লিখতে গেলে তো ইহ জন্মই শেষ হয়ে যাবে।

এরপরেও দেখবেন অনেকে মানতে নারাজ। - আমার মনে হয় কেউ যদি এসব বয়ান বিশ্বাস না করে একটু নিজে ঘাঁটাঘটি করে দেখে তাহলে সব পানির মত পরিষ্কার হয়ে যাবে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কেউ তা করে না। যদিও এসব নিয়ে ঘাঁটাঘটি করা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।

ওহ!! বই দ্যা ওয়ে, আপনার নামের মধ্যে যে নূর আছে এই নূর বা আলো কি আপনি ধার করে আনছেন? আপনি কি নিজের আলোয় আলোকিত নন? হা হা B-) নিজের নামের সাথেই মিলিয়ে দেখেন জাকির নায়েকের উক্ত বক্তব্যটি কতটা অসাড়।

সুপ্রিয় হিরণ ভাই, অনেক অনেক ভালো থাকবেন।



১৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:২৮

শার্দূল ২২ বলেছেন: আমার মনে হয় আপনি কোন কারণে জাকির নায়েকের উপর ক্ষেপে আছেন তাই সোজা কথা নিয়ে বেশি সময় দিয়ে ফেলেছেন। আপনার পুরো পোষ্ট পড়ার ধর্য্য হারিয়ে ফেলেছি, শুধু মুনির আর নুর নিয়ে বলি। আপনি মুনির কে বলছেন নুর এর চলোমান, মানে লাইট লাইটিং , সাইন সাইনিং। না ভাইয়া আপনি ভুল । নুর হলো সরাসরি আলো যেখানে গিয়ে পড়ে বা যেখান থেকে আসে। মুনির হলো এই সরাসরি আলোর আভা বা আবির। সুতরাং নুর মানে লাইট আর মুনির মানে লাইটসাম। আপনি আর একটু সময় নিয়ে দেখেন। জাকির নায়েকের অন্য কিছু বিষয় ভুল আছে। বাট এখানে কোরনাের আয়াতের ভুল ব্যখ্যা হয়নি।

ভালো থাকবেন

১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বিষয়টি নিয়ে যাহাতে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি না হয় সেজন্য আমি পুরো বিষয়টিকে বিভিন্ন আংঙ্গিকে ব্যাখ্যা বা ক্রস চেকিং এবং না না তথ্য উপাত্ত দিয়েছি যে কারণে পোস্ট এত বড় হয়ে গিয়েছে, একটু কষ্ট করে পুরো পোস্ট'টি পড়লে বিষয়টি আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে। :D

আপনি জাকির নায়েকের বক্তব্য দয়া করে আবার শুনুন, উনি মুনিরকে আলাদা শব্দ দাবি করেন নি, উনি পরিষ্কারভাবে উল্ল্যেখ করেছেন, "মুনির অর নূর"

সুতরাং নুর মানে লাইট আর মুনির মানে লাইটসাম।
- এই লাইটসাম মানেও কিন্তু ধার করা আলো নয়। ;)

তাছাড়া আবির এবং আভা এই শব্দ দুটির মানেও ধার করা আলো নয়। অনেক মানুষের নাম আছে আবির, এই আবির মানে হচ্ছে, সুবাস ছাড়ানো বা খ্যাতি ছড়ানো, আর আভা মানে হচ্ছে দ্যুতি ছড়ানো, উজ্জলতা ছড়ানো। যে স্বমহিমায় উজ্জ্বল তাকেই আবির নামে ডাকা যেতে পারে। তাই আবির ছাড়ানো বা আভা ছাড়ানো এ দ্বারা কখনোই ধার করা আলো বুঝানো নয় না, আলোর উৎস এখানে নিতান্ত্যই অপ্রাসঙ্গিক।

আর নূর এবং মুনির দুটির শব্দের অর্থ ভিন্ন বা নূর মানে নিজস্ব আলো আর মুনির মানে ধার করা আলো এমন অদ্ভুত দাবী কোন আ্যারাবিক ভাষাবিদ করেন না বা আরবি ব্যকারণেও এ ধরণের কোন প্রমাণ পাবেন না। বিস্তারিত ইসলামিক ডট ওআরজি তে দেখুন।

জাকির নায়েকের আগে কোন ইসলামিক স্কলার নূর বা মুনিরের এমন অদ্ভুত অনুবাদ বা ব্যাখা করেছে তারও কোন প্রমাণ নেই। জাকির নয়েক সঠিক ব্যাখ্যা করে থাকলে পূর্বের সমস্ত ইসলামি স্কলারগণ ভুল প্রমাণ হয় যায়, ভাইজান।

চাঁদের আভা ছড়িয়ে যাক তোমার হৃদয় গগনে - এ কথার দ্বারা চাঁদের হালকা আলোর কথাই বুঝানো হয়, এ কথার মাধ্যমে কেউ বিশাল বিজ্ঞানী হয়ে যায় না বা এর দ্বারা এটাও প্রমাণ করা হয় না যে চাঁদের কোন নিজস্ব আলো নেই এবং সূর্যের নিজস্ব আলো আছে। :D

আর নূরের এক্টিভ পার্টিসিপল হচ্ছে মুনির এ বিষয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই, মুনির কখনোই আলাদা কোন শব্দ নয় বা ভিন্ন অর্থ বহন করে না। দয়া করে আমার রেফারেন্সগুলো একটু মিলিয়ে দেখুন।

আমি কুরআনের উক্ত আয়াতের কোন ভুল ধরতেছি না, আমি শুধু দেখিয়ে দিচ্ছি এসব সাধামাটা শ্লোক, পুঁথি বা কথামালা থেকে কিভাবে গুজামিল দিয়ে বিজ্ঞান বের করার অপচেষ্টা করা হয়।

ভালো থাকবেন, আর বিজ্ঞান বুঝার জন্য জ্যোতির্বিজ্ঞান গ্রন্থ অধ্যায়ন করুন, ঐশ্বরিক গ্রন্থ নয়।
ধন্যবাদ।


১৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:১৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

সারা দিন সূর্য আলো দিয়ে সন্ধ্যায় আল্লাহর আরশের নীচে গিয়ে আশ্রয় নেয় এবং পরের দিন সকালে সে আবার উদিত হবে না মহান আল্লাহ সোবহানা তায়ালার কাছে সেই অনুমতি চায়। আল্লাহ দয়াপরবশ হয়ে অনুমতি দেন। এমন এক দিন আসবে যে দিন আল্লাহ সোবহানাতায়ালা সূর্যকে পূর্বদিকে উদিত হবার অনুমতি দিবেন না।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:০৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: জ্ঞান বৃদ্ধি পাইলো।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.