নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Ambivert, Swimmer Against The Stream, But I\'m Not Anti-Social I\'m Anti-Idiots.

জ্যাক স্মিথ

লিখতে না পড়তে ভালো লাগে, বলতে না শুনতে ভালোবাসি, সেমি-ইন্ট্রোভার্ট।

জ্যাক স্মিথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুষ্ট জ্বীনের উৎপাত, কোটি টাকা গায়েব

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪৪



ছবি- জ্বীনের কেরামতি।

‘কেরামতি দেখে’ দেড় কোটি টাকা অন্যের হাতে তুলে দেন তিনি।

বিস্তারিত: এক বালতি পানির মধ্যে কিছু কাগজ ও এক হাজার টাকার নোট ছেড়ে দেন। কিছুক্ষণ পর পানিতে ভেসে ওঠে অনেকগুলো এক হাজার টাকার নোট। এমন চমক জাগানোর মতো কেরামতি দেখিয়ে আবদুল খালেক খান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আস্থা অর্জন করেন তরিকুল ইসলাম। এরপর ফাঁদে ফেলে তাঁর কাছ থেকে ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা নেন তিনি।

ঢাকার কাফরুলের বাসিন্দা খালেকের প্রতারিত হওয়ার এ ঘটনার মামলা তদন্ত করে মাগুরার তরিকুলের অপকর্ম সম্পর্কে নানা তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর ভিত্তিতে সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা করেছেন সিআইডির উপপরিদর্শক মোহাম্মদ আল মামুন।

মামলায় বলা হয়েছে, জিনের বাদশা পরিচয়ে তরিকুল আবদুল খালেক নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। প্রতারণার মাধ্যমে নেওয়া টাকায় তরিকুল ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি প্রাইভেট কার ও একটি এক্সকাভেটর কেনেন। এ ছাড়া তরিকুল মাগুরায় ১০ শতক জমি কেনেন। তাঁর ব্যাংক হিসাবে ৩৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৩৪ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে

এর আগে ২০২১ সালে তরিকুলের বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় প্রতারণার মামলা করেন ভুক্তভোগী আবদুল খালেক। ওই বছরের ১০ মার্চ ওই মামলায় তরিকুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি। মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ১২ মার্চ তরিকুল ও তাঁর তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্রে বলা হয়, সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য তরিকুলসহ অন্যরা প্রতারণার মাধ্যমে নিরীহ মানুষদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

তরিকুলের আইনজীবী ফেরদৌস সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মক্কেল তরিকুল জিনের বাদশা পরিচয়ে আবদুল খালেকের কাছ থেকে কোনো টাকা নেননি। খালেকের সঙ্গে তরিকুলের টাকাপয়সার লেনদেন ছিল। খালেক এ বিরোধের জের ধরে তরিকুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। খালেকের বিরুদ্ধেও মাগুরার আদালতে প্রতারণার একটি মামলা চলছে।

এ ব্যাপারে খালেক প্রথম আলোকে বলেন, সিআইডি তদন্ত করে তরিকুলের প্রতারণা ও জালিয়াতির তথ্য–প্রমাণ পেয়েছে। আর তরিকুল তাঁকে হয়রানি করার জন্য মাগুরায় তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন।

যেভাবে ফাঁদে পড়েন খালেক

মামলার কাগজপত্র ও ভুক্তভোগী খালেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাবনার আবদুল খালেক খান ২৫ বছর ছিলেন সৌদি আরবে। ২০০৪ সালে দেশে ফিরে ঢাকার কাফরুল এলাকায় তিনি বসবাস শুরু করেন। একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি নেন। স্ত্রী, দুই ছেলে আর এক মেয়েকে নিয়ে ভালো ছিলেন। পরে খালেকের স্ত্রী ও তাঁর এক ছেলে অসুস্থ হন। স্ত্রী ও ছেলেকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। তবে তাঁর স্ত্রীর কিডনির সমস্য আরও বেড়ে যায়। খালেক একপর্যায়ে স্ত্রী ও সন্তানের অসুস্থতার কথা তুলে ধরেন পরিচিত খোকনের কাছে। পরে খোকনের মাধ্যমে তরিকুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তরিকুল তখন খালেককে বলেন, তাঁর কাছে জিন আসে। তিনি তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে সুস্থ করে তুলবেন।

