নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Criticism is our fundamental right. The revolution will come only from our pen #save constitution

Titanic

এক সময় আমরা সবাই মানুষ ছিলাম।হঠাৎ করে তখন এক ভণ্ডু খোদার আবিষ্কার হল।শুরু হয়ে গেলে ধর্মের/খোদার দলের দালালী(মানুষের মধ্যে মারামারি হানাহানি)ভণ্ডু খোদার এক বিশেষ দালাল হল ইসলামধর্মের নবী মুহাম্মদ।ধর্মিয় বই নাকি আসমান থেকে এসেছ,আরে বোকার দল তাহলে তদের মালিককে বল আমাকে একটি আইটির বিশেষ বই দিতে।আমি আইটির ব্যবহার ও উন্নত মান দিয়ে তোদের খোদা হওয়ার দাবী করব।তোমরা বল কোরান,বাইবেল, গীতা আরও কত্তকিছু উপর হতে এসেছে।তোমরা কি দেখনা এখন মানুষ উপর(চন্দ্র,মংগল ইত্যাদিতে ভ্রমণ করছে)চোখ খুল মানুষ, চোখ খুল।

Titanic › বিস্তারিত পোস্টঃ

কূটনৈতিকদের নীরবতা বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি অবনতির অন্যতম কারণবাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমাবনতি ঘটছে কেন?

