নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদর্শ আহেমদ

আদর্শ আহেমদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুন্নীদের বন্ধু

২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:০০







আওয়ামীলিগ কি সুন্নীদের বন্ধু ??????????----------



এ প্রসঙ্গে শত শত উদাহরন দেয়া যায়----

তবে আমি শুধুমাত্র তিনটি বিষয়ে আলোচনা করব।

ঞ্জানী লোকের জন্য অল্প উদাহরনই যতেষ্ট।



আওয়ামীলিগঃ



১। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলিগ ক্ষমতায় আসার পর

ধর্ম মন্ত্রনালয় ১২ ই রবিউল আউয়াল সীরাতুন্নবী পালনের

ঘোষনা দেয়। আওয়ামীলিগ ধর্ম মন্ত্রনালয়ের এই

ঘোষনার বিরুদ্ধে সেদিন একটি বিবৃতিও দেয় নি।

বরং সুন্নী মতাদর্শ ভিত্তিক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ

ইসলামী ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা এই ঘোষনার প্রতিবাদে সপ্তাহ ব্যাপী কর্মসূচী (হরতাল) আহবান করেছিল।

এই আন্দোলনের চাপে পড়েই তৎকালীন সময়ে

সরকার ১২ ই রবিউল আওয়াল মিলাদুন্নবী

(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঘোষনা দিতে বাধ্য হয়েছিল

(নিজ ইচ্ছায় বা সিদ্ধান্তে নই---বাধ্য হয়ে)।



২। তবলিগ এর ইজতেমার জন্য শত শত একর জমি

বরাদ্দ দিলেও সুন্নী মুসলমানদের সবচেয়ে বড় সম্মেলন জশনে

জুলুছ এর জন্য নূন্যতম জমিও বরাদ্দ দেন নি। এই সংগঠনের চট্রগ্রামের এক নেতা যিনি চট্রগ্রামের রাজনীতিতে বড় হুজুর

বলে খ্যাত তিনি একদিন একটি বৈঠকে বলেছেন---“সুন্নীরা

আমার লাভও করতে পারবে না, ক্ষতিও করতে পারবে না।”এই নেতাই একবার জশনে জুলুছে একবার হুজুর কেবলা

সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মাঃজিঃআঃ) কে বহনের জন্য

একটি নৌকা আকৃতির খোলা গাড়ি দিয়েছিলেন। তাতে হুজুর কেবলা উঠার আগেই জামেয়ার ছাত্ররা সেটি ভেঙ্গে দিয়েছে।

কারন, সেদিন যদি হুজুর কেবলা সেই গাড়িতে উঠতেন তাহলে বাতেল পন্থিরা সেদিন থেকে হুজুর কে আওয়ামী পীর হিসাবে ঘোষনা দিত---এটা নিশ্চিত।



৩। আওয়ামীলিগ যদি সুন্নীদের বন্ধু হত তবে জামায়াত ও

ওহাবীদের বই গুলো বাজেয়াপ্ত করত--পাঠ্যবই সমূহে সুন্নী

আক্বিদা গুলো তুলে ধরত---রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে ‍মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) চালু করত---আল্লাহর অলীদের জীবনীগ্রনন্থ গুলো কেন্দ্রীয়ভাবে প্রকাশ করত----যার একটাও করেন নি।



আওয়ামীলিগ সবসময় সুন্নীদের বন্ধু সেজে সুন্নীদেরকে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার অপচেষ্টা চালিয়েছে---এখনও এটাই তাদের মূল লক্ষ্য---ইনশা-আল্লাহ তারা এটা পারবে না।

কোন সময় তারা সুন্নীদের বন্ধু ছিলেন না। তাই আমার ভাইয়েরা যারা সুন্নীদের কে ভূল বুঝেন---দয়া করে আজ থেকে আপনারা আমাদেরকে আর ভূল বুঝবেন না।



বি.এন.পি ও অনুরুপভাবে আমাদের বন্ধু নই ।

স্ট্যাটাস দীর্ঘ হয়ে যাবে বলে আমি সেই প্রসঙ্গে আলোচনা

করলাম না । ইনশা-আল্লাহ আর একটি পোষ্ট-এ তাদের

সম্পর্কে আলোচনা করব। আমাদের সাথেই থাকুন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:১০

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

আমি যতদূর জানি আমি সূন্নি , কিন্তু ভাই এই জশনে জুলুছ টা কি, কিছুইতো জানিনা!!! এখন আমার প্রশ্ন হইল আমি কি সুন্নি ???