মামলার এজাহারে খালেক দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে ওষুধ দেন তরিকুল। সেই ওষুধ সেবন করে তাঁরা দুজনই সুস্থ বোধ করেন। পরে তিনি তরিকুলকে বিশ্বাস করতে শুরু করেন।

খালেক খান মামলায় বলেন, ‘আমার স্ত্রী ও সন্তান কিছুটা সুস্থ হলে জিনের বাদশা তরিকুলের বিভিন্ন কেরামতি দেখতে থাকি। একপর্যায়ে জিনের বাদশা বলেন, আমাকে যখন তোরা এনেছিস, তখন তোদের আর কোনো দুঃখ–কষ্ট থাকবে না।’

খালেক মামলায় আরও বলেন,জিনের বাদশা বলেন, বল, তোদের কত টাকার প্রয়োজন? আমি তখন জিজ্ঞাসা করি, কীভাবে টাকা দেবেন? তখন জিনের বাদশা বলেন, এক বালতি পানি দে। এক বালতি পানি দেওয়ার পর তরিকুল বালতির মধ্যে কিছু কাগজ ও এক হাজার টাকার নোট ছেড়ে দেন। তখন অনেকগুলো এক হাজার টাকার নোট তৈরি হয়।’

খালেক প্রথম আলোকে বলেন,তরিকুল সব সময় বলতেন, তাঁর কাছে জিন আসে। দাতে টোকা দিলেই জিন চলে আসত। এরপর নানা কেরামতি দেখাতেন তরিকুল। কয়েকবার আমার হাতে টাকাও দিয়েছেন। একপর্যায়ে আরও অনেক টাকা বানিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করি। তখন তরিকুল বলেন, আরও টাকা বানিয়ে দেব। তবে একটা কাজ করতে হবে। পৃথিবীতে যত মসজিদ আছে, সেখানে পবিত্র কোরআন শরিফ কিনে দিতে হবে। আমি জিজ্ঞাসা করি, কত টাকার প্রয়োজন। তখন তরিকুল বলেন, জিনের বাদশা এসে বলে দেবে। পরে একটা পাত্রে রাখা কাগজ ওঠাতে বলেন তরিকুল। সেখানে লেখা ছিল, ৫৬ হাজার কোরআন শরিফ কিনতে ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা প্রয়োজন। আমি টাকা দিতে রাজি হই।’

খালেক বলেন, এরপর তরিকুলের নির্দেশে তাঁকে ছয়টি প্যাকেট এনে দেন। এগুলোর মাধ্যমে তরিকুল তাঁকে কয়েক কোটি টাকা বানিয়ে দেবেন। পাশাপাশি কোরআন শরিফ কেনার জন্য তরিকুলকে টাকা দিতে থাকেন। তরিকুলের কথামতো নদীতে সাত লাখ টাকা ফেলে দেন বলে জানান তিনি।


খালেক আরও বলেন, তরিকুল একপর্যায়ে তাঁকে টাকা বানানোর প্যাকেট ধরিয়ে দেন। তবে কোরআন শরিফ কেনার পুরো টাকা না দেওয়া পর্যন্ত প্যাকেট খুলতে নিষেধ করেন। তরিকুলের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ৭ মার্চ পর্যন্ত তিনি তাঁকে ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা দেন। বাকি টাকা না দেওয়া পর্যন্ত তাঁদের দেওয়া টাকাভর্তি বাক্স খুলতে নিষেধ করেন তরিকুল। এরপর তরিকুল ও তাঁর সহযোগী আবদুল্লাহ যশোরে চলে যান। কোরআন শরিফ কেনার বাকি টাকা দিতে বলেন।