১৮ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৪:১০

কূটনৈতিকদের নীরবতা বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি অবনতির অন্যতম কারণবাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমাবনতি ঘটছে কেন? এর অন্যতম প্রধান কারণ খুঁজে পাওয়া যাবে ফেব্রুয়ারির শেষে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংসদের মানবাধিকার বিষয়ক উপ-কমিটির আলোচনা পর্যবেক্ষণ করলে। এই আলোচনায় বক্তব্য রাখেন রেনশে তিরিঙ্ক। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান।আলোচনায় তিরিঙ্ক বাংলাদেশে মানবাধিকার বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন। তার এই বক্তব্যটি হবার কথা ছিল ২০১৮ সালের ইউরোপীয় ইউনিয়নের রেজলিউশনের আলোকে। ওই রেজলিউশনে (সিদ্ধান্ত/প্রস্তাব) বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির তীব্র সমালোচনা করা হয়েছিল।কিন্তু এখানে লক্ষ্যনিয় বিষয় হলো, তিরিঙ্ক তার বক্তব্যে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনে যে বিষয়গুলো সবচে বেশি কাজ করেছে, সে সব বিষয়ে আক্ষরিক অর্থে একটি শব্দও বলেননি। তিরিঙ্কের এড়িয়ে যাওয়া শব্দগুলো হলো:- গুম- বিচারবহিৰ্ভূত হত্যা- যথেচ্ছ গ্রেফতার- রাষ্ট্র পরিচালিত টর্চার (নির্যাতন)- গণমাধ্যমের উপর সেন্সরশিপ- বাকস্বাধীনতা- নির্বাচনে কারচুপিঅথচ এগুলো প্রত্যেকটি বাংলাদেশে অত্যন্ত মারাত্মক মাত্রায় ঘটে চলেছে এবং ক্রমবর্ধমান সমস্যা। তিরিঙ্কের বক্তব্যের ঠিক আগে হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচের বক্তাও এ কথা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেছেন (১১:১০:৫০-১১:২০:৩০)।তিরিঙ্ক তার বক্তব্যে একবারের জন্যও হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচের বক্তব্যে আলোচিত বিষয়গুলো উল্লেখ করেননি। এই দুই বক্তার কথা শুনে মনে হবে, হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ এবং ইইউ ভিন্ন দুটি দেশ নিয়ে কথা বলেছে।বাংলাদেশের মানবাধিকার আজকে এই শোচনীয় অবস্থায় আসার আংশিক কারণ ইইউ এবং অন্যান্য উদার-গণতান্ত্রিক (লিবারেল ডেমোক্রেটিক) দেশগুলোর নীরবতা। বাংলাদেশে মানবাধিকারের অবনতির জন্য তারা দায়হীন হতে পারে না। তারা নিজেদের ক্ষমতা ও প্রভাব ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা পদক্ষেপগুলোকে সতর্ক করতে ব্যর্থ হয়েছে। যেহেতু তারা এ কাজে ব্যর্থ হয়েছে, তাই আওয়ামী লীগ সরকার কোনো চাপ অনুভব করেনি। এবং ফলস্বরূপ ভেবে নিয়েছে, এভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে গেলেও তাদের কোনো ফল ভোগ করতে হবে না। একদিকে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করলেই বা নিজস্ব মত প্রকাশ করলেই আটক হওয়ার আতংকে ভুগছে, অপরদিকে উদার-গণতান্ত্রিক সব রাষ্ট্র মুখে কুলুপ দিয়ে আছে।এ নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই যে বাংলাদেশে মানবাধিকারের বর্তমান পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য দায় বর্তায় ইইউ, ইউকে, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য উদার-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর উপর। তাদের মৌনতাকে আওয়ামী লীগ সরকার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ হিসেবে নিয়ে অবাধে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, যথেচ্ছ গ্রেফতার ও অন্যান্য ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন চালিয়ে যাচ্ছে।অবশেষে দেড় সপ্তাহ আগে কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় যৌথ একটি বিবৃতি দেয়া হয়। এর আগে শেষ কবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে এমন বিবৃতি দিয়েছিল? ঠিক এ কারণেই বাংলাদেশে মানবাধিকারের এমন অবনতি হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশে মানবাধিকারের চরম অবনতির কঠোর নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হওয়াতেই এমন একটি অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে যাতে মুশতাক আহমেদকে বিনা বিচারে ও বিনা অভিযোগ-গঠনে নয় মাস কারাগারে থাকতে হয়েছে, ছয়বার তার জামিন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে।বিবৃতিতে রাষ্ট্রদূতরা লিখেছেন: ‘ডিএসএর নিয়মনীতি ও এর প্রয়োগ নিয়ে আমাদের সরকারগুলো বাংলাদেশ সরকারের কাছে উদ্বেগ জানাবে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মানদণ্ডের আওতাধীনে থাকায় বাংলাদেশের মানবাধিকার রক্ষায় যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তার সঙ্গে ডিএসএ সংগতিপূর্ণ কিনা সে বিষয়েও আমাদের সরকার সমূহ বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে।’ কে জানে, এই ‘আলোচনা’ অব্যাহত রাখা মানে কী! যতক্ষণ না তারা প্রকাশ্যে উদ্বেগ জানায় এবং অবস্থার পরিবর্তন না আনতে পারলে সহযোগিতা বন্ধের হুমকি দেয়, তার আগ পর্যন্ত কিছুই বদলাবে না। লোকচক্ষুর আড়ালে কূটনৈতিকরা গোপনে নিজেদের উদ্বেগ বাংলাদেশ সরকারকে জানালে এর কোনো মানে হয় না। যতক্ষণ তারা প্রকাশ্যে বারবার প্রতিবাদ জানানো শুরু না করছে — ততক্ষণ কিছুই বদলাবে না। আর যদি তারা এ কাজে ব্যর্থ হন, সেক্ষেত্রে পরিবর্তন না হবার দায় (এবং পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটার দায়) তাদের উপর অনেকখানি বর্তাবে।বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূত তিরিঙ্কের সম্পূর্ণ বক্তব্যের প্রতিলিপি নিচে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার এই বক্তব্যের লক্ষণীয় দিকটি এই ছিল যে তিনি বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির নিন্দা জানানো দূরের কথা, উল্লেখও করেননি। এছাড়া তিরিঙ্কের বক্তব্যের আরও কয়েকটি দিক মনোযোগ দিয়ে দেখা দরকার:• তিরিঙ্ক ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত একটি ‘মানবাধিকার সংলাপ’-এর কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু সেখানে কী আলোচনা হয়েছিল তা উল্লেখ না করে শুধু অস্পষ্টভাবে ‘ইউপিআরের সুপারিশ’-এর কথা বলেছেন। রাষ্ট্রদূত তিরিঙ্কের কথা অনুযায়ী এই সংলাপ থেকে যে ‘মহা সাফল্য’ অর্জন হয়েছে তা হলো, সরকার ‘ইউপিআর সুপারিশ বাস্তবায়ন বিষয়ক তিনটি কর্মশালা’ আয়োজন করেছে। সোজা কথায়, কিছুই অর্জন হয়নি। ইইউ কী সত্যি সত্যি বিশ্বাস করে, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে তিনটি কর্মশালা আয়োজনের মাধ্যমে কিছু অর্জিত হবে? এসব কর্মশালার ফলাফল যে সম্পূর্ণ শূন্য তা নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই — কিন্তু দেখা গেল, ইইউ রাষ্ট্রদূত এসব অর্থহীন বৈঠক নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত!• এরপর রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ইইউ বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিষয়ে আলোচনা’ করেছে। কিন্তু কীভাবে ও কী রকম সেই আলোচনা? এ বিষয়ে তার বক্তব্য থেকে যা জানা যায়, তা হলো: ‘আইনটির অপেক্ষাকৃত সমস্যাপূর্ণ ধারাগুলো পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কিছু বৈঠক’-ই এই এসব আলোচনার সীমারেখা। এবং এসব আলোচনার ফলাফল শূন্য। তিরিঙ্ক জানান, ‘আলোচনা চালিয়ে যেতে শিগগিরই পরবর্তী মন্ত্রীর সঙ্গে আমরা আরেকটি বৈঠক করব বলে আশা করছি’। কিন্তু তাতেও যে অবস্থার তেমন কোনো হেরফের হবে না, তা সহজেই অনুমেয়। এদিকে, সংসদে দেয়া বক্তব্যে ইইউ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে যথেচ্ছ গ্রেফতারের কথা একবারও তোলেননি বা এই আইনের ফলে বিরোধী মত কীভাবে দমিত হচ্ছে, তাও বলেননি। তিনি ছিলেন ভবিষ্যতে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কী কী নিষ্ফল বৈঠক করবেন, তা নিয়ে উচ্ছ্বসিত। বলা বাহুল্য, এ ধরনের ডজন ডজন অকেজো বৈঠকে আইনমন্ত্রী অতীতেও উপস্থিত থেকেছেন। বৈঠক শেষে খোশ মেজাজে পরবর্তী বৈঠকের তারিখ দিয়েছেন।• তিরিঙ্ক বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যতে পারষ্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক শাসনকে আমরা অগ্রাধিকার দেবো।’ কিন্তু বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় এবং পৌর নির্বাচনগুলোতে কারচুপির ব্যাপারে কিছু বলেননি। গত জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির বিষয়টা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেভাবে স্রেফ চুপ করে মেনে নিয়েছে, তা অবিশ্বাস্য। নির্বাচনে কারচুপি বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এবং রাষ্ট্রপতিকে গুরুত্বপূর্ণ যে চিঠি বিশিষ্ট নাগরিকদের পক্ষ থেকে সম্প্রতি দেয়া হয়েছে, তিরিঙ্ক তার বক্তব্যে সে বিষয়েও কিছু উল্লেখ করেননি। তবে তিনি গর্বিত হয়েছেন অন্য কারণে; তার ভাষায় ‘আমরা গোষ্ঠী ও নাগরিক সমাজ ভিত্তিক কয়েক ডজন সংগঠনের সক্ষমতা গঠনে কাজ করেছি এবং গণতান্ত্রিক শাসন বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি’-তার গর্বের জায়গা এটুকুতেই সীমাবদ্ধ। যদি ইইউ রাষ্ট্রদূত আসলেই ভেবে থাকেন, এর ফলে বাংলাদেশে ‘কিছু একটা’ অর্জিত হবে — বর্তমানে যে দেশে শাসকগোষ্ঠীই সব ক্ষমতার মালিক এবং গণতান্ত্রিক শাসন বিষয়ে যাদের বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই — তাহলে তিনি রূপকথার জগতে বাস করছেন।বাংলাদেশে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বর্তমান ভূমিকা লজ্জাজনক। বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে মানবাধিকারকে পদদলিত করা একটি স্বৈরতন্ত্রে পরিণত হবার পেছনে যে তাদের ভূমিকা আছে, তা এখন স্বীকার করে নেবার সময় এসেছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:২৫

অক্পটে বলেছেন: একটি নিদারুণ সত্য তুলে ধরেছেন আপনার এই লেখায়।

"বাংলাদেশে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বর্তমান ভূমিকা লজ্জাজনক।
বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে মানবাধিকারকে পদদলিত করা একটি স্বৈরতন্ত্রে পরিণত হবার পেছনে যে তাদের ভূমিকা আছে, তা এখন স্বীকার করে নেবার সময় এসেছে।"

২| ০৩ রা মে, ২০২১ ভোর ৬:৪১

Titanic বলেছেন: জি তাই তো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.