![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম"
"মওদূদী পন্হী জামাত-শিবির ফিতনা কে সতর্ক থাকুন"। এই বইটি কওমীদের,এতে কওমী আলেম? ৫০০০সাক্ষর নিয়েছে। যে সব হেফাজতিরা জামাত করে তাদের শিক্ষা নেয়া উচিত।
"হাদিসে জিবরাঈল" নামে প্রসিদ্ধ হাদিস যা বুখারি মুসলিম প্রভৃতি কিতাবে বর্ণিত হয়েছে তার শেষভাগে রাসূল (দরূদ পড়ুন) বলেছেন, ইনি হলেন জিবরাইল, তোমাদের দ্বীন শিক্ষাদিতে এসেছেন, এ হাদিসে ঈমান,ইসলাম,নামায,রোযা,যাকাত এবং ইহসান তথা এখলাস ও তাসাউফ ইত্যাদি সম্পর্কে বর্ণনা রয়েছে, এথেকে বুঝা যায়, ঈমান,নামায,রোযা,হজ্ব,যাকাত, ইহসান তথা তাসাওউফ পভৃতিকেই দ্বীন বলে।
কোনআন কারিমে ইরশাদ হয়েছে: নিশ্চয় ইসলাম হল আল্লাহয় একমাত্র মনৌনিত দ্বীন । হাদিস জিবরাঈলে হুজুর (দ) নামায, রোযা, হজ্ব যাকাতের কথা উল্লেখ করেছেন, এর থেকে বুঝা যায় যে এগুলোকে দ্বীন বা ধর্ম বলে ।
*মওদূদী/জামাত/শিবিরের দৃষ্টি ভঙ্গি*
*"দ্বীন মূলত: রাষ্ট্র , সরকারকেই বলা হয়, শরীয়ত হইতেছে উহার আইন, এবং উহার আইন ও নিয়ম-প্রথা যথারীতি মানিয়া চলাকেই বলা হয় ইবাদত" -(মওদূদী কৃত খুতবাত ৩২০পৃঃ, মারকাজী মাকতাবায়ে ইসলাম দিল্লী১৯৮৯,৩য় সংস্করণ। অনুবাদ গ্রন্হঃ ইসলামের বুনিয়াদী শিক্ষা২৭৯পৃঃ আধুনিক প্রকাশনি১৯৯৪ইং ৮ম সংস্করণ।)
*পর্যালোচনাঃ*
মওদূদী সাহেব দ্বীনের পরিচয় পরিপর্তন করে ফেল্লেন. এতে স্পষ্ট বুঝা যায় যে. তিনি নতুন একটি ধর্মই প্রবর্তন করতে চেয়েছেন, তার মতে ঈমান, নামায, রোযা, হজ্ব,যাকাত এগুলি আসল দ্বীন নয়। বরং দ্বীন হচ্ছে রাষ্ট্র সরকারের নাম। তার মতে ইবাদত বন্দেগীর জন্য আন্দোলন করা জেহাদ নয় বরং রাষ্ট্র প্রতিষ্টার জন্য সংগ্রাম-ই জিহাদ।
মওদূদী সাহেব এভাবে দ্বীনের পূর্ণ পরিচয়টাকে পরিবর্তন করে, রাষ্ট প্রতিষ্ঠার আন্দোলনই যে একমাত্র দ্বীনী আন্দোলন এবং জেহাদ, এ কথাটা তার দলীয় কর্মীদের মনে বদ্ধমূল করার চেষ্টা করেছেন এবং ঈমান-আক্বীদা,নামায,রোযার প্রতি আহব্বান আসল দ্বীনী দাওয়াত নয়, একমাত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহব্বানের নামই দ্বীনী দাওয়াত একথা তার অনুসারীদের অন্তরে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
* ইসলামের হাকিকত সম্পর্কে প্রসিদ্ধ হাদিসে জিবরাঈলে রাসূল (দ) ইরশাদ করেছেন, ইসলাম হল একথা সাক্ষ্য দেয়া , আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই , হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল, এবং নামায কায়েম করা, যাকাত দেয়া, রমজানে রোযা রাখা এবং সামর্থ থাকলে হজ্ব করা। (বুখারী ও মুসলিম শরীফ) ।
*হযরত ইবনে ওমর থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইসলামের ভিত্তি রাখা হয়েছে পাঁচটি জিনিসের উপর, যথা: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর সাক্ষ্য দেয়া, নামায কায়েম করা,যাকাত দেয়া,হজ্ব করা ও রমজানে রোযা রাখা ।(বুখারী শরীফ)
মোট কথা , উপরোক্ত বিধানাবলীর প্রতি বিশ্বাসী ও আমলকারীকেই মুসলমান বলা হয়।
*মওদূদী দৃষ্টিভঙ্গি*
*কিন্তু প্রকৃত ইসলাম কোন 'ধর্ম ' এবং কোন মুসলমান এবং জাতির নাম নয়। ইসলাম হচ্ছে মূলত: এক বিপ্লবী মতবাদ ও মতাদর্শের নাম। গোটা দুনিয়ার সামাজিক ও সামগ্রিক ব্যাবস্হাকে পরিবর্তিত করে নিজস্ব মতবাদ ও মতাদর্শের ভিত্তিতে তাকে পুনর্গঠিত করাই হচ্ছে এর লক্ষ্য , আর মুসলমান হচ্ছে এক আন্তর্জাতিক বিপ্লবী দলের নাম-নিজের ইস্পিত বিপ্লব প্রোগ্রামকে বাস্তবায়িত করার জন্যই ইসলাম একে সংগঠিত করেছে। আর এই উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্যে গৃহিত বিপ্লবী চেষ্ঠা-সাধনা ও চুড়ান্ত শক্তি প্রয়োগেরই নাম হচ্ছে জিহাদ '। ( তাফহীমাত পৃঃ৭৭,খন্ড -১,সংস্করণ-১৫, বাংলা অনুবাদ ,নির্বাচিত রচনাবলি র্পৃএঃ ৭৫।
চলবে.....
*মাঁইতো বিমারে নবীহোঁ*
©somewhere in net ltd.