আর সিরাতুননবী পালনে কি হয় ?? ?? আর না পালনেই কি হয় ??? জন্মাষ্টমী আর বড় দিনের মত হয়েগেলনা ???? আমি পালন করি না, আমি কি পাপি ???

ধর্ম আর পলিটিকস অতপ্রত ভাবে জড়িত, কিন্তু চিন্তাটা আরেকটু বড় করলে হয় না !!!!!?????

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪

বাংলাদেশি বাংগালী। বলেছেন: tar por o to awami lik er shathe jot koro

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮

পদ্মা_েমঘনা বলেছেন: এই ধরনের পোষ্টের কারণে সত্যিকার ইসলাম সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ পোষ্টগুলিও কোন গুরুত্ব পাচ্ছে না! লেখক, কিছু মনে করবেন না কি বলতে চাচ্ছেন আগে নিজের কাছে ক্লিয়ার হোন। বিশ্বের কোন কোন দেশে জশনে জুলুস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হচ্ছে রেফারেন্স দিন। ধন্যবাদ।

৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩

হতাশ নািবক বলেছেন: আমি যতদূর জানি আমি সূন্নি , কিন্তু ভাই এই জশনে জুলুছ টা কি, কিছুইতো জানিনা!!! এখন আমার প্রশ্ন হইল আমি কি সুন্নি ???

আর সিরাতুননবী পালনে কি হয় ?? ?? আর না পালনেই কি হয় ??? জন্মাষ্টমী আর বড় দিনের মত হয়েগেলনা ???? আমি পালন করি না, আমি কি পাপি ???

বিশ্বের কোন কোন দেশে জশনে জুলুস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হচ্ছে রেফারেন্স দিন।

সহ মত।।।।

প্রশ্ন গুলোর উত্তর আশা করি, নচেৎ ধর্ম নিয়ে ধান্দাবাজি ধরে নিবো।

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩৩

আদর্শ আহেমদ বলেছেন:
মুদদাকির আল্লাহ পাক বলেছেন যে যখন তোমাদের উপর কোন খুশির খবর আসে তখন তোমরা আনন্দ উদযাপন কর। এই ইদে-মিলাদুন্নবী হল সকল ঈদের সেরা ঈদ। এইছাড়া তোমাদের আল্লাহর রাসুল(সঃ) যা দেন, তোমরা তাই গ্রহন কর, আর তিনি যা নিষেদ করেন টা থেকে বিরত থাক।(সুরা হাসর-৭)।
নাউযুবিল্লাহে মিন জালেক, এইটাকে আপনি জন্মাষ্টমীর সাথে তুলনা করলেন? আপনাকে সুন্নি বলা যাই না। আর হা যারা নবীর আগমনে খুশী নয় তাদের জন্য অবশ্যয় পাপের কাজ। আর আল্লাহ নিজেই কোরানে পাকে বলেন হে রাসুল(সঃ) আমি আপনাকে সমগ্র জাহানের রহমত হিসাবে প্রেরন করেছি। আশা করি আমার প্রশ্নের জবাব পেয়েছেন।

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩৫

আদর্শ আহেমদ বলেছেন:

হতাশ নাবিক
বর্তমান বিশ্বে কোথায় হচ্ছেনা সেটা বলুন?

৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩৮

আদর্শ আহেমদ বলেছেন:
বাংলাদেশী কাঙ্গালি আপনার জানার মাঝে ভুল আছে। আমরা কখনো কারো সাথে জোট করিনাই এবং ভবিষ্যতেও করবোনা

৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৫০

আদর্শ আহেমদ বলেছেন: >>নবীর ইলমে গায়েব নিয়ে আহম্মক শফীর ধোঁকাবাজীর গোমর ফাঁস<<

=> শফী সাহেব তার লিখিত 'সুন্নাত- বিদআতের সঠিক পরিচয়' কিতাবে ১৩০নং পৃষ্ঠা থেকে শুরু করে ১৩৫ নং পৃষ্ঠা পর্যন্ত নবী ইলমে গায়েবের খবর (অদৃশ্য জ্ঞান) জানেন না তা পবিত্র কোরআন থেকে প্রমাণ করতে গিয়ে বেশ কয়েকটি কোরআনের আয়াত উক্ত কিতাবে তুলে ধরেছেন।

যে আয়াতগুলো সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেগুলো নবীর শানে ব্যবহার করে চরম বেয়াদবী তো করেছে। আরো আশ্চায্যের বিষয় হচ্ছে নবীর ইলমে গায়েবের সমালোচনা করতে গিয়ে দেখি সূরা জ্বিনের ২৫ নং আয়াত পর্যন্ত এগিয়েছেন। তার বেশি এগুতে পারে নাই কারণ তার পরের আয়াত ২৬ থেকে ২৭ নং আয়াতের তরজমা করতে গেলে তার গোমরাহী প্রকাশ হয়ে যাবে নবীর ইলমে গায়েবের ক্ষমতার অধিকারি তা প্রমাণ হয়ে যাবে। আমি এখানে সূরা জ্বিনের ২৬ থেকে ২৭ নং আয়াতে আল্লাহ যা বলেছেন তার তরজমা উল্লেখ করছি "অদৃশ্যের জ্ঞাতা, সুতরাং আপন অদৃশ্যের উপর কাউকেও ক্ষমতাবান করেন না; আপন মনোনীত রসূলগণ ব্যতীত, যেহেতু তাঁদের অগ্রে- পশ্চাতে পাহারা নিয়োজিত করে দেন ;"।

নবী ইলমে গায়েবের অকাট্য প্রমাণ যেমন সূরা আলে এমরানের ৪৯, তাকবির এর ২৪, নজমের ১০ নং আয়াত গুলো তার উক্ত কিতাবে আনেন নাই। আনবেনই বা কি করে ওনি তো নবীর ইলমে গায়েব জানেন না তা প্রমান করতে উক্ত আয়াত গুলো তার কিতাবে স্থান দিয়েছেন।

আরো আশ্চায্যের বিষয় হচ্ছে তারা সহীহ হাদিস ছাড়া কিছু বুঝে না, কিন্তু উক্ত কিতাবে সহীহ হাদিস গ্রন্থসমূহের শীর্ষে থাকা বুখারী, মুসলিম, নাসায়ী, আবূ দাউদ, তিরমিযি, ইবনে মাজাহ শরীফ থেকে কোন হাদিস শরীফ উল্লেখ করে নাই। ঐখানে তেমন গ্রহনযোগ্য কোন হাদিসের উদৃতি দেন নাই। এভাবেই কোরআন হাদীসের অপব্যাখ্যা করে এইসব গোস্তাকে রাসূলরা তাদের লেখনীর মাধ্যমে বক্তব্যের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ইমান নষ্ট করতেছে।

ইসলামী ভাইয়েরা সাবধান সতর্ক এই সব ধোঁকাবাজদের কাছ থেকে। বুখারী শরীফের ৬২৩০, মুসলিম শরীফের ২৮৯১, তিরমিযী শরীফের ২১৯১, আবূ দাউদ শরীফে ৪২৪ নং হাদিসে উল্লেখ আছে, হযরত আমর ইবনে আখতার রাদ্বিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত, রাসূল ﷺُ সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যা হয়েছিল ভবিষ্যতে যা হবে সব কিছু বলে দিয়েছেন। ভাইয়েরা একবার চিন্তা করুন সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যা হয়েছিল ভবিষ্যতে যা হবে তা কে বলতে পারেন ? যার কাছে সে জ্ঞান আছে ওনিই তো বলতে পারেন।

আর আল্লাহ আমার নবীকে ইলমে গায়েব জানিয়ে দিয়েছেন এতে সমস্যা কোথায় বুঝলাম না।

কোরআন হাদিসেও তো যতেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। আল্লাহ সকলকে বুঝার তৌফিক দিন।

আমিন !!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.