মামলায় খালেক দাবি করেন,আমি ও খোকন তরিকুলের দেওয়া বাক্স খুলে দেখি, বাক্সে কেবল কাগজ। কোনো টাকা নেই।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে তরিকুল ও তাঁর সহযোগী খালেকের কাছ থেকে কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছেন। আর খালেকের পূর্বপরিচিত খোকন প্রথম আলোকে বলেন, ‘জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে তরিকুল আমার সঙ্গেও প্রতারণা করেছেন। আমিও ফাঁদে পড়ে তাঁকে কয়েক লাখ টাকা দিয়েছিলাম।

তথ্যসূত্র প্রথম আলো।

লেখাটি শেয়ার করার উদ্দেশ্য হলো- এই ২০২৪ সালে এসেও খোদ ঢাকা শহরে যদি এ ধরণের কান্ড ঘটে; তাহলে শত বছর আগের গ্রাম বাংলার কি ভয়াবহ চিত্র ছিল তা ভাবতেই গা গুলিয়ে উঠে। ২০১০/১২ সালের দিকে মিরপুরে এক ব্যক্তির কাছ থেকেও ৩/৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছিলো জ্বীনের বাদশা নামক আরেক প্রতারকের মাধ্যমে। জ্বীনের বাদশা নামক এমন ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে দেশে কিন্তু এসবের বিরুদ্ধে তেমন কোন জনসচেতনা চোখে পড়ছে না।

আর্থিক প্রতারণার ঘটনাগুলোতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমি সাধারণত ভিকটিমকেই দোষারোপ করি, এই ঘটনাতেও আমি ভিকটিমকেই দোষ দেবো, একদম উচিৎ শিক্ষা হইছে ছাগলটার, প্রতারক চক্রগুলো এ ধরণের প্রতারণার ঘটনা আরও বেশি বেশি ঘটাক আমি সেটাই চাই, এইসব গবেট লোকদের একটু শিক্ষা হওয়ার দরকার আছে।

মুসলিম দেশগুলোতে জ্বীনের উৎপাতের শেষ নেই, আর আমাদের ভাঙ্গাদেশ হচ্ছে জ্বীনের জন্য এক উর্বর ভূমি, দেশের অন্তত ৮০% জনগণই জ্বীন বিশেষজ্ঞ। সবাশ বাংলাড্যাশ।

জ্বীন নিয়ে আরও পড়ুন

‘জিন’ তাঁকে অন্তঃসত্ত্বা করেছে :-<


মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:১৫

সোনাগাজী বলেছেন:



ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর সাহেবর ভগ্নিপতির ১টা জ্বিন আছে, মনে হয়।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৩২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমারও এক বন্ধু রয়েছে যে অনেক বড় এক জ্বীন বিশেষজ্ঞ, সে মানুষকে উপদেশ দেয় বাসায় বিড়াল পালন করার জন্য, বাসায় বিড়াল থাকলে নাকি জ্বীনের উৎপাত থাকে না।

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:১৩

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: লোভ বড় বিচ্ছিরী জিনিস। টাকার লোভ কম বেশি সবার। একে টাকার লোভ, দুই ধর্মের নামে মনকে নরম করা, এই দুইয়েই কেল্লাফতে করেছে।

এ খবর পড়েছিলাম। এসব কাজ যারা করে, তারা কথা বার্তায় খুবই বাকপটু। কথার মারপ্যাঁচে ফেলে পুরো সম্মোহিত করে ফেলে৷

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: দুয়ে দুয়ে কেল্লাফতে হয়েছে, একদম ঠিক বলেছেন। যে মানুষ যতবেশী অজ্ঞ তাদের সম্মোহন করা তত সহজ।

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:০২

বিষন্ন পথিক বলেছেন: এরকম জ্বিন পালকদের খপ্পরে পড়ার বড়ই সাধ আমার, তাদের আচরণ, কথা বার্তা খুবই ইন্টারেস্টিং হবার কথা

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমার হাতে সবসময়ই দুই/চারজন স্ক্যামার (অর্থিক প্রতারক) থাকে যাদের আমি মাসের পর মাস লোভ দেখিয়ে আমার পিছনে ঘুরাই তারপর উল্টো এদের কাছ থেকেই ফাঁয়দা লুটি। এদের কার্যক্রম কিভাবে চলে তা বুঝার জন্যই আমি মূলত এসব করি, এসব নিয়ে পোস্ট করলে ইতিহাস হয়ে যাবে এবং মানুষের সচেতনতা একটু বাড়বে। তবে জ্বীন বাবাদের খপ্পরে কোনদিন পরিনি।

