নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদর্শ আহেমদ

আদর্শ আহেমদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সভ্য ও অসভ্য

২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:১৯

সভ্য অসভ্য
পার্ট- ১
একটি জাতির সামগ্রিক পরিচিতি ফুটে তার সংস্কৃতির মাধ্যমে। সংস্কৃতি যতই উন্নত-পরিশীলিত সে জাতি ততই বেশি সুন্দর ও সভ্য হিসাবে গন্য হয়। ইসলামী সংস্কৃতি মূলতঃ আল্লাহ প্রদত্ত রাসুল(সাঃ) প্রদর্শিত সাহাবা(রাঃ) আউলিয়া কেরাম এবং স্থান কাল পাত্র ভেদে কোরআন সুন্নাহর বিপরীত প্রদর্শন করেনা এমন স্থানিক আচার-আচারণে সমৃদ্ধ। সুতরাং এ সংস্কৃতি সমগ্র মানব জাতির আদর্শ। অথচ আজ এ সুন্দর সংস্কৃতির স্থলে বিকৃত অশ্লীল অনৈসলামিক সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। অপসংস্কৃতির অনুপ্রবেশে কোন প্রাকৃতিক কারণে নয়, বরং পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ফলেই হচ্ছে। সাম্রাজ্যবাদী দার্শনিকদের তত্ত্ব (THEORY) হল কোন জাতিকে ধ্বংস করতে হলে আগে তাদের সংস্কৃতি ধ্বংস কর। মূলতঃ এ তত্ত্বের ব্যবহারিক প্রক্রিয়ায় আজ চলছে আমাদের মুসলিম সমাজে। ধীরে ধীরে নিজস্ব সংস্কৃতির স্থান দখল করেছে ভারতীয় হিন্দু সংস্কৃতি এবং পশ্চাত্যের খ্রিষ্টান সংস্কৃতি। এভাবে চলতে থাকলে একদিন বাংলাদেশের মুসলমানকে ভারতের হিন্দু ও পশ্চাত্যের ইহুদি-খ্রিষ্টান্দের তুলনায় আলাদা করার উপায় থাকবেনা। এইভাবে ক্রমেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে একটি জাতি মুসলিম জাতি। এইভাবে সফল হতে পারে সাম্রাজ্যবাদী তত্ত্ব। সুতরাং নিজ পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিদ্যমান এবং ক্রমাগত অপসংস্কৃতি প্রতিরোধ করতে হবে। সাথে সাথে নিজস্ব সংস্কৃতির বিকাশে গন সচেতন সৃষ্টি সহ কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। মানুষ এবং অন্যান্য জীব জন্তুর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য দৃষ্ট হয় পশাক পরিচ্ছেদে। মানুষ উলং থাকে না পশুই উলঙ্গ থাকে। যে জাতি যত বেশী সভ্য তাদের পোশাক পরিচ্ছেদ ততটুকু রুচি পূর্ণ হবে এটাই স্বাভাবিক। অথচ মানুষ নামে কলঙ্ক হতে জাচ্ছি আমরা দিন দিন। আজকের পাশ্চত্য ভারতীয় সভ্যতা আমাদের নারীদের উলঙ্গ- অর্ধ উলঙ্গ করেছে। যাদের দেখে পশু পাখিরাও ঘৃনা করছে মনে হয়। সুতরাং ইসলামী সভ্যতার বাহন ও সংস্কৃতি রক্ষায় মহিলাদের দায়িত্ব সবছেয়ে বেশী। কারন সংস্কৃতিক সফল হবে পরিবার থেকে শুরু করলেই। আর মা হচ্ছেন পরিবারের সন্তান সন্তুতির প্রথম ও প্রধান শিক্ষক।
চলবে...............
