![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা মানুষ, প্রানী জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ জীব। জীবনকে সহজ করতে আমরা হয়েছি
আধুনিক, গড়ে তুলেছি সভ্যতা, আমাদের জ্ঞান বিজ্ঞান দিনে দিনে প্রশস্থ
হচ্ছে। জ্ঞানের আলোয় পথ চলছি আমরা, যাচ্ছি সামনে এগিয়ে। তারপরেও আমরা
কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেন পিছিয়ে পড়ছি আমাদের মনের অজান্তেই। আমরা নিজেরাও
জানিনা, আমরা কখন মানুষ্যত্ব নামক জায়গা থেকে নিচে নেমে গিয়ে পশুত্ব
নামক যায়গায় অবস্থান করি। আমরা জানিনা, কারন সমাজ আমাদের জানতে দেয় না।
আমরাতো সেভাবেই শিখব, সমাজ আমাদের যেভাবে শিক্ষা দেবে! কিন্তু আমাদের এই
সমাজ আসলে কারা যাদের দ্বারা আমরা শিক্ষা নিচ্ছি ভূল পথে। এই দায়বদ্ধতা
আমাদের মা - বাবা, শিক্ষক - শিক্ষিকা সহ আমাদের সবার।
ধরুন, আপনি রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছেন, আপনার সাথে আপনার ছোট সন্তানও
যাচ্ছে। আপনি দেখলেন, দূরে কেউ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে রাস্তায় আহত অবস্থা
কাতরাচ্ছে, কেউ এগিয়ে যাচ্ছেনা। আপনার সন্তানের নিষ্পাপ আর সরল প্রশ্ন,
বাবা দেখ লোকটা ব্যাথায় কেমন করছে। আপনি দেখেও না দেখার ভান করে দ্রু চলে
গেলেন আপনার সন্তানকে নিয়ে আর বললেন, ওদিকে যাওয়া যাবেনা, বিপদ হতে পারে।
অথবা, আপনি হয়ত এগিয়ে গেলেন না, কারন আপনি হয়ত খুব ব্যস্ত।
এই ঘটনার মাধম্যে আপনি আপনার সন্তানকে কি শিক্ষা দিলেন? শিক্ষা দিলেন,
অপরিচিত কেউ বিপদে পড়লে তাকে সাহায্য করতে নেই, বিপদ হতে পারে। এই বিপদের
কথার মাধ্যমে আপনি আপনার সন্তানকে ভীতু আর মানবতাহীন করে বড় করে তুলছেন।
আপনি হয়ত সন্তানকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করছেন,
কিন্তু আপনি কি জানেন, আপনার অজান্তেই আপনার মাধ্যমে আপনার সন্তান কত
ধরনের কুশিক্ষা পেয়ে চলছে প্রতিদিন। একজন রিক্সাচালক ভূল করে দুইটাকা
ভাড়া বেশি চেয়ে বসতে পারেন, আপনি বোঝানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু
রিক্সাচালক কিছুতেই বুঝতে চাইছে না। আপনি ধরে নিতে পারেন, সারাদিন
পরিশ্রম করে রিক্সাচালকের মাথা ঠিক নেই। তাইবলে তার সাথে খারাপ ব্যাবহার
করতে পারেন না। কারন, আপনারতো মাথা ঠিক আছে। রিক্সাচালককে দুইটাকা বেশি
দিয়ে চলে যান। হয়ত আপনার দুইটাকার ক্ষতি হবে, কিন্তু আপনার সন্তানতো
দুইটাকার জন্য একজন রিক্সাচালকের সাথে ঝগড়া করতে হয়, তাতো আর শিখবে না
আপনার কাছ থেকে!
আমাদের বাংলাদেশ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের
মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, তখনকার মানুষ কতটা মানুবিক হলে নিজের
রক্তের বিনীময়ে
হলেও যুদ্ধ করেছে আমাদের দাসত্ব থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য। সেই দিনগুলো আজ কোথায় আর কোথায় সেই সাহসী মানষিকতা!
২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৩
একটি পেন্সিল বলেছেন: তাদের মানুষিকতা আসলেই অনেক বড় ছিল, যা এখন আমাদের সমাজে খুজে পাওয়া কঠিন।।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
যাঁরা যুদ্ধ করেছিলেন, তাঁরা ঠিক আছেন; কিন্তু সংখ্যা কমে ৪৫ হাজারে এসে গেছে, হয়তো। বাকীদের কথা বলতে পারছি না।