ভালো থাকবেন।

৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:১০

মোঃ রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: মানুষের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। এরকম বিপদ থেকে সবাই রক্ষা পাক সে কামনা করছি। জ্বীনের বাদশাহ্ রা সাবধান হয়ে যান প্রতারণা একটি ঘৃণিত এবং জঘন্য অপরাধ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এসব ঘটনাকে বিপদ হিসেবে দেখার কোন প্রশ্নই আসে না, এসব হচ্ছে অজ্ঞানতার ফসল।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৫:৫২

কামাল১৮ বলেছেন: এটা অনেক পুরনো প্রতারণা।আবার আসছে নতুন করে।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আসলে নতুন করে আসে নাই, ঘুরে ফিরে সারাবছরই দেশে এসব ঘটছে।
যারা প্রতারণার শিকার হয় তাদের শাস্তি হওয়া উচিৎ।

৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৩৭

আলামিন১০৪ বলেছেন: আমার মনে হয়..মিথ্যা অভিযোগ.. ঘটনায় কোন ঘাপলা আছে

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: যাহা রটে তার কিছু না কিছু ঘটেও বটে।

৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৪৩

জুন বলেছেন: ইদানীং এত ছাগলো মানুষ হয়? এখন দুনিয়া কত বিস্তৃত, খবরাখবর কত দ্রত ছড়ায়। তারপরও। অতি লোভে তাতী নষ্ট যাকে বলে।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আসলে দেশে বোকা অথচ লোভী মানুষের অভাব নেই, এত এত প্রচারণা, বিজ্ঞাপন সত্তেও এখনো দেশে প্রতিদিন বিকাশ প্রতারণার ঘটনা ঘটছে।



আসলে- অর্থ বিষয়ক, ধর্ম বিষয়ক এবং প্রেম এই তিনটি বিষয়ে মানুষের কমনসেন্স লোপ পায়।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: জনস্বার্থে বিজ্ঞাপনটি সবার মাঝে শেয়ার করে দিন:

৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:১৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আলামিন১০৪ বলেছেন: আমার মনে হয়..মিথ্যা অভিযোগ.. ঘটনায় কোন ঘাপলা আছে
এই ঘটনাটি সত্যি নাকি মিথ্যা সে কথা নিশ্চিত করে আমি বলতে পারব না। তবে একই ধরনের, একই প্যাটার্নের ঘটনা আমার এক আত্মীয়ের সাথে হয়ছে। তিনি এখনো সেই ধরনের ফ্যান্টাসি থেকে বের হতে পারেননি! এখনো দেদারসে টাকা খরচ করে যাচ্ছে, কারো কথা শুনছে না। উনাকে নাকি জিনের বাদশা সোনার থালা ও সোনার বল দেবে!

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এসব ঘটনা দেশে প্রতিনিয়তই ঘটছে, জনাব আলামিন৪২০ নিজেই একজন জ্বীন বিশেষজ্ঞ তাই তিনি ঘটনাগুলোকে ধামাচাপা দেওয়ার বৃথা চেষ্টা করছেন।

৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৮

ধুলো মেঘ বলেছেন: "বিকাশ প্রতারকের সাথে কিভাবে মজা নিলাম" - এরকম ভিডিওতে ইউটিউব ফেসবুক ভরে গেলেও চিত্রনায়িকা দীঘি এই ২০২৪ সালে এসেও এদের খপ্পড়ে পড়ে দেড় লাখ টাকা খুইয়েছে। আর ছাগল পুলিশের দলও আবার তার অভিযোগ আমলে নিয়ে সেই টাকা তার হাতে তুলে দিয়েছে।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অদ্ভুত বড়ই অদ্ভুত! এই দীঘি'কে কিছুদিন আগে দেখেছিলাম পিচ্চি, এখন দেখি নায়িকা হয়ে গেছে। তৌহিদ আফ্রিদির সাথে তার রসায়ন জমে ক্ষীর। :)