ইসলাম নারীকে যতটুকু মর্যাদা দিয়েছে ততটুকু অন্যকোথাও দেওয়া হয়নি। কোন কোন ধর্ম ও মতবাদে নারীকে মানুষ হিসাবে গন্য করে না। ভারতীয় সভ্যতায় নারীকে অতীব তুচ্ছ করা হত। যেমন মনু’র মতে তাহাকে অবশ্যই দিবারাত্র পুরুষের কড়া শাসনে রাখা আবশ্যক। নারী জন্মগতভাবে দুশ্চরিত্রা ও লম্পট। “ Amer Ali : The sperit Of Islam,30. Ramesh Chandra Mojumdar : Ideal and position of Indian women in domestic life”
সতীদাহ অর্থাৎ স্বামীর মৃত্যুতে জ্বলন্ত চিতায় একই সাথে সদ্য বিধবা স্ত্রীর আত্মবিসর্জন প্রথা ভারতে বহুল পরিচিত একটি সংস্কৃতি। একজন নিরাপরাধ সদ্য স্বামী হারা শোকাতুর মহিলাকে একই ভাবে জীবনাবাসন ঘটাতো বাধ্য হয়েই। হ্যাঁ কিছুদিন পূর্বে আইন করে তা নিষিদ্ধ করা হয়।
প্রফেসর ইন্দ্র তাঁর STATUS OF WOMEN IN MOHABARAT গ্রন্থে উল্লেখ করেন নারীদের ন্যায় এত পাপ পঙ্কিলতাময় প্রাণি ার নাই। নারী প্রজলিত অগ্নি স্বরূপ। নারীদিগকে পুরুষের ভালবাসা উচিৎ নয়।(MAN SHOULD NOT LOVE THEM-PAGE-17)। তৎকালীন সে সমাজে কন্যা সন্তানের জন্ম সংবাদে বিষাদের ছায়া নামত এবং বলা হত “ THE BIRTH OF GIRL GRANT IN ELSEWHRE, HERE GRANT A BOY- PAGE-21” অর্থাৎ হে দেবতা নারী সন্তান অন্যত্র দাও। আমাদের পুত্র সন্তান দান কর। অনুরূপ ভাবে চীনের ধর্ম গ্রন্থে নারীকে “ WATER OF WOE” বা দুঃখের প্রসবন হিসাবে বর্ণিত হয়েচ্ছে। বিবাহ ও ইহার আনুষাঙ্গিক কার্যকলাপ বৌদ্ধ ধর্মের চরম লক্ষ্যের পরিপন্থী। (U.MAY OUNG: BUDDHIST LAN, PART-1, PAGE-2) বৌদ্ধদের মতে নারী সকল অসৎ প্রলোভনের ফাঁদ। এ সংক্রান্ত বর্ণনায় বিখ্যাত ঐতিহাসিক অয়েস্টার মার্ক(WESTER MARK) বলেন, WEMEN ARE OF ALL THE SNARES WHICH THE TEMPTER HAS SPREAD FOR MEN , THE MOST DANGEROUS. অর্থাৎ মানুষের জন্য প্রলোভন যতগুলি ফাঁদ বিস্তার করেছে তাঁর মধ্যে নারী সর্বাপেক্ষা বিপদ জনক। (NAZHAT AFZA AND KHURSHID AHMED: THE POSITION OF WOMEN IN ISLAM, PAGE-12-13)
ইহুদী ধর্ম মতে নারীর উপর সৃষ্টি কর্তার চিরন্তন অভিশাপ রয়েছে। নারী হতেই পাপের সূত্রপাত বলে মনে করা হয়। ইহুদী সমাজে নারীর কোন মর্যাদা ছিল বলে গন্য করা হত না এবং সে পুরুষের অস্থাবর সম্পত্তি রুপেই পরিগনিত হত। (ENCYCLOPEDIA OF BRITINICA, PAGE-737) একই ভাবে খৃষ্টীয় ধর্মে ও নারী জাতির উপর উপর অতীব নিষ্ঠুর আচরন করা হয়েছে। তৎকালীন পোপ শাসিত পবিত্র রোম সম্রাজ্য নারীগাহে গরম তেল ঢেলে দেওয়া হয়েছে, দ্রুতগ্রামী ঘোড়া লেজের সাথে বেঁধে হেঁচড়ানো হয়েছে এবং মজবুত স্তম্বে বেঁধে অগ্নিদগ্ধ করা হয়েছে। সপ্তদশ শতাব্দীতে রোম নগরীতে অনুষ্টিত খৃষ্টান্দের কাউন্সিল অব দ্যা ওয়াইজ এর এক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, WHO HAS NO SOUL অর্থাৎ নারীর কোন আত্মা নেই। বাইবেলে পরিস্কার বলা হয়েছে, নারীর পাপের দরুনই পুরুষকে তাঁর উপর কতৃত্ব করার অধিকার দেওয়া হয়েছে।(BIBEL: GENESIS 3:16 NEW WORK 1973).
