![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির অভ্যাসটা আমার সেই ছোট বেলা থেকেই। তবে লেখক বলতে যা বুঝায় আমি তা নই। লিখে লিখে এ পর্যন্ত কলমের কালিই ফুরিয়েছি কেবল, সৃষ্টিশীল কোন কিছু হয়নি আমাকে দিয়ে।
জীবন চলার প্রতিটা ক্ষেত্রে আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি ভাবতে হয়। কাজের ক্ষেত্র থেকে শুরু করে অফিস আদালত, এমনকি আপনি যখন খেতে বসেন অথবা ঘুমাতে যান তখনও কিছু নিরাপত্তা প্রণালী রয়েছে। অবজ্ঞা করলে যে কোন সময় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। আমরা এখানে ধারাবাহিক ভাবে সেই সমস্ত নিরাপত্তা প্রণালী নিয়ে আলোচনা করবো যেগুলো কম বেশী সবারই কিছু না কিছু জানা দরকার। আপনাদের কোন উপদেশ পরামর্শ বা অভিজ্ঞতা থাকলে তাও শেয়ার করতে পারেন এখানে। ফেসবুকের মত শুধু লাইক নয়, আমরা আলোচনা-সমালোচনা-প্রতিউত্তর কামনা করছি।
********************************************************************************
-” আমরা পরিশ্রম করে বিদেশে কাজ করি আর বউয়েরা আছে দেশে এই পরিশ্রমের টাকা কিভাবে উড়াবে সেই তালে। অনেকে আবার নষ্টামিও করে। আমার মনে হয় বউদের হাতে টাকা পয়সা একদমই না দেওয়া উচিত।”
-” না তোমার কথা ঠিক না। টাকা না দিলে সে খাবে কি? বাঁচবে কি করে? টাকা দিতে হবে, তবে হিসাব করে।”
-” টাকা হিসাব করে দাও আর না দাও, স্বর্ণালঙ্কার কখনই না। এটাই বউদের খারাপ করে। বোঁচকা বেঁধে পরে ভেগে যায় আরেক জনের সাথে।”
-” এই মিয়া গরু চিনো, গরু? তোমাদের বাড়িতে গরু আছে? হালচাষ কর? ঐ যে হালচাষের যে গরু, সেও দেখবে তুমি কি চাও তা বুঝতে পারে। কৃষকরা ডাইনে চাইলে ডাইনে যায় বাঁয়ে চাইলে বাঁয়ে। কিভাবে বুঝে? সে কি কথা বলতে পারে? সে কোন ভাষা বুঝে? বাংলা ইংলিশ না চাইনিজ? কোনটাই না।
তাহলে এবার ভেবে দেখ, একটা গরুও যদি তোমার মনের ভাষা বুঝতে পারে, একটা মানুষ হয়ে তোমার স্ত্রী তোমার মনের কথা বুঝতে পারবে না, তা কি করে হয়?
সে যদি উল্টা পাল্টা কোন কিছু করে থাকে, আমি বলবো সে তোমার কুৎসিত মনের গলিত পুঁজ। তুমি স্বীকার কর আর না কর তোমার মন যতটা কুৎসিত হবে, তাঁদের আচরণ ততটাই নেক্কার জনক হবে।”
টুলবক্স মিটিঙয়ের শুরুতে কয়েকজন শ্রমিকের আলাপচারীতা এগুলো। পাঠক মাইন্ড ইট!
আমাদের দেশে হলে এ ধরনের আলাপচারীতায় তুই তুকারী থেকে শুরু করে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়ে যেতে পারতো। কিন্তু এখানে? কী সুন্দর আন্ডারস্ট্যান্ডিং! একজন আরেক জনকে বুঝার বা বুঝানোর কসরত!
ওরা আমার এক একটা রত্ন এই বিদেশের মাটিতে। I feel proud of them.
আমাদের আজকের টুলবক্স মিটিঙয়ের বিষয় ছিল, The sincerity and concentration at work. কর্মক্ষেত্রে কাজের প্রতি আন্তরিকতা ও একাগ্রতা। যার ব্যাত্তায় হলে আপনার এই কাজ যে কোন সময় আপনার উপর প্রতিশোধ নিতে পারে। আপনি পড়ে যেতে পারেন দুর্ঘটনার মুখে।
১ম পর্ব
২য় পর্ব
০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২
জামাল হোসেন (সেলিম) বলেছেন: মন্দেরা ভাল মনের অধিকারী হয়ে যাক!!
২| ০২ রা জুন, ২০১৫ রাত ১০:৪৫
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: আসলে আমরা অন্যকে বুঝানোর চেস্টায় যতটুকু মগ্ন থাকি, যদি নিজে বুঝার জন্য ততটুকু মগ্ন থাকতাম তাহলে হয়তো এত সমস্যার সৃস্টি হত না।
০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯
জামাল হোসেন (সেলিম) বলেছেন: ভাই নয়ন বিন বাহার, নিজে যদি বুঝতে পারতাম তাহলে তো কিচ্ছাই খতম। সারা পৃথিবী এক ষ্ট্যাণ্ডার্ডে চলে আসতো। সে তো আর হবার নয়। নাহার আপা যেমন বলেছেন, ভাল মন্দ মিলিয়েই মানুষ!! আর এটাই চিরন্তন সত্য। মন্দদেরকেও আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। ওদের নিয়ে আমাদের চলতে হবে। নিজের বিচার আমরা নিজেরা করতে পারিনা। আমি নিজে যে সঠিক আছি এটা আমি কিভাবে বুঝি, যদি কেহ এটা কোন না কোন এক সময় আমাকে ধরিয়ে দেয়? আর যে আমার ভুল ধরিয়ে দিল বা উপদেশ দিল তাকে বাঁকা চোখে না দেখে বরং শ্রদ্ধা করা উচিত বলে আমি মনে করি (যদি আমি জেনে থাকি সে খারাপ তবুও)। কেননা নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতে সচরাচর কেহ আসেনা। যদি কেহ এই কষ্টটুকু স্বীকার করতে চায় তাকে আমি আমার অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাই।
ভুল বুঝবেন না ভাই ওদেরকে। নেহাত সহজ সরল মানুষ ওরা।
৩| ১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:১৮
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: নতুন আমদানী টুলবক্স তো দেখছি ভালোই হিট
১৪ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২
জামাল হোসেন (সেলিম) বলেছেন: ভাই, আপনি যদি মাঝে মধ্যে একটুখানি টোকা (হিট) দিতেন! (দাঁত বের করা একটা ইমো এখানে মনে মনে দেখে নিয়েন)
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুন, ২০১৫ রাত ৯:০৯
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ভাল মন্দ মিলিয়েই মানুষ!! অন্ধকার না থাকলে আলোর অস্তিত্ব বোঝা যায় না!
তাই মন্দ না থাকলে ভালোকে আমরা চিনব কি করে!
দোয়া করি মন্দেরা ভাল মনের অধিকারী হয়ে যাক!!