১০| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আমি জ্বিনকে খুব পছন্দ করি।
আমি বাড়িে জ্বিন পালবো ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমি আজ কাউকে একটা জ্বীন উপহার দিবো ভাবছি। ;)

১১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: আমাকে একবার জ্বীনের বাদশা রাত ৩ টায় কল দিয়ে বলে, তোর জন্য একটা স্বর্ণ মুদ্রার ডেগ আছে, ওটা নিতে চাইলে আমি যা যা বলবো, তোকে তাই তাই করতে হবে।
কথার এক পর্যায়ে বললো আমাকে ১০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠাতে হবে ২৪ ঘন্টার মধ্যে...
আমি বললাম, প্লিজ কাউকে দিয়েন না। ১ মাসের মত অপেক্ষা করেন। আমি বেতন পাইনি!
লোভী জ্বীনের বাদশা বলে, কারও কাছ থেকে ধার নিয়ে বিকাশ করতে...
আমি বললাম, আমি এতই গরীব যে, আমাকে কেউই এতগুলো টাকা একসাথে ধার দেবে না, আপনি আমাকে আগে মুদ্রার ডেগটা দেন, পরে সেখান থেকে কিছু স্বর্ণ বিক্রি করে, আপনাকে বিকাশে টাকা পাঠাব...
পরে জ্বীনের বাদশা বিরক্ত হয়ে কল কেটে দিলো...

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হে হে.... আমি এক লটারী বাটপারকে তিন দিন ঘুরাইছিলাম তাকে ২০ হাজার টাকা দিবো বলে। আমি তাকে পরিচয় দিয়েছিলাম আমি আমার বড় ভাইয়ের মুরগীর খামারে কাজ করি, বড় ভাই এখন ঢাকা আছে গ্রামে আসলে তারপর তার কাছে থেকে মুরগীর খাদ্য কিনার কথা বলে ২০ হাজার টাকা নিবো। ওই প্রতারকটি আমার সাথে প্রতিদিন কম করে হলেও ৫ ঘন্টা করে কথা বলে আমাকে মোটিভেটেড রাখার চেষ্টা করতো, আমিও সেই লেভেলের অভিনয় করেছিলাম। =p~

১২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫১

রাােসল বলেছেন: এই তথ্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবা।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২১

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বীন টিন কোনোদিন মানুষের উপকার করলো না। বারে বারে ক্ষতিই করে গেলো।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: প্রাগ ঐতিহাসিক এসব কাল্পানীক প্রাণী, ভাবনা, আদর্শ মানুষের জন্য কখনো কল্যাণকর হতে পারে না, আমাদের এসব প্রাচীনপন্থী ফ্যান্টাসি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

১৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আহারে মানুষ কত আলাভোলা!

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এসব আলাভোলা মানুষজন সভ্যতার অগ্রগতিতে প্রধান অন্তরায়, এরা সমাজের বোঝা।

১৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: এই আধুনিক যুগে এসেও মানুষ কেন যে ভুলের মধ্যে থাকে!!

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: দ্বিতীয়বার আসার জন্য ধন্যবাদ।

আচ্ছা, সবাই বই বের করছে আপনি কোন বই লিখছেন না কেন? আপনি তো লেখালেখিতে যথেষ্ট পরিমাণ সময় দেন তাহলে বই কেন নয়?

১৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: প্রশ্ন হল এক কোটি চৌষট্টি ষাট লাখ অনেক টাকা, যার কাছে এত টাকা আছে সে এমন কাঙ্গাল ভিখেরি টাইপের হবার কথা নয়।
এখানে দুই জনই প্রতারক।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কিছু মানুষ আছে যারা শতকোটি টাকার মালিক কিন্তু বেশভূষা, চলাফেরা, চিন্তাধারা সব ফকিরের লাহান।

যে এতগুলো টাকা এভাবে নষ্ট করতে পারে সে নিশ্চিত ভাবেই প্রতারণার মাধ্যমে উক্ত টাকার মালিক হয়েছে, কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে কেউ জুয়া খেলে নাা।

১৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪৫

আলামিন১০৪ বলেছেন: ও জ্যাক ভাই, ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে যদি একটা পোস্ট দিতেন!!