সক্রেটিস বলেন- WOMEN IS THE GREATEST SOURCE OF CHAOS AND DISRUPTION OF CHAOS AND DISRUPTION IS THE WORLD.- নারী জগতে বিশৃঙ্খলা ও ভাঙ্গনের শ্রেষ্ট উৎস। মোট কথা ইস্লামের আবির্ভাবের পূর্বে পৃথিবীর সর্বত্র চলছিল নারী জাতির উপর অমানুষিক অত্যাচার। আরব জীবন্ত কবর দেওয়া হত শিশু কন্যাকে। মিশরের নীল নদের পানি প্রবাহ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সুন্দরী যুবতী নারীকে নব বধুর সাজে নিক্ষেপ করা হতো। হযরত ওমর ফারুক(রাঃ) সেই দিন মিশরের সেই অপসংস্কৃতি বন্ধ করেছিলেন। ইসলামেই সর্ব প্রথম নারী জাতিকে মর্যাদার আসনে অধিষ্টিত করে বিবাহ ও তালাক প্রথার গুরুত্ব বৃদ্ধি করে নারীকে সন্মানিত করেছেন। অন্য ধর্মে অত্যাচারী স্বামীকে ছেড়ে যাবার সুযোগ নেই সেইখানে নারীকে ইসলাম সেই সুযোগ করে দিয়েছে। ইসলামে বিয়েতে একমাত্র নারীর মতামত কে গুরুত্ব দিয়েছে। ইসলামী নেকাহ আকদ পদ্ধিতিতে কনের অনুমতি আবশ্যক যা অন্য কোথাও নেই। ইসলামেই নারীকে পিতা ও স্বামীর সম্পত্তির উত্তারাধিকার বানিয়েছে, অধিকন্তু পিতা স্বামীর উপর তাদের ভরন পোষণের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে।
বর্তমানে শিয়া ধর্মে নিকাহে মুতাহ বা সাময়িক বিবাহ প্রচলিত। যা পাশ্চাত্যের CONTACT MARRIAGE এর অনুরূপ। এই প্রয়হা ইস্লামে নিষিদ্ধ ঘোষনা করে নারীকে অর্থের বিনিময়ে ক্রয় ও বিক্রয় থেকে বাঁচিয়েছে। বরং রাসুল(সাঃ) নারী জাতির কল্যানে ঘোষনা করেছেন তোমাদের মধ্যে সে ব্যাক্তিই সর্ব উটকৃষ্ট যে তাঁর স্ত্রীর নিকট উত্তম। (ইবনে মাজাহ)।
আরো ঘোষণা করা হয়েছে যাকে দুটি কন্যা সন্তান দান করা হয়েছে অথবা যে ব্যাক্তি দুটি বোনের দায়ভার গ্রহন করেছে এবং সে তাদের সাথে ধৈর্যের সাথে সদ্ব্যভার করে সে এবং আমি বেহেশ্তে থাকব এই বলে স্বীয় তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুলীর অবিচ্ছেদ্যতার দিকে ইঙ্গিত করে দেন। (ইবনে মাজাহ)
যেখানেই অন্য ধর্মে নারীদের জন্মগ্রহন করা দুঃখের ও পাপের বলে ধারনা করা হয় সেইখানে ইসলাম ধর্ম নারীকে দিয়েছেন যথাযথ মর্যাদা ও সন্মান এবং জান্নাত পাওয়ার মাধ্যম হিসাব

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.