নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গুরুত্বপূর্ণ অসচেতন মানব

জাকির বালী

সধারন তবে অসাধারণ কিছু করার চেষ্টায় সদা নিয়োজিত। মানুষের সাহায্য করতে পছন্দ করি, হুটহাট করে সাহায্য করেও ফেলি। আনন্দ পাই, অন্যের হাসি দেখে। অন্যকে হাসানোর মধ্যেই খুঁজে নেই আত্মতৃপ্তি।

জাকির বালী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৃষ্টি আর আমার ভালবাসা

২০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯

বৃষ্টি আমাকে খুব টানে। এ টান হঠাৎ করে আসে নি। খুব ছোটবেলা থেকেই টানতো কিন্তু উপলব্ধি করা শুরু করি অনেক পরে। স্কুল থেকে পলিব্যাগ মাথার উপরে দিয়ে ভিজেভিজে বাসায় ফিরে আম্মার কত বকা হজম করতে হয়েছে। কলেজের সময়ে একখানা সাইকেলের সুবাদে প্রচুর বৃষ্টিস্নানের সৌভাগ্য হয়েছে। এইতো কয়েক বছর আগেও ভিজতাম মনের আনন্দে কিন্তু এখন আর পারিনা হয়তো বার্ধ্যকের দরুন পিছু হঠাচ্ছে। ডাক্তারের পরামর্শ, মানতেই হবে। চিরশত্রু হয়ে গেল প্রিয় বৃষ্টির পানি। মনের অজান্তে আমি প্রত্যেক ঋতুর বৃষ্টির পানির নামকরণ করে রাখি। দিনের কখন বৃষ্টি হলে মনে কী ধরনের অনুভূতি হয় তা খুব করে বুঝি। বৃষ্টির শব্দ আমার প্রতিনিয়ত আন্দোলিত করে, আমি হয়ে যাই প্রাণবন্ত। বৃষ্টির শব্দে সমস্ত আবেগ ত্বরান্বিত হয়ে সকল আবেগ ঘনীভূত হয়ে বাস্তবতার দিকে ধাবিত হয়। নিজের নিউরনগুলো কেমন অভ্যস্ত হয়ে গেছে বৃষ্টিরর সাথে। বৃষ্টি আসার আগেই ব্রেইনে সিগনাল চলে যায়, মনের মধ্যে একধরনের স্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। বৃষ্টি শুরুর অসাধারণ মুহূর্ত খুব কম সময়-ই মিস করি।
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনে হচ্ছিলো বৃষ্টিতে ভিজবো কিন্তু কর্পোরেট প্রতিবন্ধকতা আর ডাক্তারের পরামর্শ আমাকে পিছু হঠালো।বাহিরে বের হলাম কিন্তু সেই অদ্ভুত পোশাক আর সাথে বৃষ্টি নিয়ন্ত্রিত জ্যাকেট। আফসোস ভিজতে পারিনি কিন্তু তৃপ্তিকর বিষয় হলো- বৃষ্টির শব্দ থেকে আমাকে কেউ আটকাতে পারেনি। আমাকে কেউ রুখতে পারেনি।
আমি আনন্দিত।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: বৃষ্টি ভালো লাগে তবে রাস্তার যে বেহাল দশা তাতে ভোগান্তি আরও বাড়ে।

২| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৮

লিংকন১১৫ বলেছেন: আহা সেদিনের কথা
কতইনা বকা খেয়েছি এই বৃষ্টি তে ভেজার জন্য , জ্বর আগে আসুক তারপর দেখবো তোরে কে দেখে ।
বৃষ্টি তে ভিজে ভয়ে ভয়ে বাসায় ফেরা আহা , বাসায় থাকলে লুকিয়ে বেরহয়ে বৃষ্টি তে ভেজা অতঃপর সেই আকারে বকা খাওা ।
হুম আসলেই সময় আমাদের কে অনেক পরিবর্তন করে দেয় ।
কে না ভালোবাসে বৃষ্টি তে ভিজতে , ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিজেছি , আবার এমন হয়েছে যে ভিজতে গিয়েছি কিন্তু ঠিক তখনি বৃষ্টি থেমে গেছে মন খারাপ করে বাসায় ফিরে দেখি মার মুখ খানি উজ্জ্বল , বৃষ্টি তে না ভিজতে পারলে উনি খুব খুশি হতেন ।
আবার এমন বলতো যে এ বৃষ্টি তে ভিজনা এটাতে জ্বর আসবে , মুষল ধারে আসলে ভিজো , মাঝে মাঝে মা কে কয়েক বার বল্লেই অনুমতি দিয়ে দিতো আহা সে কি আনন্দ ।
কি সব উল্টা পাল্টা লিখে ফেল্লাম , ধুর আপ্নে আমাকে অতিত মনে করিয়ে দিলেন মিয়া
কাজটা মটেও ঠিক করেন নি , তবে পষ্টের জন্য পাঁচ কেজি ধইন্না পাতা রইলো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.