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হুমম.. ম্যাগনেটিক পিলার, পুরোনো মুর্তি এসব নিয়েও অনেক প্রতারণার ঘটনা ঘটে, এসব ক্ষেত্রে দু'পক্ষই প্রতারক। আসলে পুরো দেশটাই প্রতারকদের একটা আখড়া।

১৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




আমার আছে জিন।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমি গতরাতে ২ টা ধরে বোতলে বন্দি করছি, এখন তাদের পোষ মানানোর চেষ্টা করতেছি।

১৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পোষা জীন থাকলে সে অনেক দূর থেকে হাড়ি/ প্যাকেট ভর্তি মিষ্টি এনে খাওয়াতে পারে। এই পোস্টে আসল জীন নাই। যে কারণে প্রতারণার শিকার হয়েছে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমি একটা আসল জ্বীন ধরার চেষ্টা করতেছি, ওটা দিয়ে বান্ডিল, বান্ডিল ডলার জমা করবো। তবে আমি কারো সাথে প্রতারণা করবো না, আমি সবাইকে ১ ডলার থেকে হাজার হাজার ডলার বানিয়ে দিবো। B-)

২০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪

বাউন্ডেলে বলেছেন: জ্বিনের বাদশাদের কোন ভুল নাই। এরা ঠিক কাজগুলাই করে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: জ্বিনের বাদশারা যা করে একদম ঠিক কাজই করে, এই দেশের মানুষের একটু শিক্ষা হওয়ার দরকার আছে।

২১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

এম ডি মুসা বলেছেন: জীন কি মানুষ কাজ করে? এইসব আমার বিশ্বাস হয়না।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: জ্বীন অবশ্যই মানুষের কথা শুনে, আমাদের চুয়াত্তর ভাইকে মিষ্টি এনে দেয় জ্বীন। আমিও দুইটা বোতলে বন্দি করছি ওদের দিয়ে ডলার আনার ব্যবস্থা করবো।

২২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৩

এম ডি মুসা বলেছেন: @বুঝলাম। আমাকে কিছু ডলার দিলেও কাজ তো। সেীদি আরব নাকি নতুন সোনার খনি আবিস্কার হয়েছে। তাই সেখান থেকে কিছু সোনা বাংলাদেশে আনার অনুরোধ করেন। জ্বীন দিয়ে। তারপর দেশের সোনার দাম কমবে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বাণিজ্যিকভাবে জ্বীন পালনের একটি ফর্মুলা দেখিয়েছিলাম আমার কোন এক পোস্টে, নিচের এই লেখাটুকু তার চুম্বক অংশ-

অতঃপর তাদের কাজ হবে- পশ্চিমা বিশ্ব তথা ইহুদী নাসাড়াদের হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করা, আর এ জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে এয়ার ডিফেন্স না কিনে বাংলার আকাশ নিরাপদে রাখার জন্য জ্বীনদের পাহারায় বসাতে হবে, পশ্চিমাদের আছে মিসাইল আর আমাদের থাকবে জ্বীন, এক জ্বীনে এক থাবরা দিয়ে হাজারটা মিসাইল মহুর্তেই ভূপাতিত করে দেবে সুতরাং আমাদের কোন ভয় নেই। তাছাড়া আমরা বিশ্বের অন্যান্য দেশেও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে জ্বীন এক্সপোর্ট করার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি, সুতরাং আমাদের আর কোন অর্থনৈতিক সমস্যাও থাকবে না আর এভাবেই আমারা সুখি সমৃদ্ধির এক সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারি।

২৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২

Mariah বলেছেন: Embrace your strengths, honor your needs, and continue to cultivate a life that aligns with your values and interests. https://mapsdrivingdirections.io

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:২৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: প্রতি ১ হাজার ইউনিক ভিজিটেরর জন্য কত ডলার পান? আপনি চাইলে আমি আপনাকে হাজার হাজার বিদেশী ইউনিক ভিজিটর এনে দিতে পারি, প্রতি হাজারে কত দিবেন বলেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.