![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটি হত্যাকান্ড একটি পর্যালোচনা”
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত রাঙ্গুনীয়া উপজেলার অর্ন্তগত শিলক ইউনিয়নের শ্রদ্ধাভাজন সভাপতি জনাব মাওলানা আবু ছৈয়দ গত ২৮ মার্চ এক জামায়াত কুলাঙ্গারের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হয় !
এর আগে আমাদের (আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত) আরো চারজন শহীদ আছেন যথাক্রমে, হালিম, লিয়াকত, নঈম এবং সাইফুল ! সবাই জামায়াত ও ওয়াহাবী/হেফাজত অথবা ইসলাম নামদারী দলের নরপশু কর্তৃক !
পর্যালোচনায় আসি, ক্ষোভ ও হিংসা থেকে উৎপত্তি হলেও একজন মানুষের নফসকে নিয়ন্ত্রন করতে না পারলেই মূলত এই রকম হত্যাকান্ড ঘটাতে পারে ! তাই তাসাউফে একটি কথা আছে, প্রবৃত্তি বা নফসকে নিয়ন্ত্রনে রাখার ক্ষমতা মানুষকে মনুষ্যত্বের উচ্চতম স্থানে বসায় ! পক্ষান্তরে, প্রবৃত্তির বশীভূত মানুষ অবস্থান করে সর্বনিম্ম স্থরে ! তাহলে প্রশ্ন জাগে, জামায়াত ইসলামী সংগঠন করে একজন মানুষ কিভাবে এই রকম ঘৃন্য হত্যাকান্ড সংগঠিত করতে পারে ? ছাত্রলীগ হলে, ছাত্রদল হলে, কোন বামপন্থী সংগঠনের লোক হলে অথবা যেকোন মানবগড়া সংগঠন হলে বলতাম তারা তো ইসলামী দল নয় স্বার্থের জন্য অথবা নিজ মতাদর্শ প্রচারের জন্য তারা এই রকম ঘৃন্য কাজ করতেই পারে এবং তারা করছেও কিন্তু ইসলাম সাইন বোর্ড লাগিয়ে জামায়াতের এই কাজ মেনে নেওয়া কষ্টকর ! যদিও তারা কখনো কোন মন্দ কাজের দোষ স্বীকার করে না কিন্তু বুকে হাত, যদি কিঞ্চিত পরিমান ঈমান থাকে, তাহলে তারা কি অস্বীকার করতে পারবে, স্বার্থের জন্য (ইসলামের জন্য নয়) তারা ৭১ এ গনহত্যা করেনি ? বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে হল দখলের জন্য ছাত্রদল, ছাত্রলীগ অথবা সাধারন ছাত্রদের হত্যা করে নি ? আদর্শ প্রচারের জন্য কখনো মানুষ হত্যা করা লাগে না ! আদর্শ সঠিক হলে এমনিতে প্রতিষ্ঠিত হবে, তবে ধৈয্য ধরতে হবে !
যাইহোক, সবকিছু মেনে নেওয়া গেলেও হত্যাকান্ড মেনে নেওয়া যায় না ! ইসলাম নাম নিয়ে বিপরীত আদর্শকে হত্যার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লুকায়িত থাকে !
বিষয়টি হলো “বিবেক”
আল্লামা ইকবাল বলেন – বিবেক যদিও মনজিল/লক্ষ্য চেনে না তবে বিবেক পথ প্রদর্শন করতে পারে ! তবে মনজিল/লক্ষ্য পর্যন্ত পৌছে দেওয়া তো প্রেমের কাজ !
তাই আমি বলি, শুধু বন্ধুকে নয় শ্রত্রুকেও ভালোবাসো কারন সে তোমার দোষগুলো ধরিয়ে দেয় যাতে তুমি শুধরাতে পারো !
জানাজা শেষে লাশ নিয়ে মিছিল : বিক্ষোভ ও নিন্দা অব্যাহত
রাঙ্গুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথম জানাজার জন্য ছুরিকাঘাতে নিহত সুন্নী নেতা মাওলানা আবু সৈয়দের লাশ নিয়ে আসলে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। শত শত সুন্নী আলেম ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। জানাজায় ইমামতি করেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মাওলানা এম. এ মান্নান। জানাজায় অংশ নেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলী শাহ, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আকতার হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা। জানাজা শেষে লাশ নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক প্রদক্ষিন করে রোয়াজারহাটে সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মাওলানা এম. এ মান্নান, প্রধান বক্তা ছিলেন মহাসচিব এম. এ মতিন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি অধ্যক্ষ তৈয়ব আলী, সাধারন সম্পাদক পীরজাদা গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি মাওলানা ইব্রাহিম আলকাদেরী, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার আহবায়ক পীরজাদা মাওলানা ওবাইদুল মোস্তফা নঈমী আশরাফী, হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন। উপজেলা ইসলামী ফ্রন্টের সাধারন সম্পাদক আলী শাহ নেছারী, সাংগঠনিক সম্পাদক করিম উদ্দিন হাসান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, উত্তর জেলার সভাপতি এইচ.এম শহীদ উল্লাহ, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার (দক্ষিন)সভাপতি এম. শাকুর, সাধারন সম্পাদক (দক্ষিন)ক.ম.ফ ইকবাল হোসাইন, সভাপতি(উত্তর) মো. ফোরকান, সাধারন সম্পাদক(উত্তর) বদিউল আলম প্রমুখ। সমাবেশে রোববার ও সোমবার উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে প্রতিবাদ সমাবেশ। মঙ্গলবার বিভিন্ন মসজিদে দোয়া মাহফিলের কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য শিলক ইউনিয়ন আহলে স্ন্নুাত ওয়াল জামায়াতের সভাপতি মাওলানা আবু সৈয়দকে গত শুক্রবার বিকাল ৫ টায় গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে জামায়াত কর্মী।
এদিকে মাওলানা আবু সৈয়দ নিহতের ঘটনায় সুন্নী সমমনা দলের নেতাকর্মীদের ক্ষোভ ও নিন্দা অব্যাহত রয়েছে। তারা অবিলম্বে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। এক বিবৃতিতে রাঙ্গুনিয়া পৌর সভার মেয়র খলিলুর রহমান চৌধুরী, বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মাওলানা ওবাইদুল হক হক্কানী ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
"আল্লাহর প্রিয় হাবীব(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হাজের ও নাজের"। আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তায়ালা তাঁর প্রিয় হাবীব, আমাদের আক্বা ও মাওলা হযরত মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)কে হাজের ও নাজের করে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেনঃ ياليهاالنبي اناارسلنك شاهداومبشراونذيرا وداعياالي الله باذنه وسرجامنيرا অর্থ হে নবীঃ (গায়েবের সংবাদদাতা) নিঃসন্দেহে আমি আপনাকে হাজের ও নাজের, সুসংবাদ দাতা, ভীতি প্রদর্শনকারী এবং উজ্জল সূর্য করে প্রেরণ করছি সূরা আহযাব, আয়াত-৪৫ পবিএ কোরআন মজিদে এ ধরণের বহু আয়াতে কারীমা রয়েছে যেখানে আল্লাহর প্রিয় হাবীবকে শাহিদ বলে অভিহিত করা হয়েছে। যার অর্থ হলো হাজের ও নাজের। তাছাড়া আল্লাহর হাবীবের নাম সমূহের মধ্যে শাহিদ একটি অন্যতম নাম। #নবিজীর গোলাম
বিভাগ : অপরাধ / আলোচিত / স্পট লাইট
৯ বছরের ছাত্রীকে মাদরাসা কক্ষে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক মাওলানা একরামুল হক আটক
সময় : 11:57 pm । প্রকাশের তারিখ : 29/03/2014
Share This
•
•
•
•
•
•
•
•
•
•
•
চট্টগ্রাম: ৯ বছর বয়সের এক ছাত্রীকে মাদরাসা কক্ষে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক মাওলানা একরামুল হককে (২৪) আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে ফটিকছড়ি উপজেলার জাফতনগর হাফেজুল উলুম মাদরাসায় (কওমি) এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষক একরামুল হক মাদরাসার নূরানী বিভাগের শিক্ষক। সে হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম মেখল গ্রামের মৃত কামাল উদ্দিনের পুত্র।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হালিম জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে এসব ঘটনার অনেক অভিযোগ রয়েছে। শনিবার সকালে মাদরাসার একটি কক্ষে ঐ ছাত্রীকে ধর্ষণ করার সময় জনতা তাকে হাতেনাতে ধরতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। ধর্ষিতাকে তার বাবা জিম্মায় দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাজান ভূইয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে এবং জনতার সহায়তায় অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।’
©somewhere in net ltd.